প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহদায়ক (পিএলআই) প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতিতে ইস্পাত ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি উচ্চ মানের ইস্পাত উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং উচ্চ গুণমানের ইস্পাতের আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে। বাজেটে বরাদ্দকৃত ৬ হাজার ৩২২ কোটি টাকা সহ এই প্রকল্পে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টিকা বিনিয়োগ করা হবে এবং অতিরিক্ত ২৫ মিলিয়ন টন ইস্পাত উৎপাদনে সক্ষম করে তুলে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২০২০-২১ অর্থ বর্ষে ১০২ মিলিয়ন টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৮ মিলিটন টন বিশেষ গুণমান সম্পন্ন ইস্পাত হয়েছে। এছাড়াও ৬.৭ মিলিয়ন টন ইস্পাত প্রতি বছর আমদানি করা হয়। পাশাপাশি ৪ মিলিয়ন টন বিশেষ ইস্পাত আমদানি করতে হয়। এতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই প্রকল্প গ্রহণের ফলে এবার ভারত বিশেষ ইস্পাত উৎপাদনে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে এবং কোরিয়া ও জাপানের মতো উন্নতমানের ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে।
আশা করা হচ্ছে ২০২৬-২৭ অর্থ বর্ষের মধ্যে দেশে ৪২ মিলিয়ন টন বিশেষ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে দেশে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের বিশেষ ইস্পাত উৎপাদন এবং ব্যবহার সুনিশ্চিত করবে। একইভাবে ভারতে বৈদেশিক মুদ্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই প্রকল্পের ফলে ছোট ছোট ইস্পাত কেন্দ্র ও সুসংহত ইস্পাত কেন্দ্রগুলি লাভবান হবে। এই পিএলআই প্রকল্পের মধ্যে কোটেড/ প্লেটেড ইস্পাত পণ্য, উচ্চ শক্তি/ ক্ষয় প্রতিরোধকারী ইস্পাত, রেলের জন্য বিশেষ ইস্পাত, ধাতব ইস্পাত পণ্য, বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইস্পাত – এই ৫টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই পিএলআই প্রকল্পে তিনটি স্তর রয়েছে। সর্বনিম্ন স্তরে ৪ এবং সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ হারে উৎসাহ ভাতা প্রদান করা হবে। এই প্রকল্প গ্রহণের ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ যোগাবে। আগামী দিনে এই পিএলআই প্রকল্পটি দেশীয় ইস্পাত মূল্য শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের ফলে ৬৮ হাজার প্রত্যক্ষ সহ মোট ৫.২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।