“গোয়া মানে আনন্দ, গোয়া মানে প্রকৃতি, গোয়া মানে পর্যটন। কিন্তু আজ আমি বলব যে – গোয়া মানে উন্নয়নের নতুন মডেল, গোয়া মানে সামগ্রিক প্রচেষ্টার প্রতিবিম্ব, গোয়া মানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বস্তরে উন্নয়নের খাতিরে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা”
“ওডিএফ, বিদ্যুৎ, জল, দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার মতো প্রকল্পে গোয়া ১০০ শতাংশ সফল”
“ টিম গোয়ার এই নতুন ‘টিম স্পিরিট’-এরই পরিণাম স্বয়ংপূর্ণ গোয়ার এই সঙ্কল্প”
“গোয়ায় বিকশিত নতুন পরিকাঠামোগুলির মাধ্যমে কৃষক, পশুপালক এবং আমাদের মৎস্যজীবী বন্ধুদের রোজগার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে”
“ভারতের টিকাকরণ অভিযানেও গোয়া সহ দেশের সেই রাজ্যগুলিকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে, যেগুলি পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র”

আত্মনির্ভর ভারতাচে সপন, স্বয়ংপূর্ণ গোয়া এব–জণে–তল্যেন, সাকার করপী গোয়কারাংক এবকার। তুমচ্যা-সারখ্যা, ধড-পড-করপী, লোকাংক লাগূন, গোংয় রাজ্যাচো গরজো, গোয়াংতচ ভাগপাক সুরু জাল্যাত, হী খোশয়েচী গজাল আসা,

যখন সরকারের সমস্ত উদ্যোগের সঙ্গে জনগণের পরিশ্রম যুক্ত হয়, তখন কিরকম পরিবর্তন আসে, কিরকম আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে তা আজ আমরা সবাই স্বয়ংপূর্ণ গোয়ার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বারবার অনুভব করেছি। গোয়াকে এই সার্থক পরিবর্তনের পথ যিনি দেখিয়েছেন, সেই জনপ্রিয় এবং প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্তজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সহযোগী শ্রীপদ নায়েকজি, গোয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর অঝগাওকরজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী চন্দ্রকান্ত কেওলেকরজি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা পরিষদ সদস্যগণ, পঞ্চায়েত সদস্যগণ, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ এবং আমার প্রিয় গোয়ার ভাই ও বোনেরা!

কথিত আছে, গোয়া মানে আনন্দ, গোয়া মানে প্রকৃতি, গোয়া মানে পর্যটন। কিন্তু আজ আমি বলব যে – গোয়া মানে উন্নয়নের নতুন মডেল, গোয়া মানে সামগ্রিক প্রচেষ্টার প্রতিবিম্ব, গোয়া মানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বস্তরে উন্নয়নের খাতিরে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

বন্ধুগণ,

বিগত বছরগুলিতে দেশ নানা অভাব থেকে বেরিয়ে এসে জীবনধারণের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণকে নিজেদের উদ্দেশ্য করে তুলেছে। যে মৌলিক সুবিধাগুলি থেকে দেশের জনগণ অনেক বছর ধরে বঞ্চিত ছিলেন, সেই সুবিধাগুলি প্রদান করে দেশবাসীর জীবনকে সহজ করার উদ্যোগকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ বছর ১৫ আগস্টে আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রদত্ত ভাষণে বলেছিলাম যে আমাদের এখন এই প্রকল্পগুলিকে স্যাচুরেশনে পৌঁছে দিতে হবে, অর্থাৎ, ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এই লক্ষ্যগুলি পূরণের ক্ষেত্রে প্রমোদ সাওয়ান্তজি এবং তাঁর টিমের নেতৃত্বে গোয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ভারত উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্তির লক্ষ্য রেখেছিল। গোয়া ইতিমধ্যেই তা ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত করেছে। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রেও গোয়া ১০০ শতাংশ সফল। প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযানেও গোয়া সবার আগে ১০০ শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে। দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রেও গোয়া ১০০ শতাংশ সফল!

