আপনাদের সবাইকে নমস্কার!
সবার আগে কয়েকজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই যাতে আপনাদের সুবিধা হয়। শ্রী মনসুখভাই মাণ্ডব্য, ইনি আমাদের নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডঃ ভারতী পাওয়ারজি। তিনি এখানে বসে আছেন। আরও দু’জন যাঁদের সঙ্গে আপনাদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে তাঁরা হলেন, ডোনার মন্ত্রকের নতুন মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজি আর তাঁর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শ্রী বি এল ভার্মাজি। এঁদের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।
বন্ধুগণ,
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনারা সবাই উত্তর-পূর্ব ভারতে কিভাবে বিভিন্ন উদ্ভাবক ভাবনা নিয়ে লড়াই করছেন, পরিশ্রম করছেন, পরিকল্পনা রচনা করছেন, বাস্তবায়িত করছেন – এইসব বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আপনারা, এক প্রকার গোটা দেশ, এবং বিশেষ করে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেকে যেভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য গত ১.৫ বছর ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে চলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের নানা ভৌগোলিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও টেস্টিং এবং ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে টিকাকরণের পরিকাঠামো তৈরি করা পর্যন্ত লাগাতার কাজ করে চলেছেন। আজ আমি বিশেষভাবে দেখেছি, আপনারা যেভাবে কাজ করছেন, চারটি রাজ্যের এখনও অনেক কিছু উন্নতি করার বাকি রয়েছে। কিন্তু বাকিরা অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে টিকার ওয়েস্টেজকে বড় মাত্রায় প্রতিহত করেছেন। শুধু তাই নয়, আপনারা প্রত্যেক ভায়াল থেকে ম্যাক্সিমাম ইউটিলিটির কাজও করেছেন আর এক প্রকার আপনারা ‘প্লাস’ করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন। আমি আপনাদের এই প্রচেষ্টাকে, আর বিশেষ করে যাঁরা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজ করছেন, যাঁরা এই দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেই টিমকেও আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই কারণ টিকাকরণ অভিযানের ক্ষেত্রে টিকার গুরুত্ব এত বেশি আর এভাবে সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে এর ব্যবস্থাপনা প্রশংসার দাবি রাখে। সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মরত প্রত্যেক বন্ধুকে শুভকামনা জানাই আর যে চারটি রাজ্যে এখনও কিছু ত্রুটি অনুভূত হচ্ছে, সেখানেও এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বন্ধুগণ,
বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা সকলেই খুব ভালোভাবে পরিচিত। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার মিলেমিশে যে সামগ্রিক প্রচেষ্টা করেছে তার পরিণামও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জেলা এমন রয়েছে যেখানে সংক্রমণ এখনও ক্রমবর্ধমান। এই সংক্রমণের সঙ্কেতগুলিকে আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের আরও সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে, আর জনগণকেও লাগাতার সচেতন করে যেতে হবে। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের মাইক্রো লেভেলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর একটু আগেই হেমন্ত বিশ্বশর্মাজি বলছিলেন যে তাঁরা লকডাউনের পথ বেছে নেননি, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের পথ বেছে নিয়েছেন। ছয় হাজারেরও বেশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে, কোথায় কার কি দায়িত্ব সেটা সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। সেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের যিনি ইনচার্জ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা যাবে যে ভাই আপনার সমস্যা কি? কেন সামলাতে পারছেন না? বা কিভাবে আপনি উন্নতি করেছেন। কিভাবে সামলেছেন। সেজন্য যত বেশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপর জোর দেওয়া হবে, তত দ্রুত আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। বিগত দেড় বছরে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলিকে আমরা যেভাবে দেখেছি, সেগুলিকে আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে হবে। দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবক পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। আপনাদের রাজ্যেরও কিছু জেলায়, কিছু গ্রামে আধিকারিকরা হয়তো নানা উদ্ভাবক পদ্ধতিতে এই সংক্রমণকে রুখতে সফল হয়েছেন। এই বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে যতটা প্রচারিত করা সম্ভব হবে, জনগণকে সচেতন করা যাবে, এই লড়াইয়ে আমাদের তত সুবিধা হবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের করোনা ভাইরাসের প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টের দিকেও নজর রাখতে হবে কারণ এই ভাইরাস ভীষণরকম বহুরূপী। বারবার নিজের রং, রূপ বদলে নেয় আর সেজন্য আমাদের জন্য নতুন নতুন সমস্যা দাঁড় করায়। সেজন্য প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখতে হবে এবং তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মিউটেশনের পর কোন ভ্যারিয়েন্ট কতটা সমস্যায় ফেলছে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা লাগাতার গবেষণা করছেন। এদের প্রত্যেক রূপান্তরণের দিকেই নজর রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা উভয়েই অত্যন্ত জরুরি। উভয় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত উপায়গুলি নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়তে হবে, সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে এগুলিকে ধরতে হবে, ভাইরাসের সংক্রমণ দুই গজের দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক এবং টিকাকরণ কবচ ব্যবহার করলে দুর্বল হতে বাধ্য। এটাই আমরা গত ১.৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি। সেজন্য আমাদের টেস্টিং, ট্র্যাকিং এবং ট্রিটমেন্টের যে পুরনো রণনীতি সে ক্ষেত্রেই বেশি জোর দিতে হবে। আমাদের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে হবে। তাহলেই আমরা আরও বেশি জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে সফল হব। গোটা বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে এটা প্রমাণ হয়েছে আর সেজন্য আমাদের প্রত্যেক নাগরিককে করোনা থেকে বাঁচাতে নির্ধারিত নিয়মগুলি পালন করতে হবে আর তা করার জন্য নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে যেতে হবে। সমাজে যাঁরা বুদ্ধিজীবী, যাঁরা আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁরা যেন বারবার এই বিষয় নিয়ে মানুষকে শিক্ষা দিতে থাকেন, সচেতন করতে থাকেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
বন্ধুগণ,
এটা ঠিক যে করোনার ফলে পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আজকে আমি খুব জোর দিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে হিল স্টেশনগুলিতে, বাজারগুলিতে মাস্ক না পরে, কোনও নির্দেশাবলীকে পাত্তা না দিয়ে ভিড় করা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এই ভিড়কে প্রশ্রয় দেওয়াটা ঠিক নয়। আমরা অনেকবার এই বিষয়ে অনেক যুক্তি শুনেছি, অনেকে বুক চিতিয়ে বলেন, আরে ভাই, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আমরা একটু সময়টাকে উপভোগ করতে চাই। একথা মানুষের বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে তৃতীয় ঢেউ নিজে থেকে আসবে না। কখনও মানুষ প্রশ্ন করেন, তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে? তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আপনারা কী করবেন? আমার মতে, আজকে এই প্রশ্ন করা উচিৎ যে তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে আমাদের মনে আমরা কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা কিভাবে দক্ষতার সঙ্গে নিয়মাবলী পালন করতে পারি! এই করোনা এমন একটা ভাইরাস যা কখনও নিজে থেকে আসে না। কেউ গিয়ে ওকে নিয়ে এলে তবেই আসে। সেজন্য আমরা যদি এই নিয়মাবলী নিয়মিত পালন করি এবং জনমনে সচেতনতা ও সতর্কতা বজায় রাখি, তাহলে আমরা তৃতীয় ঢেউকেও প্রতিরোধ করতে পারব। তৃতীয় ঢেউ আসার পর কতটা ক্ষতি করবে তা একটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু আসার আগেই প্রতিরোধ করা একটা প্রধান বিষয়। আর সেজন্য আমাদের নাগরিকদের সচেতনতা, সতর্কতা, নিয়মাবলী পালন – এইসব বিষয়ে আমাদের সামান্যতম সমঝোতা করলে চলবে না। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যে সামান্য অসাবধানতা, গাফিলতি, ভিড়-ভারই করোনা সংক্রমণের উত্তাল ঢেউ আনতে পারে। আর সেজন্য আমাদের প্রত্যেক স্তরে অত্যন্ত কঠোরভাবে এই সমস্ত নিয়মাবলী পালন করা অত্যন্ত জরুরি। অধিক ভিড় যেখানে হয় সেসব আয়োজনকে আমরা কি আটকাতে পারি? সেগুলিকে আমাদের আটকানো উচিৎ।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযানকে উত্তর-পূর্ব ভারতেও ততটাই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার জন্য আমাদের টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে হবে। আমাদের টিকাকরণ সংশ্লিষ্ট সমস্ত ভ্রম দূর করার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধার্মিক, শিক্ষা জগতের যত মানুষ আছেন, যত সেলিব্রিটি আছেন, তাঁদেরকে আমাদের সচেতনতা অভিযানে জুড়তে হবে। প্রত্যেকের মুখ দিয়ে একথা প্রচারিত করাতে হবে তবেই জনগণকে এই অভিযানে সামিল করা সম্ভব হবে। এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে যে প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে তার উল্লেখ আমি গোড়াতেই করেছি। যেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় সবচাইতে বেশি, সেখানে টিকাকরণের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে।
বন্ধুগণ,
টেস্টিং এবং ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২৩ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন প্যাকেজ মঞ্জুর করেছে। উত্তর-পূর্বের প্রত্যেক রাজ্যকে এই প্যাকেজ থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে টেস্টিং, ডায়াগনস্টিক, জিনোম সিকোয়েন্সিং, ইত্যাদি পর্যায়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে সুবিধা হবে। যেখানে সংক্রমণের হার বেশি সেখানে দ্রুত আইসিইউ শয্যা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও অর্থের জোগান অব্যাহত রাখা হবে। বিশেষভাবে আমাদের অক্সিজেন এবং পেডিয়াট্রিক কেয়ার সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পিএম কেয়ার্স-এর মাধ্যমে সারা দেশে কয়েক হাজার নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনারা, মুখ্যমন্ত্রীরাও এই কাজে যত দ্রুতগতিতে উন্নতি হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য প্রায় ১,৫০০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট মঞ্জুর হয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ যে এগুলি যেন দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হয়, এগুলি গড়ে উঠতে যেন কোনও বাধা না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন আর সেজন্য প্রয়োজনীয় যত মানবসম্পদ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যান যাতে প্রয়োজনের সময় কোনও সমস্যা না হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের ভৌগোলিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অনেক জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রয়োজনও হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেমনটি আমি শুরুতে বলেছি, তবুও আরেকবার বলতে চাই, মানবসম্পদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়ন। যে অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে, যে আইসিইউ ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে, যে নতুন নতুন মেশিন ব্লকস্তরের হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি সুচারুরূপে সঞ্চালনার জন্য প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ অবশ্যই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনাদের যত ধরনের যেরকম সাহায্য চাই, কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের দিকে সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা গোটা দেশে দৈনিক ২০ লক্ষেরও বেশি টেস্ট করার ক্ষমতা অর্জন করেছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যেক জেলায় বিশেষ করে অধিক সংক্রমিত জেলাগুলিতে টেস্টিং পরিকাঠামোর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু তাই নয়, র্যান্ডাম টেস্টিং-এর পাশাপাশি আমাদের ক্লাস্টারগুলির সম্পূর্ণ ব্লকে অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিংও করতে হবে। আর এই অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিং-এর সুবিধা গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টায়, দেশের জনগণের সহযোগিতায় আমরা করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করতে অবশ্যই সফল হব। আমি আরেকবার বিস্তারিতভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে আমরা অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারি। আমার বিশ্বাস, এর ফলে আগামীদিনে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে তা দ্রুতগতিতে প্রতিহত করতে আমাদের সম্পূর্ণ টিম এগিয়ে যাবে এবং সাফল্য পাবে। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভকামনা। দ্রুতগতিতে আমার উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাই-বোনদের করোনা মুক্তির আনন্দ প্রদান করুন।