For the development of the nation, prosperity of farmers is essential: PM
We saw the green & white revolution. Time has come for the blue revolution & sweet revolution: PM Modi
Along with 'Jan Andolan', 'Jal Andolan' can help us for the future: PM Modi

আজ ২৪ আগস্ট অর্থাৎ এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসটি আপনারা গৌরব দিবস রূপেপালন করেন। আমাদের দেশ গঠনে ‘বায়ফ’-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেজন্য আমি আপনাদেরঅভিনন্দন জানাই। 

আমার খুব ভালো লাগত যদি আমি আজ স্বশরীরে আপনাদের মাঝে পৌঁছে আনন্দোৎসবেসামিল হতে পারতাম, আপনাদের নতুন অভিজ্ঞতা শুনতাম, আপনাদের থেকে নতুন কিছু শিখতাম। 

আমার মনে পড়ে, কয়ক বছর আগে ‘ওয়াডি’ প্রকল্প শুরু হয়েছিল, তখন নওসারি আরওয়ালসাডে’তে আমি অনেক্ কাছ থেকে আপনাদের কাজ দেখেছি। সেজন্য আমি মানসিকভাবে নিজেকে‘বায়ফ’-এর সঙ্গে যুক্ত বলে অনুভব করি। যে মিশন নিয়ে দেশের অনেক রাজ্যে আপনাদেরসংস্থা কাজ করছে, এটা একটা সংস্থার জন্য আনন্দের বিষয়। 

আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।সম্মান-প্রাপকদের মধ্যে বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। বেশ কয়েকজনকেউল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত প্রয়াসের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেউকর্ণাটকের, কেউ গুজরাটের, কেউ মহারাষ্ট্রের আবার কেউ ঝাড়খন্ডের। আমি তাঁদেরকেওঅভিনন্দন জানাই এবং কামনা করি তাঁরা ভবিষ্যত্যেও এরকম সমাজহিতে কাজ করে যাবেন। 

বন্ধুগণ, এ বছর আমরা সাবরমতী আশ্রম স্থাপনার শতবর্ষ এবং চম্পারণসত্যাগ্রহেরও শতবর্ষ পালন করছি। এ বছর সার্বজনিক গণেশ উৎসবেরও ১২৫ বছর পূর্ণহচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এই তিনটিই স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন পথ প্রদর্শনের ক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই তিনটিই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে কিভাবেসংকল্পকে সিদ্ধিতে পরিণত করা যায়, তার প্রতীক। 

গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে জনকল্যাণে এই দূরদৃষ্টিই ভারতীয় অ্যাগ্রোইন্ডাস্ট্রিজ ফাউন্ডেশনেরও মূল ভিত্তি। আজ এর সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে ঠিকই,কিন্তু তারও অনেক আগে ১৯৪৬ সালে মণিভাই যেদিন গান্ধীজির সঙ্গে উরুলিকঞ্চন গ্রামেপৌঁছেছিলেন, সেদিনই গান্ধিজির প্রেরণায় মণিভাই মনে মনে এই বিষয়ে কাজের পরিকল্পনাকরে সংকল্প নিয়েছিলেন আর তারপর গুজরাটের গির থেকে কিছু গাভী এনে এখানে কাজ করাশুরু করেছিলেন। 

আমাদের গ্রামবাসীদের পরম্পরাগত জ্ঞানের সঙ্গে বিজ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তিজুড়ে কিভাবে কৃষকের আয় বৃদ্ধি করা যায়, আপনাদের সংস্থা তা বাস্তবে করে দেখিয়েছে। 

বন্ধুগণ, দেশের উন্নয়নে ভারসাম্য রক্ষার জন্যে গ্রামের কৃষকদের ক্ষমতায়নজরুরি। কৃষকদের ক্ষমতায়ন না হলে নতুন ভারত-এর স্বপ্নও সফল হতে পারবে না। আর সেজন্যএই সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।সেজন্য এখন কৃষি প্রকল্পসমূহের ধাঁচ বদলে সেগুলিকে উৎপাদন-কেন্দ্রিক করার পাশাপাশিরোজগার-কেন্দ্রিকও করা হয়েছে। 

আজ সরকার বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা যাতেপ্রত্যেক জলবিন্দু ব্যবহার করতে পারেন, সেদিকে জোর দিয়েছে। জৈবচাষ আর ফসলেবৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষারমাধ্যমে সুনিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যেই ৯ কোটিরও বেশি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডদেওয়া হয়েছে। 

ই-নাম প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৫০০-রও বেশি বাজারকে অনলাইনে যুক্ত করাহয়েছে। সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদা যোজনা’ও চালু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যহ’ল, দেশে গুদামজাতকরণের সমস্যার মোকাবিলা করা এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে উৎসাহদেওয়া। 

যে কোনও কারণে ফসলের ক্ষতি হলে যাতে কৃষকের জীবনে বিপর্যয় না নেমে আসে, তাসুনিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষকদেরসুদখোর মহাজনদের কবল থেকে উদ্ধার করে ন্যূনতম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, সরকারের এইসব প্রচেষ্টা কৃষককেদুশ্চিন্তামুক্ত করে আমদানি বৃদ্ধির পথে এগিয়ে দিতে অনেকটাই সফল হয়েছে। দেশেরঅন্নদাতারা যদি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন, তা হলে দেশের উন্নয়নও সহজেই নতুন উচ্চতায়পৌঁছতে পারবে। 

‘বায়ফ’ অত্যন্ত সেবাভাব নিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই কাজে নিয়োজিত। কিন্তু আজআমি আপনাদের মনে কিছু নতুন চিন্তার বীজ বপন করতে চাই। এই উপদেশকে আপনারা কোনওবিশেষজ্ঞর পরামর্শ বা জ্ঞান হিসাবে গ্রহণ করবেন না, আপনাদের মতো বিশেষজ্ঞদের কাছেএটি আমার অনুরোধ মাত্র। 