বন্ধুগণ,

দু’দিন আগে ভারত ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ দেওয়ার সাফল্য অর্জন করেছে। এতেও প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে গোয়া ১০০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। গোয়া এখন দ্বিতীয় ডোজের জন্য ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের জন্য সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে মহিলাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নানারকম সুবিধা ও সম্মানের খাতিরে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রকল্প চালু করেছে, গোয়ায় সেগুলির বাস্তবায়নও অত্যন্ত সফলভাবে হয়েছে। শৌচালয় থেকে শুরু করে উজ্জ্বলা রান্নার গ্যাস সংযোগ কিংবা জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, গোয়ার মহিলাদের এই সকল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকার খুব ভালো কাজ করেছে। এর ফলে করোনা লকডাউনের সময় হাজার হাজার বোনেরা বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়েছে, বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিয়ে গোয়া সরকার অনেকের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। এখন গোয়া সরকার ‘গৃহ আধার’ এবং ‘দীনদয়াল সোশ্যাল সিকিউরিটি’-র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে গোয়ার বোনেদের জীবন আরও উন্নত করে তোলার কাজ করছে।

ভাই ও বোনেরা,

যখন কঠিন সময় আসে, নানারকম প্রতিকূলতা আসে, তখনই প্রকৃত সামর্থ্য বোঝা যায়। বিগত দেড় দুই বছরে গোয়ার সামনে ১০০ বছরের সর্ববৃহৎ মহামারী যেমন এসেছে, তেমনই ভীষণ ঘূর্ণিঝড় এবং প্রলয়ঙ্করী বন্যার বিভীষিকাও গোয়াবাসীকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে। আমি অনুভব করি, এর ফলে গোয়ার পর্যটন ক্ষেত্রটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এ সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গোয়ার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিগুণ শক্তি দিয়ে গোয়ার জনগণকে ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ করে গেছে। আমরা গোয়া সরকারের কাজকে থামতে দিইনি। আমি প্রমোদজি এবং তাঁর গোটা দলকে অভিনন্দন জানাব যে তাঁরা স্বয়ংপূর্ণ গোয়া অভিযানকে গোয়ার উন্নয়নের ভিত্তি করে তুলেছেন। এখন এই মিশনকে আরও দ্রুত করার জন্য ‘সরকার তুমচ্যাদারী’র বড় পদক্ষেপও নিয়েছে।

বন্ধুগণ,

এটা ‘প্রো-পিপল প্রোঅ্যাক্টিভ গভর্ন্যান্স’-এর সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এর ফলে, বিগত সাত বছরে দেশ অনেকটা এগিয়ে গেছে। এমন প্রশাসন যেখানে সরকার নিজে নাগরিকের কাছে যায় আর তাঁর সমস্যাগুলি সমাধান করে। গোয়াও গ্রামস্তরে, পঞ্চায়েত ও জেলাস্তরে একটি ভালো মডেল গড়ে তুলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যেভাবে কেন্দ্রের অনেক অভিযানে এখন পর্যন্ত গোয়া ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে, বাকি অন্যান্য লক্ষ্য পূরণের জন্যও এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনারা দ্রুত সেগুলির সমাধান করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

আমি গোয়া নিয়ে কথা বলব আর ফুটবল নিয়ে বলব না, এটা হতে পারে না। ফুটবলের জন্য গোয়ার পাগলামি অত্যন্ত আলাদা। ফুটবলের জন্য গোয়ার উন্মাদনা অতুলনীয়। ফুটবলে রক্ষণ বিভাগ হোক কিংবা আক্রমণ বিভাগ, সবই ‘গোল ওরিয়েন্টেড’। কাউকে গোল বাঁচাতে হচ্ছে, আর কাউকে গোল করতে হচ্ছে। নিজের নিজের গোল বা লক্ষ্য পূরণের এই ভাবনা গোয়ার জনগণের মধ্যে কখনই কম ছিল না। কিন্তু আগে যে সরকারগুলি ছিল, তাদের কাজকর্মে একটি ‘টিম স্পিরিট’ বা ইতিবাচক আবহ গড়ে তোলার ত্রুটি ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে গোয়ায় অনুশাসনের সবচাইতে বড় শত্রু ছিল রাজনৈতিক স্বার্থ। গোয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতাও রাজ্যের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু, গত কয়েক বছরে গোয়ার পরিণতমনস্ক জনগণ এই অস্থিরতা দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। আমার বন্ধু স্বর্গীয় মনোহর পররিকরজি গোয়াকে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের মাধ্যমে যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদজির টিম সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে এই উন্নয়নযাত্রাকে নতুন উচ্চতা প্রদান করেছে। আজ গোয়া নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ‘টিম গোয়া’র এই নতুন ‘টিম স্পিরিট’-এরই পরিণাম স্বয়ংপূর্ণ গোয়ার এই সঙ্কল্প।

ভাই ও বোনেরা,

গোয়ায় একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ গ্রামীণ সংস্কৃতি এবং একটি আকর্ষণীয় নাগরিক জীবনও রয়েছে। গোয়ায় খেত-খামারও আছে আর পাশাপাশি ‘ব্লু ইকনমি’ বা সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্রবাণিজ্য নির্ভর অর্থনীতি’ বিকাশের সম্ভাবনাও আছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজনীয় তা গোয়ার কাছে আছে। সেজন্য গোয়ার সম্পূর্ণ বিকাশকে আপনাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার অত্যন্ত বড় অগ্রাধিকার দিয়েছে।

