নমস্তে অস্ট্রেলিয়া!

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আর আমার প্রিয় বন্ধু, মহামান্য, অ্যান্থনি আল্বানিজ, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য স্কট মরিসন, নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ভোগ, যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড, শক্তিমন্ত্রী ক্রিস বোভেন, বিরোধী দলনেতা পিটার ডাটন, সহকারী বিদেশমন্ত্রী টিম ওয়াটস, নিউ সাউথ ওয়েলসের বর্তমান মন্ত্রিসভার যে মাননীয় সদস্যরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন, প্যারামাটার সাংসদ ডঃ অ্যান্ড্রু  চার্লটল, এখানে উপস্থিত অস্ট্রেলিয়ার সকল সংসদ সদস্য, এই মহানগরীর মাননীয় মেয়র, ডেপুটি মেয়র, সমস্ত কাউন্সিলর এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী সমস্ত প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যাঁরা আজ এত বিপুল সংখ্যায় এখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমার নমস্কার!

প্রথমত, আমরা আজ এখানে যে মাটিতে মিলিত হচ্ছি সেই ভূমির ঐতিহ্যবাহী অভিভাবকদের আমি স্বীকৃতি জানাই। আমি এই এলাকার প্রবীণদের, অতীত, বর্তমান এবং উদীয়মানদের প্রত্যেককে  শ্রদ্ধা জানাই। আমি আজ এখানকার সমস্ত সম্ভাব্য ‘ফার্স্ট নেশন্স পিপল’দের সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত ও এই সময়টাকে উদযাপন করছি।

|

বন্ধুগণ,

আমি যখন ২০১৪ সালে এসেছিলাম, তখন আপনাদেরকে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আপনাদের আবার কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতে দীর্ঘ ২৮ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। তাহলে নিন, এখানে সিডনির এই ‘অ্যারেনা’তে আমি আবার হাজির হয়েছি, আর এবার আমি একা আসিনি। আপনাদের প্রধানমন্ত্রী আল্বানিজও আমার সঙ্গে এসেছেন। মিষ্টার প্রাইম মিনিস্টার, অত্যন্ত ব্যস্ত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও আমাদের সকলের জন্য আপনি নিজের মূল্যবান সময় বের করেছেন। এতে আমাদের মতো ভারতীয়দের প্রতি আপনার ভালোবাসাকে বোঝা যায়। আপনি একটু আগেই যা বললেন, তা থেকে বোঝা যায় যে অস্ট্রেলিয়ার মনে ভারতের প্রতি কতটা ভালোবাসা রয়েছে। এবছরই আপনাকে আমাদের ভারতের মাটিতে, আমেদাবাদে স্বাগত জানানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ আপনি এখানে ‘লিটল ইন্ডিয়া’র ভিত্তিপ্রস্তর -এর আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। থ্যাঙ্ক ইউ মাই ফ্রেন্ড অ্যান্থনি!

এই ‘লিটল ইন্ডিয়া’ অস্ট্রেলিয়ার বিকাশে প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদানেরও একটি স্বীকৃতি। আমি নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার, প্যারামাটা শহরের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং কাউন্সিলরদের এই বিশেষ সম্মানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনেক মানুষ এখন সার্বজনিক জীবনে সক্রিয় অংশিদারিত্বে সামিল হয়েছেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলছেন। বর্তমান নিউ সাউথ ওয়েলসের সরকারে, ডেপুটি প্রিমিয়ার প্রু কার, ট্রেজারার ড্যানিয়েল মুখি বড় অবদান রাখছেন। আর গতকালই, ভাই সমীর পান্ডে প্যারামাটার লর্ড মেয়র রূপে নির্বাচিত হয়েছেন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

আজ যখন প্যারামাটায় এসব কিছু হচ্ছে, তখন আমি আরেকটি তথ্য জানতে পেরেছি যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ মহানগরে ভারতীয় সৈনিক নৈন সিং সাইলানির নামে সাইলানি অ্যাভিনিউ রাখা হয়েছে। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সৈন্যদলের হয়ে বীরত্বের সঙ্গে লড়ে শহীদ হয়েছেন। এই সম্মানের জন্য আমি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বকে সাদর অভিনন্দন জানাই।

|

বন্ধুগণ,

একটা সময় ছিল, যখন বলা হত যে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে নির্ধারণ করে 3C। এই 3C হল ‘কমনওয়েলথ’, ‘ক্রিকেট’ এবং ‘কারি’। এর পর বলা হত যে ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পর্ক 3D ভিত্তিক। এই 3D হল ‘ডেমোক্রেসি’, ‘ডায়াসপোরা’ এবং ‘দোস্তি’। অনেকে আবার একথাও বলেছেন, ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক নির্ভর করে 3E-র উপর। এই 3E হল ‘এনার্জি’, ‘ইকনোমি’ এবং ‘এডুকেশন’। অর্থাৎ কখনো C, কখনো D এবং কখনও E – ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই ধারণা সম্ভবত ঠিকই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিস্তার এর থেকেও অনেক বড়, আর এই সম্পর্কের সবচাইতে বড় ভিত্তি হল পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা। হ্যাঁ, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা শুধুই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিকশিত হয়নি। এর প্রকৃত কারণ হল আপনারা, এর প্রকৃত শক্তি হল আপনারা;  প্রত্যেক প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। এটাই প্রকৃত কারণ, অস্ট্রেলিয়ার আড়াই কোটিরও বেশি জনগণের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্কের আসল কারণ!

বন্ধুগণ,

আমাদের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু ভারত মহাসাগর আমাদের উভয়  দেশকে জুড়ে রেখেছে। আমাদের জীবনশৈলী যতই আলাদা হোক না কেন, এখন যোগা আমাদের যুক্ত করেছে। ক্রিকেটের মাধ্যমে তো আমরা দীর্ঘকাল ধরে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিলামই। এখন টেনিস এবং সিনেমাও আমাদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করছে। আমাদের রন্ধন প্রণালী যতই আলাদা হোক না কেন, এখন ‘মাস্টার শেফ’রা আমাদের যুক্ত করছে। আমাদের উভয় দেশে পালা, পার্বন, উৎসব, অনুষ্ঠান ভিন্নভাবে পালিত হয়, কিন্তু আমরা যুক্ত হচ্ছি দীপাবলির আলোর উৎসবে, বৈশাখী উদযাপনের মাধ্যমে। আমাদের ভাষা ভিন্ন, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এতগুলি স্কুলে যে মালয়ালম, তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি এবং হিন্দি ভাষা পড়ানো হয়, সেই স্কুলগুলির মাধ্যমেও আমরা যুক্ত রয়েছি ।

|

বন্ধুগণ,

অস্ট্রেলিয়ার জনগণের হৃদয় এত বিশাল, তাঁরা এত ভালো ও পবিত্র মনের মানুষ যে ভারতের এই বৈচিত্র্যকে তাঁরা উন্মুক্ত মনে স্বীকার করেন আর এটাই কারণ যে প্যারামাটা স্কোয়ারকে প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকে পরমাত্মা চক বলেন। উইগ্রম স্ট্রিট তাঁদের মুখে মুখে বিক্রম স্ট্রিট রূপে বিখ্যাত হয়ে পড়ে। তেমনি হ্যারিস পার্ক হয়ে ওঠে হরিস পার্ক। আমি শুনেছি, যে হ্যারিস পার্কের চ্যাটকাজের চাট, জয়পুর সুইটসের জিলেপি অত্যন্ত সুস্বাদু। আপনাদের সবাইকে আমি অনুরোধ জানাই, আপনারা অবশ্যই আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী অ্যাল্বানিসকে ওখানে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবেন। আর বন্ধুগণ, আমি যখন খানা-পিনার প্রসঙ্গেই কথা বলছি, তখন লক্ষ্ণৌর কথা ওঠা স্বাভাবিক। আমি শুনেছি যে সিডনির কাছে লক্ষ্ণৌ নামে একটি জায়গাও রয়েছে। আমি জানিনা যে ওখানে চাট পাওয়া যায় কি না। আচ্ছা এখানেও হয়তো আমাদের দিল্লির নিকটবর্তী শহর লক্ষ্ণৌর বাসিন্দা কেউ কেউ রয়েছেন, তাই না? বাহ বাহ, সত্যিই এখানকার দিল্লি স্ট্রিট, বম্বে স্ট্রিট, কাশ্মীর অ্যাভিনিউ, মালাবার অ্যাভিনিউ এরকম কত না সড়ক পথ এই অস্ট্রেলিয়াকেও আপনাদের আপন করে ভাবতে সাহায্য করে। আমাকে বলা হয়েছে, যে এখন গ্রেটার সিডনিতে ইন্ডিয়া প্যারেডও শুরু হতে চলেছে। একথা জেনে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি, যে এখানে আপনারা সবাই অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করেছেন। এখানকার অনেক সিটি কাউন্সিলে বিবিধ কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। সিডনি অপেরা হাইজ যখন ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার আলোয় সজ্জিত হয়েছে, তখন এখানকার প্রত্যেক প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের হৃদয় নিশ্চয়ই আনন্দে ভরে গেছে। ভারতেও সবাই জয় জয়কার করছিল, আর সেজন্য আমি নিউ সাউথ ওয়েলস গভর্নমেন্টকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।  

বন্ধুগণ,

আমাদের পারস্পরিক ক্রিকেটীয় সম্পর্কের বয়সও ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। ক্রিকেটের ময়দানে কড়া মোকাবিলা যতটা আকর্ষক হয়, ততটাই গভীর আমাদের মাঠের বাইরের বন্ধুত্ব। এবার তো অস্ট্রেলিয়ার অনেক মহিলা ক্রিকেট খেলোয়াড়ও প্রথমবার ভারতে আইপিএল খেলতে এসেছিলেন, আর বন্ধুগণ আমরা শুধু আপনাদের সুখের সঙ্গী নই, ভালো বন্ধুরা শুধু সুখের সঙ্গী হয় না, দুঃখেরও সঙ্গী হয়। গত বছর যখন মহান ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন প্রয়াত হয়েছিলেন, তখন অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি ভারতবাসীও শোকপালন করেছেন; নিজের কাউকে হারিয়ে মানুষ যেরকম শোকপালন করেন।

বন্ধুগণ,

আপনারা সবাই প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নকে নিজের চোখে দেখছেন। আপনাদের সকলের স্বপ্ন যে আমাদের ভারতও একদিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আপনারা সবাই এই স্বপ্ন দেখেন তো? আপনারা সবাই এই স্বপ্ন দেখেন তো? আপনারা সবাই এই স্বপ্ন দেখেন তো? যে স্বপ্ন, আপনাদের হৃদয়ে রয়েছে, সেই স্বপ্ন আমারও হৃদয়ে রয়েছে। এটা আমারও স্বপ্ন। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন।

