#MannKiBaat: PM Modi appreciates Indian cricket team for their sportsman spirit and sportsmanship during test match with Afghanistan
One of the best ways to unite societies, find out the skills and talent that our youth have, is through sports: PM #MannKiBaat
Fourth Yoga Day celebrations on 21st June were unique; People around the world performed yoga with great enthusiasm: PM Modi #MannKiBaat
#MannKiBaat: Yoga goes beyond boundaries and forms a bond with the society, says Prime Minister Modi
Entire nation was proud to see the dedication of our soldiers to perform yoga - In the waters, on the land and in the sky: PM Modi #MannKiBaat
Yoga has united people around the world by going beyond the boundaries of caste, creed and geography: Prime Minister #MannKiBaat
Yoga has helped realise the true spirit of Vasudhaiva Kutumbakam, which our saints and seers have propagated since centuries: PM Modi #MannKiBaat
Doctors are our lifestyle guides; they not only cure but also heal: PM Modi during #MannKiBaat
Indian doctors have made a mark across the world for their abilities and skills: Prime Minister Modi #MannKiBaat
Sant Kabirdas ji emphasized on social equality, peace and brotherhood through his writings (Dohas and Saakhis): PM Modi #MannKiBaat
Sant Kabirdas ji had said - “जाति न पूछो साधु की, पूछ लीजिये ज्ञान” and appealed to the people to rise above religion and caste, and respect people for their knowledge: PM #MannKiBaat
Guru Nanak Dev ji always gave the message of embracing the whole mankind as one and eliminating caste discrimination in the society: PM during #MannKiBaat
2019 marks 100 years of the horrific Jallianwala Bagh massacre, an incident which embarrassed entire humanity: PM during #MannKiBaat
Violence and cruelty can never solve by any problem: Prime Minister Modi during #MannKiBaat
No one can ever forget the dark day of April 13, 1919, when innocent people were killed through abuse of power, crossing all the limits of cruelty: PM #MannKIBaat
Dr. Shyama Prasad Mookerjee dreamt of an India which was industrially self-reliant, efficient and prosperous: PM Modi during #MannKiBaat
#MannKiBaat: For Dr. Shyama Prasad Mookerjee, integrity and unity of India was the most important thing, says PM Modi
GST is a prime example of cooperative federalism: Prime Minister during #MannKiBaat
GST is the celebration of honesty; after its rollout, IT or information technology replaced Inspector Raj in tax system: PM Modi #MannKiBaat

নমস্কার! আমার প্রিয়দেশবাসী, আজ আবার একবার ‘মন কি বাত’-এর এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার সঙ্গেমুখোমুখি হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। কিছু দিন আগে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি ঐতিহাসিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। আপনারা হয়তো বুঝে ফেলেছেন যে আমি ভারত আর আফগানিস্তানের টেস্ট ম্যাচের কথা বলছি। এটা আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ ছিল, আর সকল ভারতীয়দের গর্বের বিষয় যে আফগানিস্তানের এই ঐতিহাসিক ম্যাচটি ভারতের সঙ্গে ছিল। এই ম্যাচে দু’পক্ষই চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। আফগানিস্তানের এক বোলার রাশিদ খান এই বছর আই-পি-এলে খুব ভালো খেলেছিলেন, আর আমার মনে আছে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি শ্রী আশরফগণি আমাকে ট্যাগ করে নিজের ট্যুইটারে লিখেছিলেন – “আফগানিস্তানের লোকেরা নিজেদের হিরো রাশিদ খানকে নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। আমি আমাদের ভারতীয় বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা আমাদের খেলোয়াড়দের ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখানোর এক মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেনআফগানিস্তানের যেটা শ্রেষ্ঠ, রাশিদ তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন”। তিনি ক্রিকেটের জগতে একজন সম্পদ,আর এর সাথে সাথে তিনি একটু মজা করেও লিখেছেন  - “না, আমি এটা কাউকে দিতেও চাই না”।  এই ম্যাচটি আমাদের সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যদিও এটা প্রথম ম্যাচ ছিল, এইজন্য মনে থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু এই ম্যাচ অন্য এক বিষয়ের জন্যও আমার মনে থাকবে। ভারতীয় টিম এমন একটা কাজ করেছে যেটা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। ভারতীয় টিম ট্রফি নেওয়ার সময়, এক বিজেতা টিম কি করতে পারেতাই করেদেখিয়েছে ভারতীয় টিম ট্রফি নেওয়ার সময়, আফগানিস্তান টিম — যাঁরা প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে, তাদের আমন্ত্রণ জানায়, আর একসাথে ফোটো তোলে। Sportsman spirit ও sportsmanship  কী হতে পারে — এই ঘটনা থেকে আমরা অনুভব করতে পারি। খেলা সমাজকে একজোট করার জন্য এবংআমাদের যুবদের যে কৃতিত্ব রয়েছে, তাদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে সেটা খুঁজে বের করার উত্তম পদ্ধতি। ভারত আর আফগানিস্তানের দুই টিমকে আমার শুভকামনা! আমি আশা করি,  ভবিষ্যতেও একে অপরের সাথে আমরা পুরোSportsman spirit বজায় রেখে খেলব আর আনন্দ করবো।  

