ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
আমি আপনাদের সকলকে প্রথম ভারত-মধ্য এশিয়া শিখর সম্মেলনে স্বাগত জানাই।
ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০টি ফলপ্রসূ বর্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে।
এই তিন দশকে আমাদের সহযোগিতায় অনেক সাফল্য এসেছে।
তাই, গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে আমাদের আগামী বছরগুলিকে লক্ষ্য রেখে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এই পরিকল্পনা এমন হবে যা আমাদের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের পরিবর্তনশীল এই জগতে যাবতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে।
ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সমস্ত মধ্য এশীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
ভারতের শক্তি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাজাখস্তান এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই দেশটির সম্প্রতি জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে আমার সমবেদনা জ্ঞাপন করি।
উজবেকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতায় আমাদের রাজ্য সরকারগুলিও সক্রিয় অংশীদার। এর মধ্যে আমার নিজ রাজ্য গুজরাটও রয়েছে।
কিরগিজস্তানের সঙ্গে শিক্ষা এবং সর্বাধুনিক গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের সক্রিয় অংশীদারিত্ব রয়েছে। হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া এখন সেখানে পড়াশোনা করছেন।
তাজিকিস্তানের সঙ্গেও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এই সহযোগিতাকে নিরন্তর সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছি।
আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভারতের পরিকল্পনায় তাজিকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশগাবাদ চুক্তি আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্বে সেই সাক্ষ্য বহন করে।
ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের সব দেশের অভিন্ন উদ্বেগ ও উদ্দেশ্য রয়েছে। আফগানিস্তানের ঘটনাবলী সম্পর্কে আমরা সকলেই চিন্তিত।
এই প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
আজকের এই শিখর সম্মেলনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে।
প্রথমত, এটা সুস্পষ্ট করা অত্যন্ত প্রয়োজন যে ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের পক্ষ থেকে আমি এটা সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, এক অখণ্ড ও সম্প্রসারিত প্রতিবেশীর নীতিতে মধ্য এশিয়া ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির মূল কেন্দ্রে রয়েছে।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল, আমাদের সহযোগিতায় এক কার্যকর কাঠামো গড়ে তোলা। এই কাঠামো অংশীদার দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত যোগাযোগের এক মঞ্চ গড়ে তুলবে।
তৃতীয় উদ্দেশ্য হল, আমাদের সহযোগিতায় এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
এই দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আমরা আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অখণ্ড নীতি এবং আগামী ৩০ বছরের নিরিখে এক সহযোগিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
ভদ্রমহোদয় / মহোদয়াগণ,
আমি আপনাদের সকলকে আরও একবার ভারত-মধ্য এশিয়া শিখর সম্মেলনের প্রথম বৈঠকে স্বাগত জানাই।
বিঃদ্রঃ – এটি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আক্ষরিক অনুবাদ নয়। মূল ভাষণটি তিনি হিন্দিতে দিয়েছিলেন।