“Today the cheetah has returned to the soil of India”
“When we are away from our roots, we tend to lose a lot”
“Amrit has the power to revive even the dead”
“International guidelines are being followed and India is trying its best to settle these cheetahs”
“Employment opportunities will increase as a result of the growing eco-tourism”
“For India, nature and environment, its animals and birds, are not just about sustainability and security but the basis of India’s sensibility and spirituality”
“Today a big void in our forest and life is being filled through the cheetah”
“On one hand, we are included in the fastest growing economies of the world, at the same time the forest areas of the country are also expanding rapidly”
“Since 2014, about 250 new protected areas have been added in the country”
“We have achieved the target of doubling the number of tigers ahead of time”
“The number of elephants has also increased to more than 30 thousand in the last few years”
“Today 75 wetlands in the country have been declared as Ramsar sites, of which 26 sites have been added in the last 4 years”

প্রিয় দেশবাসী,

মানুষের জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে যখন সময়ের আবর্তন অতীতকে সংশোধন করে এক নতুন ভবিষ্যৎ গঠনের সুযোগ নিয়ে উপস্থিত হয় আমাদের সামনে। সৌভাগ্যের বিষয়, এমনই একটি মুহূর্ত উপস্থিত আমাদের কাছে। আজ জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে আমাদের সুদীর্ঘ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এক সুযোগ আজ আমরা পেয়েছি। এই সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল বহু দশক আগে এবং এক সময় তা প্রায় নিশ্চিহ্নই হয়ে যায়। আজ হল এমনই একটি দিন যখন চিতার প্রত্যাবর্তন ঘটল ভারতের মাটিতে। এই সময় আমার একটি কথা বলতে খুবই ইচ্ছা করছে এবং তা হল এই যে চিতার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রকৃতি প্রেমের চেতনা আজ পুনরায় জাগ্রত হল। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি অভিনন্দন জানাই সকল দেশবাসীকে।

আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বন্ধু দেশ নামিবিয়া ও সেই দেশের সরকারকে। বেশ কয়েক দশক পর তাদের সহযোগিতাতেই চিতা আবার ফিরে এল ভারতের মাটিতে।

চিতার আগমন প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্বশীলতা সম্পর্কেই শুধুমাত্র সচেতন করে তুলবে না, একইসঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও আমাদের সজাগ করে দেবে।

বন্ধুগণ,

যখনই আমরা মূল বা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি, তখন আমাদের অনেক কিছুই হারাতে হয়। এই কারণেই আমরা বারংবার তুলে ধরেছি ‘পঞ্চপ্রাণ’ অর্থাৎ, পাঁচটি সঙ্কল্পের কথা। স্বাধীনতার এই অমৃতকালে এ হল আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্বিত হওয়ার এবং সেইসঙ্গে দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার এক সঙ্কল্পবিশেষ। বিগত শতকগুলিতে আমরা এমন এক সময়েরও সাক্ষী থেকেছি যখন প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার উন্মাদনাকে মনে করা হত ক্ষমতা ও আধুনিকতার এক বিশেষ প্রতীক। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে শেষ তিনটি চিতার যখন অবলুপ্তি ঘটে, তার পরেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে তাদের নির্মমভাবে শিকারের চেষ্টা চালানো হয় পরবর্তী কয়েকটি বছর ধরে। খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ১৯৫২ সালে চিতাকে ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন একটি প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাদের পুনর্বাসন সম্পর্কে পরবর্তী দশকগুলিতে অর্থবহ বা ফলপ্রসূ কোনো প্রচেষ্টাই চালানো হয়নি।

স্বাধীনতার অমৃতকালে চিতা প্রাণীটির পুনর্বাসনে এক নতুন উদ্যম গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে আমাদের দেশ। ‘অমৃত’-এর মাহাত্ম্যই হল মৃতের মধ্যেও জীবনদান। আমি আনন্দিত যে আমাদের কর্তব্য ও বিশ্বাসের অমৃত আমাদের সেই হৃত ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের আবার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে। সেইসঙ্গে, একদা নিশ্চিহ্ন চিতাকে আবার ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বাধীনতার অমৃতকালে। 

বহু বছরের কঠোর পরিশ্রমেই তা সম্ভব হয়েছে। এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার পেছনে বহু শক্তি আমরা ব্যয় করেছি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এর কোনো গুরুত্বকেই স্বীকার করা হয়নি। ‘চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির কাজ আমরা ছকে ফেলেছিলাম। তার বাস্তবায়নে দেশের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে সমীক্ষা ও গবেষণার কাজ চালিয়ে গেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদল যেমন এই উদ্দেশ্যে নামিবিয়া সফর করেছেন, সে দেশের প্রতিনিধিরাও তেমনভাবেই ভারত সফরে এসেছেন। চিতার উপযুক্ত বাসস্থান খুঁজে দেখতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো হয়েছে দেশজুড়ে। শেষ পর্যন্ত কুনো জাতীয় উদ্যানটিকে বেছে নেওয়া হয় এই শুভ কাজের সূচনা হিসেবে। আমাদের সেই কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজ আমাদের সামনে উপস্থিত।

