আমি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি সফর করব। এরপর ১৪ এবং ১৫ তারিখ কাতার যাব। ২০১৪ সালের পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এটি আমার সপ্তম এবং কাতারে দ্বিতীয় সফর।
গত ৯ বছরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা, খাদ্য ও জ্বালানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শিক্ষার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সাংস্কৃতিক এবং দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এর আগে কখনও এত শক্তিশালী হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আবু ধাবিতে আমি সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সাক্ষাৎকালে আমাদের মধ্যে সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সম্প্রতি গুজরাটে তিনি যখন ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন, ২০২৪’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন, তখন তাঁকে স্বাগত জানানোর সুযোগ আমি পেয়েছি।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহামেদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে আমি ১৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট’-এ বিশ্ব নেতাদের সমাবেশে ভাষণ দেব। সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহামেদ বিন রশিদ এবং আমার মধ্যে আলোচনা দুবাইয়ের সঙ্গে আমাদের বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
সফরকালে আমি আবু ধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করব। বিএপিএস মন্দিরটি সম্প্রীতি, শান্তি ও সহিষ্ণুতার সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন হয়ে উঠবে যা ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অভিন্ন নীতি।
আমি আবু ধাবিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রতিটি অঞ্চলে বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেব।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাঁর নেতৃত্বে কাতারে বিপুল উন্নয়ন ও সংস্কার হয়েছে। কাতার সফরকালে সে দেশের অন্যান্য বিশিষ্টজনেদের সঙ্গেও আমি সাক্ষাৎ করব।
ভারত এবং কাতারের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মতবিনিময়, দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানী ক্ষেত্রে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দোহায় ৮ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় সম্প্রদায়ের উপস্থিতি আমাদের দুটি দেশের মানুষের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগের অনন্য নিদর্শন।