প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় শামরাও ধোতরে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উদ্ভাবনের বিষয়ে ঝোঁক এবং যে কোন উদ্ভাবনকে সহজে আয়ত্ত্ব করার কৌশল ভারত দেখিয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া হল ভারতের সংকল্প, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের হাতিয়ার। একবিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল ইন্ডিয়া শক্তিশালী ভারতের প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্ত্র ন্যূনতম সরকার সর্বোচ্চ প্রশাসনের কথা উল্লেখ করেন। কিভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সাধারণ মানুষকে সরকার ও জনসাধারণ, ব্যবস্থা ও সুবিধা, সমস্যা ও সমাধানের মধ্যে পার্থক্য দূর করে ক্ষমতায়িত করেছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ডিজি লকারের উদাহরণ তুলে ধরেন। মহামারীর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য ডিজি লকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। দেশজুড়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্কুলের সার্টিফিকেট, চিকিৎসার নথি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শংসাপত্র সংরক্ষিত করে রেখেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মের শংসাপত্র, বিদ্যুতের বিল দেওয়া, জলের বিল দেওয়া, আয় করের রিটার্ন দাখিল করার মতো বিভিন্ন কাজ দ্রুততার সঙ্গে সহজেই করা গেছে। গ্রামাঞ্চলে কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি মানুষকে সাহায্য করেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মধ্য দিয়ে এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এর জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্যগুলির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জীবনে কি ধরণের পরিবর্তন এসেছে সেই বিষয়টি স্মরণ করে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। স্বনিধি প্রকল্পে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া গেছে এবং স্বামীত্ব প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকদের মালিকানার অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিনি এই প্রসঙ্গে দূরসঞ্চার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ই-সঞ্জীবনী প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এটি অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার সময়কালে ভারত যেভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন কাজ করেছে সারা বিশ্বের কাছে সেটি ছিল আলোচনার অন্যতম বিষয়। কারুর সংস্পর্শে আসা চিহ্নিত করার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল অ্যাপ আরোগ্য সেতুর সাহায্যে করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করা গেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, টিকাকরণের জন্য ভারতের কোউইন অ্যাপের বিষয়ে অনেক দেশ উৎসাহ দেখিয়েছে। টিকাকরণ প্রক্রিয়ার নজরদারিতে এই অ্যাপ আমাদের কারিগরি দক্ষতার প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অর্থ হল সকলের জন্য সুযোগ গড়ে দেওয়া, সকলের জীবনে নানা সুবিধা নিয়ে আসা এবং বিভিন্ন কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অর্থ হল সরকারি ব্যবস্থার সুযোগ যাতে প্রত্যেকে পান সেটি নিশ্চিত করা, একটি স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মানে হল সময়, শ্রম ও অর্থ বাঁচানো। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অর্থ দ্রুত ও পূর্ণ লাভ, ন্যূনতম সরকার সর্বোচ্চ প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি করোনার সময়কালে দেশকে সাহায্য করেছে। যখন উন্নত দেশগুলি লকডাউনের সময় তাদের নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য টাকা পাঠাতে সমস্যায় পরেছিল ভারত সেইসময় কোটি কোটি টাকা জনসাধারণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়েছে। কৃষকের জীবনে ডিজিটাল লেনদেনের ফলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা, ১০ কোটির বেশি কৃষক পরিবারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া এক দেশ এক ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দ্রুত গতিতে গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ ৫০ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টারে ইন্টারনেট সংযোগ করা হয়েছে। ভারতনেট প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবার সাহায্যে শিক্ষা সহ বিভিন্ন পরিষেবা পেতে পিএম ওয়ানি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। দেশ জুড়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বল্পমূল্যে ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন ডিজিটাল সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম তৈরির সংস্থাগুলিকে উৎপাদন ভিত্তিক ভর্তুকির ব্যবস্থায় যুক্ত করা হয়েছে। গত ৬-৭ বছর ধরে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের ১৭ লক্ষ কোটি টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান দশক হল ভারতের ডিডিটাল প্রযুক্তি বৃদ্ধি করার দশক। আন্তর্জাতিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে ৫জি প্রযুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আর ভারত তার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন দেশের যুব সম্প্রদায় ডিজিটাল ক্ষমতায়ণের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবেন। এর ফলে বর্তমান দশক হয়ে উঠবে ভারতের প্রযুক্তির দশক- ইন্ডিয়া’জ টেকেড।
মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের ছাত্রী কুমারী সুহানী সাহুর সঙ্গে কথা বলেন। সুহানি জানিয়েছেন লকডাউনের সময় দীক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে তার লেখাপড়ায় সুবিধা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলির শ্রী প্রহ্লাদ বোরঘাড় জানিয়েছেন ই-ন্যাম অ্যাপের মাধ্যমে তিনি ফসলের ভালো দাম পাচ্ছেন এবং তাঁর পরিবহণের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। বিহারের নেপাল সীমান্তে পূর্ব চম্বারণের শ্রী শুভম কুমার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন লক্ষ্মৌ না গিয়ে ই-সঞ্জীবনী অ্যাপের মাধ্যমে তিনি, তাঁর ঠাকুমার চিকিৎসা করিয়েছেন। লক্ষ্মৌ-এর ডাঃ ভুপেন্দর সিং ই-সঞ্জিবনী অ্যাপের সাহায্যে কতটা সহজভাবে রোগীদের পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়েছে সে তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে ডাঃ সিং-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ই-সঞ্জিবনী অ্যাপের আরও উন্নতি সাধন করা হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর শ্রীমতি অনুপমা দুবে চিরায়ত সিল্কের শাড়ি ই-হাটের মাধ্যমে বিক্রির অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। ডিজিটাল প্যাড এবং স্টাইলাসের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি সিল্কের শাড়ির নতুন নতুন নকশা তৈরি করেন। উত্তরাখন্ডের দেরাদুনে বসবাসরত পরিযায়ী শ্রমিক শ্রী হরি রাম উৎসাহের সঙ্গে জানিয়েছেন এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হওয়ায় তাঁর রেশন পেতে সুবিধা হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশের ধরমপুরের শ্রী মেহের দত্ত শর্মা কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে কিভাবে ই-স্টোরগুলি তাঁর উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী কিনছে সেই অভিজ্ঞতার কথা অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন। এর জন্য তাঁকে নিকটবর্তী শহরে আর যেতে হচ্ছেনা। মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীর রাস্তার হকার শ্রীমতি নাজমীন শাহ মহামারীর পরে পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে কেমন করে তিনি আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন সেকথা অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন। মেঘালয়ের কেপিও কর্মী শ্রীমতি ওয়ান্ডামাফি সিমলিভ জানিয়েছেন ভারতের বিপিও যোজনার কারণে তিনি কোভইড-১৯ মহামারীর সময়েও সুরক্ষিত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন এবং এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
देश में आज एक तरफ इनोवेशन का जूनून है तो दूसरी तरफ उन Innovations को तेजी से adopt करने का जज़्बा भी है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
इसलिए,
डिजिटल इंडिया, भारत का संकल्प है।
डिजिटल इंडिया, आत्मनिर्भर भारत की साधना है,
डिजिटल इंडिया, 21वीं सदी में सशक्त होते भारत का जयघोष है: PM @narendramodi
ड्राइविंग लाइसेंस हो, बर्थ सर्टिफिकेट हो, बिजली का बिल भरना हो, पानी का बिल भरना हो, इनकम टैक्स रिटर्न भरना हो, इस तरह के अनेक कामों के लिए अब प्रक्रियाएं डिजिटल इंडिया की मदद से बहुत आसान, बहुत तेज हुई है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
और गांवों में तो ये सब, अब अपने घर के पास CSC सेंटर में भी हो रहा है: PM
टीकाकरण के लिए भारत के COWIN app में भी अनेकों देशों ने दिलचस्पी दिखाई है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
वैक्सीनेशन की प्रक्रिया के लिए ऐसा Monitoring tool होना हमारी तकनीकी कुशलता का प्रमाण है: PM @narendramodi
इस कोरोना काल में जो डिजिटल सोल्यूशंस भारत ने तैयार किए हैं, वो आज पूरी दुनिया में चर्चा और आकर्षण का विषय हैं।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
दुनिया के सबसे बड़े डिजिटल Contact Tracing app में से एक, आरोग्य सेतु का कोरोना संक्रमण को रोकने में बहुत मदद मिली है: PM @narendramodi
डिजिटल इंडिया यानि समय, श्रम और धन की बचत।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
डिजिटल इंडिया यानि तेज़ी से लाभ, पूरा लाभ।
डिजिटल इंडिया यानि मिनिमम गवर्नमेंट, मैक्सिम गवर्नेंस: PM @narendramodi
डिजिटल इंडिया यानि सबको अवसर, सबको सुविधा, सबकी भागीदारी।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
डिजिटल इंडिया यानि सरकारी तंत्र तक सबकी पहुंच।
डिजिटल इंडिया यानि पारदर्शी, भेदभाव रहित व्यवस्था और भ्रष्टाचार पर चोट: PM @narendramodi
कोरोना काल में डिजिटल इंडिया अभियान देश के कितना काम आया है, ये भी हम सभी ने देखा है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
जिस समय बड़े-बड़े समृद्ध देश, लॉकडाउन के कारण अपने नागरिकों को सहायता राशि नहीं भेज पा रहे थे, भारत हजारों करोड़ रुपए, सीधे लोगों के बैंक खातों में भेज रहा था: PM @narendramodi
किसानों के जीवन में भी डिजिटल लेनदेन से अभूतपूर्व परिवर्तन आया है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
पीएम किसान सम्मान निधि के तहत 10 करोड़ से ज्यादा किसान परिवारों को 1 लाख 35 करोड़ रुपए सीधे बैंक अकाउंट में जमा किए गए हैं।
डिजिटल इंडिया ने वन नेशन, वन MSP की भावना को भी साकार किया है: PM @narendramodi
ये दशक, डिजिटल टेक्नॉलॉजी में भारत की क्षमताओं को, ग्लोबल डिजिटल इकॉनॉमी में भारत की हिस्सेदारी को बहुत ज्यादा बढ़ाने वाला है।
— PMO India (@PMOIndia) July 1, 2021
इसलिए बड़े-बड़े एक्सपर्ट्स इस दशक को 'India’s Techade' के रूप में देख रहे हैं: PM @narendramodi