বন্ধুগণ,

ডবল ইঞ্জিন সরকার গোয়ার গ্রামীণ নাগরিক ও সমুদ্রতীর তটবর্তী পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখছে। গোয়ার দ্বিতীয় বিমানবন্দর ও লজিস্টিক্স হাব নির্মাণ, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেবল ব্রিজ বা সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ন্যাশনাল হাইওয়ে নির্মাণ – এসব পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজই তো গোয়ায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ভাই ও বোনেরা,

গোয়ায় বিকশিত নতুন পরিকাঠামোগুলির মাধ্যমে কৃষক, পশুপালক এবং আমাদের মৎস্যজীবী বন্ধুদের রোজগার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হয়েছে। গ্রামীণ পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য এ বছর গোয়া যে তহবিল পেতে চলেছে তা আগের তুলনায় পাঁচগুণেরও বেশি। গোয়ার গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গোয়াকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে গোয়ায় চলতে থাকা কাজ নতুন গতি পাবে।

বন্ধুগণ,

কৃষক এবং মৎস্যজীবীদের ব্যাঙ্ক এবং বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য যে প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকার রচনা করেছে, সেগুলিকে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গোয়া সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। গোয়ায় অনেক বড় সংখ্যায় ক্ষুদ্র কৃষকরা রয়েছেন। তাঁরা একদিকে যেমন ফল-সব্জি চাষের ওপর নির্ভরশীল, অন্যদিকে মৎস্যজীবীদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার যে সমস্যা ছিল, সেই সমস্যাগুলির মোকাবিলায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পকে বিস্তারিত করা হয়েছে। একদিকে ক্ষুদ্র কৃষকদের মিশন মোডে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে পশুপালক এবং মৎস্যজীবীদের প্রথমবার এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গোয়াতেও অনেক কম সময়ে হাজার হাজার নতুন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে আর কোটি কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমেও গোয়ার কৃষকদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এ ধরনের প্রচেষ্টার কারণে অনেক নতুন বন্ধুরাও কৃষিকে নিজেদের পেশা করে নিতে পেরেছেন। মাত্র এক বছরের মধ্যেই গোয়ায় ফল-সব্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে গোয়া রাজ্য সরকারও এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য ক্রয় করেছে।

বন্ধুগণ,

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পোদ্যোগ স্বয়ংপূর্ণ গোয়ার একটি বড় শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে। বিশেষ করে, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে গোয়া ভারতের অন্যতম প্রধান শক্তি হয়ে উঠতে পারে। ভারত কিছু সময় ধরে কাঁচামাছ রপ্তানি করছে। ভারতের মাছ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে প্রক্রিয়াকরণ হয়ে বিশ্বের সমস্ত বাজারে পৌঁছয়। এই পরিস্থিতিকে পরিবর্তনের জন্য দেশের মৎস্যপালন ক্ষেত্রকে প্রথমবার অনেক বড় স্তরে সাহায্য করা হচ্ছে। মাছের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রক গড়ে তোলা থেকে শুরু করে আমাদের মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলির আধুনিকীকরণ পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনার মাধ্যমেও গোয়াতে আমাদের মৎস্যজীবীরা অনেক সাহায্য পাচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

গোয়ার পরিবেশ এবং গোয়ার পর্যটন – উভয়ের উন্নয়ন ভারতের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। গোয়া, ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রের একটি প্রধান কেন্দ্র। দ্রুতগতিতে ক্রমবর্ধমান ভারতের অর্থনীতিতে ‘ট্যুর, ট্র্যাভেল অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি’-র অংশীদারিত্ব ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান। এতে গোয়ার অংশীদারিত্ব স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। বিগত কয়েক বছর ধরে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরের উন্নয়নের গতি বাড়াতে সমস্ত রকমের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সাহায্য করা হচ্ছে। ‘ভিসা অন অ্যারাইভ্যাল’-এর পরিষেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। কানেক্টিভিটি ছাড়াও অন্যান্য পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিগত বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার গোয়াকে কোটি কোটি টাকা সাহায্য করেছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের টিকাকরণ অভিযানেও গোয়া সহ দেশের সেই রাজ্যগুলিকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে, যেগুলি পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র। এর ফলে গোয়াও অত্যন্ত লাভবান হয়েছে। গোয়া দিন-রাত চেষ্টা করে নিজের রাজ্যের সমস্ত যোগ্য জনগণকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে। এখন সমগ্র দেশই ১০০ কোটি টিকার ডোজের পরিসংখ্যান অতিক্রম করেছে। এর ফলে দেশের জনগণের মনে বিশ্বাস বেড়েছে, পর্যটকদের মনে বিশ্বাস বেড়েছে। এখন আপনারা যখন দীপাবলি, ক্রিস্টমাস এবং নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন নানা উৎসব এবং ছুটির ঋতুতে গোয়ার পর্যটন ক্ষেত্রে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। গোয়াতে স্বদেশী এবং বিদেশি – উভয় প্রকার পর্যটকের আসা-যাওয়া নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এটা গোয়ার পর্যটন শিল্পের জন্য বড় শুভ সঙ্কেত।