বন্ধুগণ,

প্রকৃতি ও পরিবেশ যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যতও যে সুরক্ষিত থাকবে এটা প্রমাণিত সত্য। এই বাতাবরণে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির বহু পথই তখন খুলে যায়। কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতারা যখন নির্ভয়ে বিচরণ করবে, তখন প্রাকৃতিক পরিবেশে এই তৃণভূমিকেও আমরা আবার নতুন করে ফিরে পাব। জীববৈচিত্র্যেরও প্রসার ও উন্নয়ন ঘটবে এর সাথে সাথেই। আগামী দিনগুলিতে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে ‘প্রকৃতি পর্যটন’। উন্নয়নের নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন এখানে সৃষ্টি হবে, তেমনই প্রসার ঘটবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিরও। আজ আমি এই প্রসঙ্গে সকল দেশবাসীর কাছে একটি আবেদন জানাতে চাই। কুনো জাতীয় উদ্যানে আজ যে চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হল, সেগুলি দেখার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে দেশবাসীকে। এই চিতাগুলি আজ এখানে উপস্থিত হয়েছে আমাদের অতিথি রূপে এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে তারা এখনও সেভাবে পরিচিত নয়। তাই, কুনো জাতীয় উদ্যানকে যাতে তারা তাদের বাসভূমি বলে মেনে নিতে পারে, সেটুকু সুযোগ তাদের কয়েক মাসের জন্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অনুসরণ করেই চিতা পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে কখনই আমরা বিফল হতে দেব না। 

বন্ধুগণ,

প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নে বিশ্ববাসীও এখন নিরন্তর উন্নয়ন সম্পর্কে সরব হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি ও পরিবেশ, পাখি ও জীবজন্তু শুধুমাত্র ভারতের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার প্রতীকমাত্র নয়, একইসঙ্গে আমাদের সংবেদনশীলতা ও আধ্যাত্মিকতারও তারা দ্যোতকও বটে। আমরা হলাম এমনই এক জাতি যাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নির্ভরশীল ‘সর্বম খলবিদম ব্রহ্মা’ - এই মন্ত্রটির মধ্যে। এর অর্থ, পশুপাখি, গাছপালা, মূল, শিকড় ও চেতনা – এ সমস্ত কিছুর মধ্যেই ঈশ্বর বিরাজমান। এ সমস্ত কিছুই হল আমাদের প্রসারমানতারই প্রতীক। আমরা বলে থাকি : 

‘পরম পরোপকার্থম
যো জীবতি স জীবতি’

এর অর্থ, ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থসিদ্ধির মধ্যেই প্রকৃত জীবনের অর্থকে খুঁজে পাওয়া যায় না। দয়া, মায়া, সহমর্মিতা – এর মধ্য দিয়েই জীবনের সত্যকে অনুসন্ধান করতে হয়। এই কারণেই আমরা নিজেরা আমাদের খাদ্য গ্রহণের আগে অন্যান্য প্রাণী ও পাখির খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিই। আমাদের চারপাশে ক্ষুদ্রতম যে প্রাণীগুলি ঘুরে বেরায়, তাদের প্রতিও যত্নবান হওয়ার শিক্ষা আমরা লাভ করেছি। যদি কোনো প্রাণীর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে, তাহলে আমরা আমাদের অনেক সময় অপরাধী বলে মনে করি। সুতরাং, শুধু আমাদের জন্যই যখন কোনো প্রজাতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেই পরিস্থিতিকে আমরা কিভাবে সহ্য করতে পারি বলুন?

যে চিতা সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে নানা কথা শুনে দেশের শিশুরা বড় হয়েছে, তাদের অনেকেই হয়তো জানে না যে গত শতাব্দীতেই সেগুলির অবলুপ্তি ঘটে তাদের নিজেদের দেশেই। বর্তমানে চিতার দেখা মেলে ইরান ও আফ্রিকার কয়েকটি মাত্র দেশে। কিন্তু এই তালিকা থেকে ভারতের নাম লুপ্ত হয়েছে অনেকদিন আগেই। অদূর ভবিষ্যতে দেশের শিশুদের আর এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে না। তাদের নিজেদের দেশেই চিতাদের তারা ঘোরাফেরা করতে দেখবে কুনো জাতীয় উদ্যানে। দেশে অরণ্য এবং আমাদের জীবনে এতদিন যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, ভারতে চিতা ফিরে আসায় তার আজ পূরণ হল। 