        আমার প্রিয় দেশবাসী, এই ২১শে জুন চতুর্থ যোগদিবসে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেছে। সমগ্র পৃথিবী একজোট নজরে এসেছে।সারা বিশ্বে লোকেরা সম্পূর্ণ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে যোগাভ্যাস করেছেন। ব্রেসিল-এEuropean Parliament হোক, New York-এ অবস্থিত সম্মিলিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান দপ্তরহোক, জাপানী নৌসেনার লড়াকু জাহাজ হোক, সমস্ত জায়গায় লোকেরা যোগ ব্যায়াম করছেন নজরে এসেছে। সৌদি আরবে প্রথমবার যোগের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে, আর আমাকে জানানো হয়েছে অনেকগুলো আসনেরDemonstration মহিলারাও করেছেন। লাদাখের উঁচু বরফের শিখরে ভারত আর চিনের সেনারা একসাথে মিলে যোগাভ্যাস করেছেন। যোগ সকল সীমাকে অতিক্রম করে, সবাইকে একত্র করার কাজ করেছে। বহু দেশের হাজার হাজার উৎসাহী লোক জাতি, ধর্ম, ক্ষেত্র, রঙ অথবা লিঙ্গ, সমস্ত প্রকারের ভেদ ভুলে এই অনুষ্ঠানকে এক বিশাল বড় উৎসবের রূপ দিয়েছে। যদি সমগ্র পৃথিবীর লোকেরা এত উৎসাহের সঙ্গে ‘যোগ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, তবে ভারতে এর উৎসাহ অনেক গুণ কেন হবে না।

        দেশ গর্বিত হয়, যখন একশো পঁচিশ কোটি লোক দেখেন, আমাদের দেশের সেনারা জল, স্থল আর অন্তরীক্ষ — তিন জায়গাতেই যোগের অভ্যাস করছেন। কিছু বীর সেনা 
ডুবোজাহাজে যোগ করেছেন, আবার কিছু সেনা সিয়াচেনের বরফ ঢাকা পাহাড়ের মাথায় যোগাভ্যাস করেছেন। বায়ুসেনার আমাদের যোদ্ধারা আকাশের মাঝে মাটি থেকে১৫ হাজার ফুট উঁচুতে যোগাসন করে সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন। দেখার মতো দৃশ্য ছিল,এঁরা উড়োজাহাজে বসে নয়, হাওয়ায় ভেসে ভেসে যোগ করছিলেন। স্কুল হোক, কলেজ হোক, অফিস হোক, পার্ক হোক, উঁচু বাড়ি হোক বা খেলার মাঠ, সব জায়গায় যোগাভ্যাস হয়েছে। আমেদাবাদের এক দৃশ্য মন্ত্রমুগ্ধ করার মতো ছিল, সেখানে প্রায় ৭৫০ দৈহিক প্রতিবন্ধী 
ভাই-বোনেরা এক জায়গায়, একসাথে যোগাভ্যাস করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। যোগ জাতি, পন্থা আর ভূগোলের ঊর্ধ্বে উঠে, বিশ্বেরমানুষকে একজোট করার কাজ করেছে। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর যে অনুভূতি আমরা অতীতকাল থেকে বয়ে নিয়ে আসছি, আমাদের ঋষি, মুনি, সন্ন্যাসীরা যার উপর জোর দেন, যোগ সেটাকে আজ সঠিক প্রমাণ করে দেখিয়েছে। আমি মানি, আজ যোগ একwellness,revolution-এর কাজ করছে। যোগের দ্বারা wellness-এর এক প্রয়াস চালানো হচ্ছে, আমি আশা করি, সেটা এগিয়ে যাবে। ধীরে ধীরে অনেক বেশি মানুষ যোগকে নিজেদের জীবনের অংশ হিসেবে বেছে নেবেন।     