ভাই ও বোনেরা,

যখন গোয়া এ ধরনের উন্নয়নের প্রত্যেক সম্ভাবনাকে ১০০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারবে, তখনই গোয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশাগুলিকে বাস্তবায়নের সঙ্কল্প নিয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া মা, বোন ও কন্যাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, নিরাপত্তা ও সম্মানের ভরসা। স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া আজ যুব সম্প্রদায়ের জন্য রোজগার এবং স্বনির্ভর রোজগারের সুযোগ এনে দিচ্ছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়ায় রাজ্যের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ঝলক পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা শুধুই পাঁচ মাস বা পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প নয়, এটি আগামী ২৫ বছরের প্রয়োজনগুলির কথা ভেবে গ্রহণ করা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপের  প্রথম পর্যায়। এই পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য গোয়ার প্রত্যেক নাগরিককে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এর জন্য গোয়ায় ক্রমাগত ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই যাতে এই রাজ্যে উন্নয়নের নিরন্তর সুযোগ পাওয়া যায়। গোয়ার এখন যেমন স্পষ্ট নীতি চাই, তেমনই ভবিষ্যতে এখনকার মতো স্থির সরকার চাই, এখনকার মতো প্রাণশক্তিতে ভরপুর নেতৃত্ব চাই। সম্পূর্ণ গোয়ার জনগণের বিপুল আশীর্বাদে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়ার সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করবো, এই বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM chairs 45th PRAGATI Interaction
December 26, 2024
PM reviews nine key projects worth more than Rs. 1 lakh crore
Delay in projects not only leads to cost escalation but also deprives public of the intended benefits of the project: PM
PM stresses on the importance of timely Rehabilitation and Resettlement of families affected during implementation of projects
PM reviews PM Surya Ghar Muft Bijli Yojana and directs states to adopt a saturation approach for villages, towns and cities in a phased manner
PM advises conducting workshops for experience sharing for cities where metro projects are under implementation or in the pipeline to to understand the best practices and key learnings
PM reviews public grievances related to the Banking and Insurance Sector and emphasizes on quality of disposal of the grievances

Prime Minister Shri Narendra Modi earlier today chaired the meeting of the 45th edition of PRAGATI, the ICT-based multi-modal platform for Pro-Active Governance and Timely Implementation, involving Centre and State governments.

In the meeting, eight significant projects were reviewed, which included six Metro Projects of Urban Transport and one project each relating to Road connectivity and Thermal power. The combined cost of these projects, spread across different States/UTs, is more than Rs. 1 lakh crore.

Prime Minister stressed that all government officials, both at the Central and State levels, must recognize that project delays not only escalate costs but also hinder the public from receiving the intended benefits.

During the interaction, Prime Minister also reviewed Public Grievances related to the Banking & Insurance Sector. While Prime Minister noted the reduction in the time taken for disposal, he also emphasized on the quality of disposal of the grievances.

Considering more and more cities are coming up with Metro Projects as one of the preferred public transport systems, Prime Minister advised conducting workshops for experience sharing for cities where projects are under implementation or in the pipeline, to capture the best practices and learnings from experiences.

During the review, Prime Minister stressed on the importance of timely Rehabilitation and Resettlement of Project Affected Families during implementation of projects. He further asked to ensure ease of living for such families by providing quality amenities at the new place.

PM also reviewed PM Surya Ghar Muft Bijli Yojana. He directed to enhance the capacity of installations of Rooftops in the States/UTs by developing a quality vendor ecosystem. He further directed to reduce the time required in the process, starting from demand generation to operationalization of rooftop solar. He further directed states to adopt a saturation approach for villages, towns and cities in a phased manner.

Up to the 45th edition of PRAGATI meetings, 363 projects having a total cost of around Rs. 19.12 lakh crore have been reviewed.