বন্ধুগণ,

একুশ শতকের ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে এই বার্তাই পৌঁছে দিয়েছে যে পরিবেশ ও অর্থনীতি কখনই পরস্পর বিরোধী নয়। কারণ, পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে। ভারত বিশ্বকে এটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছে। আজ একদিকে যেমন আমরা বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতির অংশীদার হয়ে উঠতে পেরেছি, অন্যদিকে দেশের অরণ্যভূমিরও ক্রমপ্রসার ঘটেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর দেশের ২৫০টি নতুন এলাকাকে সংরক্ষিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সিংহের এশিয়া প্রজাতির বংশ বৃদ্ধিও এখানে ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। দেশে এশিয়া প্রজাতির সিংহের এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসভূমি হয়ে উঠেছে গুজরাট। বহু বছরের কঠিন পরিশ্রম, সমীক্ষা ও গবেষণার ভিত্তিতে গৃহীত নীতি এবং সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এর পেছনে। আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে গুজরাটে আমাদের এক সঙ্কল্প গ্রহণের কথা। ‘বন্যপ্রাণীর প্রতি আমাদের সম্ভ্রমকে আমরা জাগিয়ে রাখব এবং কোনভাবেই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যাব না’ – এই মন্ত্রটি আমরা গ্রহণ করেছিলাম। সেই শপথ গ্রহণের ফল আজ আমাদের সামনে উপস্থিত। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দেশে বাঘের সংখ্যাকে দ্বিগুণ করে তোলার লক্ষ্যমাত্রাকে আমরা ছুঁতে পেরেছি। এক সময় আসামে একশৃঙ্গ গণ্ডারের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, কিন্তু আজ তাদের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে দেশে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। 

ভাই ও বোনেরা,

প্রকৃতি ও পরিবেশের দৃষ্টিকোণ থেকে আরও একটি বড় ধরনের কাজে আমরা সফল হয়েছি; তা হল, জলাভূমির সম্প্রসারণ। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন নির্ভরশীল জলাভূমির পরিবেশের ওপর। বর্তমানে দেশের ৭৫টি জলাভূমিকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে। এর মধ্যে ২৬টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গত চার বছরে। ভারতের এই প্রচেষ্টার ফল দেখা যাবে আগত শতাব্দীগুলিতে এবং এইভাবেই তা অগ্রগতির নতুন নতুন পথ খুলে দেবে। 

বন্ধুগণ,

আজকের দিনে আমাদের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সমস্যা, তার সমাধান এবং আমাদের জীবনধারণকে সার্বিকতার সঙ্গেই গ্রহণ করা। এই কারণেই ভারত ‘লাইফ’ বা প্রাণ – এই শব্দটিকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে এক নতুন অর্থে তা হল, ‘পরিবেশের স্বার্থে জীবনশৈলী’। আন্তর্জাতিক সৌর সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারত আজ বিশ্বকে এক নতুন মঞ্চ ও দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিয়েছে। আমাদের এই প্রচেষ্টার সাফল্য ভবিষ্যৎ বিশ্বের দিক নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। সুতরাং, আজ এমন একটি সময় আমাদের সামনে উপস্থিত যখন বিশ্ববাসীর চ্যালেঞ্জগুলিকে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের বিষয় বলে মনে করলে চলবে না, সেগুলিকে আমাদের নিজেদেরও চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভাবতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রায় একটু সামান্য পরিবর্তন, সমগ্র পৃথিবীর ভবিষ্যতের আধার হয়ে উঠতে পারে। আমি নিশ্চিত যে ভারতের প্রচেষ্টা ও তার ঐতিহ্য এই লক্ষ্যে চালিত করবে সমগ্র মানবজাতিকে। এক উন্নততর বিশ্ব সংসার গড়ে তোলার স্বপ্নকে আরও গভীর করে তুলবে।

এই বিশ্বাসের সঙ্গে আজ এই ঐতিহাসিক ও মূল্যবান মুহূর্তে আমি আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকেই জানাই আমার অভিনন্দন।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament

Media Coverage

MSME exports touch Rs 9.52 lakh crore in April–September FY26: Govt tells Parliament
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Assam has picked up a new momentum of development: PM Modi at the foundation stone laying of Ammonia-Urea Fertilizer Project in Namrup
December 21, 2025
Assam has picked up a new momentum of development: PM
Our government is placing farmers' welfare at the centre of all its efforts: PM
Initiatives like PM Dhan Dhanya Krishi Yojana and the Dalhan Atmanirbharta Mission are launched to promote farming and support farmers: PM
Guided by the vision of Sabka Saath, Sabka Vikas, our efforts have transformed the lives of poor: PM