আমারপ্রিয়দেশবাসী ! MyGov আর NarendraModiApp- দুটি app-এঅনেকেআমাকেলিখেছেনযে‘মনকিবাত’-এরএইসংখ্যায়,আসন্নপয়লাজুলাইয়ের‘Doctor's Day’ অর্থাৎ ‘ডাক্তার দিবস’ উপলক্ষ্যেআমিআলোচনাকরি 

খুবইসময়োচিতপ্রস্তাব!বিপদে-আপদেআমরাডাক্তারদেরশরণাপন্নহইসারাবছর, কিন্তুপয়লাজুলাইএমনএকটাদিনযেদিনআমরাডাক্তারদেরঅবদান,ডাক্তারদেরঅভিজ্ঞতাকেসম্মানকরিসমাজেরপ্রতিডাক্তারদেরসেবাআরসমর্পণেরজন্যেতাঁদেরঅকুন্ঠধন্যবাদজানাইআমরাসেইসবলোকযারাস্বাভাবিকভাবেইমাকেভগবানেরপ্রতিমূর্তি, ঈশ্বরেরস্বরূপজেনেপুজোকরি —কারণমাআমাদেরজীবনদেয়, জন্মদেয়আরডাক্তাররাতোআমাদেরপুনর্জন্মদেন — একবারনয়, অনেকবারইএকজনডাক্তারেরভূমিকাশুধুমাত্ররোগআরঅসুস্থতাথেকেআমাদেরসুস্থকরাপর্যন্তইসীমিতনয়, অনেকক্ষেত্রেতাঁরাআমাদেরপারিবারিকবন্ধুহয়েযানতাঁরাআমাদেরজীবনচর্যায়পথপ্রদর্শক: “তাঁরাশুধুসুস্থকরেতোলেননা, আরোগ্যেরপথদেখান”একজনডাক্তারএখনশুধুচিকিৎসকহিসেবেইদক্ষনন,তিনিআধুনিকজীবনধারায়স্বাস্থ্যেরওপরপ্রভাববিষয়েগভীরভাবেপারদর্শী, অভিজ্ঞভারতীয়ডাক্তাররাআজনিজেদেরদক্ষতাআরকর্মক্ষমতারকারণেসারাবিশ্বেসুবিদিত। চিকিৎসাজগতেআমাদেরডাক্তাররাপরিশ্রমীএবংজটিলস্বাস্থ্য-সমস্যারসমাধানকরারব্যাপারেপরিচিতিলাভকরেছেন

‘মনকিবাত’-এরমাধ্যমে, সকলদেশবাসীরপক্ষ থেকেআমিআমাদেরসবডাক্তারবন্ধুকেআগামী১লাজুলাইয়ের‘ডক্টর্সডে’উপলক্ষ্যেঅনেকশুভকামনাজানাচ্ছি

আমারপ্রিয়দেশবাসী,আমরাসেইসবভাগ্যবানযাদেরজন্মএইভারতেরভূমিতেহয়েছেভারতবর্ষেরইতিহাসএতটাইসমৃদ্ধ,এতটাইঐশ্বর্যশালীযেএমনএকটিওমাসবাদিননেইযেসময়েকোনওঐতিহাসিকঘটনাঘটেনিএইভারতেরপ্রতিটিজায়গার, প্রতিপ্রান্তেরকোনোনাকোনোঐতিহ্যরয়েছেএইদেশেরপ্রত্যেকটিঅংশযুক্তআছেকোনোমহাপুরুষ, কোনো  কিংবদন্তীরসঙ্গেপ্রত্যেকেরঅবদানইমহৎ

“মাননীয়প্রধানমন্ত্রী, নমস্কারআমি Dr. সুরেন্দ্রমিশ্রবলছিআমরাজানতেপেরেছিযেআঠাশেজুনআপনিমগহরআসছেনআমি মগহর-এরকাছেই,গোরখপুরেরএকটাছোটগ্রাম Tadwa-তেথাকিমগহর-এসন্তকবীর-এরপুণ্যসমাধিস্থলসাম্যআরঐক্যেরবাণীরজন্যেসন্তকবীরকেমানুষএখনোমনেরেখেছে।সমাজেরসর্বস্তরেওঁরভাবাদর্শকেনিয়েআলোচনাহয়আপনারকর্ম-অভিযানেরফলেএইদিশায়গভীরপ্রভাবপড়বেবলেআমারবিশ্বাসআমারসনির্বন্ধঅনুরোধ,এইবিষয়েভারতসরকারেরনানানকর্ম-পরিকল্পনাবিষয়েআমাদেরঅবহিতকরুন

