We want to move ahead from consumer protection towards best consumer practices & consumer prosperity: PM
Due to GST, various indirect and hidden taxes have ceased to exist; biggest beneficiaries of GST will be the consumers: PM
Effective grievance redressal systems are vital for a democracy: PM Narendra Modi
The Government has devoted effort and resources towards digital empowerment of the rural consumer: PM

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ানজি, শ্রী সি আর চৌধুরীজি,আঙ্কটাড-এর মহাসচিব ডঃ মুখিসা কিটুই এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজন। 

প্রথমেই ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আঞ্চলিকসম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আমি আপনাদের সকলকেই অভিনন্দন জানাই। দক্ষিণ এশিয়া,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার সবকটি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে মিলিতহয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকেই আমি স্বাগত জানাই। 

দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের সম্মেলন এই প্রথম আয়োজিত হচ্ছে। এই ধরণের একটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে এই মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য ভারতের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সমর্থনজানানোর পাশাপাশি এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য আঙ্কটাড-এর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। 

বন্ধুগণ, এই অঞ্চলের মতো এত বিশাল ঐতিহাসিক তাৎপর্য খুব কম অঞ্চলেরই রয়েছে।হাজার হাজার বছর ধরে বাণিজ্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে সংযোগসাধন করেছে। বহুশতাব্দী ধরেই এই অঞ্চলকে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করার কাজে উপকূলবর্তীঅঞ্চলের অর্থনীতি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান সৃষ্টি করেছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে সফরএবং চিন্তাভাবনা বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশ দু’দিক থেকেই লাভবানহয়েছে। তাই বর্তমানে শুধুমাত্র অর্থনীতি নয়, সংস্কৃতির দিক থেকেও আমরা এক মিলিতঐতিহ্যের প্রতীক। 

বন্ধুগণ, আধুনিক যুগে আমাদের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে।এশিয়ার দেশগুলি বর্তমানে শুধু নিজেদের দেশেই পণ্য ও পরিষেবার বাজার সৃষ্টির মধ্যেসীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য দেশেও তাঁদের এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা আজ প্রসারিত। এইপরিস্থিতিতে ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা হ’ল এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা এইঅঞ্চলের বাণিজ্য প্রচেষ্টাকে শুধুমাত্র প্রসারিতই করবে না, সেইসঙ্গে তাকে আরওশক্তিশালীও করে তুলবে। 

 দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন ও চাহিদার বিষয়গুলি আমরা বাস্তবে ততটা অনুভব ওউপলব্ধি করি এবং তাঁদের সমস্যার মোকাবিলায় আমরা আমাদের সাধ্য মতো কতটা চেষ্টা করতেপারি, তারই প্রতিফলন ঘটবে আজকের এই অনুষ্ঠানটিতে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক নাগরিকইহলেন একজন ক্রেতা বা ভোক্তা এবং এই কারণেই আমাদের সমবেত সংকল্পবদ্ধতার এক প্রতীকহয়ে উঠবে আজকের এই সম্মেলন। 

এই সমগ্র প্রচেষ্টা ও প্রক্রিয়ায় এক বিশেষ অংশীদার হয়ে উঠতে রাষ্ট্রসঙ্ঘযেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা আমাদের পক্ষে খুব উৎসাহের বিষয়। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার ক্রেতাসুরক্ষার ওপর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি-নির্দেশিকা রচিত হয়েছিল। দু’বছর আগে তা আবারসংশোধিতও হয়েছে। এই সংশোধন প্রচেষ্টায় এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ভারত। বিকাশশীলদেশগুলিতে ভোগ্যপণ্যের নিরন্তর যোগান, বৈদ্যুতিন বাণিজ্য এবং আর্থিক পরিষেবারক্ষেত্রে এই নীতি-নির্দেশিকা একান্ত জরুরি। 

