Inaugurates three National Ayush Institutes
“Ayurveda goes beyond treatment and promotes wellness”
“International Yoga day is celebrated as global festival of health and wellness by the whole world”
“We are now moving forward in the direction of forming a 'National Ayush Research Consortium”
“Ayush Industry which was about 20 thousand crore rupees 8 years ago has reached about 1.5 lakh crore rupees today”
“Sector of traditional medicine is expanding continuously and we have to take full advantage of its every possibility”
“'One Earth, One Health' means a universal vision of health”

গোয়ার রাজ্যপাল শ্রী পি এস শ্রীধরন পিল্লাইজি, জনপ্রিয় নবীন মুখ্যমন্ত্রী বৈদ্য প্রমোদ সাওয়ান্তজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালজি, শ্রীপদ নায়েকজি, ডঃ মহেন্দ্রভাই মুঞ্জাপারাজি, শ্রী শেখরজি, বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে উপস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষজ্ঞগণ, অন্যান্য বিশিষ্টজন, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়বৃন্দ!

গোয়ার এই মনোরম রাজ্যটিতে বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস উপলক্ষে যাঁরা ভারত এবং বিদেশ থেকে সমবেত হয়েছেন তাঁদের সকলকেই বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সাফল্য কামনা করে আমি অভিনন্দন জানাই। আজ এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে এমন একটি সময়ে যখন এ দেশে স্বাধীনতার অমৃতকালের উদ্দেশ্যে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব কল্যাণে আমরা আজ সঙ্কল্পবদ্ধ। আমাদের অমৃতকালের মূল লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যও হল তাই। আমাদের এই লক্ষ্য পূরণে আয়ুর্বেদ হল একটি বিশেষ কার্যকর মাধ্যম। এ বছর জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে ভারতের ওপর। এই সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হল – ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ, ‘এক অভিন্ন পৃথিবী, এক অভিন্ন পরিবার তথা এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ’! বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে বিশ্ববাসীর সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে এই ধরনের অনেকগুলি বিষয়ই এখানে আলোচিত হচ্ছে। আমি খুবই আনন্দিত যে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ আয়ুর্বেদকে চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার একটি পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আয়ুর্বেদ যাতে আরও বহু দেশে এইভাবেই স্বীকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।

বন্ধুগণ,

আজ এখানে আমার সামনে আরও একটি সুযোগ এসেছে আয়ুষ সম্পর্কিত তিনটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ – গোয়া, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইউনানি মেডিসিন – গাজিয়াবাদ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি – দিল্লি আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই আমার বিশ্বাস।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদ হল এমন একটি বিজ্ঞান যার মূলমন্ত্র তথা দর্শন হল ‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ, সর্বে সন্তু নিরাময়ঃ’। অর্থাৎ, সকলেই সুখী থাকুন, সকলেরই রোগমুক্তি ঘটুক। অন্যভাবে বলতে গেলে, মানুষ যখন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তখন তাঁর চিকিৎসা করার থেকে কোনও মানুষ যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেইভাবেই আমাদের জীবনশৈলী গড়ে উঠুক, এটাই আমাদের কাছে কাম্য। সাধারণের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে আপাত দৃষ্টিতে কেউ যদি অসুখে আক্রান্ত না হন তাহলেই তাঁকে আমরা স্বাস্থ্যবান বলে মনে করি। কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে স্বাস্থ্যবান থাকার সংজ্ঞা কিন্তু ভিন্ন রকমের। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন যে আয়ুর্বেদে একটি কথা রয়েছে যার মর্মার্থ হল – ‘যাঁর দেহে ভারসাম্যের কোনও অভাব হয় না, যাঁর সমস্ত কাজকর্মই ভারসাম্য বজায় রেখে চলে এবং মনেপ্রাণে যিনি সুখী, তিনিই হলেন প্রকৃত স্বাস্থ্যবান।’ তাই, আয়ুর্বেদের কাজ হল চিকিৎসার বাইরে গিয়েও মানুষের ভালো থাকা এবং ভালো থাকার উপায় বাতলে দেওয়ার দিকে নজর দেওয়া। সমস্ত রকম পরিবর্তন এবং ধারা বা প্রবণতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন প্রাচীন জীবন দর্শনকে আবার নতুন করে অবলম্বন করতে শুরু করেছে। খুবই আনন্দের বিষয় যে এই ক্ষেত্রটিতে ভারতে কাজ শুরু হয়েছে অনেক অনেক আগেই। এক সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আয়ুর্বেদের প্রসার ও উন্নয়নে আমি নানাভাবে সচেষ্ট ছিলাম। আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা আরও উন্নত করে তুলেছি এবং অত্যাধুনিক করে গড়ে তুলেছি গুজরাট আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে। আমাদের সেই প্রচেষ্টার সূত্র ধরেই বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর উদ্যোগে জামনগরে। আয়ুষ মন্ত্রক নামে একটি পৃথক মন্ত্রকও আমরা গঠন করেছি। আয়ুর্বেদ চর্চায় উৎসাহদান এবং আয়ুর্বেদের ওপর সাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করাই এই মন্ত্রকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এইমস-এর ধাঁচে সর্বভারতীয় আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে স্থাপিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আবার বর্তমান বছরেই সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিশ্ব আয়ুষ উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ’ সম্পর্কিত একটি শীর্ষ সম্মেলনও। ভারতের এই প্রচেষ্টা উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়। সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সারা বিশ্বেই বর্তমানে এক বিশেষ উৎসব রূপে পালিত হচ্ছে। যোগ এবং আয়ুর্বেদ এক সময় যথেষ্ট অবহেলিত ছিল। কিন্তু তা এখন সমগ্র মানবজাতির কাছে এক আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্ধুগণ,

এই প্রসঙ্গে আয়ুর্বেদের আরও একটি বৈশিষ্ট্যের কথা আমি এই বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে উল্লেখ করতে আগ্রহী। আগামী শতকগুলিতে আয়ুর্বেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যা সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর সহমত স্থাপন এবং এক অভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর কাজটি বিলম্বিত হয়েছে সত্য, তবে আধুনিক বিজ্ঞানের সবক’টি বৈশিষ্ট্যই যে আয়ুর্বেদের মধ্যে রয়েছে তার নিরিখেই এই সহমত তৈরি হয়েছে। আয়ুর্বেদের কার্যকারিতা ও তার ফলাফল সম্পর্কে আমরা নিশ্চিন্ত ছিলাম ঠিক কথা, কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ ঠিকমতো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ফলাফল সকলের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি আজ একান্তভাবে জরুরি হয়ে উঠেছে। এজন্য আমাদের নিরন্তরভাবে কাজ করে যেতে হবে দীর্ঘদিন ধরে। আধুনিক বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের দাবি ও মতামতকে তুলে ধরার জন্য চিকিৎসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান, গবেষণা এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে এই লক্ষ্যে ভারতে বেশ ভালো রকম প্রচেষ্টাই চালানো হচ্ছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরতে আমরা আয়ুষ রিসার্চ পোর্টালও তৈরি করেছি। সেখানে সমীক্ষা ও গবেষণার ৪০ হাজারের মতো তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। এমনকি করোনাকালেও ১৫০টির মতো সুনির্দিষ্ট গবেষণা-ভিত্তিক প্রমাণপত্র রয়েছে আমাদের কাছে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি জাতীয় আয়ুষ গবেষণা কনসর্টিয়াম গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট হয়েছি। এইমস-এর সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে যোগ ও আয়ুর্বেদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজও শুরু হয়েছে। আনন্দের বিষয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে আয়ুর্বেদ এবং যোগচর্চার যে সমস্ত গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে তা প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায়। সাম্প্রতিককালে ‘জার্নাল অফ দ্য অ্যামেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’ এবং ‘নিউরোলজি জার্নাল’-এও সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বে আয়ুর্বেদের মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারী সকলকেই আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা,

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির আরও একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা সচরাচর আলোচিত হয় না। অনেকেই ভেবে থাকেন যে আয়ুর্বেদ হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতিমাত্র। কিন্তু, জীবনকে কিভাবে উপভোগ্য করে তোলা যায়, তার শিক্ষাও আমরা পেয়ে থাকি আয়ুর্বেদ থেকেই। বিষয়টির একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার সবচেয়ে ভালো গাড়িটি হয়তো আপনি কিনতে আগ্রহী। সেই গাড়ির সঙ্গে তার সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে একটি ম্যানুয়াল বুকও আপনার হাতে চলে আসবে। সেটি পড়ে আপনাকে জানতে হবে যে গাড়ি চালানোর জন্য ঠিক কি ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কখন এবং কিভাবে উপযুক্ত সার্ভিসিং-এর ব্যবস্থা করা দরকার সে সম্পর্কে। ডিজেল ইঞ্জিন-চালিত গাড়িতে যদি পেট্রোল ভরা হয় তাহলে বিপত্তি তো ঘটবেই। কিংবা ধরুন, আপনি যখন একটি কম্পিউটারে বসে কাজ করছেন তখন তার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের কাজ ঠিকমতো হওয়া উচিৎ। আমরা যখন কোনও যন্ত্রের সামনে বসে কাজ করি তখন আমাদের নিজেদের শরীরের দিকে লক্ষ্য দিই না। কিন্তু কি ধরনের খাবার আমাদের খাওয়া উচিৎ, কাজের রুটিন আমরা কিভাবে তৈরি করব বা মেনে চলব কিংবা কোন কোন বিষয়গুলি আপাতত এড়িয়ে চলা প্রয়োজন তা আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে এবং শিখতে হবে। সেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মতোই আয়ুর্বেদ আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে শরীর আর মন দুইয়েরই একসঙ্গে সুস্থ থাকা জরুরি এবং দুইয়ের মধ্যে যেন কোনরকম বিরোধ না ঘটে। বর্তমান যুগে ঘুমের সঠিক সময় সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বহু বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে বহু শতাব্দী আগেই মহর্ষি চরকের মতো আচার্যরা এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন। আর আয়ুর্বেদের এটাই হল সবচেয়ে বড় গুণ।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে একটি প্রবাদ বাক্য চালু রয়েছে – ‘স্বাস্থ্যম পরমার্থ সাধনম’। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য হল এমন একটি বিষয় যা অসম্ভবকে সম্ভব করে আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের ব্যক্তি জীবনে এই মন্ত্রকে অর্থবহ করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকেও তার সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে আয়ুষ হল অনন্ত সম্ভাবনার একটি বিশেষ ক্ষেত্র। আয়ুর্বেদিক ভেষজের উৎপাদনই হোক কিংবা আয়ুষ ওষুধের উৎপাদন অথবা তার ডিজিটাল পরিষেবা, আয়ুষ স্টার্ট-আপগুলির ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা এখন অফুরন্ত।

ভাই ও বোনেরা,

আয়ুষ শিল্পের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এই যে, প্রত্যেকের জন্যই পৃথক পৃথক সুযোগ-সুবিধার দ্বার সেখানে উন্মুক্ত। ৪০ হাজারের মতো ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং সেইসঙ্গে ক্ষুদ্রায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি আয়ুষ সম্পর্কিত নানা ধরনের উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যা স্থানীয়ভাবে অর্থনীতিকে বিশেষভাবে মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে। প্রায় আট বছর আগে দেশের আয়ুষ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু বর্তমানে তা পৌঁছে গেছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, গত ৭-৮ বছরে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে সাতগুণ। আয়ুষ বর্তমানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বড় ধরনের শিল্প ও অর্থনীতি হয়ে উঠতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব বাজারে তার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। আপনারা হয়তো জানেন যে সারা বিশ্বে ভেষজ ওষুধ ও মশলাপাতির বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার মতো। চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত এই ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই, এর সুযোগ ও সম্ভাবনার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার প্রয়োজন বলেই আমি মনে করি। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষি ব্যবস্থার একটি নতুন ক্ষেত্র গড়ে উঠতে চলেছে যা থেকে আমাদের কৃষক বন্ধুরা ভালো দাম পেতে পারেন। এই ক্ষেত্রটিতেই আবার দেশের যুব সমাজের জন্য লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পথ আজ সুপ্রশস্ত।

বন্ধুগণ,

আয়ুর্বেদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আয়ুর্বেদ ও যোগ পর্যটন। গোয়ার মতো একটি পর্যটন কেন্দ্রে আয়ুর্বেদ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারের মাধ্যমে পর্যটনকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে গোয়ায় ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ’ প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

বন্ধুগণ,

ভারত বর্তমানে বিশ্বের সামনে ভবিষ্যতের আরও একটি লক্ষ্যকেও তুলে ধরেছে, তা হল ‘এক অভিন্ন পৃথিবী, একই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’। এর অর্থ হল, স্বাস্থ্য সম্পর্কে এক বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা। জলচর প্রাণী, বন্যপ্রাণী এবং মানবজাতি ও গাছপালা স্বাস্থ্যের দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই, তাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা কখনই উচিৎ নয়। কারণ, তাদের সবক’টিকে নিয়েই একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হতে পারে। ভারতের ঐতিহ্য ও জীবনশৈলীর যে ব্যাখ্যা আমরা আয়ুর্বেদ চর্চার মধ্য দিয়ে পেতে পারি, তাই হল এক অর্থে আয়ুর্বেদের এক সার্বিক জীবন দর্শন। গোয়ায় আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য কংগ্রেসে আয়ুর্বেদের এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য আলোচ্যসূচিতে রয়েছে বলেই আমি মনে করি। আয়ুর্বেদ এবং আয়ুষকে আমরা সার্বিকভাবে আরও কিভাবে উন্নত করে তুলতে পারি সেই লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপও প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এই প্রচেষ্টা যে নিশ্চিতভাবেই সফল হয়ে উঠবে, সে সম্পর্কে আমি আশাবাদী। এই বিশ্বাস নিয়ে এবং আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। একইসঙ্গে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আয়ুষ ও আয়ুর্বেদের প্রসার ও উন্নয়নে।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM chairs 45th PRAGATI Interaction
December 26, 2024
PM reviews nine key projects worth more than Rs. 1 lakh crore
Delay in projects not only leads to cost escalation but also deprives public of the intended benefits of the project: PM
PM stresses on the importance of timely Rehabilitation and Resettlement of families affected during implementation of projects
PM reviews PM Surya Ghar Muft Bijli Yojana and directs states to adopt a saturation approach for villages, towns and cities in a phased manner
PM advises conducting workshops for experience sharing for cities where metro projects are under implementation or in the pipeline to to understand the best practices and key learnings
PM reviews public grievances related to the Banking and Insurance Sector and emphasizes on quality of disposal of the grievances

Prime Minister Shri Narendra Modi earlier today chaired the meeting of the 45th edition of PRAGATI, the ICT-based multi-modal platform for Pro-Active Governance and Timely Implementation, involving Centre and State governments.

In the meeting, eight significant projects were reviewed, which included six Metro Projects of Urban Transport and one project each relating to Road connectivity and Thermal power. The combined cost of these projects, spread across different States/UTs, is more than Rs. 1 lakh crore.

Prime Minister stressed that all government officials, both at the Central and State levels, must recognize that project delays not only escalate costs but also hinder the public from receiving the intended benefits.

During the interaction, Prime Minister also reviewed Public Grievances related to the Banking & Insurance Sector. While Prime Minister noted the reduction in the time taken for disposal, he also emphasized on the quality of disposal of the grievances.

Considering more and more cities are coming up with Metro Projects as one of the preferred public transport systems, Prime Minister advised conducting workshops for experience sharing for cities where projects are under implementation or in the pipeline, to capture the best practices and learnings from experiences.

During the review, Prime Minister stressed on the importance of timely Rehabilitation and Resettlement of Project Affected Families during implementation of projects. He further asked to ensure ease of living for such families by providing quality amenities at the new place.

PM also reviewed PM Surya Ghar Muft Bijli Yojana. He directed to enhance the capacity of installations of Rooftops in the States/UTs by developing a quality vendor ecosystem. He further directed to reduce the time required in the process, starting from demand generation to operationalization of rooftop solar. He further directed states to adopt a saturation approach for villages, towns and cities in a phased manner.

Up to the 45th edition of PRAGATI meetings, 363 projects having a total cost of around Rs. 19.12 lakh crore have been reviewed.