আপনারফোনেরজন্যেধন্যবাদহ্যাঁ, আমি২৮তারিখেমগহরযাবআমিযখনগুজরাটেছিলাম, আপনিনিশ্চয়ইগুজরাটের Kabirwadজায়গাটিভালোভাবেজানেন, সেইসময়েআমিওখানেসন্তকবীরেরপরম্পরায়যুক্তযাঁরা,তাঁদেরজন্যেএকবিরাটজাতীয়অধিবেশনেরআয়োজনকরেছিলামআপনারাকিজানেন,কবীরদাসজীকেনএইমগহর-এ  গিয়েছিলেন? সেইসময়েএকটিপ্রচলিতধারণাছিলযেযারমগহর-এমৃত্যুহয়,তিনিস্বর্গেপ্রবেশকরতেপারেননাবরঞ্চযাঁরাকাশিতেদেহত্যাগকরেনতাঁরাইস্বর্গেযানমগহর-কেঅপবিত্রমনেকরাহতোকিন্তুসন্তকবীরেরএইধারণায়কোনোবিশ্বাসছিলনা। নিজেরসমকালেরএইঅন্ধবিশ্বাসআরকুসংস্কারকেভাঙবারজন্যেইসন্তকবীরমগহরেসমাধিস্থ হননিজেরকবিতা, সাখিআরদোঁহারমাধ্যমেসন্তকবীরসামাজিকসাম্য, শান্তিআরভ্রাতৃত্বের কথাইবলেছেনবারেবারেযাছিলওঁরজীবনেরআদর্শকবীরেররচনাতেসেইআদর্শইআমরাদেখতেপাইআরআজকেরযুগেওসেইবাণীসমানভাবেপ্রেরণাযোগায়ওঁরএকটিদোঁহাথেকেবলি :

“কবীর সোঈ পীর হ্যায়, জো জানে পর পীর।

জো পর পীর ন জান হি, সো কা পীর মে পীর।।”

অর্থাৎপ্রকৃত সাধক তিনিই, যিনি অন্যদের দুঃখ জানতে পারেন, বুঝতে পারেন। যিনি অন্যের দুঃখ-কষ্টকে বোঝেন না, তিনি নিষ্ঠুর। কবীরদাসজী সামাজিক সমন্বয়ে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর সময়ের থেকে এগিয়ে ভাবতেন। যে কালে সমগ্র বিশ্বে মানবিকতার অবনতি ও সংঘর্ষের পরম্পরা চলছে, সেই সময়ে তিনি শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী প্রচার করেন এবং মানবজাতিকে একত্রিত করে, মতানৈক্য দূর করার কাজ করেছিলেন।

“জগমে বৈরি কোঈ নেহি, জো মন শীতল হোয়।

ইহ আপা তো ডাল দে, দয়া করে সব কোয়।।”

আরেক দোঁহায় কবীরদাসজী বলছেন,

“যাঁহা দয়া তহঁ ধর্ম হ্যায়, যাহাঁ লোভ তহঁ পাপ।

যাহাঁ ক্রোধ তহঁ কাল হ্যায়, যাহাঁ ক্ষমা তহঁ আপ।।”

তিনি বলেছেন, ‘জাতি না পুছো সাধু কী, পুছ লিজিয়ে জ্ঞান’।

        সকল মানুষের কাছে তিনি আবেদন রেখেছেন যে তাঁরা যেন কোনও মানুষকে ধর্ম বা জাত-পাতের নিরিখে বিচার না করে তাকে তাঁর জ্ঞানের নিরিখে মান্যতা দেন এবং তাঁকে সম্মান করেন। তাঁর এই অমূল্য বাণী আজ এতদিন পরেও একইভাবে প্রভাব বিস্তার করে, এখন যখন আমরা সন্ত কবি কবীরদাসজী সম্পর্কে কথা বলছি, তখন ওঁর এক দোঁহার কথা মনে পড়ছে। যেখানে কবীরদাসজী বলেছেন,

“গুরু গোবিন্দ দোঔ খড়ে, কাকে লাগু পায়।

বলিহারি গুরু আপনে, গোবিন্দ দিয়ো বতায়ে।।”