আমি জানি যে, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে ‘বায়ফ’ কিভাবে লক্ষ লক্ষমহিলার ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে কি আরেকটু বেশি গুরুত্বদেওয়া যায়। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে পশুপালন ক্ষেত্রটিকে ৭০ শতাংশের বেশিমহিলারাই সামলাচ্ছেন। পশুদের খাদ্য, জল ও ওষুদের ব্যবস্থা করা, দুধ দোয়ানো ইত্যাদিসমস্ত কাজে মহিলার বেশি অংশগ্রহণ করেন। 

অর্থাৎ, দেশের পশুপালন ক্ষেত্র প্রায় সম্পূর্ণভাবেই মহিলাদের দক্ষতার ওপরনির্ভরশীল। সেজন্য আজ এই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে পশু চিকিৎসা সম্পর্কিতশিক্ষা প্রদান, গবেষণা এবং পরিষেবা ও বিতরণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতেপারলে দেশের প্রাণীসম্পদ আরও সুরক্ষিত থাকবে। আর মহিলাদের মাধ্যমে পরিবারেরক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হবে। 

‘বায়ফ’-এর মতো সংস্থা অধিকাংশ মহিলাদের এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণা যোগাতেসক্ষম। পাশাপাশি, তারা এই প্রশিক্ষণের জন্য প্রকল্পও চালু করতে পারে। 

বন্ধুগণ, আমাদের দেশে প্রতি বছর গৃহপালিত পশুদের নানা রোগের কারণে প্রায় ৪০হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়। এই লোকসানের মোকাবিলা করতে কিছু রাজ্যে পশু আরোগ্যমেলার আয়োজন করা হয়। সেই মেলায় পশুদের চোখ অপারেশন থেকে শুরু করে দাঁত পরিস্কারকরার মতো প্রয়োজনীয় কাজও করা হয়। সারা দেশে এ ধরনের পশু আরোগ্য মেলার সংখ্যাবৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলেমিশে এ ধরনের পশু আরোগ্য মেলারআয়োজনে ‘বায়ফ’-এর মতো সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

এ ক্ষেত্রে আপনাদের প্রতি আমার প্রত্যাশার মূল কারণ হ’ল, আপনারা ইতিমধ্যেই১৫টি রাজ্যে কাজ করছেন আর নিজেদের কাজের পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষকরে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি আপনাদের মতো দক্ষ সংস্থা তাদের রাজ্যে পা রাখারঅপেক্ষায় রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐ রাজ্যগুলিকে আমি বলি ‘অষ্টলক্ষ্মী’। সেইরাজ্যগুলিতে জৈবচাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে ঐ রাজ্যগুলিঅনেক উপকৃত হতে পারে। 

এভাবে ঔষধি এবং নানা ভেষজ বৃক্ষ ও গুল্মলতার চাষে লাভের সম্ভাবনা নিয়েওকৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের দেশে হাজার হাজার প্রজাতিরঔষধি ও ভেষজ বৃক্ষ ও গুল্মলতা রয়েছে, যেগুলির চাহিদা সারা পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান।কিন্তু চাহিদা আর সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। সরকার, প্রগতিশীল কৃষক আর‘বায়ফ’-এর মতো সংগঠন এই মূল্যবান বৃক্ষ ও গুল্মলতাগুলির চাষের পর সরবরাহ শৃঙ্খলাসম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

বন্ধুগণ, আমাদের দেশ সবুজ বিপ্লব এবং শ্বেত বিপ্লবের সঙ্গে ভালোভাবেইপরিচিত। কিন্তু এখন সময়ের চাহিদা হ’ল দেশে নীল বিপ্লব আনতে হবে। নীল বিপ্লবেরমাধ্যমে আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদের জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে। মিষ্টি বিপ্লবেরমাধ্যমে মউ পালন এবং মধু উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে হবে। 

সবুজ বিপ্লব, শ্বেত বিপ্লবের পর এবার আমরা নীল বিপ্লব, মিষ্টি বিপ্লব এবংজল বিপ্লবকেও যুক্ত করার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। 

শুধু গম, ধান আর সরষে চাষকে কৃষি বলা যায় না। পরম্পরাগত চাষবাসের পাশাপাশিকৃষির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ক্ষেত্রের দিকে যত নজর দেওয়া যাবে, ততই কৃষকদের আমদানিবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হবে। যেমন মৌ পালনের কথাই ধরুন না কেন, একটি গবেষণা অনুযায়ীপরম্পরাগত চাষবাসের পাশাপাশি একজন কৃষক ৫০টি ছোট ছোট মৌ উপনিবেশ বসিয়ে অতিরিক্ত ২লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন। মধু উৎপাদনের পাশাপাশি এই মৌমাছিরা পরাগমিলনেরক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে। 

মৌচাষ, মৎস্যচাষ, আখচাষ, আখের ছিবড়ে ও অবশিষ্টাংশ থেকে ইথানল উৎপাদন; এভাবেসমাজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরম্পরাগত চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের এ ধরনেরনতুন সব উপার্জনের উপায় সম্পর্কে সচেতনতার কাজ ‘বায়ফ’ অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্নকরতে পারে। 

বন্ধুগণ, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা ওঅন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অঞ্চল, উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখন্ড অঞ্চল – এরকম কিছু এলাকারকৃষকরা বরাবরই নিদারুণ জলকষ্টে বরাবরই ভোগেন। 

সরকারের পক্ষ থেকে লাগাতার এই জলের অভাব দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা’র মাধ্যমে এমন ৯৯টি প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হচ্ছেযেগুলি দীর্ঘকাল অসম্পূর্ণ ছিল। এবছর সেগুলির মধ্যে ২১টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে।পাশাপাশি প্রতিটি জলবিন্দুর সর্বাধিক ব্যবহারের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। বিন্দুবিন্দু জলসেচ প্রকল্প, অনু সেচপ্রকল্প এবং ফসল বৈচিত্র্যে বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটিজলবিন্দুর সর্বাধিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। মনরেগার ৬০ শতাংশেরও বেশি টাকাজল সংরক্ষণ এবং জল ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হচ্ছে। 