বন্ধুগণ, বহুকাল ধরেই ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থারএক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার বছর পূর্বে রচিত আমাদের বেদ শাস্ত্রেক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। অথর্ব বেদে বলা হয়েছে যে, গুণগত মান ওমাপের বিষয়টিতে অসাধুতা অবলম্বন করা কারোরই উচিৎ নয়। 

এই সমস্ত প্রাচীন পুঁথি ও গ্রন্থগুলিতে ক্রেতা সুরক্ষার নিয়মাবলীর বিষয়টিব্যাখ্যা করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কি ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা করাযেতে পারে, তারও বিধান রয়েছে এই গ্রন্থগুলিতে। আপনারা শুনলে হয়তো আশ্চর্য হবেন যে,প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে কৌটিল্যের সময় শাসন ব্যবস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলব্যবসা-বাণিজ্যর নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রেতা সাধারণের সুরক্ষার বিষয়ে। কৌটিল্যের সময়সাংগঠনিক কাঠামোতে যে সমস্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা বর্তমানে বাণিজ্য অধিকর্তাএবং পণ্য ও পরিষেবার মান রক্ষার কাজে নিযুক্ত প্রশাসকেরই সমতুল্য। 

বন্ধুগণ, ক্রেতা সাধারণকে আমরা ঈশ্বর জ্ঞান করি। অনেক বিপণি এবং বিক্রয়কেন্দ্রেই আপনারা লক্ষ্য করবেন লেখা রয়েছে – ‘গ্রাহক দেব ভবঃ’। ব্যবসা-বাণিজ্যেরবিষয় বা প্রকৃতি যাই হোক না কেন, ক্রেতা বা গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টিকে প্রধানগুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সর্বপ্রথম বিধিবদ্ধভাবে ক্রেতা সুরক্ষারবিষয়টি চালু করা হয় ভারত হ’ল তার অন্যতম। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি-নির্দেশিকা গ্রহণেরমাত্র এক বছর পরই অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে আমাদের দেশে ক্রেতা সুরক্ষা আইন কার্যকর করাহয়। 

ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা হ’ল সরকারের একটি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। নতুন ভারতগঠনের লক্ষ্যে আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করেছি, এর প্রতিফলন ঘটেছে তার মধ্যেও।শুধুমাত্র ক্রেতা সুরক্ষা নয়, নতুন ভারতে বলবৎ করা হবে ক্রেতা স্বার্থ ও সুরক্ষাএবং ক্রেতা সাধারণের সমৃদ্ধি সম্পর্কিত পন্থা-পদ্ধতি। 

বন্ধুগণ, দেশের চাহিদা এবং বাণিজ্যিক কাজকর্মের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরাবর্তমানে এক নতুন ক্রেতা সুরক্ষা আইন বলবৎ করার চেষ্টা করছি। প্রস্তাবিত আইনেক্রেতা সাধারণের ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম ব্যয়ে একসুনির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে ক্রেতাদের ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুনআরও সরল করে তোলা হচ্ছে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরসংস্থানও থাকবে তাতে। প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন এক কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষাকর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে দ্রুত প্রতিকার সম্ভব করে তুলতে। 

সাধারণ ঘরবাড়ির ক্রেতা সাধারণের জন্য আমরা এক আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরকরেছি। তার আগে ক্রেতাদের বহু বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হ’ত তাঁদের ফ্ল্যাট বাবাড়ির চাবি হাতে পাওয়ার জন্য। অসৎ ও অসাধু নির্মাতাদের হাতে তাঁদের হয়রানির শেষথাকত না। এমনকি, ফ্ল্যাটের আয়তন নিয়েও তখন অনেক রকম বিভ্রান্তি ছিল। কিন্তু রেরাচালু হওয়ার পর শুধুমাত্র নথিভুক্ত ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাতারাই সমস্ত রকম অনুমতি ওঅনুমোদন সাপেক্ষে ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।এছাড়াও, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মোট দামের মাত্র ১০ শতাংশ তাঁরা অগ্রিম হিসেবে দাবিকরতে পারেন সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের কাছ থেকে। 