এটাই হচ্ছে গুরুর মহানতা এবং এরকমই একজন গুরু হচ্ছেন জগৎগুরু — গুরু নানক দেব। যিনি কোটি কোটি মানুষকে সত্যের পথ দেখিয়েছেন, যা আবহমান কাল ধরে মানুষকে প্রেরণা দিয়ে আসছে। গুরু নানকদেবজী সমাজে জাতিগত ভেদাভেদকে নির্মূল করতে চেয়েছেন এবং সব মানুষকে একই মানবজাতির সদস্য হিসেবে মেনে নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলতেন গরীব ও অভাবী মানুষের সেবাই ভগবানের সেবা। তিনি যেখানেই গেছেন, সমাজের ভালো করার লক্ষ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন যেখানে জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে স্বচ্ছন্দে খাবার খেতে পারেন। গুরু নানকজীই পংক্তিভোজন ব্যবস্থার শুরু করেছিলেন। ২০১৯-এ গুরু নানকদেবজীর ৫৫০-তম প্রকাশ পর্ব উদ্‌যাপিত হবে। আমার আবেদন, আসুন, আমরা সবাই মিলে উৎসাহ এবং আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে সামিল হই। আপনাদের সকলের কাছ থেকে আমি আশা করছি, গুরু নানকদেবজীর ৫৫০-তম প্রকাশ পর্ব পুরো দেশে এবং সমগ্র বিশ্বে কীভাবে উদ্‌যাপিত হবে, নতুন নতুন পরিকল্পনা কী হবে, নতুন সংকল্পগুলি কী হবে, এইসব বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করি, প্রস্তুতি নিই এবং গর্বের সঙ্গে আমরা এই প্রকাশ পর্বকে প্রেরণা পর্ব হিসাবে পালন করি।

        আমার প্রিয় দেশবাসী, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অনেক দীর্ঘ, অনেক বড়, খুব গভীর। অসংখ্য শহীদের ইতিহাস। পাঞ্জাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে আছে এমনই আর একটি ইতিহাস। ২০১৯-এ জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই ভয়াবহ ঘটনা, যার ১০০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই ঘটনা, যা মানবতাকে লজ্জিত করেছিল। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল সেই কালোদিনকে কেউ ভুলতে পেরেছে, যখন শক্তির অপব্যবহার করে নিষ্ঠুরতার সমস্ত সীমা পার করে নির্দোষ, নিরস্ত্র এবং নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি বর্ষিত হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনার ১০০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। কিন্তু এই ঘটনা যে শাশ্বত বার্তা দিয়েছে, তা আমরা সবসময় মনে রাখব, সেটি হল, হিংসা ও হানাহানির মধ্যে দিয়ে কখনও কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না। শান্তি, অহিংসা, ত্যাগ ও বলিদানেরই সর্বদা জয় হয়।

        আমার প্রিয় দেশবাসী, দিল্লির রোহিনীর শ্রী রমণ কুমার ‘নরেন্দ্রমোদি মোবাইল অ্যাপ’-এ লিখেছেন আগামী ৬-ই জুলাই ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মদিন এবং তিনি চান ‘মন কি বাত’-এর এবারের পর্বে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সম্বন্ধে আমি দেশবাসীর সঙ্গে কথা বলি।

রমণজী, সবার প্রথমে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! ভারতের ইতিহাসের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে খুব ভালো লাগল। আপনি জানেন, গতকাল ২৩শে জুনই ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রয়াণ দিবস ছিল। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বহু বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলি ছিল — Education, Administration এবং Parliamentary Affairs। খুব কম মানুষই হয়তো জানেন উনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে উনি ভাইস-চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। এটাও হয়তো খুব কম মানুষ জানেন, ১৯৩৭ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আমন্ত্রণেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে বাংলা ভাষায় বক্তব্য রেখেছিলেন। সেটিই প্রথম উদাহরণ ছিল যখন ইংরেজ শাসনকালে কোনও ব্যক্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী ছিলেন এবং এক অর্থে বলতে গেলে ভারতের শিল্পোন্নতি এবং সার্বিক ভাবে ভারতের প্রগতির মজবুত ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, তাকে এক শক্তিশালী ভিত্তি এবং মঞ্চে দাঁড় করিয়েছিলেন। ১৯৪৮-এ স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পনীতি, ওঁর পরিকল্পনা ও দূরদৃষ্টির ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল। ড. মুখার্জির স্বপ্ন ছিল, শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত আত্মনির্ভর, উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে। তিনি চাইতেন, ভারত বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলুক এবং তার সঙ্গে MSMEs, তাঁতশিল্প, বস্ত্র ও কুটিরশিল্পের প্রতিও পুরোপুরি মনোযোগ দিক। কুটিরশিল্প ও লঘুশিল্পের যথাযথ বিকাশের জন্য উনি ফাইন্যান্স এবং অরগানাইজেশন সেট আপ পেয়েছিলেন। 
যেকারণে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০-এর মধ্যে All India Handicrafts Board, All India Handloom Board এবং Khadi & Village Industries Board স্থাপন করা হয়েছিল। ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদনের স্বদেশীকরণের উপরও ড. মুখার্জি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস ফ্যাক্টরি, হিন্দুস্থান এয়ারক্র্যাফট ফ্যাক্টরি, সিন্ধ্রির সার কারখানা এবং দামোদর ভ্যালি করপোরেশান — এই চারটি সবচেয়ে বড় ও সফল প্রজেক্ট এবং অন্যান্য River Valley Project স্থাপনে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বিরাট অবদান ছিল। পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির বিষয়ে উনি খুব আবেগপ্রবণ ছিলেন। ওঁর চিন্তাভাবনা, বিবেকবোধ ও সক্রিয়তার ফলেই পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ রক্ষা করা গেছে এবং সেটি আজও ভারতবর্ষের অংশরূপে রয়েছে। ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভারতের একতা এবং অখণ্ডতা। আর এই কারণেই মাত্র ৫২ বছর বয়সে তাঁকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়। আসুন, আমরা ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির এই একতার বার্তাকে মনে রাখি এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই।