কিন্তু, ভাই ও বোনেরা, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের সমস্ত কৃষক এই প্রচেষ্টারসঙ্গে যুক্ত না হবেন, ততদিন আমরা এই প্রচেষ্টায় পূর্ণ সাফল্য পাবো না। আমাকে বলাহয়েছে যে, আজ এই অনুষ্ঠানে হিওরে বাজার থেকে শ্রদ্ধেয় শ্রী পোপটরাও পাওয়ারওএসেছেন। আমাদের জল ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি, আর মাটির নিচের জলের উৎসগুলির স্থায়ী ওসুদূরপ্রসারী ব্যবহারের ক্ষেত্রে হিওরেবাজার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেখানকার কৃষকরা কিভাবে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমেপরস্পরের হিতের কথা মাথায় রেখে জল ব্যবহার করছেন, তা আজ সর্বজনবিদিত। ‘বায়ফ’-এর মতো সংস্থাগুলির কাছে আমার প্রত্যাশাতারা যে গ্রামগুলিতে এ ধরনের কাজ করছেন, সেখানেই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমেজনআন্দোলন গড়ে তুলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। 

এছাড়া, ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ আর ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ারক্ষেত্রেও তাঁদেরকে উৎসাহ যুগিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যআনার ক্ষেত্রে আপনারা সাহায্য করতে পারেন। 

ভাই ও বোনেরা, রাষ্ট্রসন্ত তুকড়োজি মহারাজ তাঁর রচিত গ্রামগীতায় লিখেছেন – 

“গ্রামসুধারণেচা মূলমন্ত্র, সজ্জনাঁনী ওয়াভে একত্র! 

সংঘটন হেচী শক্তিচে সূত্র, গ্রামরাজ্য নির্মাণ করী”!! 

অর্থাৎ, গ্রাম সংস্কারের মূল মন্ত্র হ’ল সবাই মিলে সংগঠন শক্তিকে কাজেলাগিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই গ্রামরাজ্য নির্মাণ করা সম্ভব। মণিভাই দেশাই মহাত্মাগান্ধীর কাছ থেকে এই মন্ত্রের প্রেরণা নিয়েই সারা জীবন তার বাস্তবায়নে কাটিয়েদিয়েছেন। আজ আপনাদের সংস্থার সংগঠনশক্তির মাধ্যমে গ্রামোন্নয়নের নতুন দরজা খুলতেপারে। আজকের প্রয়োজন হ’ল আমরা যেন নিজেদের গ্রামগুলিকে নিয়ে গর্ব করতে পারি,গ্রামের মানুষরা যেন গ্রামের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেন, একটি দূরদৃষ্টি নিয়ে এগিয়েযান। আপনারা যে ৮০ হাজার গ্রামে কাজ করছেন, সেই গ্রামগুলির নেতৃত্ব একটি নির্দিষ্টদৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যেন এগিয়ে যায়। এটাই হবে নতুন ভারত নির্মাণের একটি উত্তম উপায়। 

বন্ধুগণ, চাষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ব্যয় কম করার জন্য সরকার লাগাতার চেষ্টাচালিয়ে যাচ্ছে। আজ মৃত্তিকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে, সয়েল হেলথ কার্ডেরমাধ্যমে, ইউরিয়ায় নিম কোটিং-এর মাধ্যমে বিন্দু বিন্দু সেচ প্রকল্প উৎসাহ প্রদানেরমাধ্যমে চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের বিনিয়োগ ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। অধিকতম সৌরপাম্পেরব্যবহার, কৃষকের ডিজেলের ব্যয় হ্রাস করেছে। এই আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে ফলনওবেড়েছে। এক্ষেত্রে ‘বায়ফ’-এর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেজন্য কৃষি ক্ষেত্রেবিনিয়োগ ব্যয় হ্রাসের ক্ষেত্রে আর কি কি করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শআহ্বান করি। আপনারা যত বেশি কৃষকদের এই অভিযানে যুক্ত হবেন, কৃষকদের ততই সাশ্রয়হবে আর মুনাফাও বাড়বে। 

বন্ধুগণ, আজকের বড় প্রয়োজন হ’ল বর্জ্য থেকে সম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমেভবিষ্যত্যের নানা সমস্যার মোকাবিলা। 

কৃষি বর্জ্যের পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে, কম্পোস্ট সার উৎপাদনের মাধ্যমেকৃষকদের আমদানি বৃদ্ধি পেতে পারে আর গোটা গ্রাম উপকৃত হতে পারে। আমাদের চাষেরক্ষেতে উপজ কোনও কিছুকেই আজ বর্জ্য বলে গণ্য করা হয় না। প্রতিটি উৎস থেকেই সম্পদআহরণ করা সম্ভব। 

এভাবে গ্রামগুলিতে শক্তি উৎপাদনের বিকল্প পদ্ধতিকে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমেবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর করে তোলা সম্ভব। 

ফসলের ক্ষেতের পাশে যতটা জায়গা থাকে সেখানে সৌর প্যানেল লাগিয়ে বিদ্যুৎউৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ যোগাতে হবে। দেশে যেরকম দুধের সমবায়-সমিতিগুলি রয়েছে, তেমনইসৌরশক্তিরও সমবায়-সমিতি গড়ে তুলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করা যেতে পারে। 

বন্ধুগণ, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আজ দেশের প্রতিটি গ্রামে প্রায়প্রত্যেক বাড়ির ছাদে ছোট ছোট ডিস অ্যান্টেনা দেখা যায়। এই ডিজিটাল প্রযুক্তিসবকিছু এত সহজ করে দিয়েছে। আগে টিভিতে দু-একটা চ্যানেল আসতো আর এখন ১৫০-২০০চ্যানেল। এখন গ্রামের দু-তিন বছরের বাচ্চারাও রিমোর্ট টিপে চ্যানেল বদলাতে পারে। 