उज्जनिर रायज केने आसे? आपुनालुकोलोई मुर अंतोरिक मोरोम आरु स्रद्धा जासिसु।

असम के गवर्नर लक्ष्मण प्रसाद आचार्य जी, मुख्यमंत्री हिमंता बिस्वा शर्मा जी, केंद्र में मेरे सहयोगी और यहीं के आपके प्रतिनिधि, असम के पूर्व मुख्यमंत्री, सर्बानंद सोनोवाल जी, असम सरकार के मंत्रीगण, सांसद, विधायक, अन्य महानुभाव, और विशाल संख्या में आए हुए, हम सबको आशीर्वाद देने के लिए आए हुए, मेरे सभी भाइयों और बहनों, जितने लोग पंडाल में हैं, उससे ज्यादा मुझे वहां बाहर दिखते हैं।

सौलुंग सुकाफा और महावीर लसित बोरफुकन जैसे वीरों की ये धरती, भीमबर देउरी, शहीद कुसल कुवर, मोरान राजा बोडौसा, मालती मेम, इंदिरा मिरी, स्वर्गदेव सर्वानंद सिंह और वीरांगना सती साध`नी की ये भूमि, मैं उजनी असम की इस महान मिट्टी को श्रद्धापूर्वक नमन करता हूँ।

साथियों,

मैं देख रहा हूँ, सामने दूर-दूर तक आप सब इतनी बड़ी संख्या में अपना उत्साह, अपना उमंग, अपना स्नेह बरसा रहे हैं। और खासकर, मेरी माताएँ बहनें, इतनी विशाल संख्या में आप जो प्यार और आशीर्वाद लेकर आईं हैं, ये हमारी सबसे बड़ी शक्ति है, सबसे बड़ी ऊर्जा है, एक अद्भुत अनुभूति है। मेरी बहुत सी बहनें असम के चाय बगानों की खुशबू लेकर यहां उपस्थित हैं। चाय की ये खुशबू मेरे और असम के रिश्तों में एक अलग ही ऐहसास पैदा करती है। मैं आप सभी को प्रणाम करता हूँ। इस स्नेह और प्यार के लिए मैं हृदय से आप सबका आभार करता हूँ।

साथियों,

आज असम और पूरे नॉर्थ ईस्ट के लिए बहुत बड़ा दिन है। नामरूप और डिब्रुगढ़ को लंबे समय से जिसका इंतज़ार था, वो सपना भी आज पूरा हो रहा है, आज इस पूरे इलाके में औद्योगिक प्रगति का नया अध्याय शुरू हो रहा है। अभी थोड़ी देर पहले मैंने यहां अमोनिया–यूरिया फर्टिलाइज़र प्लांट का भूमि पूजन किया है। डिब्रुगढ़ आने से पहले गुवाहाटी में एयरपोर्ट के एक टर्मिनल का उद्घाटन भी हुआ है। आज हर कोई कह रहा है, असम विकास की एक नई रफ्तार पकड़ चुका है। मैं आपको बताना चाहता हूँ, अभी आप जो देख रहे हैं, जो अनुभव कर रहे हैं, ये तो एक शुरुआत है। हमें तो असम को बहुत आगे लेकर के जाना है, आप सबको साथ लेकर के आगे बढ़ना है। असम की जो ताकत और असम की भूमिका ओहोम साम्राज्य के दौर में थी, विकसित भारत में असम वैसी ही ताकतवर भूमि बनाएंगे। नए उद्योगों की शुरुआत, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर का निर्माण, Semiconductors, उसकी manufacturing, कृषि के क्षेत्र में नए अवसर, टी-गार्डेन्स और उनके वर्कर्स की उन्नति, पर्यटन में बढ़ती संभावनाएं, असम हर क्षेत्र में आगे बढ़ रहा है। मैं आप सभी को और देश के सभी किसान भाई-बहनों को इस आधुनिक फर्टिलाइज़र प्लांट के लिए बहुत-बहुत शुभकामनाएँ देता हूँ। मैं आपको गुवाहटी एयरपोर्ट के नए टर्मिनल के लिए भी बधाई देता हूँ। बीजेपी की डबल इंजन सरकार में, उद्योग और कनेक्टिविटी की ये जुगलबंदी, असम के सपनों को पूरा कर रही है, और साथ ही हमारे युवाओं को नए सपने देखने का हौसला भी दे रही है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में देश के किसानों की, यहां के अन्नदाताओं की बहुत बड़ी भूमिका है। इसलिए हमारी सरकार किसानों के हितों को सर्वोपरि रखते हुए दिन-रात काम कर रही है। यहां आप सभी को किसान हितैषी योजनाओं का लाभ दिया जा रहा है। कृषि कल्याण की योजनाओं के बीच, ये भी जरूरी है कि हमारे किसानों को खाद की निरंतर सप्लाई मिलती रहे। आने वाले समय में ये यूरिया कारख़ाना यह सुनिश्चित करेगा। इस फर्टिलाइज़र प्रोजेक्ट पर करीब 11 हजार करोड़ रुपए खर्च किए जाएंगे। यहां हर साल 12 लाख मीट्रिक टन से ज्यादा खाद बनेगी। जब उत्पादन यहीं होगा, तो सप्लाई तेज होगी। लॉजिस्टिक खर्च घटेगा।

