QuoteToday, the world is at an inflection point where technology advancement is transformational: PM Modi
QuoteVital that India & the UK, two countries linked by history, work together to define the knowledge economy of the 21st century: PM Modi
QuoteIndia is now the fastest growing large economy with the most open investment climate: PM Narendra Modi
QuoteScience, Technology and Innovation are immense growth forces and will play a very significant role in India-UK relationship: PM
QuoteIndia and UK can collaborate in ‘Digital India’ Program and expand information convergence and people centric e-governance: PM

যুক্তরাজ্যেরপ্রধানমন্ত্রী মাননীয়া টেরেসা মে,

আমার সহকর্মীবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন,

সিআইআই-এরপ্রেসিডেন্ট ডঃ নৌশাদ ফোর্বস,

শিক্ষা জগতেরবিশিষ্ট সদস্যবৃন্দ,

প্রখ্যাতবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদগণ,

ভারত ওযুক্তরাজ্যের শিল্প প্রতিনিধিবৃন্দ, এবং

ভদ্র মহিলা ওভদ্র মহোদয়গণ,

,

|

1. ভারত-যুক্তরাজ্য শীর্ষ প্রযুক্তি বৈঠক ২০১৬’তে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমিআনন্দিত।

2. গত বছর নভেম্বর মাসে আমার যুক্তরাজ্য সফরকালে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেমৈত্রীর বন্ধনকে আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যে প্রযুক্তি বৈঠক আয়োজনের চিন্তাভাবনাকরা হয়। ২০১৬ বছরটিকে ‘ভারত-যুক্তরাজ্য শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন’ বর্ষ রূপে স্মরণীয়করেতোলার ক্ষেত্রেও এটি একটি বিশেষ উপলক্ষ।

3. যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া টেরেসা মে’র এই অনুষ্ঠানে যোগদানআরেকটি বিশেষ মুহূর্তের সূচনা করেছে। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, আমি জানি যে, ভারতসর্বদাই রয়েছে আপনার হৃদয়ের কাছাকাছি এবং আপনি হলেন ভারতের এক বিশেষ বন্ধু।সম্প্রতি আপনি স্বদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে দিওয়ালিও উদযাপন করেছেন।

4. আজ এখানে আপনার উপস্থিতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকারের কথাইপুনর্ব্যক্ত করছে। আপনার নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির বাইরে প্রথম দ্বিপাক্ষিকসফরের স্থান হিসেবে আপনি ভারতকে বেছে নেওয়ায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আপনাকে আন্তরিকভাবেস্বাগত জানাই আমরা।

5. বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি, অগ্রগতি ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার এক সন্ধিস্থলেদাঁড়িয়ে। ভারত ও যুক্তরাজ্য দুটি দেশই ঐতিহাসিক দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।তাই, ২১ শতকের জ্ঞান নির্ভর অর্থনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণে দুটি দেশেরই যুক্তভাবে কাজকরে যাওয়া একান্তজরুরি।

6. বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বেশ কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন আমাদেরএই দুটি দেশ। যার প্রত্যক্ষ প্রতিফলন ঘটেছে আমাদের শিল্প ও বাণিজ্য প্রচেষ্টায়।বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমাদের পরস্পরের ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা যে নতুন নতুনসুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে, সে বিষয়ে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী।

7. ভারত বর্তমানে দ্রুততম গতিতে বেড়ে ওঠা এক বিরট অর্থনীতি, যেখানে রয়েছে উদারবিনিয়োগের সুযোগ। আমাদের রয়েছে উদ্ভাবনী শিল্পোদ্যোগ,মেধাচালিত কর্মশক্তি এবংগবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা।সর্বোপরি আমাদের রয়েছে – এক বিশাল বাজার,ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা এবং ক্রমপ্রসারমান অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতামুখিনতা। এইসমস্ত কিছুর সমন্বয় বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন নতুন উন্নয়ন সূত্রের সন্ধান এনেদিতে পারে।

8. একইভাবে, সাম্প্রতিক অতীতে যুক্তরাজ্য এক শ্রমসাধ্য অগ্রগতির মধ্য দিয়েএগিয়ে গেছে। শিক্ষা, অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠেছেএক উৎকর্ষ কেন্দ্র।

9. আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বিগত ৫ বছর ধরে একই মাত্রায় থাকলেওআমাদের পারস্পরিক বিনিয়োগের মাত্রা কিন্তু বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত হলযুক্তরাজ্যে তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য হল জি-২০ ভুক্তদেশগুলির মধ্যে ভারতে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী একটি রাষ্ট্র। দুটি দেশই পরস্পরেরঅর্থনীতিতে এক বিরাট সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে।

10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বর্তমানভারত-যুক্তরাজ্য সহযোগিতার মূলে রয়েছে ‘উন্নতমান’ এবং ‘বলিষ্ঠ প্রভাব’ যুক্তগবেষণা প্রচেষ্টা। আমি একথা উল্লেখ করতে পেরে আনন্দিত হব যে, মাত্র দু’বছরেরও কমসময়ে ‘নিউটন-ভাবা’ কর্মসূচির আওতায় আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র নানাভাবে প্রসারিতহয়েছে। সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলার লক্ষ্যে মৌলিক বিজ্ঞান থেকে সমাধানসূত্রঅনুসন্ধান পর্যন্ত সুবিস্তৃত আমাদের এই কর্মপ্রচেষ্টা।

11. এরই পাশাপাশি, আমাদের বিজ্ঞানীরা সংক্রামকবিভিন্ন রোগের নতুন নতুন প্রতিষেধক আবিষ্কার করে চলেছেন। উদ্ভাবন করছেন নতুন নতুন সামগ্রীও সরঞ্জাম, বিশুদ্ধ জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এনে দিচ্ছেন নতুননতুন সমাধান এবং সেই সঙ্গে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শস্যেরউৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পন্থাপদ্ধতিও উদ্ভাবন করে চলেছেন।

12. সৌর জ্বালানি শক্তি সম্পর্কে ভারত-যুক্তরাজ্যবিশুদ্ধ জ্বালানি সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও আমরাসহমত পোষণ করেছি। এজন্য আমরা যুক্তভাবে বিনিয়োগ করব ১০ মিলিয়ন পাউন্ড। এছাড়াও,মিলিতভাবে ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের মাধ্যমে রোগ-জীবাণুর প্রতিষেধক প্রতিরোধীক্ষমতার বিরুদ্ধে এক নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজও শুরু হচ্ছে।

13. রোগ প্রতিরোধী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতেভারতের চিরাচরিত জ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলির সঙ্গে বর্তমান বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানপ্রচেষ্টার সমন্বয়সাধনের ক্ষেত্রেও ভারত ও যুক্তরাজ্য পরস্পরের অংশীদার হয়ে উঠতেপারে বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে এ যুগের জীবনযাত্রার অভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিতবিভিন্ন রোগব্যধি থেকে মুক্তির সমাধানসূত্র উদ্ভাবন করা সম্ভব।

14. আমাদের সর্বাপেক্ষা উৎসাহব্যঞ্জক যে সমস্তকর্মসূচি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ভারত-যুক্তরাজ্য শিল্প গবেষণা প্রচেষ্টারক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব। সিআইআই-এর বিশ্ব উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সমঝোতা অর্থাৎজিআইটি-এর মঞ্চ এবং আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ইনোভেট-ইউকে’র সঙ্গেমিলিতভাবে শিল্প পরিচালিত গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে সফল করে তুলতে পারে সুলভস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দূষণমুক্ত প্রযুক্তি, উৎপাদন ও আইসিটি ব্যবস্থার কল্যাণে।

15. বিজ্ঞানপ্রসূত জ্ঞানকে প্রযুক্তিচালিতশিল্পোদ্যোগে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে এই ক্ষেত্রগুলি ভারত ও যুক্তরাজ্যেরবাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্ভাবনা গড়ে তুলতে পারে। আজ এখানে উপস্থিত সমস্তঅংশগ্রহণকারীকেই আমি আহ্বান জানাই উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পোদ্যোগপ্রচেষ্টার লক্ষ্যে এই উৎসাহমূলক দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমেমূল্য সংযোজনের জন্য।

16. আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হল অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক বিশেষ শক্তি, যা আমাদের দু’দেশের সম্পর্কে একগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের মিলিত প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও বৈজ্ঞানিকজ্ঞানানুসন্ধানকে ভিত্তি করে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেতোলাই এই শীর্ষ প্রযুক্তি বৈঠকের বিশেষ লক্ষ্য।

17. আমি বরাবরই বলে এসেছি যে, বিজ্ঞান হল সার্বজনীনকিন্তু প্রযুক্তিকে হতে হবে স্থানীয় চাহিদা নির্ভর। এই প্রেক্ষিতে পরস্পরের চাহিদাএবং তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের সম্পর্কের দিশা নির্ণয়ের সুযোগ এনে দিতে পারে এই ধরণেরশীর্ষ বৈঠকগুলি।

18. আমার সরকারের প্রধান প্রধান উন্নয়নমূলককর্মসূচি, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের আশা-আকাঙ্খা ও তার সফল রূপায়ণ এবং সর্বপরিআমাদের দু’দেশের পরস্পরের সঙ্গে বলিষ্ঠ সম্পর্কের সমন্বয়ে নতুন নতুন বিকাশ ওঅগ্রগতির পথ সুপ্রশস্ত হবে ভারতীয় ও ব্রিটিশ শিল্প সংস্থাগুলির জন্য।

19. ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে ভারত ও যুক্তরাজ্যেরপারস্পরিক সহযোগিতার যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তথ্য বিনিময় এবংপ্রযুক্তিচালিতজনমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে।

20. ভারত অনতিবিলম্বেই শহরাঞ্চলে ১৫৪ শতাংশটেলিঘনত্ব সমেত এক বিলিয়নেরও বেশি টেলিফোন সংযোগ দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করতে চলেছে।আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৩৫ কোটি। সারা দেশে প্রায় ১লক্ষের মতো গ্রামে যোগাযোগ ও সংযোগের সুযোগ পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। অগ্রগতির ক্ষেত্রেদ্রুত গড়ে উঠছে নতুন নতুন ডিজিটাল যোগাযোগ ও বিপণন ব্যবস্থা। এর ফলে, ভারত ওযুক্তরাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলির জন্য নতুন নতুন বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

21. ভারতের দ্রুত উন্নয়নশীল আর্থিক পরিষেবাক্ষেত্রেও খুব স্বাভাবিকভাবেই গড়ে উঠবে এক সহযোগিতার বাতাবরণ। ২২ কোটি নতুন পরিবারকেআমরা নিয়ে আসতে পেরেছি জন ধন যোজনার আওতায়। এর মধ্য দিয়ে এক বড় ধরণের পরিবর্তনেরসূচনা করতে চলেছে ‘ফিনটেক’। এই আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মসূচিটিকে যুক্ত করাহচ্ছে মোবাইল প্রযুক্তি এবং অভিন্ন পরিচয়পত্রের সঙ্গে, যাতে বিশ্বের বৃহত্তমসামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে উঠতে পারে।

22. আর্থিক প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিরক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বদানের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্নসংস্থা সম্ভাবনাময় সুযোগগুলিকে কাজে লাগাতে পারে।

23. আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটি এক অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে আমাদের আশা। এই কর্মসূচিরআওতায় উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে এক বিশেষ প্রচেষ্টা চালানোহচ্ছে। প্রতিরক্ষা উৎপাদন, মহাকাশ এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগ সংক্রান্ত উদারনীতির সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে আমাদের অন্যতমপ্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য।

24. আমাদের ‘স্মার্ট নগরী’ কর্মসূচির লক্ষ্য হলদ্রুত নগরায়ন প্রচেষ্টার সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে যুক্ত করা। আমি একথা ঘোষণাকরতে পেরে বিশেষভাবে আনন্দিত যে ইতিমধ্যেই পুণে, অমরাবতী এবং ইন্দোরেরপ্রকল্পগুলিতে ভালোরকম উৎসাহ ও আগ্রহ আমরা লক্ষ্য করেছি যুক্তরাজ্য থেকে। যুক্তরাজ্যেরবিভিন্ন শিল্প সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ক্ষেত্রটিতে ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের মতোসহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই কাজে আরও বেশি করে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ যুগিয়েযাব আমরা।

25. ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির লক্ষ্য হলআমাদের প্রযুক্তি দক্ষ যুব শক্তির শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টার সঙ্গে উদ্ভাবন ওপ্রযুক্তিকে যুক্ত করা। ভারত ও যুক্তরাজ্য বর্তমানে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বৃহত্তম স্টার্ট আপ কেন্দ্রের মধ্যে। এই দেশ দুটিতেরয়েছে – উদ্ভাবক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য উৎসাহমূলক পরিবেশ ও পরিস্থিতি।

26. আমরা দুটি দেশ যুক্তভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনীপ্রযুক্তির সঙ্গে নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রয়োগ ও সংযুক্তির মধ্য দিয়ে একপ্রাণচঞ্চল উৎসাহের পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি।

27. উন্নত মানের উৎপাদন, জৈব চিকিৎসা পদ্ধতি, নকশানির্মাণ, উদ্ভাবন এবং শিল্পোদ্যোগের মতো এই শীর্ষ বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় আমাদেরদ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্তকরে দিতে পারে।

28. আমি বিশ্বাস করি যে, এক উন্নতমানের মৌলিকগবেষণার উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি রক্ষা করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ভারতও যুক্তরাজ্য। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় মিলিতপ্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে প্রযুক্তিগত বিকাশ ও উন্নয়ন।

29. ভারত-যুক্তরাজ্য শীর্ষ প্রযুক্তি বৈঠকেরআলোচ্যসূচিতে উচ্চতর শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় আমি খুশি। শিক্ষা আমাদেরছাত্রছাত্রীদের জন্য অপরিহার্য এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমাদের মিলিত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রেতা এক নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে। এই কারণে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্তসুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রগুলিতে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে আমাদেরঅবশ্যই উৎসাহিত করতে হবে।

30. এক সহযোগী দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়েএই ধরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজনের জন্য আমি বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাইবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিকে। এই শীর্ষ প্রযুক্তিবৈঠক যে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের পরবর্তী পর্যায়ের ভিত্তি স্থাপন করতে চলেছে, সেসম্পর্কে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জ্ঞানের অনুসরণ এবং প্রযুক্তিগতদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে এই বৈঠক আমাদের একসঙ্গেএগিয়ে যাওয়ার জন্য এক নতুনযাত্রাপথের সন্ধান দেবে।

31. এই বৈঠকের সাফল্যের জন্য যাঁদের উপস্থিতি ওঅবদান একান্ত জরুরি এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ভারত ও যুক্তরাজ্যের সেই সমস্ত প্রতিনিধিদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এই অনুষ্ঠানে এক বিশেষ আসনঅলংকৃত করার জন্য এবং এক নতুন ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁরচিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য আমি আরও একবার ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীটেরেসা মে’কে।

|
|
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Growing in leaps! India GVA could hit $9.82 trillion by 2035, up from $3.39 trillion in 2023, says PwC report

Media Coverage

Growing in leaps! India GVA could hit $9.82 trillion by 2035, up from $3.39 trillion in 2023, says PwC report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi’s remarks during the BRICS session: Peace and Security
July 06, 2025

Friends,

Global peace and security are not just ideals, rather they are the foundation of our shared interests and future. Progress of humanity is possible only in a peaceful and secure environment. BRICS has a very important role in fulfilling this objective. It is time for us to come together, unite our efforts, and collectively address the challenges we all face. We must move forward together.

Friends,

Terrorism is the most serious challenge facing humanity today. India recently endured a brutal and cowardly terrorist attack. The terrorist attack in Pahalgam on 22nd April was a direct assault on the soul, identity, and dignity of India. This attack was not just a blow to India but to the entire humanity. In this hour of grief and sorrow, I express my heartfelt gratitude to the friendly countries who stood with us and expressed support and condolences.

Condemning terrorism must be a matter of principle, and not just of convenience. If our response depends on where or against whom the attack occurred, it shall be a betrayal of humanity itself.

Friends,

There must be no hesitation in imposing sanctions on terrorists. The victims and supporters of terrorism cannot be treated equally. For the sake of personal or political gain, giving silent consent to terrorism or supporting terrorists or terrorism, should never be acceptable under any circumstances. There should be no difference between our words and actions when it comes to terrorism. If we cannot do this, then the question naturally arises whether we are serious about fighting terrorism or not?

Friends,

Today, from West Asia to Europe, the whole world is surrounded by disputes and tensions. The humanitarian situation in Gaza is a cause of grave concern. India firmly believes that no matter how difficult the circumstances, the path of peace is the only option for the good of humanity.

India is the land of Lord Buddha and Mahatma Gandhi. We have no place for war and violence. India supports every effort that takes the world away from division and conflict and leads us towards dialogue, cooperation, and coordination; and increases solidarity and trust. In this direction, we are committed to cooperation and partnership with all friendly countries. Thank you.

Friends,

In conclusion, I warmly invite all of you to India next year for the BRICS Summit, which will be held under India’s chairmanship.

Thank you very much.