এভাবে প্রযুক্তিকে আপন করে নিতে পারলেই দেশে ডিজিটাল গ্রামের কল্পনাবাস্তবায়িত হবে। এমন গ্রাম যেখানে অধিকাংশ লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে হবে, ঋণ থেকেশুরু করে ছাত্রবৃত্তি পর্যন্ত সমস্ত ফর্মই অনলাইনে পূরণ করা যাবে। স্কুলগুলিতেডিজিটাল মাধ্যমে পড়ানো হবে, স্বাস্থ্য পরিষেবাও ডিজিটাল মাধ্যমে সুলভ হবে। 

ডিজিটাল গ্রামের এই কল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য সরকার দেশের প্রতিটিপঞ্চায়েতকে অপ্টিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করছে। কিন্তু শুধুই উপকরণ যোগানোইযথেষ্ট নয়। এগুলি ব্যবহারের জন্য গ্রামবাসীর সামর্থ্য বৃদ্ধিতে আপনাদের মতোসংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য আমার অনুরোধ, আপনাদেরসংস্থা কি এমন শপথ গ্রহণ করতে পারে যে, প্রতি বছর ন্যূনতম ৫০০টি গ্রামকে ‘ন্যূনতমনগদ গ্রাম’-এ পরিণত করবেন। আপনারা দেখবেন, আপনারা ৫০০টি গ্রামকে ‘ন্যূনতম নগদগ্রাম’-এ পরিণত করতে পারলে, সেগুলির পার্শ্ববর্তী ১ হাজার থেকে ২ হাজার গ্রাম নিজেনিজেই এই ব্যবস্থা রপ্ত করে নেবে। একটি প্রতিক্রিয়া-শৃঙ্খলের মতো এই পরিবর্তন একগ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে। বন্ধুগণ, গান্ধীজির মন্ত্র ছিল, গ্রামেরক্ষমতায়নের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। সেই মন্ত্র অনুসরণ করে ‘বায়ফ’ সেবাভাবনিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষকের জীবনে পরিবর্ত্ন এনেছে, তাঁদের আত্মনির্ভর হতে শিখিয়েছে।শপথ নিয়ে সিদ্ধিপ্রাপ্তি কিভাবে করা যায়, তার সাক্ষাৎ প্রমাণ আপনাদের এই সংস্থা। 

আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমি আজ যেকথাগুলি বললাম, সেগুলিকে কোনও নাকোনওভাবে আপনাদের নতুন সংকল্পের সঙ্গে যুক্ত করুন। তবেই আগামী ২০২২ সালে যখন দেশস্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূর্তি পালন করবে, তখন আপনাদের সংকল্পগুলি বাস্তবায়নেরমাধ্যমে দেশের কোটি কোটি কৃষকের সাফল্যের মুখ দেখবেন। 

ধন্যবাদ!!! 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Laying the digital path to a developed India

Media Coverage

Laying the digital path to a developed India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India is driving global growth today: PM Modi at Republic Plenary Summit
March 06, 2025
India's achievements and successes have sparked a new wave of hope across the globe: PM
India is driving global growth today: PM
Today's India thinks big, sets ambitious targets and delivers remarkable results: PM
We launched the SVAMITVA Scheme to grant property rights to rural households in India: PM
Youth is the X-Factor of today's India, where X stands for Experimentation, Excellence, and Expansion: PM
In the past decade, we have transformed impact-less administration into impactful governance: PM
Earlier, construction of houses was government-driven, but we have transformed it into an owner-driven approach: PM

नमस्कार!

आप लोग सब थक गए होंगे, अर्णब की ऊंची आवाज से कान तो जरूर थक गए होंगे, बैठिये अर्णब, अभी चुनाव का मौसम नहीं है। सबसे पहले तो मैं रिपब्लिक टीवी को उसके इस अभिनव प्रयोग के लिए बहुत बधाई देता हूं। आप लोग युवाओं को ग्रासरूट लेवल पर इन्वॉल्व करके, इतना बड़ा कंपटीशन कराकर यहां लाए हैं। जब देश का युवा नेशनल डिस्कोर्स में इन्वॉल्व होता है, तो विचारों में नवीनता आती है, वो पूरे वातावरण में एक नई ऊर्जा भर देता है और यही ऊर्जा इस समय हम यहां महसूस भी कर रहे हैं। एक तरह से युवाओं के इन्वॉल्वमेंट से हम हर बंधन को तोड़ पाते हैं, सीमाओं के परे जा पाते हैं, फिर भी कोई भी लक्ष्य ऐसा नहीं रहता, जिसे पाया ना जा सके। कोई मंजिल ऐसी नहीं रहती जिस तक पहुंचा ना जा सके। रिपब्लिक टीवी ने इस समिट के लिए एक नए कॉन्सेप्ट पर काम किया है। मैं इस समिट की सफलता के लिए आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, आपका अभिनंदन करता हूं। अच्छा मेरा भी इसमें थोड़ा स्वार्थ है, एक तो मैं पिछले दिनों से लगा हूं, कि मुझे एक लाख नौजवानों को राजनीति में लाना है और वो एक लाख ऐसे, जो उनकी फैमिली में फर्स्ट टाइमर हो, तो एक प्रकार से ऐसे इवेंट मेरा जो यह मेरा मकसद है उसका ग्राउंड बना रहे हैं। दूसरा मेरा व्यक्तिगत लाभ है, व्यक्तिगत लाभ यह है कि 2029 में जो वोट करने जाएंगे उनको पता ही नहीं है कि 2014 के पहले अखबारों की हेडलाइन क्या हुआ करती थी, उसे पता नहीं है, 10-10, 12-12 लाख करोड़ के घोटाले होते थे, उसे पता नहीं है और वो जब 2029 में वोट करने जाएगा, तो उसके सामने कंपैरिजन के लिए कुछ नहीं होगा और इसलिए मुझे उस कसौटी से पार होना है और मुझे पक्का विश्वास है, यह जो ग्राउंड बन रहा है ना, वो उस काम को पक्का कर देगा।