साथियों,

नामरूप की ये यूनिट रोजगार-स्वरोजगार के हजारों नए अवसर भी बनाएगी। प्लांट के शुरू होते ही अनेकों लोगों को यहीं पर स्थायी नौकरी भी मिलेगी। इसके अलावा जो काम प्लांट के साथ जुड़ा होता है, मरम्मत हो, सप्लाई हो, कंस्ट्रक्शन का बहुत बड़ी मात्रा में काम होगा, यानी अनेक काम होते हैं, इन सबमें भी यहां के स्थानीय लोगों को और खासकर के मेरे नौजवानों को रोजगार मिलेगा।

लेकिन भाइयों बहनों,

आप सोचिए, किसानों के कल्याण के लिए काम बीजेपी सरकार आने के बाद ही क्यों हो रहा है? हमारा नामरूप तो दशकों से खाद उत्पादन का केंद्र था। एक समय था, जब यहां बनी खाद से नॉर्थ ईस्ट के खेतों को ताकत मिलती थी। किसानों की फसलों को सहारा मिलता था। जब देश के कई हिस्सों में खाद की आपूर्ति चुनौती बनी, तब भी नामरूप किसानों के लिए उम्मीद बना रहा। लेकिन, पुराने कारखानों की टेक्नालजी समय के साथ पुरानी होती गई, और काँग्रेस की सरकारों ने कोई ध्यान नहीं दिया। नतीजा ये हुआ कि, नामरूप प्लांट की कई यूनिट्स इसी वजह से बंद होती गईं। पूरे नॉर्थ ईस्ट के किसान परेशान होते रहे, देश के किसानों को भी तकलीफ हुई, उनकी आमदनी पर चोट पड़ती रही, खेती में तकलीफ़ें बढ़ती गईं, लेकिन, काँग्रेस वालों ने इस समस्या का कोई हल ही नहीं निकाला, वो अपनी मस्ती में ही रहे। आज हमारी डबल इंजन सरकार, काँग्रेस द्वारा पैदा की गई उन समस्याओं का समाधान भी कर रही है।

साथियों,

असम की तरह ही, देश के दूसरे राज्यों में भी खाद की कितनी ही फ़ैक्टरियां बंद हो गईं थीं। आप याद करिए, तब किसानों के क्या हालात थे? यूरिया के लिए किसानों को लाइनों में लगना पड़ता था। यूरिया की दुकानों पर पुलिस लगानी पड़ती थी। पुलिस किसानों पर लाठी बरसाती थी।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस ने जिन हालातों को बिगाड़ा था, हमारी सरकार उन्हें सुधारने के लिए एडी-चोटी की ताकत लगा रही है। और इन्होंने इतना बुरा किया,इतना बुरा किया कि, 11 साल से मेहनत करने के बाद भी, अभी मुझे और बहुत कुछ करना बाकी है। काँग्रेस के दौर में फर्टिलाइज़र्स फ़ैक्टरियां बंद होती थीं। जबकि हमारी सरकार ने गोरखपुर, सिंदरी, बरौनी, रामागुंडम जैसे अनेक प्लांट्स शुरू किए हैं। इस क्षेत्र में प्राइवेट सेक्टर को भी बढ़ावा दिया जा रहा है। आज इसी का नतीजा है, हम यूरिया के क्षेत्र में आने वाले कुछ समय में आत्मनिर्भर हो सके, उस दिशा में मजबूती से कदम रख रहे हैं।

साथियों,

2014 में देश में सिर्फ 225 लाख मीट्रिक टन यूरिया का ही उत्पादन होता था। आपको आंकड़ा याद रहेगा? आंकड़ा याद रहेगा? मैं आपने मुझे काम दिया 10-11 साल पहले, तब उत्पादन होता था 225 लाख मीट्रिक टन। ये आंकड़ा याद रखिए। पिछले 10-11 साल की मेहनत में हमने उत्पादन बढ़ाकर के करीब 306 लाख मीट्रिक टन तक पहुंच चुका है। लेकिन हमें यहां रूकना नहीं है, क्योंकि अभी भी बहुत करने की जरूरत है। जो काम उनको उस समय करना था, नहीं किया, और इसलिए मुझे थोड़ा एक्स्ट्रा मेहनत करनी पड़ रही है। और अभी हमें हर साल करीब 380 लाख मीट्रिक टन यूरिया की जरूरत पड़ती है। हम 306 पर पहुंचे हैं, 70-80 और करना है। लेकिन मैं देशवासियों को विश्वास दिलाता हूं, हम जिस प्रकार से मेहनत कर रहे हैं, जिस प्रकार से योजना बना रहे हैं और जिस प्रकार से मेरे किसान भाई-बहन हमें आशीर्वाद दे रहे हैं, हम हो सके उतना जल्दी इस गैप को भरने में कोई कमी नहीं रखेंगे।