|

বন্ধুগণ,

ভারতে সামর্থের অভাব নেই। ভারতে সম্পদেরও কোনো অভাব নেই। আজ বিশ্বের সবচাইতে বড় এবং সবচাইতে নবীন প্রতিভার কারখানা যে দেশে রয়েছে, তার নাম হল ইন্ডিয়া। হ্যাঁ, আপনারা সঠিক জবাব দিচ্ছেন। আমি এই কথাটি আবার উচ্চারণ করছি, আজ বিশ্বের সবচাইতে বড় এবং সবচাইতে নবীন প্রতিভার কারখানা যে দেশে রয়েছে, তার নাম হল ইন্ডিয়া। তার নাম হল ইন্ডিয়া, তার নাম হল ইন্ডিয়া, তার নাম হল ইন্ডিয়া। এখন আমি আপনাদের কাছে কিছু তথ্য রাখবো, আপনাদের কাছ থেকে সঠিক উত্তর জানতে চাইবো। আপনারা সবাই প্রস্তুত? করোনার এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময় যে দেশ বিশ্বে সবচাইতে দ্রুত টিকাকরণ অভিযান চালিয়েছে, সেই দেশ হল ইন্ডিয়া, সেই দেশ হল ইন্ডিয়া, সেই দেশ হল ইন্ডিয়া। যে দেশ বিশ্বের ‘ফাস্টেস্ট লার্জ গ্রোইং ইকনোমি’ বা দ্রুততম বৃহৎ অর্থনীতি দেশে পরিণত হয়ে উঠছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন ডেটা কনজিউমার সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ ফিনটেক অ্যাডাপশন রেটে এক নম্বর সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ দুধ উৎপাদনে বিশ্বে এক নম্বর সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয়, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ মোবাইল ফোন উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ ধান, গম ও আখ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ ফল এবং সবজি উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজ যে দেশ বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অটোমোবাইল মার্কেট যে দেশে রয়েছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আজকের বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অসামরিক বিমান পরিবহণ মার্কেট যে দেশে রয়েছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত। আর যে দেশ আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত, সেটি হল ভারত।

বন্ধুগণ,

আজ ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির উজ্জ্বলতম দেশ বলে স্বীকার করে। বিশ্বব্যাঙ্ক বিশ্বাস করে ‘গ্লোবাল হেডউইন্স’কে যদি কোনো দেশ মোকাবিলা করতে পারে সেটি হল ভারত। আজ বিশ্বের অনেক দেশে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, ভারতের ব্যাঙ্কগুলি যেভাবে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে - সবাই তার প্রশংসা করছে। বিশ্বে গত ১০০ বছরে সবচাইতে বড় সঙ্কটকালের মধ্যেও ভারত গত বছর রেকর্ড পরিমান পণ্য রপ্তানি করেছে। আজ আমাদের ‘ফোরেক্স রিজার্ভ’ বা রাজকোষে বিদেশী অর্থের পরিমাণ নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে।

বন্ধুগণ,

ভারত ‘গ্লোবাল গুড’ বা মানবতার সপক্ষে কিভাবে কাজ করছে, তার উদাহরণ আমাদের ডিজিটাল স্টেক। আপনারা সবাই ভারতের ফিনটেক বিপ্লবের সঙ্গে খুব ভালোভাবেই পরিচিত। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আমি যখন ২০১৪ সালে এদেশে এসেছিলাম, তখন আপনাদের কাছে আমার একটি স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। আমার সেই স্বপ্নটি ছিল ভারতের প্রত্যেক দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম  ব্যক্তির নামে যেন নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে। আপনারা শুনলে গর্বিত হবেন, যে বিগত ৯ বছরে আমরা প্রায় ৫০ কোটি ভারতবাসীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি। আজ আমাদের সাফল্য শুধু সেখানেই নয়, আমরা দরিদ্র মানুষদের এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে ভারতে পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি বা গণ পরিষেবা প্রদানের একটি সম্পূর্ণ ইকো সিস্টেমে রূপান্তরিত করেছি। আমরা জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফোন এবং আধার আইটির সম্মিলিত ব্যবহারে একটি জেএএম ট্রিনিটি গড়ে তুলেছি। আপনারা ভাবুন যে এর ফলে, মাত্র একটি ক্লিক-এ কোটি কোটি ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে। আপনারা শুনলে আরও খুশি হবেন, যে বিগত ৯ বছরে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাৎ ৫০০ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকেও বেশি অর্থ প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। করোনার সময়, অনেক দেশের সরকার তাঁদের নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু ভারত তখন এক ক্লিকে চোখের নিমেষে তার গরিবদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছিল। ইউনিভার্সাল পাবলিক ইন্টারফেস বা ইউপিআই-এর মাধ্যমে ভারতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আপনারা শুনলে খুশি হবেন, আজ বিশ্বের ৪০ শতাংশ রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্ট শুধু ভারতে হয়। যাঁরা সম্প্রতি ভারতে এসেছেন, তাঁরা হয়তো দেখেছেন যে, আজ আমাদের দেশে ফল বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে ফুচকাওয়ালা কিংবা চা-ওয়ালা – সর্বত্র সবাই ডিজিটাল লেনদেনে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন।