অগ্রিম বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করা হ’ত, তা অন্য প্রকল্পেব্যয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যেত বাড়ি ও ফ্ল্যাটের নির্মাতাদের। কিন্তু বর্তমানেএক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ক্রেতাদেরকাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের ৭০ শতাংশই একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে এবং তাশুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ঐ প্রকল্পটি নির্মাণেই ব্যয় করতে হবে। 

একইভাবে চালু করা হয়েছে ভারতীয় মান নিয়ন্ত্রক আইনটি। বর্তমানে সাধারণ মানুষবা ক্রেতাদের স্বার্থে পণ্য ও পরিষেবা যোগানের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে শংসাপত্রওথাকা চাই। পণ্যের গুণগত মান আশানুরূপ না হলে, তা বাজার থেকে তুলে নেওয়ারও সংস্থানরয়েছে এই আইনটিতে। এমনকি কোনও পণ্য যদি ত্রুটি যুক্ত হয়, তা হলে সংশ্লিষ্টক্রেতাকে ক্ষতি পূরণ দেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে ঐ আইনের আওতায়। 

 ভারত সাম্প্রতিককালে পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি চালু করেছে। জিএসটি চালুহওয়ার পর থেকে পণ্য ও পরিষেবার ওপর নানা ধরণের ভিন্ন ভিন্ন পরোক্ষ কর সংগ্রহেরব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। বহু লুকনো কর-এরও একই সঙ্গে বিলোপসাধন করা হয়েছে। তাইএকজন ক্রেতা বর্তমানে জানতে পারেন যে, কতটা কর তিনি রাজ্য সরকারকে এবং কতটাই বাকেন্দ্রীয় সরকারকে দিচ্ছেন। সীমান্ত এলাকায় সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাএখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। 

জিএসটি’র সঙ্গে সঙ্গে এক নতুন বাণিজ্য সংস্কৃতিও দানা বেঁধে উঠছে। এর সুবাদেদীর্ঘ মেয়াদে সর্বাপেক্ষা বেশি লাভবান হবেন ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণই। এটি হ’ল এমনএক স্বচ্ছ ব্যবস্থা, যেখানে ক্রেতা সাধারণের স্বার্থে কেউই আঘাত হানতে পারবে না।জিএসটি চালু হওয়ার ফলে প্রতিযোগিতামুখিনতার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং তার ফলশ্রুতিতেপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। বিশেষত, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতা সাধারণএর প্রত্যক্ষ সুফলগুলি ভোগ করতে পারবেন। 

বন্ধুগণ, আইনের মাধ্যমে ক্রেতা সাধারণের স্বার্থকে জোরদার করে তোলারপাশাপাশি তাঁদের ক্ষোভ ও অভিযোগগুলির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটে, তা নিশ্চিত করাওবিশেষ প্রয়োজন। গত তিন বছরে ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনের জন্য প্রযুক্তির দক্ষব্যবহারের মাধ্যমে এক নতুন এবং যুগোপযোগী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আমাদের সরকার। 

ক্রেতা সাধারণের জন্য জাতীয় হেল্পলাইনটির ক্ষমতাও চার গুণ বৃদ্ধি করাহয়েছে। ক্রেতা সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত পোর্টাল এবং সোস্যাল মিডিয়াকেও করে তোলাহয়েছে আরও সুসংবদ্ধ। বেসরকারি বেশ কিছু সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে এই পোর্টালটিরসঙ্গে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোর্টালের মাধ্যমে প্রায় ৪০ শতাংশ অভিযোগইসরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে। ‘জাগো গ্রাহক জাগো’ অভিযানেরমাধ্যমে ক্রেতা সাধারণকে আরও সচেতন করে তোলা হচ্ছে। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসেরসঙ্গেই ঘোষণা করতে পারি যে, ভারতে ক্রেতা সুরক্ষার কাজে বর্তমান সরকার যেভাবেসোস্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, এর আগে আর কেউই তা করে দেখাতে পারেনি। 

বন্ধুগণ, আমার মতে এবং আমার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ক্রেতা সুরক্ষারপরিধি রয়েছে ব্যাপক ও সুবিস্তৃত। যে কোনও দেশেরই উন্নয়ন এবং সেখানকার ক্রেতাসুরক্ষার বিষয়টি পরস্পরের সম্পূরক। উন্নয়নের সুফলকে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছেদেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

বঞ্চিতদের কাছে তাদের অধিকার ও পরিষেবা যোগানের কাজ সরকারিভাবে পৌঁছেদেওয়ার মাধ্যমেও ক্রেতা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিত করে তোলা যায়। বিশুদ্ধজ্বালানির লক্ষ্যে উজ্জ্বলা যোজনা, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে স্বচ্ছ ভারতঅভিযান এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে জন ধন যোজনার মধ্য দিয়ে সরকারেরচিন্তাভাবনা ও কাজেরই প্রতিফলন ঘটেছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকনাগরিক পরিবারেরই যাতে নিজস্ব একটি বাসস্থান গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করেচলেছে বর্তমান সরকার। 

সাম্প্রতিককালে প্রত্যেকটি গৃহস্থ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ারলক্ষ্যে একটি কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টাই সাধারণ মানুষেরপ্রাথমিক জীবনধারণের চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য নিয়োজিত। তাঁদের জীবন যাতে আরওস্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতেই সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ। শুধুমাত্র অধিকার প্রদান করার মাধ্যমেই ক্রেতা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিতরাখা যায় না। ভারতে ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের অর্থেরও যাতে সাশ্রয় ঘটে, সেইলক্ষ্যেও কর্মসূচি প্রণয়নের কাজে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এই সমস্ত কর্মসূচি থেকেসবচেয়ে বেশি সুফল ও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাধারণমানুষ। 

ভারতে সমীক্ষা চালানোর পর সাম্প্রতিককালে ইউনিসেফ যে প্রতিবেদনটি প্রকাশকরেছে, সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অবগত রয়েছেন। সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসাব্যয়, সময়ের সাশ্রয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি - এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে বলা যায় যেউন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম করার অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার ফলে প্রত্যেকগৃহস্থ পরিবারে বছরে আর্থিক সাশ্রয় ঘটছে ৫০ হাজার টাকার মতো। 

বন্ধুগণ, দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সূচনাহয়েছে ভারতীয় জন ঔষধি পরিযোজনার। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধপত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাহয়েছে ৫০০-রও বেশি ধরণের ওষুধকে। শুধু তাই নয়, সেগুলির দামও হ্রাস করা হয়েছে।হৃদরোগের চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেন্ট-এর দাম কমিয়ে আনা হয়েছে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।সম্প্রতি হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তশ্রেণীর সাধারণ মানুষদের এর ফলে সাশ্রয় ঘটেছে বেশ কয়েক কোটি টাকা। 

আমাদের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা হ’ল শুধুমাত্র ক্রেতা সুরক্ষা নয়, ক্রেতাদেরস্বার্থ রক্ষাও। এলইডি বাল্ব বন্টনের মতো একটি সাধারণ কর্মসূচির ফল মিলেছেঅবিশ্বাস্য রকম। বর্তমান সরকার যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে, তখন একটি এলইডি বাল্বেরদাম ছিল ৩৫০ টাকার মতো। কিন্তু সরকারি প্রচেষ্টায় নতুন কর্মসূচির আওতায় এই বাল্বএখন সংগ্রহ করা যাচ্ছে মাত্র ৪০-৪৫ টাকার বিনিময়ে। সুতরাং, শুধুমাত্র এইকর্মসূচিটি থেকেই ক্রেতাদের সাশ্রয় ঘটেছে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এলইডিবাল্বের দাম এবং বিদ্যুৎ বিলের খরচ কমিয়ে আনার মাধ্যমেই তা সম্ভব হয়েছে। 

বন্ধুগণ, মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তক্রেতা সাধারণের অর্থনৈতিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় পূর্ববর্তীসরকারের সময়কালে মুদ্রাস্ফীতির হার যেভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাতে সাধারণ মানুষেরহেঁসেলে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটত অস্বাভাবিক হারে। 

প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এবং সরকারি বন্টন ব্যবস্থাকে আরওজোরদার করে তোলার মাধ্যমে সাধারণ দরিদ্র মানুষ যাতে সহজেই সুলভ খাদ্যশস্য সংগ্রহকরতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের আওতায় সুফল গ্রহীতাদের প্রাপ্য অর্থ সরাসরি জমাপড়ছে তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে। এর সুবাদে যাবতীয় ফাঁকফোকর বন্ধকরে দেওয়ার ফলে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় ঘটেছে ৫৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 

বন্ধুগণ, সমাজের প্রতি সমবেতভাবে তাঁদেরও যে দায়দায়িত্ব রয়েছে, এই কথাউপলব্ধি করা প্রয়োজন ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের। নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণেতাঁরা যাতে তাঁদের কর্তব্য পালন করে যেতে পারেন, সেজন্য এই উপলব্ধি একান্ত জরুরি। 

আজ এই বিশেষ মঞ্চে আমার অন্যান্য দেশের সহকর্মীদের আমি আমাদের ‘গিভ ইট আপ’অভিযানের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে আগ্রহী। আমাদের দেশে ভর্তুকি সহায়তা দেওয়া হয়এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর। আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে মাত্র এক বছরের মতো সময়কালেরমধ্যেই ১ কোটিরও বেশি নাগরিক গ্যাসের ওপর তাঁদের ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরফলে,যে অর্থের সাশ্রয় ঘটেছে তার সাহায্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি গৃহস্থ পরিবারে গ্যাসসংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। 

প্রত্যেক গ্রাহক ও ক্রেতার মিলিত অবদানের সাহায্যে কিভাবে অন্যান্যগ্রহীতাদের কল্যাণসাধন করা যায় এই ঘটনা তারই এক দৃষ্টান্ত মাত্র। আর এইভাবেই একজনব্যক্তির কর্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাজে এক ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়। 

বন্ধুগণ, দেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের ডিজিটালক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারিভাবে রূপায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটালসাক্ষরতা অভিযান। এই কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি গৃহস্থ পরিবারের প্রত্যেকটি থেকে একজনকরে সদস্যকে ডিজিটাল ব্যবস্থা ও পদ্ধতি গ্রহণের জন্য সাক্ষর করে তোলা হচ্ছে।বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে লেনদেন এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা লাভেরসুযোগ গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অভিযানের সূচনা। 

ভারতের গ্রামগুলিতে ডিজিটাল পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের মধ্য দিয়েভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক বিরাট বৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থা। অভিন্ন লেনদেনপদ্ধতি অর্থাৎ ইউপিআই প্রচুর শক্তি জুগিয়েছে বৈদ্যুতিন বাণিজ্য শিল্পে। ‘ভারতইন্টারফেস ফর মানি’ অর্থাৎ ‘ভীম অ্যাপ’ শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ডিজিটালপদ্ধতিতে লেনদেনের সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে। 

 

বন্ধুগণ, ১২৫ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা এবং দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া মধ্যবিত্তশ্রেণীর দেশ হওয়ার সুবাদে ভারতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এক বাজার ব্যবস্থা।আমাদের উদার অর্থনীতি স্বাগত জানায় বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে এবং ভারতীয় গ্রাহক ওক্রেতা সাধারণকে নিবিড়ভাবে যুক্ত করে বিশ্বের বাণিজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে। মেক ইনইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিল্প সংস্থাগুলির জন্য আমরা প্রস্তুতকরেছি এক বিশেষ মঞ্চ, যাতে তাঁরা ভারতে এসে নির্মাণ ও উৎপাদনের কাজে যুক্ত হতেপারেন এবং আমাদের দেশের বিশাল মানবসম্পদকে আরও উন্নতভাবে কাজে লাগাতে পারেন। 

বন্ধুগণ, বিশ্বের এই অঞ্চলটিতে এ ধরণের সম্মেলনের উদ্যোগ ও আয়োজন এই সর্বপ্রথম। যে দেশগুলি আজ এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে তারা সকলেই নিজের নিজের দেশেক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।কিন্তু আমাদের অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন যে, বিশ্বায়নের প্রসার ঘটার ফলে সমগ্রবিশ্বই এখন একটি মাত্র বাজারে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পরস্পরেরঅভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করা একান্ত জরুরি। সেইসঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ সমঝোতারবিষয়গুলিকে খুঁজে বের করা এবং এই ধরণের সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ক্রেতা ও গ্রাহকসুরক্ষার লক্ষ্যে এক আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলা। 

বন্ধুগণ, এশিয়ার দেশগুলির মোট ক্রেতা ও গ্রাহক সংখ্যা ৪ বিলিয়নেরও বেশি।এরফলে, বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার এক প্রসারিত ক্ষেত্র রয়েছে এই রাষ্ট্রগুলিতে। এইসমস্ত দেশে রয়েছে এক বিরাট সংখ্যক যুবশক্তি। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এইদেশগুলির গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা। বৈদ্যুতিন বাণিজ্য এবং আন্তঃসীমান্ত এলাকায়বাণিজ্যিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে যাতায়াতের ফলে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েচলেছে সীমান্ত বাণিজ্যও। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি দেশেই এক শক্তিশালী নিয়ন্ত্রকব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সাধারণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখারজন্য তথ্য বিনিময়ের বিষয়টিও একান্ত জরুরি। অন্যান্য দেশের গ্রাহক ও ক্রেতাসাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি দেখভালের জন্য সহযোগিতার একটি কাঠামোও গড়েতোলা প্রয়োজন, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। এরফলে, পারস্পরিকআস্থা ও বিশ্বাসের বাতাবরণ গড়ে ওঠা ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারও অবশ্যম্ভাবী। 

যোগাযোগের লক্ষ্যে কাঠামোগত ব্যবস্থার প্রসার, শ্রেষ্ঠ পন্থা-পদ্ধতিসম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিনিময়, ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেনতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং যৌথ প্রচেষ্টায় অভিযান গড়ে তোলার মাধ্যমে পারস্পরিকস্বার্থ রক্ষার কাজকে অনুসরণ করা যেতে পারে। 

বন্ধুগণ, আমাদের আবেগের বন্ধনকে যদি আমরা আরও দৃঢ় করে তুলতে পারি, তা হলেতা আমাদের মিলিত সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক ঐতিহ্যকেও আরও নিবিড় করে তুলতে সাহায্যকরবে। নিজেদের সংস্কৃতির জন্য আমরা যেমন গর্বিত, তেমনই অন্যান্যদের সাংস্কৃতিকধারাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরই এক বিশেষ অঙ্গ। বহু শতাব্দীধরেই আমরা পরস্পরের কাছ থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে এসেছি। তাই, বাণিজ্য এবং গ্রাহক সুরক্ষা এই প্রক্রিয়ারই একবিশেষ অঙ্গ। 

আমি আশা করি, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় এক স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি ওচিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনে এক বিশেষ রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।এই সম্মেলনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজেও আমরাসাফল্য অর্জন করব বলে আমি বিশেষভাবে আশাবাদী। 

এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আরও একবার কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদেরসকলের কাছে। 

অসংখ্য ধন্যবাদ। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister Shri Narendra Modi paid homage today to Mahatma Gandhi at his statue in the historic Promenade Gardens in Georgetown, Guyana. He recalled Bapu’s eternal values of peace and non-violence which continue to guide humanity. The statue was installed in commemoration of Gandhiji’s 100th birth anniversary in 1969.

Prime Minister also paid floral tribute at the Arya Samaj monument located close by. This monument was unveiled in 2011 in commemoration of 100 years of the Arya Samaj movement in Guyana.