और भाइयों और बहनों,

मैं आपको एक और बात बताना चाहता हूं, आपके हितों को लेकर हमारी सरकार बहुत ज्यादा संवेदनशील है। जो यूरिया हमें महंगे दामों पर विदेशों से मंगाना पड़ता है, हम उसकी भी चोट अपने किसानों पर नहीं पड़ने देते। बीजेपी सरकार सब्सिडी देकर वो भार सरकार खुद उठाती है। भारत के किसानों को सिर्फ 300 रुपए में यूरिया की बोरी मिलती है, उस एक बोरी के बदले भारत सरकार को दूसरे देशों को, जहां से हम बोरी लाते हैं, करीब-करीब 3 हजार रुपए देने पड़ते हैं। अब आप सोचिए, हम लाते हैं 3000 में, और देते हैं 300 में। यह सारा बोझ देश के किसानों पर हम नहीं पड़ने देते। ये सारा बोझ सरकार खुद भरती है। ताकि मेरे देश के किसान भाई बहनों पर बोझ ना आए। लेकिन मैं किसान भाई बहनों को भी कहूंगा, कि आपको भी मेरी मदद करनी होगी और वह मेरी मदद है इतना ही नहीं, मेरे किसान भाई-बहन आपकी भी मदद है, और वो है यह धरती माता को बचाना। हम धरती माता को अगर नहीं बचाएंगे तो यूरिया की कितने ही थैले डाल दें, यह धरती मां हमें कुछ नहीं देगी और इसलिए जैसे शरीर में बीमारी हो जाए, तो दवाई भी हिसाब से लेनी पड़ती है, दो गोली की जरूरत है, चार गोली खा लें, तो शरीर को फायदा नहीं नुकसान हो जाता है। वैसा ही इस धरती मां को भी अगर हम जरूरत से ज्यादा पड़ोस वाला ज्यादा बोरी डालता है, इसलिए मैं भी बोरी डाल दूं। इस प्रकार से अगर करते रहेंगे तो यह धरती मां हमसे रूठ जाएगी। यूरिया खिला खिलाकर के हमें धरती माता को मारने का कोई हक नहीं है। यह हमारी मां है, हमें उस मां को भी बचाना है।

साथियों,

आज बीज से बाजार तक भाजपा सरकार किसानों के साथ खड़ी है। खेत के काम के लिए सीधे खाते में पैसे पहुंचाए जा रहे हैं, ताकि किसान को उधार के लिए भटकना न पड़े। अब तक पीएम किसान सम्मान निधि के लगभग 4 लाख करोड़ रुपए किसानों के खाते में भेजे गए हैं। आंकड़ा याद रहेगा? भूल जाएंगे? 4 लाख करोड़ रूपया मेरे देश के किसानों के खाते में सीधे जमा किए हैं। इसी साल, किसानों की मदद के लिए 35 हजार करोड़ रुपए की दो योजनाएं नई योजनाएं शुरू की हैं 35 हजार करोड़। पीएम धन धान्य कृषि योजना और दलहन आत्मनिर्भरता मिशन, इससे खेती को बढ़ावा मिलेगा।

साथियों,

हम किसानों की हर जरूरत को ध्यान रखते हुए काम कर रहे हैं। खराब मौसम की वजह से फसल नुकसान होने पर किसान को फसल बीमा योजना का सहारा मिल रहा है। फसल का सही दाम मिले, इसके लिए खरीद की व्यवस्था सुधारी गई है। हमारी सरकार का साफ मानना है कि देश तभी आगे बढ़ेगा, जब मेरा किसान मजबूत होगा। और इसके लिए हर संभव प्रयास किए जा रहे हैं।

साथियों,

केंद्र में हमारी सरकार बनने के बाद हमने किसान क्रेडिट कार्ड की सुविधा से पशुपालकों और मछलीपालकों को भी जोड़ दिया था। किसान क्रेडिट कार्ड, KCC, ये KCC की सुविधा मिलने के बाद हमारे पशुपालक, हमारे मछली पालन करने वाले इन सबको खूब लाभ उठा रहा है। KCC से इस साल किसानों को, ये आंकड़ा भी याद रखो, KCC से इस साल किसानों को 10 लाख करोड़ रुपये से ज्यादा की मदद दी गई है। 10 लाख करोड़ रुपया। बायो-फर्टिलाइजर पर GST कम होने से भी किसानों को बहुत फायदा हुआ है। भाजपा सरकार भारत के किसानों को नैचुरल फार्मिंग के लिए भी बहुत प्रोत्साहन दे रही है। और मैं तो चाहूंगा असम के अंदर कुछ तहसील ऐसे आने चाहिए आगे, जो शत प्रतिशत नेचुरल फार्मिंग करते हैं। आप देखिए हिंदुस्तान को असम दिशा दिखा सकता है। असम का किसान देश को दिशा दिखा सकता है। हमने National Mission On Natural Farming शुरू की, आज लाखों किसान इससे जुड़ चुके हैं। बीते कुछ सालों में देश में 10 हजार किसान उत्पाद संघ- FPO’s बने हैं। नॉर्थ ईस्ट को विशेष ध्यान में रखते हुए हमारी सरकार ने खाद्य तेलों- पाम ऑयल से जुड़ा मिशन भी शुरू किया। ये मिशन भारत को खाद्य तेल के मामले में आत्मनिर्भर तो बनाएगा ही, यहां के किसानों की आय भी बढ़ाएगा।

साथियों,

यहां इस क्षेत्र में बड़ी संख्या में हमारे टी-गार्डन वर्कर्स भी हैं। ये भाजपा की ही सरकार है जिसने असम के साढ़े सात लाख टी-गार्डन वर्कर्स के जनधन बैंक खाते खुलवाए। अब बैंकिंग व्यवस्था से जुड़ने की वजह से इन वर्कर्स के बैंक खातों में सीधे पैसे भेजे जाने की सुविधा मिली है। हमारी सरकार टी-गार्डन वाले क्षेत्रों में स्कूल, रोड, बिजली, पानी, अस्पताल की सुविधाएं बढ़ा रही है।

साथियों,

हमारी सरकार सबका साथ सबका विकास के मंत्र के साथ आगे बढ़ रही है। हमारा ये विजन, देश के गरीब वर्ग के जीवन में बहुत बड़ा बदलाव लेकर आया है। पिछले 11 वर्षों में हमारे प्रयासों से, योजनाओं से, योजनाओं को धरती पर उतारने के कारण 25 करोड़ लोग, ये आंकड़ा भी याद रखना, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं। देश में एक नियो मिडिल क्लास तैयार हुआ है। ये इसलिए हुआ है, क्योंकि बीते वर्षों में भारत के गरीब परिवारों के जीवन-स्तर में निरंतर सुधार हुआ है। कुछ ताजा आंकड़े आए हैं, जो भारत में हो रहे बदलावों के प्रतीक हैं।

साथियों,

और मैं मीडिया में ये सारी चीजें बहुत काम आती हैं, और इसलिए मैं आपसे आग्रह करता हूं मैं जो बातें बताता हूं जरा याद रख के औरों को बताना।

साथियों,

पहले गांवों के सबसे गरीब परिवारों में, 10 परिवारों में से 1 के पास बाइक तक होती नहीं थी। 10 में से 1 के पास भी नहीं होती थी। अभी जो सर्वे आए हैं, अब गांव में रहने वाले करीब–करीब आधे परिवारों के पास बाइक या कार होती है। इतना ही नहीं मोबाइल फोन तो लगभग हर घर में पहुंच चुके हैं। फ्रिज जैसी चीज़ें, जो पहले “लग्ज़री” मानी जाती थीं, अब ये हमारे नियो मिडल क्लास के घरों में भी नजर आने लगी है। आज गांवों की रसोई में भी वो जगह बना चुका है। नए आंकड़े बता रहे हैं कि स्मार्टफोन के बावजूद, गांव में टीवी रखने का चलन भी बढ़ रहा है। ये बदलाव अपने आप नहीं हुआ। ये बदलाव इसलिए हुआ है क्योंकि आज देश का गरीब सशक्त हो रहा है, दूर-दराज के क्षेत्रों में रहने वाले गरीब तक भी विकास का लाभ पहुंचने लगा है।

साथियों,

भाजपा की डबल इंजन सरकार गरीबों, आदिवासियों, युवाओं और महिलाओं की सरकार है। इसीलिए, हमारी सरकार असम और नॉर्थ ईस्ट में दशकों की हिंसा खत्म करने में जुटी है। हमारी सरकार ने हमेशा असम की पहचान और असम की संस्कृति को सर्वोपरि रखा है। भाजपा सरकार असमिया गौरव के प्रतीकों को हर मंच पर हाइलाइट करती है। इसलिए, हम गर्व से महावीर लसित बोरफुकन की 125 फीट की प्रतिमा बनाते हैं, हम असम के गौरव भूपेन हजारिका की जन्म शताब्दी का वर्ष मनाते हैं। हम असम की कला और शिल्प को, असम के गोमोशा को दुनिया में पहचान दिलाते हैं, अभी कुछ दिन पहले ही Russia के राष्ट्रपति श्रीमान पुतिन यहां आए थे, जब दिल्ली में आए, तो मैंने बड़े गर्व के साथ उनको असम की ब्लैक-टी गिफ्ट किया था। हम असम की मान-मर्यादा बढ़ाने वाले हर काम को प्राथमिकता देते हैं।

लेकिन भाइयों बहनों,

भाजपा जब ये काम करती है तो सबसे ज्यादा तकलीफ काँग्रेस को होती है। आपको याद होगा, जब हमारी सरकार ने भूपेन दा को भारत रत्न दिया था, तो काँग्रेस ने खुलकर उसका विरोध किया था। काँग्रेस के राष्ट्रीय अध्यक्ष ने कहा था कि, मोदी नाचने-गाने वालों को भारत रत्न दे रहा है। मुझे बताइए, ये भूपेन दा का अपमान है कि नहीं है? कला संस्कृति का अपमान है कि नहीं है? असम का अपमान है कि नहीं है? ये कांग्रेस दिन रात करती है, अपमान करना। हमने असम में सेमीकंडक्टर यूनिट लगवाई, तो भी कांग्रेस ने इसका विरोध किया। आप मत भूलिए, यही काँग्रेस सरकार थी, जिसने इतने दशकों तक टी कम्यूनिटी के भाई-बहनों को जमीन के अधिकार नहीं मिलने दिये! बीजेपी की सरकार ने उन्हें जमीन के अधिकार भी दिये और गरिमापूर्ण जीवन भी दिया। और मैं तो चाय वाला हूं, मैं नहीं करूंगा तो कौन करेगा? ये कांग्रेस अब भी देशविरोधी सोच को आगे बढ़ा रही है। ये लोग असम के जंगल जमीन पर उन बांग्लादेशी घुसपैठियों को बसाना चाहते हैं। जिनसे इनका वोट बैंक मजबूत होता है, आप बर्बाद हो जाए, उनको इनकी परवाह नहीं है, उनको अपनी वोट बैंक मजबूत करनी है।

भाइयों बहनों,

काँग्रेस को असम और असम के लोगों से, आप लोगों की पहचान से कोई लेना देना नहीं है। इनको केवल सत्ता,सरकार और फिर जो काम पहले करते थे, वो करने में इंटरेस्ट है। इसीलिए, इन्हें अवैध बांग्लादेशी घुसपैठिए ज्यादा अच्छे लगते हैं। अवैध घुसपैठियों को काँग्रेस ने ही बसाया, और काँग्रेस ही उन्हें बचा रही है। इसीलिए, काँग्रेस पार्टी वोटर लिस्ट के शुद्धिकरण का विरोध कर रही है। तुष्टीकरण और वोटबैंक के इस काँग्रेसी जहर से हमें असम को बचाकर रखना है। मैं आज आपको एक गारंटी देता हूं, असम की पहचान, और असम के सम्मान की रक्षा के लिए भाजपा, बीजेपी फौलाद बनकर आपके साथ खड़ी है।

साथियों,

विकसित भारत के निर्माण में, आपके ये आशीर्वाद यही मेरी ताकत है। आपका ये प्यार यही मेरी पूंजी है। और इसीलिए पल-पल आपके लिए जीने का मुझे आनंद आता है। विकसित भारत के निर्माण में पूर्वी भारत की, हमारे नॉर्थ ईस्ट की भूमिका लगातार बढ़ रही है। मैंने पहले भी कहा है कि पूर्वी भारत, भारत के विकास का ग्रोथ इंजन बनेगा। नामरूप की ये नई यूनिट इसी बदलाव की मिसाल है। यहां जो खाद बनेगी, वो सिर्फ असम के खेतों तक नहीं रुकेगी। ये बिहार, झारखंड, पश्चिम बंगाल और पूर्वी उत्तर प्रदेश तक पहुंचेगी। ये कोई छोटी बात नहीं है। ये देश की खाद जरूरत में नॉर्थ ईस्ट की भागीदारी है। नामरूप जैसे प्रोजेक्ट, ये दिखाते हैं कि, आने वाले समय में नॉर्थ ईस्ट, आत्मनिर्भर भारत का बहुत बड़ा केंद्र बनकर उभरेगा। सच्चे अर्थ में अष्टलक्ष्मी बन के रहेगा। मैं एक बार फिर आप सभी को नए फर्टिलाइजर प्लांट की बधाई देता हूं। मेरे साथ बोलिए-

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

और इस वर्ष तो वंदे मातरम के 150 साल हमारे गौरवपूर्ण पल, आइए हम सब बोलें-

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।

वंदे मातरम्।