প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি আজ নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘পিএম বিশ্বকর্মা’-র অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫ বছরের জন্য (আর্থিক বছর ২০২৩-২৪ থেকে আর্থিক বছর ২০২৭-২৮) ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল, যেসব কারিগর ও শিল্পী গুরুশিষ্য পরম্পরায় বা পরিবারগতভাবে হাতের কাজ এবং ছোটোখাটো সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের লালন করা ও শক্তি যোগানো। এই প্রকল্প পণ্যের গুণমান বৃদ্ধি এবং তার নাগাল বাড়াতে সাহায্য করবে, একইসঙ্গে বিশ্বকর্মারা যাতে অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বব্যাপী মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন, তাও নিশ্চিত করবে।
পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় শিল্পী ও কারিগরদের শংসাপত্র ও পরিচয়পত্র দিয়ে স্বীকৃতি জানানো হবে। তাঁদের ৫ শতাংশ ভর্তুকি সুদে প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়যুক্ত বিশেষ ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া এই প্রকল্পে দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা, সরঞ্জামের জন্য উৎসাহ, ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহ এবং বিপণন সংক্রান্ত সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশজুড়ে বিভিন্ন শহর ও গ্রামের শিল্পী এবং কারিগররা এই সহায়তা পাবেন। প্রাথমিকভাবে পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় ১৮টি প্রথাগত বৃত্তিকে আনা হয়েছে। এগুলি হল – ১) কাষ্ঠ শিল্পী (ছুতোর); ২) নৌকা প্রস্তুতকারক; ৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারক; ৪) লৌহ শিল্পী (কামার); ৫) হাতুড়ি ও সরঞ্জাম নির্মাতা; ৬) তালার মিস্ত্রি; ৭) স্বর্ণ শিল্পী (স্যাকরা); ৮) মৃৎ শিল্পী (কুমোর); ৯) ভাস্কর; ১০) চর্মকার; ১১) রাজমিস্ত্রি; ১২) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাঁটা নির্মাতা; ১৩) পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক (প্রথাগত); ১৪) কেশ শিল্পী (নাপিত); ১৫) মালি (মালাকার); ১৬) রজক (ধোপা); ১৭) পোশাক প্রস্তুতকারক (দর্জি) এবং ১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা।