হর হর মহাদেব!

করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে কাশীর লড়াইয়ে আমি বরাবর আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি, খবরাখবরও নিচ্ছি এবং বেশ কয়েকটি সূত্রের থেকে আমায় জানানো হচ্ছে। কাশীর মানুষ, সেখানকার ব্যবস্থা, হাসপাতাল, এই কঠিন সময়ে কেমন কাজ করছে, তা সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যেও খুব ভাল করে আপনারা উপস্থাপনার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন, নিজেদের কথা বলেছেন। আমরা সবাই জানি যে আমাদের এখানে কথিত আছে- কাশ্যম বিশ্বেশ্বরঃ যথাঃ। অর্থাৎ কাশীর সর্বত্র বাবা বিশ্বনাথ বিরাজ করেন, এখানে সকলের মধ্যে বাবা বিশ্বনাথের অংশ রয়েছে। করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়ে এখানে কর্মরত প্রত্যেকে এই প্রবাদকে সার্থক করেছে। আপনারা সকলেই শিবের কল্যাণমূলক ভাবনা নিয়ে জনসাধারণের সেবা করেছেন। আমি কাশীর একজন সেবক হিসেবে সকল কাশীবাসীকে আন্তরিকভাবে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে আমাদের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, ওয়ার্ড বয়, অ্যাম্ব্যুলেন্স চালক, আপনারা সকলে যে কাজ করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যদিও এই মহামারী এতটাই ভয়ঙ্কর যে আপনাদের সকলের অসীম পরীশ্রমের পরেও আমরা আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যদের বাঁচাতে পারিনি। এই ভাইরাস আমাদের অনেক পরিচিতদের আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে।  আমি সেই সমস্ত মানুষদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই এবং তাঁদের পরিজনদের প্রতি সান্ত্বনা জানাই।

বন্ধুরা, 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমাদের বেশ কয়েকটি স্তরে একইসঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এবার সংক্রমণের হারও আগের থেকে কয়েকগুন বেশী, আর রোগীদের আগের থেকে অনেক বেশীদিন হাসপাতালে কাটাতে হচ্ছে। এইসবের ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর একসঙ্গে অনেক বড় চাপ এসে পড়েছে। বারাণসী শুধু কাশীরই নয়, গোটা পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মানুষও স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কাশীর ওপর নির্ভর। স্বাভাবিকভাবে, এরমধ্যে এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর এই চাপ অনেক সমস্যা নিয়ে এসেছে। বিগত ৭ বছরে এখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে যত কাজ হয়েছে, তা এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমাদের চিকিৎসক, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আপনারা এক একজন রোগীর জীবন রক্ষা করতে দিনরাত কাজ করেছেন, নিজেদের সুবিধা- অসুবিধা ভুলে রোগীদের সেবায় লেগে থেকেছেন। আপনাদের এই তপস্যার ফলে বারাণসী এত কম সময়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সারা দেশে তার আলোচনা হচ্ছে।    

বন্ধুরা,

এই কঠিন সময়ে বারাণসীর সেবায় যুক্ত আমাদের জনপ্রতিনিধি, আধিকারিক, আমাদের পুলিশবাহিনী একটানা কাজ করে গেছে। অক্সিজেনের যোগান বাড়াতে অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে। বারাণসী সহ সমগ্র পূর্বাঞ্চলে নতুন ভেন্টিলেটার এবং অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

বন্ধুরা,

অক্সিজেন এবং আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বারাণসী এতো দ্রুতগতিতে বাড়িয়েছে, যেভাবে এতো তাড়াতাড়ি পন্ডিত রাজন মিশ্র কোভিড হাসপাতালের কাজ শেষ করেছে, তা সকলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত মেশিন চলে আসায় আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যাও বেড়েছে। আমাকে জানানো হয়েছে যে বারাণসীর ইন্টিগ্রেটেড কোভিড কমান্ড সেন্টার অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে কাজ করছে। আপনারা যেভাবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমস্ত আপাতকালীন পরিষেবার রোগী এবং সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করে তুলেছেন তা সতিই অনুকরণীয়। আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে যেসব প্রকল্প তৈরি হয়েছে, যে অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক সহায়তা করেছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কারণে শৌচাগার তৈরি করেছেন, আপনারা মনে করে দেখুন ২০১৪ সালে যখন আপনারা আমাকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন এবং যখন আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছিলাম তখন আপনারা আমাকে এত ভালবাসা, এত আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। তবে আমি কি করলাম, প্রথম দিন থেকেই আমি দেওয়ার কোনও কথাই বলিনি, আমি আপনার কাছ থেকে চেয়েছিলাম, কাশীবাসীদের থেকে আমি চেয়েছিলাম এবং আমি প্রকাশ্যে বলেছিলাম যে আপনারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিন আপনারা কাশীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আজ, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কাশীকে বাঁচাতে আপনারা আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং কাশীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কাশীবাসীরা যা করেছেন এবং নিরন্তর করে গেছে তার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসার যে সুবিধা দেওয়া  হয়েছে, কাশী এর সুফল পাচ্ছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় গ্যাস সিলিন্ডার, জন ধন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অথবা ফিট ইন্ডিয়া অভিযান হোক, যোগ এবং আয়ুষের মাধ্যমে, যখন আমরা রাষ্ট্রসংঘের থেকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুমোদন পেয়েছিলাম এবং ২১শে জুন যোগ দিবস উদযাপন শুরু করার পর, এই নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল, অনেকে ঠাট্টা-বিদ্রুপও করেছিল, সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গও উঠেছিল, কিন্তু আজ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বে যোগের গুরুত্বর প্রচার করা হচ্ছে। যোগ এবং আয়ুষ সম্পর্কে সচেতনতা, এসমস্তই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণের শক্তি অনেক বাড়িয়েছে।

বন্ধুরা,

মহাদেবের কৃপায় বারাণসী আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শহর। করোনার প্রথম ঢেউ হোক বা দ্বিতীয় ঢেউ, এখানকার বাসিন্দারা ধৈর্য্য এবং সেবার আশ্চর্য্য পরিচয় দিয়েছেন। আমার কাশীর জনসাধারণ, এখানকার সামাজিক সংগঠনগুলি, অসুস্থ, দরিদ্র, বয়স্কদের লাগাতার সেবা করে চলেছেন, তাঁদের জন্যে চিন্তা করে চলেছেন।  কোনো পরিবার যাতে অভুক্ত না থাকে, কোনো দরিদ্রকে যাতে ওষুধের চিন্তা না করতে হয়, সেজন্যে কাশী নিজেকে সেবায় সমর্পণ করেছে। অনেক ব্যবসায়ীরা তো নিজে থেকে আগবাড়িয়ে দোকান বন্ধ রেখেছেন যাতে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে পারে। আমাদের এই ব্যবসায়ী ভাইয়েরা, এই বন্ধুরা নিজের আর্থিক লাভ-লোকশানের চিন্তা করেননি, নিজেদের সম্পদ দিয়েই সেবায় যুক্ত হয়েছেন। আপনাদের এই সেবার ইচ্ছা সকলকে অভিভূত করবে, কিন্তু আমি জানি মা অন্নপূর্ণার নগরী এবং কাশীর এটাই স্বাভাবিক স্বভাব। সেবা এই শহরের একধরণের সাধনার মন্ত্র।  

বন্ধুরা,

আপনাদের সাধনা এবং আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহামারীর এই আক্রমণ অনেকটাই সামলানো গেছে। তবে এখন সন্তুষ্টির সময় নয়। আমাদের এখনো দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের বারাণসী এবং পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও মনোযোগ দিতে হবে এবং এখন আমাদের মন্ত্র কী হবে, প্রতিটি ব্যবস্থার জন্য, প্রতিটি বিভাগের জন্য, এটিই নতুন মন্ত্র- 'জহা বীমার, ওহা উপচার', আমাদের ভুলে গেলে হবে না, - 'জহা বীমার, ওহা উপচার’ । আমরা যত বেশী অসুস্থদের চিকিৎসা করব, আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর চাপ তত কমবে এবং তাই আপনারা সমস্ত ব্যবস্থায় - 'জহা বীমার, ওহা উপচার’ এই মন্ত্রটি প্রয়োগ করবেন। এবং দ্বিতীয়ত, মাইক্রো কন্টেন্টমেন্ট জোন, কাশী খুব সফলভাবে এই উদ্যোগে মনোনিবেশ করেছে এবং এর থেকে তাঁরা উপকৃতও হচ্ছেন। মাইক্রো কন্টেন্টমেন্ট জোন তৈরি করে আপনারা যেভাবে শহর ও গ্রামে ওষুধ বিতরণ করছেন, গ্রামবাসীদের কাছে মেডিকেল কিট পৌঁছে দিচ্ছেন, এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। এই অভিযান গ্রামীণ অঞ্চলে যথাসম্ভব ছড়িয়ে দিতে হবে। কাশীর অভিনব উদ্যোগে চিকিৎসক, ল্যাব এবং ই-বিপণন সংস্থাগুলিকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে 'কাশী কবচ' নামের একটি উদ্ভাবনমূলক টেলি-মেডিসিনের সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা যাতে এর সুবিধা পায় সে জন্যও বিশেষ সচেতনতা অভিযান চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে উত্তর প্রদেশের অনেক প্রবীণ ও তরুণ চিকিৎসক টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলেও পরিষেবা দিচ্ছেন। এদের সঙ্গে নিয়ে এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব। আমাদের আশা কর্মী এবং এএনএম-এর বোনরাও গ্রামে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাঁদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক লাভবান হতে পারি।

বন্ধুরা,   

আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টিকাকরণের রক্ষাকবচ দেখেছি। টিকার সুরক্ষার ফলেই আমাদের প্রথম সারির কর্মীরা অনেকাংশে জনগণের সেবা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সুরক্ষাকবচ আগামী সময়ে প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাবে। আমাদের নিজেদের সময়ে টিকাকরণ অবশ্যই করাতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই যেমন একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে টিকাকরণকেও আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বে পরিণত করতে হবে।

বন্ধুরা,

যখন প্রচেষ্টার মধ্যে সহমর্মিতা থাকে, সেবার ভাবনা থাকে, মানুষের দুর্ভোগের অনুভূতি থাকে, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার ক্ষমতা থাকে, তখন কাজ দেখা যায়। আমার মনে আছে আগে পূর্বাঞ্চলে কী হারে শিশুরা মেনিঞ্জাইটিসে আক্রান্ত হতো। প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু মস্তিষ্কের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো, অগণিত শিশুর মৃত্যু হতো এবং আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে,  আমাদের যোগী জি,  যিনি আজ মুখ্যমন্ত্রী, তখন তিনি সাংসদ ছিলেন, তিনি একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা সংসদে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি তৎকালীন সরকারের কাছে এই শিশুদের বাঁচানোর জন্য আবেদন জানাতেন, কিছু ব্যবস্থা করুন, এই শিশুদের বাঁচান। তিনি কাঁদতেন, হাজার হাজার শিশু মারা যেত। এবং এই ধারা বছরের পর বছর ধরে চলছিল। যোগী জি সংসদে ছিলেন, তিনি এটি করেছিলেন। কিন্তু যখন যোগী জি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হলেন এবং ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার মিলেএই মেনিঞ্জাইটিসের বিরুদ্ধে একটি বিশাল অভিযান শুরু করেছিলেন, আপনারা সকলেই তার সঙ্গে খুব পরিচিত এবং আজ আমরা শিশুদের জীবন বাঁচাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছি।  আমরা এই অসুখকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। পূর্বাঞ্চলের মানুষ, এখানকার শিশুরা এতে প্রচুর উপকৃত হয়েছে। এই উদাহরণটি আমাদের দেখায় যে আমাদের একই সংবেদনশীলতা এবং সতর্কতার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের লড়াই একটি অদৃশ্য এবং রূপ পরিবর্তনকারী ধুর্ত প্রকৃতির শত্রুর বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে, আমাদের শিশুদের করোনার হাত থেকে রক্ষাও করতে হবে, তাদের জন্য বিশেষ প্রস্তুতিও নিতে হবে। আমি সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছিলাম, তখন আপনাদের মুখ্য সচিব তিওয়ারি জি আমাকে খুব বিশদে জানিয়েছিলেন যে বাচ্চাদের যদি করোনা হয়, তাহলে কী করা উচিত, শিশুদের জন্যে তারা পুরো ব্যবস্থা তৈরি করেছেন এবং আমার খুব ভাল লেগেছে যে উত্তরপ্রদেশ সরকার এতো উন্নতভাবে, ভাল করে কাজ করছে। এরমধ্যে প্রচুর কাজ শুরুও হয়েছে।

বন্ধুরা,

আমাদের এই লড়াইয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আরও একটি নতুন সমস্যা নিয়ে এসেছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে। আমি যখন আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, তখন আমার কাছে যে তথ্য ছিল, তা আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি।

বন্ধুরা,

দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রশাসন যে প্রস্তুতিগুলি নিয়েছে, তা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরেও বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, সংক্রমণের সংখ্যা এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। বারাণসীর থেকে আপনাদের যে অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছে, তার থেকে উত্তর প্রদেশ এবং গোটা পূর্বাঞ্চলের লাভ হওয়া উচিত। আমি আমাদের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন নিজেদের সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। প্রশাসনিক আধিকারিকরাও যেন নিজেদের অভিজ্ঞতা সরকারের কাছে জানায়, যাতে এর থেকে সকলেই লাভবান হতে পারেন। অন্য অঞ্চলেও যাতে আপনাদের পদ্ধতি অনুসরণ করে লাভবান হতে পারে, তা দেখতে হবে। আমি সকল জনপ্রতিনিধিদের বলব, সকল নির্বাচিত সদস্যদের বলব, আপনারা সকলে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, আপনাদের ওপর অনেক চাপ রয়েছে। কখনও কখনও জনতার রোষেও পড়তে হয়, কিন্তু আমার বিশ্বাস যে সংবেদনশীলতার সঙ্গে  আপনারা জনসাধারণের জন্যে কাজ করছেন, সেটাই অনেক ক্ষেত্রে মলমের কাজ করে, এবং সেজন্যে, এই অভিযানে যুক্ত সকল প্রতিনিধিদের, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করছি। আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে একজন নাগরিকেরও কোনো অসুবিধা হলে তা দূর করা জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব। সেই সমস্যার কথা আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, তার সমাধান করা, এটি আমাদের আগামী দিনেও বজায় রাখতে হবে। আমার বিশ্বাস আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে তাড়াতাড়িই ভালো ফল পাওয়া যাবে এবং বাবা বিশ্বনাথের আশির্বাদে কাশী এই লড়াইয়ে জয়ী হবে। আমি আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করি, বাবা বিশ্বনাথের চরণে প্রণাম করে প্রার্থনা করি যাতে সকলে সুস্থ থাকে, বাবা বিশ্বনাথ তো সকল মানবজাতিরই কল্যাণ করেন, তার কাছে কেবল একটি অংশের প্রার্থনা করা উচিত নয়। আপনারা সকলে সুস্থ থাকুন, আপনাদের পরিবার সুস্থ থাকুক, এই কামনা জানিয়ে, আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।