প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি, বিপণন মরশুম ২০২৩-২৪ এর জন্য খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে।
কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্য পান এবং শস্যের বৈচিত্র্যরক্ষায় উৎসাহিত হন তা সুনিশ্চিত করতে সরকার ২০২৩-২৪ বিপণন মরশুমে খরিফ শস্যগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে। এর বিশদ বিবরণ নীচের সারণীতে দেওয়া হল -
খরিফ বিপণন মরশুম ২০২৩-২৪ –এ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য :
শস্য |
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২০১৪-১৫ |
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২০২২-২৩ |
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২০২৩-২৪ |
খরচ খরিফ বিপণন মরশুম ২০২৩-২৪ |
২০২২-২৩ –এর তুলনায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বৃদ্ধি |
খরচের উপর লাভের শতাংশ |
ধান – সাধারণ |
১৩৬০ |
২০৪০ |
২১৮৩ |
১৪৫৫ |
১৪৩ |
৫০ |
ধান – গ্রেড-এ |
১৪০০ |
২০৬০ |
২২০৩ |
- |
১৪৩ |
- |
জোয়ার – হাইব্রিড |
১৫৩০ |
২৯৭০ |
৩১৮০ |
২১২০ |
২১০ |
৫০ |
জোয়ার – মালদান্দি |
১৫৫০ |
২৯৯০ |
৩২২৫ |
- |
২৩৫ |
- |
বাজরা |
১২৫০ |
২৩৫০ |
২৫০০ |
১৩৭১ |
১৫০ |
৮২ |
রাগি |
১৫৫০ |
৩৫৭৮ |
৩৮৪৬ |
২৫৬৪ |
২৬৮ |
৫০ |
ভুট্টা |
১৩১০ |
১৯৬২ |
২০৯০ |
১৩৯৪ |
১২৮ |
৫০ |
তুর/অড়হর |
৪৩৫০ |
৬৬০০ |
৭০০০ |
৪৪৪৪ |
৪০০ |
৫৮ |
মুগ |
৪৬০০ |
৭৭৫৫ |
৮৫৫৮ |
৫৭০৫ |
৮০৩ |
৫০ |
বিউলির ডাল |
৪৩৫০ |
৬৬০০ |
৬৯৫০ |
৪৫৯২ |
৩৫০ |
৫১ |
চিনাবাদাম |
৪০০০ |
৫৮৫০ |
৬৩৭৭ |
৪২৫১ |
৫২৭ |
৫০ |
সূর্যমুখীর বীজ |
৩৭৫০ |
৬৪০০ |
৬৭৬০ |
৪৫০৫ |
৩৬০ |
৫০ |
সয়াবিন (হলুদ) |
২৫৬০ |
৪৩০০ |
৪৬০০ |
৩০২৯ |
৩০০ |
৫২ |
তিল |
৪৬০০ |
৭৮৩০ |
৮৬৩৫ |
৫৭৫৫ |
৮০৫ |
৫০ |
চিয়া বীজ |
৩৬০০ |
৭২৮৭ |
৭৭৩৪ |
৫১৫৬ |
৪৪৭ |
৫০ |
তুলো (মাঝারি) |
৩৭৫০ |
৬০৮০ |
৬৬২০ |
৪৪১১ |
৫৪০ |
৫০ |
তুলো (বড়) |
৪০৫০ |
৬৩৮০ |
৭০২০ |
- |
৬৪০ |
- |
কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য পান তা সুনিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ সালের সাধারণ বাজেটে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সর্বভারতীয় ওজনযুক্ত গড় উৎপাদন খরচের অন্ততপক্ষে দেড়গুণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিপণন মরশুম ২০২৩-২৪ –এ খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের এই বৃদ্ধি তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। উৎপাদন খরচের উপর কৃষকদের প্রত্যাশিত লাভ বাজরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ৮২ শতাংশ। এর পরে রয়েছে অড়হর - ৫৮ শতাংশ, সয়াবিন - ৫২ শতাংশ এবং বিউলির ডাল - ৫১ শতাংশ। বাকি শস্যগুলির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভ, উৎপাদন খরচের অন্তত ৫০ শতাংশ হবে।
সাম্প্রতিককালে সরকার খাদ্যশস্য ছাড়াও ডাল, তৈলবীজ এবং পুষ্টিশস্য/শ্রীঅন্ন উৎপাদনে উৎসাহ দিতে এগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে। এছাড়া, নানাধরণের শস্য উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ দিতে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা (আরকেভিওয়াই), জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন (এনএফএসএম) এর মতো বিভিন্ন প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।
২০২২-২৩ সালের তৃতীয় অগ্রিম অনুমান অনুযায়ী, দেশে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ৩৩০.৫ মিলিয়ন টনের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। গত বছর ২০২১-২২ –এর তুলনায় এই পরিমান ১৪.৯ মিলিয়ন টন বেশি। গত ৫ বছরে এটি সর্বাধিক বৃদ্ধি।