साथियों,

आज पूरी दुनिया कह रही है कि ये भारत की सदी है, ये आपने नहीं सुना है। भारत की उपलब्धियों ने, भारत की सफलताओं ने पूरे विश्व में एक नई उम्मीद जगाई है। जिस भारत के बारे में कहा जाता था, ये खुद भी डूबेगा और हमें भी ले डूबेगा, वो भारत आज दुनिया की ग्रोथ को ड्राइव कर रहा है। मैं भारत के फ्यूचर की दिशा क्या है, ये हमें आज के हमारे काम और सिद्धियों से पता चलता है। आज़ादी के 65 साल बाद भी भारत दुनिया की ग्यारहवें नंबर की इकॉनॉमी था। बीते दशक में हम दुनिया की पांचवें नंबर की इकॉनॉमी बने, और अब उतनी ही तेजी से दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनने जा रहे हैं।

साथियों,

मैं आपको 18 साल पहले की भी बात याद दिलाता हूं। ये 18 साल का खास कारण है, क्योंकि जो लोग 18 साल की उम्र के हुए हैं, जो पहली बार वोटर बन रहे हैं, उनको 18 साल के पहले का पता नहीं है, इसलिए मैंने वो आंकड़ा लिया है। 18 साल पहले यानि 2007 में भारत की annual GDP, एक लाख करोड़ डॉलर तक पहुंची थी। यानि आसान शब्दों में कहें तो ये वो समय था, जब एक साल में भारत में एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी होती थी। अब आज देखिए क्या हो रहा है? अब एक क्वार्टर में ही लगभग एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही है। इसका क्या मतलब हुआ? 18 साल पहले के भारत में साल भर में जितनी इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही थी, उतनी अब सिर्फ तीन महीने में होने लगी है। ये दिखाता है कि आज का भारत कितनी तेजी से आगे बढ़ रहा है। मैं आपको कुछ उदाहरण दूंगा, जो दिखाते हैं कि बीते एक दशक में कैसे बड़े बदलाव भी आए और नतीजे भी आए। बीते 10 सालों में, हम 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकालने में सफल हुए हैं। ये संख्या कई देशों की कुल जनसंख्या से भी ज्यादा है। आप वो दौर भी याद करिए, जब सरकार खुद स्वीकार करती थी, प्रधानमंत्री खुद कहते थे, कि एक रूपया भेजते थे, तो 15 पैसा गरीब तक पहुंचता था, वो 85 पैसा कौन पंजा खा जाता था और एक आज का दौर है। बीते दशक में गरीबों के खाते में, DBT के जरिए, Direct Benefit Transfer, DBT के जरिए 42 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा ट्रांसफर किए गए हैं, 42 लाख करोड़ रुपए। अगर आप वो हिसाब लगा दें, रुपये में से 15 पैसे वाला, तो 42 लाख करोड़ का क्या हिसाब निकलेगा? साथियों, आज दिल्ली से एक रुपया निकलता है, तो 100 पैसे आखिरी जगह तक पहुंचते हैं।

साथियों,

10 साल पहले सोलर एनर्जी के मामले में भारत दुनिया में कहीं गिनती नहीं होती थी। लेकिन आज भारत सोलर एनर्जी कैपेसिटी के मामले में दुनिया के टॉप-5 countries में से है। हमने सोलर एनर्जी कैपेसिटी को 30 गुना बढ़ाया है। Solar module manufacturing में भी 30 गुना वृद्धि हुई है। 10 साल पहले तो हम होली की पिचकारी भी, बच्चों के खिलौने भी विदेशों से मंगाते थे। आज हमारे Toys Exports तीन गुना हो चुके हैं। 10 साल पहले तक हम अपनी सेना के लिए राइफल तक विदेशों से इंपोर्ट करते थे और बीते 10 वर्षों में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट 20 गुना बढ़ गया है।

साथियों,

इन 10 वर्षों में, हम दुनिया के दूसरे सबसे बड़े स्टील प्रोड्यूसर हैं, दुनिया के दूसरे सबसे बड़े मोबाइल फोन मैन्युफैक्चरर हैं और दुनिया का तीसरा सबसे बड़ा स्टार्टअप इकोसिस्टम बने हैं। इन्हीं 10 सालों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर अपने Capital Expenditure को, पांच गुना बढ़ाया है। देश में एयरपोर्ट्स की संख्या दोगुनी हो गई है। इन दस सालों में ही, देश में ऑपरेशनल एम्स की संख्या तीन गुना हो गई है। और इन्हीं 10 सालों में मेडिकल कॉलेजों और मेडिकल सीट्स की संख्या भी करीब-करीब दोगुनी हो गई है।

साथियों,

आज के भारत का मिजाज़ कुछ और ही है। आज का भारत बड़ा सोचता है, बड़े टार्गेट तय करता है और आज का भारत बड़े नतीजे लाकर के दिखाता है। और ये इसलिए हो रहा है, क्योंकि देश की सोच बदल गई है, भारत बड़ी Aspirations के साथ आगे बढ़ रहा है। पहले हमारी सोच ये बन गई थी, चलता है, होता है, अरे चलने दो यार, जो करेगा करेगा, अपन अपना चला लो। पहले सोच कितनी छोटी हो गई थी, मैं इसका एक उदाहरण देता हूं। एक समय था, अगर कहीं सूखा हो जाए, सूखाग्रस्त इलाका हो, तो लोग उस समय कांग्रेस का शासन हुआ करता था, तो मेमोरेंडम देते थे गांव के लोग और क्या मांग करते थे, कि साहब अकाल होता रहता है, तो इस समय अकाल के समय अकाल के राहत के काम रिलीफ के वर्क शुरू हो जाए, गड्ढे खोदेंगे, मिट्टी उठाएंगे, दूसरे गड्डे में भर देंगे, यही मांग किया करते थे लोग, कोई कहता था क्या मांग करता था, कि साहब मेरे इलाके में एक हैंड पंप लगवा दो ना, पानी के लिए हैंड पंप की मांग करते थे, कभी कभी सांसद क्या मांग करते थे, गैस सिलेंडर इसको जरा जल्दी देना, सांसद ये काम करते थे, उनको 25 कूपन मिला करती थी और उस 25 कूपन को पार्लियामेंट का मेंबर अपने पूरे क्षेत्र में गैस सिलेंडर के लिए oblige करने के लिए उपयोग करता था। एक साल में एक एमपी 25 सिलेंडर और यह सारा 2014 तक था। एमपी क्या मांग करते थे, साहब ये जो ट्रेन जा रही है ना, मेरे इलाके में एक स्टॉपेज दे देना, स्टॉपेज की मांग हो रही थी। यह सारी बातें मैं 2014 के पहले की कर रहा हूं, बहुत पुरानी नहीं कर रहा हूं। कांग्रेस ने देश के लोगों की Aspirations को कुचल दिया था। इसलिए देश के लोगों ने उम्मीद लगानी भी छोड़ दी थी, मान लिया था यार इनसे कुछ होना नहीं है, क्या कर रहा है।। लोग कहते थे कि भई ठीक है तुम इतना ही कर सकते हो तो इतना ही कर दो। और आज आप देखिए, हालात और सोच कितनी तेजी से बदल रही है। अब लोग जानते हैं कि कौन काम कर सकता है, कौन नतीजे ला सकता है, और यह सामान्य नागरिक नहीं, आप सदन के भाषण सुनोगे, तो विपक्ष भी यही भाषण करता है, मोदी जी ये क्यों नहीं कर रहे हो, इसका मतलब उनको लगता है कि यही करेगा।

साथियों,

आज जो एस्पिरेशन है, उसका प्रतिबिंब उनकी बातों में झलकता है, कहने का तरीका बदल गया , अब लोगों की डिमांड क्या आती है? लोग पहले स्टॉपेज मांगते थे, अब आकर के कहते जी, मेरे यहां भी तो एक वंदे भारत शुरू कर दो। अभी मैं कुछ समय पहले कुवैत गया था, तो मैं वहां लेबर कैंप में नॉर्मली मैं बाहर जाता हूं तो अपने देशवासी जहां काम करते हैं तो उनके पास जाने का प्रयास करता हूं। तो मैं वहां लेबर कॉलोनी में गया था, तो हमारे जो श्रमिक भाई बहन हैं, जो वहां कुवैत में काम करते हैं, उनसे कोई 10 साल से कोई 15 साल से काम, मैं उनसे बात कर रहा था, अब देखिए एक श्रमिक बिहार के गांव का जो 9 साल से कुवैत में काम कर रहा है, बीच-बीच में आता है, मैं जब उससे बातें कर रहा था, तो उसने कहा साहब मुझे एक सवाल पूछना है, मैंने कहा पूछिए, उसने कहा साहब मेरे गांव के पास डिस्ट्रिक्ट हेड क्वार्टर पर इंटरनेशनल एयरपोर्ट बना दीजिए ना, जी मैं इतना प्रसन्न हो गया, कि मेरे देश के बिहार के गांव का श्रमिक जो 9 साल से कुवैत में मजदूरी करता है, वह भी सोचता है, अब मेरे डिस्ट्रिक्ट में इंटरनेशनल एयरपोर्ट बनेगा। ये है, आज भारत के एक सामान्य नागरिक की एस्पिरेशन, जो विकसित भारत के लक्ष्य की ओर पूरे देश को ड्राइव कर रही है।

साथियों,

किसी भी समाज की, राष्ट्र की ताकत तभी बढ़ती है, जब उसके नागरिकों के सामने से बंदिशें हटती हैं, बाधाएं हटती हैं, रुकावटों की दीवारें गिरती है। तभी उस देश के नागरिकों का सामर्थ्य बढ़ता है, आसमान की ऊंचाई भी उनके लिए छोटी पड़ जाती है। इसलिए, हम निरंतर उन रुकावटों को हटा रहे हैं, जो पहले की सरकारों ने नागरिकों के सामने लगा रखी थी। अब मैं उदाहरण देता हूं स्पेस सेक्टर। स्पेस सेक्टर में पहले सबकुछ ISRO के ही जिम्मे था। ISRO ने निश्चित तौर पर शानदार काम किया, लेकिन स्पेस साइंस और आंत्रप्रन्योरशिप को लेकर देश में जो बाकी सामर्थ्य था, उसका उपयोग नहीं हो पा रहा था, सब कुछ इसरो में सिमट गया था। हमने हिम्मत करके स्पेस सेक्टर को युवा इनोवेटर्स के लिए खोल दिया। और जब मैंने निर्णय किया था, किसी अखबार की हेडलाइन नहीं बना था, क्योंकि समझ भी नहीं है। रिपब्लिक टीवी के दर्शकों को जानकर खुशी होगी, कि आज ढाई सौ से ज्यादा स्पेस स्टार्टअप्स देश में बन गए हैं, ये मेरे देश के युवाओं का कमाल है। यही स्टार्टअप्स आज, विक्रम-एस और अग्निबाण जैसे रॉकेट्स बना रहे हैं। ऐसे ही mapping के सेक्टर में हुआ, इतने बंधन थे, आप एक एटलस नहीं बना सकते थे, टेक्नॉलाजी बदल चुकी है। पहले अगर भारत में कोई मैप बनाना होता था, तो उसके लिए सरकारी दरवाजों पर सालों तक आपको चक्कर काटने पड़ते थे। हमने इस बंदिश को भी हटाया। आज Geo-spatial mapping से जुडा डेटा, नए स्टार्टअप्स का रास्ता बना रहा है।

साथियों,

न्यूक्लियर एनर्जी, न्यूक्लियर एनर्जी से जुड़े सेक्टर को भी पहले सरकारी कंट्रोल में रखा गया था। बंदिशें थीं, बंधन थे, दीवारें खड़ी कर दी गई थीं। अब इस साल के बजट में सरकार ने इसको भी प्राइवेट सेक्टर के लिए ओपन करने की घोषणा की है। और इससे 2047 तक 100 गीगावॉट न्यूक्लियर एनर्जी कैपेसिटी जोड़ने का रास्ता मजबूत हुआ है।

साथियों,

आप हैरान रह जाएंगे, कि हमारे गांवों में 100 लाख करोड़ रुपए, Hundred lakh crore rupees, उससे भी ज्यादा untapped आर्थिक सामर्थ्य पड़ा हुआ है। मैं आपके सामने फिर ये आंकड़ा दोहरा रहा हूं- 100 लाख करोड़ रुपए, ये छोटा आंकड़ा नहीं है, ये आर्थिक सामर्थ्य, गांव में जो घर होते हैं, उनके रूप में उपस्थित है। मैं आपको और आसान तरीके से समझाता हूं। अब जैसे यहां दिल्ली जैसे शहर में आपके घर 50 लाख, एक करोड़, 2 करोड़ के होते हैं, आपकी प्रॉपर्टी की वैल्यू पर आपको बैंक लोन भी मिल जाता है। अगर आपका दिल्ली में घर है, तो आप बैंक से करोड़ों रुपये का लोन ले सकते हैं। अब सवाल यह है, कि घर दिल्ली में थोड़े है, गांव में भी तो घर है, वहां भी तो घरों का मालिक है, वहां ऐसा क्यों नहीं होता? गांवों में घरों पर लोन इसलिए नहीं मिलता, क्योंकि भारत में गांव के घरों के लीगल डॉक्यूमेंट्स नहीं होते थे, प्रॉपर मैपिंग ही नहीं हो पाई थी। इसलिए गांव की इस ताकत का उचित लाभ देश को, देशवासियों को नहीं मिल पाया। और ये सिर्फ भारत की समस्या है ऐसा नहीं है, दुनिया के बड़े-बड़े देशों में लोगों के पास प्रॉपर्टी के राइट्स नहीं हैं। बड़ी-बड़ी अंतरराष्ट्रीय संस्थाएं कहती हैं, कि जो देश अपने यहां लोगों को प्रॉपर्टी राइट्स देता है, वहां की GDP में उछाल आ जाता है।

साथियों,

भारत में गांव के घरों के प्रॉपर्टी राइट्स देने के लिए हमने एक स्वामित्व स्कीम शुरु की। इसके लिए हम गांव-गांव में ड्रोन से सर्वे करा रहे हैं, गांव के एक-एक घर की मैपिंग करा रहे हैं। आज देशभर में गांव के घरों के प्रॉपर्टी कार्ड लोगों को दिए जा रहे हैं। दो करोड़ से अधिक प्रॉपर्टी कार्ड सरकार ने बांटे हैं और ये काम लगातार चल रहा है। प्रॉपर्टी कार्ड ना होने के कारण पहले गांवों में बहुत सारे विवाद भी होते थे, लोगों को अदालतों के चक्कर लगाने पड़ते थे, ये सब भी अब खत्म हुआ है। इन प्रॉपर्टी कार्ड्स पर अब गांव के लोगों को बैंकों से लोन मिल रहे हैं, इससे गांव के लोग अपना व्यवसाय शुरू कर रहे हैं, स्वरोजगार कर रहे हैं। अभी मैं एक दिन ये स्वामित्व योजना के तहत वीडियो कॉन्फ्रेंस पर उसके लाभार्थियों से बात कर रहा था, मुझे राजस्थान की एक बहन मिली, उसने कहा कि मैंने मेरा प्रॉपर्टी कार्ड मिलने के बाद मैंने 9 लाख रुपये का लोन लिया गांव में और बोली मैंने बिजनेस शुरू किया और मैं आधा लोन वापस कर चुकी हूं और अब मुझे पूरा लोन वापस करने में समय नहीं लगेगा और मुझे अधिक लोन की संभावना बन गई है कितना कॉन्फिडेंस लेवल है।

साथियों,

ये जितने भी उदाहरण मैंने दिए हैं, इनका सबसे बड़ा बेनिफिशरी मेरे देश का नौजवान है। वो यूथ, जो विकसित भारत का सबसे बड़ा स्टेकहोल्डर है। जो यूथ, आज के भारत का X-Factor है। इस X का अर्थ है, Experimentation Excellence और Expansion, Experimentation यानि हमारे युवाओं ने पुराने तौर तरीकों से आगे बढ़कर नए रास्ते बनाए हैं। Excellence यानी नौजवानों ने Global Benchmark सेट किए हैं। और Expansion यानी इनोवेशन को हमारे य़ुवाओं ने 140 करोड़ देशवासियों के लिए स्केल-अप किया है। हमारा यूथ, देश की बड़ी समस्याओं का समाधान दे सकता है, लेकिन इस सामर्थ्य का सदुपयोग भी पहले नहीं किया गया। हैकाथॉन के ज़रिए युवा, देश की समस्याओं का समाधान भी दे सकते हैं, इसको लेकर पहले सरकारों ने सोचा तक नहीं। आज हम हर वर्ष स्मार्ट इंडिया हैकाथॉन आयोजित करते हैं। अभी तक 10 लाख युवा इसका हिस्सा बन चुके हैं, सरकार की अनेकों मिनिस्ट्रीज और डिपार्टमेंट ने गवर्नेंस से जुड़े कई प्रॉब्लम और उनके सामने रखें, समस्याएं बताई कि भई बताइये आप खोजिये क्या सॉल्यूशन हो सकता है। हैकाथॉन में हमारे युवाओं ने लगभग ढाई हज़ार सोल्यूशन डेवलप करके देश को दिए हैं। मुझे खुशी है कि आपने भी हैकाथॉन के इस कल्चर को आगे बढ़ाया है। और जिन नौजवानों ने विजय प्राप्त की है, मैं उन नौजवानों को बधाई देता हूं और मुझे खुशी है कि मुझे उन नौजवानों से मिलने का मौका मिला।