        আমার প্রিয় দেশবাসী, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার সুযোগ হয়েছিল ভিডিও কলের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন যোজনা থেকে যাঁরা উপকৃত হয়েছেন, সেই সব ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবার। ফাইল থেকে সরে এসে সরাসরি মানুষের মুখ থেকে শোনার সুযোগ পেয়েছিলাম তাঁদের জীবনে আসা পরিবর্তনের কথা। মানুষজন জানিয়েছেন নিজেদের সংকল্প, সুখ-দুঃখের কথা, উপলব্ধির কথা। আমি মনে করি, এটা আমার কাছে শুধু এক সরকারী অনুষ্ঠানই ছিল না, বরং এ ছিল অন্য ধরনের learning experience। আর এই সময়ে জনসাধারণের চোখেমুখে যে আনন্দ আমি প্রত্যক্ষ করেছি তার থেকে বেশি সন্তুষ্টি আর কিসে হতে পারে? যখন একজন সাধারণ মানুষের কথা শুনতাম, তাঁর সহজ সরল শব্দ, বাচনভঙ্গী, নিজস্ব অনুভবের কথা, তখন তা হৃদয়কে স্পর্শ করে যেত। জেনেছিলাম, সুদূর প্রত্যন্ত গ্রামে মেয়েরা common service centre থেকে কীভাবে গ্রামের বয়স্ক, বৃদ্ধদের পেনসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পাসপোর্ট তৈরিতে সাহায্য করে চলেছে।

        ছত্তিশগড়ের এক বোন আতা সংগ্রহ করে তার থেকে আইসক্রিম তৈরির ব্যবসা করছেন, ঝাড়খণ্ডে অঞ্জন প্রকাশের মত দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ ‘জন-ঔষধি’ ব্যবস্থা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের গ্রামগুলিতে গিয়ে গিয়ে সুলভে ওষুধপত্র সরবরাহ করছেন। পশ্চিমবঙ্গে যে যুবকটি দু-তিন বছর আগেও চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন, এখন তিনি সাফল্যের সঙ্গে নিজের ব্যবসাই শুধু চালাচ্ছেন না, ১০-১৫ জন মানুষকে চাকরি দিয়ে তাদের অন্নসংস্থান করেছেন। এদিকে তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, গোয়াতে স্কুলের ছাত্ররা এই অল্প বয়সেই স্কুলের ‘টিংকারিং ল্যাব’-এ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর কাজ করছে। এই রকম অসংখ্য অনুভবের গল্প ছিল সেখানে। দেশের এমন কোনও প্রান্ত ছিল না যেখান থেকে সাফল্যের বার্তা আসেনি। আমি এই ভেবে আনন্দিত যে, সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সরকারের সাফল্যের থেকে সাধারণ মানুষের সাফল্যের শক্তি, দেশের-দশের শক্তি, ‘নতুন ভারত’ স্বপ্নের শক্তি, সংকল্পের শক্তি আমি অনুভব করেছি। সমাজে কিছু মানুষ থাকেন, যতক্ষণ তাঁরা নিরাশাব্যঞ্জক কথাবার্তা না বলেন, হতাশার কথা না বলেন, অবিশ্বাস তৈরির কাজ না করেন, গড়ার বদলে ভাঙার রাস্তা না খোঁজেন, ততক্ষণ তাঁরা শান্তি পান না। এই রকম বাতাবরণে সাধারণ মানুষজন যখন নতুন আশা, নতুন উৎসাহ নিয়ে নিজের জীবনের উপলব্ধির কথা বলেন, তখন তার সাফল্য সরকারের নয় তাঁদেরই প্রাপ্য। সুদূর প্রান্তের এক ক্ষুদ্র গ্রামের এক ছোট্ট মেয়ের কাহিনিও ১২৫ কোটি মানুষের জন্য প্রেরণা সঞ্চার করে। টেকনোলজির সাহায্যে, ভিডিও ব্রিজের মাধ্যমে সরকারী যোজনা থেকে উপকৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলি আমার কাছে ছিল অত্যন্ত মধুর ও খুবই প্রেরণাদায়ক। আর এতে কাজ করার সন্তুষ্টি তো পাওয়া যায়ই, আরও বেশি কাজ করার উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তির কাছ থেকেও জীবনযাপনের নতুন উৎসাহ, নতুন প্রেরণা পাওয়া যায়। আমি দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা ৪০-৪০, ৫০-৫০ লাখ লোক এই ভিডিও ব্রিজ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আর আমাকে নতুন শক্তি প্রদান করেছেন। আমি আরও একবার আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করছি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি সবসময় মনে করি, আশে পাশে তাকালে দেখা যাবে কোথাও না কোথাও, কিছু না কিছু ভাল কাজ হয়ে চলেছে, ভাল করার লোকজনেরা রয়েছেন। ভালোর এই ‘সুগন্ধ’, তা আমারও অনুভূত হয়েছে। কিছুদিন আগে যে ব্যাপারটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তা হল এক অদ্ভূত সুন্দর combination, এতে একদিকে যেমন প্রফেশনাল আর ইঞ্জিনিয়াররা আছেন, তেমনই অন্যদিকে আছেন মাঠে কাজ করা কৃষক ভাই-বোনেরা। আপনাদের মনে হতেই পারে এতো সম্পূর্ণ পৃথক পেশা, এর আবার সম্বন্ধ কি করে হয়? আসলে ব্যাপারটা হল এই যে, বেঙ্গালুরুর করপোরেট প্রফেশনালরা, আই-টি ইঞ্জিনিয়াররা একসঙ্গে মিলে একটি ‘সহজ সমৃদ্ধি ট্রাস্ট’ তৈরি করেছেন আর কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এই ট্রাস্টকে অ্যাকটিভেট করেছেন, অর্থাৎ কাজে লাগিয়েছেন। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে এঁরা কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যোজনা নির্মাণ করেছেন এবং কৃষকদের আয় কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তার সার্থক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাষের নতুন নতুন পদ্ধতির সঙ্গে জৈবিক চাষ কীভাবে করা যায় এবং এক ফসলের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ফসলও কীভাবে ফলানো যায় — এই সমস্ত ট্রেনিং এই ট্রাস্টের মাধ্যমে এই প্রফেশনাল, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদদের সহযোগিতা কৃষকভাইদের দেওয়া হচ্ছে। আগে যে সমস্ত কৃষক শুধু একটি মাত্র ফসলের ওপর নির্ভরশীল ছিল, যাতে ফসলও ভাল হত না আর লাভও তেমন হত না, আজ তারা শুধুমাত্র একাধিক ফসলই ফলাচ্ছেন না, এই ট্রাস্টের মাধ্যমে ফসলের সঠিক বিপণন করে ভালো মুনাফা লাভ করছেন। আনাজ উৎপাদনকারী কৃষকেরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এই ব্যবস্থায় একদিকে যেমন ফসল ফলানো থেকে বিপণন — এই গোটা শৃঙ্খলে কৃষকদের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে, অন্যদিকে কৃষকদের অংশীদারীত্ব এবং লাভের মাত্রাও সুনিশ্চিত করার প্রচেষ্টা রয়েছে। ফসল ভালো তখনই হবে যখন ভালো প্রজাতির বীজের ব্যবহার হবে। এর জন্য আলাদা করে Seed Bank বানানো হয়েছে। মহিলারা এই Seed Bank দেখাশোনার কাজ করেন। এইভাবে মহিলাদেরও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আমি এই সমস্ত যুবকদের এই অভিনব প্রচেষ্টার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, আর এটা দেখে আনন্দ লাভ করছি যে প্রফেশনাল, টেকনোক্র্যাট — যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং জগতের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা নিজ নিজ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে কৃষকদের সঙ্গে, গ্রামের সঙ্গে, ক্ষেত-খামারের সঙ্গে, মাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন। আমি আরও একবার দেশের যুবশক্তিকে ও তাদের এই ধরনের অভিনব প্রচেষ্টাকে, যার কিছুটা হয়ত আমি জানি, কিছুটা জানি না, যার কিছুটা হয়ত লোকে জানে, কিছুটা লোকে জানে না, কিন্তু এই যে নিরন্তর কোটি কোটি মানুষ কিছু না কিছু ভালো কাজ করে চলেছেন, তাঁদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!

আমার প্রিয় দেশবাসী, জি-এস-টি ব্যবস্থার ১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ‘One Nation One Tax’ যা দেশবাসীর স্বপ্ন ছিল, তা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। ‘One Nation One Tax reform’ — এই ব্যবস্থার জন্য যদি আমাকে কাউকে credit দিতে হয়, তবে আমি রাজ্যগুলিকে এই credit দেবো। জি-এস-টি ‘কো-অপারেটিভ ফেডারিলিজম’-এর এক সুন্দর উদাহরণ, যেখানে সমস্ত রাজ্যগুলি একসঙ্গে দেশের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর তারই ফলস্বরূপ দেশে এত বড় ট্যাক্স রিফর্ম ব্যবস্থা চালু করা গেছে। এখনও পর্যন্ত জি-এস-টি কাউন্সিলের ২৭-টি মিটিং হয়েছে ও আমরা গর্ব করতে পারি যে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তাধারার ব্যক্তিরা, আলাদা আলাদা রাজ্য এমনকি পৃথক পৃথক priority-যুক্ত রাজ্যের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকা সত্ত্বেও জি-এস-টি কাউন্সিল-এ আজ পর্যন্ত যত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেছে, তা সর্বসম্মতিতে নেওয়া হয়েছে। জি-এস-টি’র আগে দেশে ১৭ ধরনের আলাদা আলাদা ট্যাক্স ছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এখন সারা দেশে একটাই কর প্রণালী। জি-এস-টি সততার জিত আর সততা এক উৎসবও বটে। আগে প্রায়শই করপ্রণালী নিয়ে দেশে ‘ইনস্পেকটর রাজ’ চলছে — এই ধরনের অভিযোগ শোনা যেত। জি-এস-টি আসার পর ইনস্পেকটরের স্থান আই-টি অর্থাৎ ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে নিয়েছে। ‘রিটার্ন’ থেকে ‘রিফাণ্ড’ পর্যন্ত পুরোটাই বর্তমানে অনলাইনে ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি’র মাধ্যমে কার্যকরী হচ্ছে। জি-এস-টি আসার পর চেক পোস্টগুলিও বন্ধ হয়েছে আর এর ফলে পণ্য ও অন্যান্য জিনিসপত্রের পরিবহনে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শুধুমাত্র সময়ই বাঁচেনি, সঙ্গে সঙ্গে লজিস্টিক ক্ষেত্রগুলিতেও লাভ হতে দেখা যাচ্ছে। জি-এস-টি সম্ভবত বিশ্বের সর্ববৃহৎ Tax reform ব্যবস্থা। ভারতে এত বড় Tax Reform সফল হয়েছে কারণ দেশের জনসাধারণ এই ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছেন, আর এই জনশক্তি, জনগ্রাহ্যতাই জি-এস-টি’র সাফল্য সুনিশ্চিত করেছে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, এত বড় আকারের reform এত বিপুল জনসংখ্যা সম্পন্ন এত বড় দেশে সঠিকভাবে রূপায়িত হতে ৫ থেকে ৭ বছরের সময় লাগে। কিন্তু সত্যনিষ্ঠ দেশবাসীর উৎসাহ, দেশের সততার উৎসবের প্রবাহ ও জনশক্তির অংশীদারিত্বের পরিণাম হল এই যে, এক বছরের মধ্যেই এই নতুন কর প্রণালী নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে, স্থিতি পেয়েছে ও দরকার মতো inbuilt ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনও করে চলেছে। এ এক খুব বড় সাফল্য, যা দেশের ১২৫ কোটি দেশবাসী অর্জন করেছে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আরও একবার ‘মন কি বাত’ শেষ করতে করতে অপেক্ষা করছি পরবর্তী ‘মন কি বাত’-এর। অপেক্ষা রইল আপনাদের সঙ্গে দেখা করার, কথা বলার। আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage