উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ভাবনাকে মুখ্যমন্ত্রীরা প্রশংসা করেছেন এবং কোভিড মহামারীকে মোকাবিলার জন্য সময়োচিত ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী সব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ রাখতে এবং ভাইরাসের অভিযোজনের পরিবর্তনে কঠোর নজরদারি চালানোর ওপর জোর দিয়েছেন
পার্বত্য অঞ্চলে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন না করে ভিড় জমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক করেছেন
আমাদের যে বিষয়টি ভাবা উচিত সেটি হল কিভাবে তৃতীয় ঢেউকে আটকানো যাবে : প্রধানমন্ত্রী
টিকাকরণের বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণার মোকাবিলা করার জন্য সামাজিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশিষ্ট জন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
‘বিনামূল্যে সকলের জন্য টিকা’ অভিযানে উত্তর পূর্বাঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সম্প্রতি ২৩ হাজার কোটি টাকার যে প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে সেটি সহায়ক হবে : প্রধানমন্ত্রী
পিএম কেয়ার্সের সহায়তায় অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে অনুরোধ

আপনাদের সবাইকে নমস্কার!

সবার আগে কয়েকজন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই যাতে আপনাদের সুবিধা হয়। শ্রী মনসুখভাই মাণ্ডব্য, ইনি আমাদের নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডঃ ভারতী পাওয়ারজি। তিনি এখানে বসে আছেন। আরও দু’জন যাঁদের সঙ্গে আপনাদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে তাঁরা হলেন, ডোনার মন্ত্রকের নতুন মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজি আর তাঁর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শ্রী বি এল ভার্মাজি। এঁদের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।

বন্ধুগণ,

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনারা সবাই উত্তর-পূর্ব ভারতে কিভাবে বিভিন্ন উদ্ভাবক ভাবনা নিয়ে লড়াই করছেন, পরিশ্রম করছেন, পরিকল্পনা রচনা করছেন, বাস্তবায়িত করছেন – এইসব বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আপনারা, এক প্রকার গোটা দেশ, এবং বিশেষ করে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেকে যেভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য গত ১.৫ বছর ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে চলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের নানা ভৌগোলিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও টেস্টিং এবং ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে টিকাকরণের পরিকাঠামো তৈরি করা পর্যন্ত লাগাতার কাজ করে চলেছেন। আজ আমি বিশেষভাবে দেখেছি, আপনারা যেভাবে কাজ করছেন, চারটি রাজ্যের এখনও অনেক কিছু উন্নতি করার বাকি রয়েছে। কিন্তু বাকিরা অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে টিকার ওয়েস্টেজকে বড় মাত্রায় প্রতিহত করেছেন। শুধু তাই নয়, আপনারা প্রত্যেক ভায়াল থেকে ম্যাক্সিমাম ইউটিলিটির কাজও করেছেন আর এক প্রকার আপনারা ‘প্লাস’ করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন। আমি আপনাদের এই প্রচেষ্টাকে, আর বিশেষ করে যাঁরা আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজ করছেন, যাঁরা এই দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেই টিমকেও আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই কারণ টিকাকরণ অভিযানের ক্ষেত্রে টিকার গুরুত্ব এত বেশি আর এভাবে সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে এর ব্যবস্থাপনা প্রশংসার দাবি রাখে। সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মরত প্রত্যেক বন্ধুকে শুভকামনা জানাই আর যে চারটি রাজ্যে এখনও কিছু ত্রুটি অনুভূত হচ্ছে, সেখানেও এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

বন্ধুগণ,

বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা সকলেই খুব ভালোভাবে পরিচিত। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার মিলেমিশে যে সামগ্রিক প্রচেষ্টা করেছে তার পরিণামও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জেলা এমন রয়েছে যেখানে সংক্রমণ এখনও ক্রমবর্ধমান। এই সংক্রমণের সঙ্কেতগুলিকে আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের আরও সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে, আর জনগণকেও লাগাতার সচেতন করে যেতে হবে। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের মাইক্রো লেভেলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর একটু আগেই হেমন্ত বিশ্বশর্মাজি বলছিলেন যে তাঁরা লকডাউনের পথ বেছে নেননি, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের পথ বেছে নিয়েছেন। ছয় হাজারেরও বেশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে, কোথায় কার কি দায়িত্ব সেটা সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। সেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের যিনি ইনচার্জ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা যাবে যে ভাই আপনার সমস্যা কি? কেন সামলাতে পারছেন না? বা কিভাবে আপনি উন্নতি করেছেন। কিভাবে সামলেছেন। সেজন্য যত বেশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপর জোর দেওয়া হবে, তত দ্রুত আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। বিগত দেড় বছরে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তার বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলিকে আমরা যেভাবে দেখেছি, সেগুলিকে আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে হবে। দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবক পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। আপনাদের রাজ্যেরও কিছু জেলায়, কিছু গ্রামে আধিকারিকরা হয়তো নানা উদ্ভাবক পদ্ধতিতে এই সংক্রমণকে রুখতে সফল হয়েছেন। এই বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে যতটা প্রচারিত করা সম্ভব হবে, জনগণকে সচেতন করা যাবে, এই লড়াইয়ে আমাদের তত সুবিধা হবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের করোনা ভাইরাসের প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টের দিকেও নজর রাখতে হবে কারণ এই ভাইরাস ভীষণরকম বহুরূপী। বারবার নিজের রং, রূপ বদলে নেয় আর সেজন্য আমাদের জন্য নতুন নতুন সমস্যা দাঁড় করায়। সেজন্য প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখতে হবে এবং তাদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মিউটেশনের পর কোন ভ্যারিয়েন্ট কতটা সমস্যায় ফেলছে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা লাগাতার গবেষণা করছেন। এদের প্রত্যেক রূপান্তরণের দিকেই নজর রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা উভয়েই অত্যন্ত জরুরি। উভয় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত উপায়গুলি নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়তে হবে, সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে এগুলিকে ধরতে হবে, ভাইরাসের সংক্রমণ দুই গজের দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক এবং টিকাকরণ কবচ ব্যবহার করলে দুর্বল হতে বাধ্য। এটাই আমরা গত ১.৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি। সেজন্য আমাদের টেস্টিং, ট্র্যাকিং এবং ট্রিটমেন্টের যে পুরনো রণনীতি সে ক্ষেত্রেই বেশি জোর দিতে হবে। আমাদের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে হবে। তাহলেই আমরা আরও বেশি জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে সফল হব। গোটা বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে এটা প্রমাণ হয়েছে আর সেজন্য আমাদের প্রত্যেক নাগরিককে করোনা থেকে বাঁচাতে নির্ধারিত নিয়মগুলি পালন করতে হবে আর তা করার জন্য নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে যেতে হবে। সমাজে যাঁরা বুদ্ধিজীবী, যাঁরা আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁরা যেন বারবার এই বিষয় নিয়ে মানুষকে শিক্ষা দিতে থাকেন, সচেতন করতে থাকেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

বন্ধুগণ,

এটা ঠিক যে করোনার ফলে পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আজকে আমি খুব জোর দিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে হিল স্টেশনগুলিতে, বাজারগুলিতে মাস্ক না পরে, কোনও নির্দেশাবলীকে পাত্তা না দিয়ে ভিড় করা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এই ভিড়কে প্রশ্রয় দেওয়াটা ঠিক নয়। আমরা অনেকবার এই বিষয়ে অনেক যুক্তি শুনেছি, অনেকে বুক চিতিয়ে বলেন, আরে ভাই, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আমরা একটু সময়টাকে উপভোগ করতে চাই। একথা মানুষের বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে তৃতীয় ঢেউ নিজে থেকে আসবে না। কখনও মানুষ প্রশ্ন করেন, তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে? তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আপনারা কী করবেন? আমার মতে, আজকে এই প্রশ্ন করা উচিৎ যে তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে আমাদের মনে আমরা কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা কিভাবে দক্ষতার সঙ্গে নিয়মাবলী পালন করতে পারি! এই করোনা এমন একটা ভাইরাস যা কখনও নিজে থেকে আসে না। কেউ গিয়ে ওকে নিয়ে এলে তবেই আসে। সেজন্য আমরা যদি এই নিয়মাবলী নিয়মিত পালন করি এবং জনমনে সচেতনতা ও সতর্কতা বজায় রাখি, তাহলে আমরা তৃতীয় ঢেউকেও প্রতিরোধ করতে পারব। তৃতীয় ঢেউ আসার পর কতটা ক্ষতি করবে তা একটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু আসার আগেই প্রতিরোধ করা একটা প্রধান বিষয়। আর সেজন্য আমাদের নাগরিকদের সচেতনতা, সতর্কতা, নিয়মাবলী পালন – এইসব বিষয়ে আমাদের সামান্যতম সমঝোতা করলে চলবে না। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যে সামান্য অসাবধানতা, গাফিলতি, ভিড়-ভারই করোনা সংক্রমণের উত্তাল ঢেউ আনতে পারে। আর সেজন্য আমাদের প্রত্যেক স্তরে অত্যন্ত কঠোরভাবে এই সমস্ত নিয়মাবলী পালন করা অত্যন্ত জরুরি। অধিক ভিড় যেখানে হয় সেসব আয়োজনকে আমরা কি আটকাতে পারি? সেগুলিকে আমাদের আটকানো উচিৎ।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযানকে উত্তর-পূর্ব ভারতেও ততটাই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার জন্য আমাদের টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে হবে। আমাদের টিকাকরণ সংশ্লিষ্ট সমস্ত ভ্রম দূর করার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধার্মিক, শিক্ষা জগতের যত মানুষ আছেন, যত সেলিব্রিটি আছেন, তাঁদেরকে আমাদের সচেতনতা অভিযানে জুড়তে হবে। প্রত্যেকের মুখ দিয়ে একথা প্রচারিত করাতে হবে তবেই জনগণকে এই অভিযানে সামিল করা সম্ভব হবে। এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে যে প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে তার উল্লেখ আমি গোড়াতেই করেছি। যেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয় সবচাইতে বেশি, সেখানে টিকাকরণের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে।

বন্ধুগণ,

টেস্টিং এবং ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২৩ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন প্যাকেজ মঞ্জুর করেছে। উত্তর-পূর্বের প্রত্যেক রাজ্যকে এই প্যাকেজ থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে টেস্টিং, ডায়াগনস্টিক, জিনোম সিকোয়েন্সিং, ইত্যাদি পর্যায়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে সুবিধা হবে। যেখানে সংক্রমণের হার বেশি সেখানে দ্রুত আইসিইউ শয্যা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও অর্থের জোগান অব্যাহত রাখা হবে। বিশেষভাবে আমাদের অক্সিজেন এবং পেডিয়াট্রিক কেয়ার সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পিএম কেয়ার্স-এর মাধ্যমে সারা দেশে কয়েক হাজার নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনারা, মুখ্যমন্ত্রীরাও এই কাজে যত দ্রুতগতিতে উন্নতি হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য প্রায় ১,৫০০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট মঞ্জুর হয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ যে এগুলি যেন দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হয়, এগুলি গড়ে উঠতে যেন কোনও বাধা না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন আর সেজন্য প্রয়োজনীয় যত মানবসম্পদ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যান যাতে প্রয়োজনের সময় কোনও সমস্যা না হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের ভৌগোলিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অনেক জায়গায় অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রয়োজনও হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যেমনটি আমি শুরুতে বলেছি, তবুও আরেকবার বলতে চাই, মানবসম্পদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়ন। যে অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে, যে আইসিইউ ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে, যে নতুন নতুন মেশিন ব্লকস্তরের হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি সুচারুরূপে সঞ্চালনার জন্য প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ অবশ্যই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনাদের যত ধরনের যেরকম সাহায্য চাই, কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের দিকে সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।

বন্ধুগণ,

আজ আমরা গোটা দেশে দৈনিক ২০ লক্ষেরও বেশি টেস্ট করার ক্ষমতা অর্জন করেছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রত্যেক জেলায় বিশেষ করে অধিক সংক্রমিত জেলাগুলিতে টেস্টিং পরিকাঠামোর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু তাই নয়, র‍্যান্ডাম টেস্টিং-এর পাশাপাশি আমাদের ক্লাস্টারগুলির সম্পূর্ণ ব্লকে অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিংও করতে হবে। আর এই অ্যাগ্রেসিভ টেস্টিং-এর সুবিধা গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টায়, দেশের জনগণের সহযোগিতায় আমরা করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করতে অবশ্যই সফল হব। আমি আরেকবার বিস্তারিতভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে আমরা অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে পারি। আমার বিশ্বাস, এর ফলে আগামীদিনে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে তা দ্রুতগতিতে প্রতিহত করতে আমাদের সম্পূর্ণ টিম এগিয়ে যাবে এবং সাফল্য পাবে। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভকামনা। দ্রুতগতিতে আমার উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাই-বোনদের করোনা মুক্তির আনন্দ প্রদান করুন।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।