साथियों,

बीते 10 वर्षों में देश ने एक new age governance को फील किया है। बीते दशक में हमने, impact less administration को Impactful Governance में बदला है। आप जब फील्ड में जाते हैं, तो अक्सर लोग कहते हैं, कि हमें फलां सरकारी स्कीम का बेनिफिट पहली बार मिला। ऐसा नहीं है कि वो सरकारी स्कीम्स पहले नहीं थीं। स्कीम्स पहले भी थीं, लेकिन इस लेवल की last mile delivery पहली बार सुनिश्चित हो रही है। आप अक्सर पीएम आवास स्कीम के बेनिफिशरीज़ के इंटरव्यूज़ चलाते हैं। पहले कागज़ पर गरीबों के मकान सेंक्शन होते थे। आज हम जमीन पर गरीबों के घर बनाते हैं। पहले मकान बनाने की पूरी प्रक्रिया, govt driven होती थी। कैसा मकान बनेगा, कौन सा सामान लगेगा, ये सरकार ही तय करती थी। हमने इसको owner driven बनाया। सरकार, लाभार्थी के अकाउंट में पैसा डालती है, बाकी कैसा घर बनेगा, ये लाभार्थी खुद डिसाइड करता है। और घर के डिजाइन के लिए भी हमने देशभर में कंपीटिशन किया, घरों के मॉडल सामने रखे, डिजाइन के लिए भी लोगों को जोड़ा, जनभागीदारी से चीज़ें तय कीं। इससे घरों की क्वालिटी भी अच्छी हुई है और घर तेज़ गति से कंप्लीट भी होने लगे हैं। पहले ईंट-पत्थर जोड़कर आधे-अधूरे मकान बनाकर दिए जाते थे, हमने गरीब को उसके सपनों का घर बनाकर दिया है। इन घरों में नल से जल आता है, उज्ज्वला योजना का गैस कनेक्शन होता है, सौभाग्य योजना का बिजली कनेक्शन होता है, हमने सिर्फ चार दीवारें खड़ी नहीं कीं है, हमने उन घरों में ज़िंदगी खड़ी की है।

साथियों,

किसी भी देश के विकास के लिए बहुत जरूरी पक्ष है उस देश की सुरक्षा, नेशनल सिक्योरिटी। बीते दशक में हमने सिक्योरिटी पर भी बहुत अधिक काम किया है। आप याद करिए, पहले टीवी पर अक्सर, सीरियल बम ब्लास्ट की ब्रेकिंग न्यूज चला करती थी, स्लीपर सेल्स के नेटवर्क पर स्पेशल प्रोग्राम हुआ करते थे। आज ये सब, टीवी स्क्रीन और भारत की ज़मीन दोनों जगह से गायब हो चुका है। वरना पहले आप ट्रेन में जाते थे, हवाई अड्डे पर जाते थे, लावारिस कोई बैग पड़ा है तो छूना मत ऐसी सूचनाएं आती थी, आज वो जो 18-20 साल के नौजवान हैं, उन्होंने वो सूचना सुनी नहीं होगी। आज देश में नक्सलवाद भी अंतिम सांसें गिन रहा है। पहले जहां सौ से अधिक जिले, नक्सलवाद की चपेट में थे, आज ये दो दर्जन से भी कम जिलों में ही सीमित रह गया है। ये तभी संभव हुआ, जब हमने nation first की भावना से काम किया। हमने इन क्षेत्रों में Governance को Grassroot Level तक पहुंचाया। देखते ही देखते इन जिलों मे हज़ारों किलोमीटर लंबी सड़कें बनीं, स्कूल-अस्पताल बने, 4G मोबाइल नेटवर्क पहुंचा और परिणाम आज देश देख रहा है।

साथियों,

सरकार के निर्णायक फैसलों से आज नक्सलवाद जंगल से तो साफ हो रहा है, लेकिन अब वो Urban सेंटर्स में पैर पसार रहा है। Urban नक्सलियों ने अपना जाल इतनी तेज़ी से फैलाया है कि जो राजनीतिक दल, अर्बन नक्सल के विरोधी थे, जिनकी विचारधारा कभी गांधी जी से प्रेरित थी, जो भारत की ज़ड़ों से जुड़ी थी, ऐसे राजनीतिक दलों में आज Urban नक्सल पैठ जमा चुके हैं। आज वहां Urban नक्सलियों की आवाज, उनकी ही भाषा सुनाई देती है। इसी से हम समझ सकते हैं कि इनकी जड़ें कितनी गहरी हैं। हमें याद रखना है कि Urban नक्सली, भारत के विकास और हमारी विरासत, इन दोनों के घोर विरोधी हैं। वैसे अर्नब ने भी Urban नक्सलियों को एक्सपोज करने का जिम्मा उठाया हुआ है। विकसित भारत के लिए विकास भी ज़रूरी है और विरासत को मज़बूत करना भी आवश्यक है। और इसलिए हमें Urban नक्सलियों से सावधान रहना है।

साथियों,

आज का भारत, हर चुनौती से टकराते हुए नई ऊंचाइयों को छू रहा है। मुझे भरोसा है कि रिपब्लिक टीवी नेटवर्क के आप सभी लोग हमेशा नेशन फर्स्ट के भाव से पत्रकारिता को नया आयाम देते रहेंगे। आप विकसित भारत की एस्पिरेशन को अपनी पत्रकारिता से catalyse करते रहें, इसी विश्वास के साथ, आप सभी का बहुत-बहुत आभार, बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद!