Inaugurates three National Ayush Institutes
“Ayurveda goes beyond treatment and promotes wellness”
“International Yoga day is celebrated as global festival of health and wellness by the whole world”
“We are now moving forward in the direction of forming a 'National Ayush Research Consortium”
“Ayush Industry which was about 20 thousand crore rupees 8 years ago has reached about 1.5 lakh crore rupees today”
“Sector of traditional medicine is expanding continuously and we have to take full advantage of its every possibility”
“'One Earth, One Health' means a universal vision of health”

গোয়ার রাজ্যপাল শ্রী পি এস শ্রীধরন পিল্লাইজি, জনপ্রিয় নবীন মুখ্যমন্ত্রী বৈদ্য প্রমোদ সাওয়ান্তজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, শ্রীপদ নায়েকজি, ডঃ মহেন্দ্রভাই মুঞ্জাপারাজি, শ্রী শেখরজি, বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে উপস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষজ্ঞগণ, অন্যান্য বিশিষ্টজন, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়বৃন্দ!

গোয়ার এই মনোরম রাজ্যটিতে বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস উপলক্ষে যাঁরা ভারত এবং বিদেশ থেকে সমবেত হয়েছেন তাঁদের সকলকেই বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সাফল্য কামনা করে আমি অভিনন্দন জানাই। আজ এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে এমন একটি সময়ে যখন এ দেশে স্বাধীনতার অমৃতকালের উদ্দেশ্যে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব কল্যাণে আমরা আজ সঙ্কল্পবদ্ধ। আমাদের অমৃতকালের মূল লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যও হল তাই। আমাদের এই লক্ষ্য পূরণে আয়ুর্বেদ হল একটি বিশেষ কার্যকর মাধ্যম। এ বছর জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে ভারতের ওপর। এই সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হল – ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ, ‘এক অভিন্ন পৃথিবী, এক অভিন্ন পরিবার তথা এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ’! বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে বিশ্ববাসীর সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে এই ধরনের অনেকগুলি বিষয়ই এখানে আলোচিত হচ্ছে। আমি খুবই আনন্দিত যে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ আয়ুর্বেদকে চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার একটি পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আয়ুর্বেদ যাতে আরও বহু দেশে এইভাবেই স্বীকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।

বন্ধুগণ,

আজ এখানে আমার সামনে আরও একটি সুযোগ এসেছে আয়ুষ সম্পর্কিত তিনটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ – গোয়া, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইউনানি মেডিসিন – গাজিয়াবাদ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি – দিল্লি আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই আমার বিশ্বাস।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদ হল এমন একটি বিজ্ঞান যার মূলমন্ত্র তথা দর্শন হল ‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়ঃ’। অর্থাৎ, সকলেই সুখী থাকুন, সকলেরই রোগমুক্তি ঘটুক। অন্যভাবে বলতে গেলে, মানুষ যখন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তখন তাঁর চিকিৎসা করার থেকে কোনও মানুষ যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেইভাবেই আমাদের জীবনশৈলী গড়ে উঠুক, এটাই আমাদের কাছে কাম্য। সাধারণের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে আপাত দৃষ্টিতে কেউ যদি অসুখে আক্রান্ত না হন তাহলেই তাঁকে আমরা স্বাস্থ্যবান বলে মনে করি। কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে স্বাস্থ্যবান থাকার সংজ্ঞা কিন্তু ভিন্ন রকমের। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন যে আয়ুর্বেদে একটি কথা রয়েছে যার মর্মার্থ হল – ‘যাঁর দেহে ভারসাম্যের কোনও অভাব হয় না, যাঁর সমস্ত কাজকর্মই ভারসাম্য বজায় রেখে চলে এবং মনেপ্রাণে যিনি সুখী, তিনিই হলেন প্রকৃত স্বাস্থ্যবান।’ তাই, আয়ুর্বেদের কাজ হল চিকিৎসার বাইরে গিয়েও মানুষের ভালো থাকা এবং ভালো থাকার উপায় বাতলে দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া। সমস্ত রকম পরিবর্তন এবং ধারা বা প্রবণতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন প্রাচীন জীবন দর্শনকে আবার নতুন করে অবলম্বন করতে শুরু করেছে। খুবই আনন্দের বিষয় যে এই ক্ষেত্রটিতে ভারতে কাজ শুরু হয়েছে অনেক অনেক আগেই। এক সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আয়ুর্বেদের প্রসার ও উন্নয়নে আমি নানাভাবে সচেষ্ট ছিলাম। আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা আরও উন্নত করে তুলেছি এবং অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলেছি গুজরাট আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে। আমাদের সেই প্রচেষ্টার সূত্র ধরেই বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর উদ্যোগে জামনগরে। আয়ুষ মন্ত্রক নামে একটি পৃথক মন্ত্রকও আমরা গঠন করেছি। আয়ুর্বেদ চর্চায় উৎসাহদান এবং আয়ুর্বেদের ওপর সাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করাই এই মন্ত্রকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এইমস-এর ধাঁচে সর্বভারতীয় আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে স্থাপিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আবার বর্তমান বছরেই সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিশ্ব আয়ুষ উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ’ সম্পর্কিত একটি শীর্ষ সম্মেলনও। ভারতের এই প্রচেষ্টা উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়। সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সারা বিশ্বেই বর্তমানে এক বিশেষ উৎসব রূপে পালিত হচ্ছে। যোগ এবং আয়ুর্বেদ এক সময় যথেষ্ট অবহেলিত ছিল। কিন্তু তা এখন সমগ্র মানবজাতির কাছে এক আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্ধুগণ,

এই প্রসঙ্গে আয়ুর্বেদের আরও একটি বৈশিষ্ট্যের কথা আমি এই বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে উল্লেখ করতে আগ্রহী। আগামী শতকগুলিতে আয়ুর্বেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যা সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর সহমত স্থাপন এবং এক অভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর কাজটি বিলম্বিত হয়েছে সত্য, তবে আধুনিক বিজ্ঞানের সবক’টি বৈশিষ্ট্যই যে আয়ুর্বেদের মধ্যে রয়েছে তার নিরিখেই এই সহমত তৈরি হয়েছে। আয়ুর্বেদের কার্যকারিতা ও তার ফলাফল সম্পর্কে আমরা নিশ্চিন্ত ছিলাম ঠিক কথা, কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ ঠিকমতো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ফলাফল সকলের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি আজ একান্তভাবে জরুরি হয়ে উঠেছে। এজন্য আমাদের নিরন্তরভাবে কাজ করে যেতে হবে দীর্ঘদিন ধরে। আধুনিক বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের দাবি ও মতামতকে তুলে ধরার জন্য চিকিৎসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান, গবেষণা এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে এই লক্ষ্যে ভারতে বেশ ভালো রকম প্রচেষ্টাই চালানো হচ্ছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরতে আমরা আয়ুষ রিসার্চ পোর্টালও তৈরি করেছি। সেখানে সমীক্ষা ও গবেষণার ৪০ হাজারের মতো তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। এমনকি করোনাকালেও ১৫০টির মতো সুনির্দিষ্ট গবেষণা-ভিত্তিক প্রমাণপত্র রয়েছে আমাদের কাছে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি জাতীয় আয়ুষ গবেষণা কনসর্টিয়াম গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট হয়েছি। এইমস-এর সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে যোগ ও আয়ুর্বেদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজও শুরু হয়েছে। আনন্দের বিষয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে আয়ুর্বেদ এবং যোগচর্চার যে সমস্ত গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে তা প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায়। সাম্প্রতিককালে ‘জার্নাল অফ দ্য অ্যামেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’ এবং ‘নিউরোলজি জার্নাল’-এও সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বে আয়ুর্বেদের মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারী সকলকেই আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা,

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির আরও একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা সচরাচর আলোচিত হয় না। অনেকেই ভেবে থাকেন যে আয়ুর্বেদ হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতিমাত্র। কিন্তু, জীবনকে কিভাবে উপভোগ্য করে তোলা যায়, তার শিক্ষাও আমরা পেয়ে থাকি আয়ুর্বেদ থেকেই। বিষয়টির একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার সবচেয়ে ভালো গাড়িটি হয়তো আপনি কিনতে আগ্রহী। সেই গাড়ির সঙ্গে তার সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে একটি ম্যানুয়াল বুকও আপনার হাতে চলে আসবে। সেটি পড়ে আপনাকে জানতে হবে যে গাড়ি চালানোর জন্য ঠিক কি ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কখন এবং কিভাবে উপযুক্ত সার্ভিসিং-এর ব্যবস্থা করা দরকার সে সম্পর্কে। ডিজেল ইঞ্জিন-চালিত গাড়িতে যদি পেট্রোল ভরা হয় তাহলে বিপত্তি তো ঘটবেই। কিংবা ধরুন, আপনি যখন একটি কম্পিউটারে বসে কাজ করছেন তখন তার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের কাজ ঠিকমতো হওয়া উচিৎ। আমরা যখন কোনও যন্ত্রের সামনে বসে কাজ করি তখন আমাদের নিজেদের শরীরের দিকে লক্ষ্য দিই না। কিন্তু কি ধরনের খাবার আমাদের খাওয়া উচিৎ, কাজের রুটিন আমরা কিভাবে তৈরি করব বা মেনে চলব কিংবা কোন কোন বিষয়গুলি আপাতত এড়িয়ে চলা প্রয়োজন তা আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে এবং শিখতে হবে। সেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মতোই আয়ুর্বেদ আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে শরীর আর মন দুইয়েরই একসঙ্গে সুস্থ থাকা জরুরি এবং দুইয়ের মধ্যে যেন কোনরকম বিরোধ না ঘটে। বর্তমান যুগে ঘুমের সঠিক সময় সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বহু বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে বহু শতাব্দী আগেই মহর্ষি চরকের মতো আচার্যরা এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন। আর আয়ুর্বেদের এটাই হল সবচেয়ে বড় গুণ।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে একটি প্রবাদ বাক্য চালু রয়েছে – ‘স্বাস্থ্যম পরমার্থ সাধনম’। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য হল এমন একটি বিষয় যা অসম্ভবকে সম্ভব করে আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের ব্যক্তি জীবনে এই মন্ত্রকে অর্থবহ করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকেও তার সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে আয়ুষ হল অনন্ত সম্ভাবনার একটি বিশেষ ক্ষেত্র। আয়ুর্বেদিক ভেষজের উৎপাদনই হোক কিংবা আয়ুষ ওষুধের উৎপাদন অথবা তার ডিজিটাল পরিষেবা, আয়ুষ স্টার্ট-আপগুলির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা এখন অফুরন্ত।

ভাই ও বোনেরা,

আয়ুষ শিল্পের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এই যে, প্রত্যেকের জন্যই পৃথক পৃথক সুযোগ-সুবিধার দ্বার সেখানে উন্মুক্ত। ৪০ হাজারের মতো ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং সেইসঙ্গে ক্ষুদ্রায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি আয়ুষ সম্পর্কিত নানা ধরনের উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যা স্থানীয়ভাবে অর্থনীতিকে বিশেষভাবে মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে। প্রায় আট বছর আগে দেশের আয়ুষ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু বর্তমানে তা পৌঁছে গেছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, গত ৭-৮ বছরে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে সাতগুণ। আয়ুষ বর্তমানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বড় ধরনের শিল্প ও অর্থনীতি হয়ে উঠতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব বাজারে তার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। আপনারা হয়তো জানেন যে সারা বিশ্বে ভেষজ ওষুধ ও মশলাপাতির বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার মতো। চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত এই ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই, এর সুযোগ ও সম্ভাবনার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার প্রয়োজন বলেই আমি মনে করি। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষি ব্যবস্থার একটি নতুন ক্ষেত্র গড়ে উঠতে চলেছে যা থেকে আমাদের কৃষক বন্ধুরা ভালো দাম পেতে পারেন। এই ক্ষেত্রটিতেই আবার দেশের যুব সমাজের জন্য লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পথ আজ সুপ্রশস্ত।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আয়ুর্বেদ ও যোগ পর্যটন। গোয়ার মতো একটি পর্যটন কেন্দ্রে আয়ুর্বেদ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারের মাধ্যমে পর্যটনকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে গোয়ায় ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ’ প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

বন্ধুগণ,

ভারত বর্তমানে বিশ্বের সামনে ভবিষ্যতের আরও একটি লক্ষ্যকেও তুলে ধরেছে, তা হল ‘এক অভিন্ন পৃথিবী, একই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’। এর অর্থ হল, স্বাস্থ্য সম্পর্কে এক বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা। জলচর প্রাণী, বন্যপ্রাণী এবং মানবজাতি ও গাছপালা স্বাস্থ্যের দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই, তাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা কখনই উচিৎ নয়। কারণ, তাদের সবক’টিকে নিয়েই একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হতে পারে। ভারতের ঐতিহ্য ও জীবনশৈলীর যে ব্যাখ্যা আমরা আয়ুর্বেদ চর্চার মধ্য দিয়ে পেতে পারি, তাই হল এক অর্থে আয়ুর্বেদের এক সার্বিক জীবন দর্শন। গোয়ায় আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য কংগ্রেসে আয়ুর্বেদের এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য আলোচ্যসূচিতে রয়েছে বলেই আমি মনে করি। আয়ুর্বেদ এবং আয়ুষকে আমরা সার্বিকভাবে আরও কিভাবে উন্নত করে তুলতে পারি সেই লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপও প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এই প্রচেষ্টা যে নিশ্চিতভাবেই সফল হয়ে উঠবে, সে সম্পর্কে আমি আশাবাদী। এই বিশ্বাস নিয়ে এবং আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। একইসঙ্গে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আয়ুষ ও আয়ুর্বেদের প্রসার ও উন্নয়নে।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!