বন্ধুগণ,

ভারতের এই ডিজিটাল বিপ্লব শুধুই ফিনটেকে সীমাবদ্ধ নয়। ভারত আরও অনেক আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। জনগণের ‘ইজ অফ লিভিং’ সম্প্রসারিত করছে। এর একটি উদাহরণ ভারতের ডিজি লকার, এতে ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে সরকার থেকে যত ডিগ্রি এবং সম্পত্তির দলিল, পর্চা ইত্যাদি দেওয়া হয় - সেগুলি এখন ডিজি লকার বা ডিজিটাল লকার থেকে জেনারেট হচ্ছে। এখন প্রায় ১০০ ধরনের ডক্যুমেন্ট ডিজিটাল লকারে রিফ্লেক্ট হয়। এখন আর আপনাদের ফিজিক্যাল কপি স্টোর করার দরকার নেই। শুধু একটি পাসওয়ার্ডই যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই এর সঙ্গে ১৫ কোটি বা দেড়শো মিলিয়নেরও বেশি ভারতবাসী যুক্ত হয়েছেন। এভাবে অনেক ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আজ ক্রমে ভারতবাসীকে সক্ষম করে তুলছে, ক্ষমতাধর করে তুলছে।

|

বন্ধুগণ,

আজ ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সাফল্য সম্পর্কে বিশ্ববাসী জানতে চায়। আজকের বিশ্ব যে ওয়ার্ল্ড অর্ডারের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যে সম্ভাবনাগুলির অনুসন্ধান করছে সেগুলির প্রেক্ষিতে এটাই স্বাভাবিক। ভারত কয়েক হাজার বছরের একটি সজীব সভ্যতা। ভারতকে মাদার অফ ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের জননীও বলা হয়। আমরা সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তিত করেছি কিন্তু নিজেদের মৌলিক দর্শন সর্বদাই সযত্নে রক্ষিত হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রকেও একটা পরিবার রূপে দেখি, আর বিশ্বকেও একটি পরিবার বলে মনে করি। আমাদের মূলমন্ত্র - ‘বসুধৈব কুটুম্বকম!’ আর সেজন্য যখন ভারত তার জি-২০ অধ্যক্ষতার মূল ভাবনা স্থির করে, তখন বলে, আমাদের নিজস্ব আদর্শগুলিকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বভাবকে দেখুন। জি-২০ অধ্যক্ষতায় ভারত বলে, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। যখন ভারত পরিবেশ রক্ষার জন্য সৌর শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় লক্ষ্য স্থির করে, তখন বলে, এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড। যখন ভারত বিশ্ব মানবতাকে সুস্থ রাখার কামনা করে, তখন বলে, এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য। ভারত সেই দেশ, যে দেশ বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সঙ্কটকালে ১৫০টিরও বেশি দেশে প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ পাঠিয়েছে। ভারত তখন ১০০টিরও বেশি দেশকে বিনামূল্যে টিকা পাঠিয়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। করোনার সময়ে আপনারাও এখানে যে সেবা ভাবনা নিয়ে কাজ করেছেন, সেটাই আমাদের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট। আজ শ্রেষ্ঠ শহীদ পঞ্চম শিখগুরু শ্রী গুরু অর্জুন দেবজির শহীদ দিবস উপলক্ষে ‘শহীদী পরব’। আমরা গুরুজীর জীবন থেকে সবাইকে সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি। গুরু অর্জুন দেবজিই ‘দশবন্ধ প্রণালী’ শুরু করেছিলেন। এই প্রেরণা নিয়ে করোনার সময়ও অসংখ্য গুরুদ্বার পরিচালিত লঙ্গর এখানেও অনেক মানুষকে সাহায্য করেছে। সেই সময়ে অসংখ্য মন্দিরের রান্নাঘরও এখানে পীড়িতদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। যে ভারতীয় ছাত্র ছাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ায় থেকে পড়াশুনা করছেন, তাঁরাও এখানে বিপুল সংখ্যায় জনগণকে সাহায্য করতে হাত বাড়িয়ে ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও সেই সময় অনেককে সাহায্য করেছে। ভারতীয়রা যেখানেই থাকুক না কেন, একটি মানবিক মনোভাব সর্বদাই তার মধ্যে সমাহিত থাকে।

বন্ধুগণ,

মানবতার কল্যাণে এই ধরণের কাজগুলির ফলেই আজ ভারতকে ‘ফোর্স অফ গ্লোবাল গুড’ বা মানবতার কল্যাণকারী শক্তি হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো বিপর্যয় হয়, ভারত সর্বদাই সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকে। যেখানেই কোনো সঙ্কট আসে, ভারত সমাধানের জন্য তৎপর থাকে। আজ আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের মাধ্যমে সৌর জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো থেকে শুরু করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলা কিংবা ‘ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স’-এ নেতৃত্ব প্রদান পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত সর্বদাই বিভিন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি ‘বাইন্ডিং ফোর্স’ এর মতো কাজ করছে। সম্প্রতি যখন তুরস্কে ভূমিকম্প ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তখন ভারত ‘অপারেশন দোস্ত’ এর মাধ্যমে সে দেশের বিপন্নদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত নিজের হিতকে সকলের হিতের সঙ্গে যুক্ত করে দেখে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা, বিশোয়াস অউর সবকা প্রয়াস’ এটাই আমাদের ‘ডোমেস্টিক গভর্ন্যান্স’-এরও ভিত্তি আর ‘গ্লোবাল গভর্ন্যান্স’-এর ক্ষেত্রেও এটাই মূল দৃষ্টিভঙ্গি।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিনিয়ত নিবিড়তর হচ্ছে। সম্প্রতি আমরা ‘ইকনোমিক কো-অপারেশন’ এবং ‘ট্রেড এগ্রিমেন্ট ইসিটি’-তে স্বাক্ষর করেছি। এর ফলে আগামী পাঁচ বছর উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ হবে। এখন আমরা ‘কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা স্থিতিস্থাপক এবং নির্ভরযোগ্য পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলও গড়ে তুলছি। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য তো শক্তিশালী হবেই, বিশ্ববাসীও এ থেকে নতুন ভরসা পাবে। আজ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনেক বিমান সরাসরি চলাচল করে। বিগত বছরগুলিতে উভয় দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ ও ফ্লাইটের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী দিনগুলিতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। পরস্পরের ডিগ্রিকে স্বীকৃতি প্রদান নিয়ে আলোচনাতেও উভয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর এর ফলে আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা অনেক লাভবান হবেন। ‘মাইগ্রেশন’ এবং ‘মোবিলিটি পার্টনারশিপ’ চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও সহমতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে আমাদের দক্ষ পেশাদারদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসা এবং এখানে কাজ করা সহজ হবে। আর বন্ধুগণ, যখন আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি, তখন একটি ঘোষণাও করতে চলেছি। ব্রিসবেনে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের যে দাবি ছিল এখন তা পূরণ করা হবে। অতি শীঘ্রই ব্রিসবেনে ভারতের একটি নতুন ‘কনস্যুলেট’ খোলা হবে।

বন্ধুগণ,

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিবিড় হতে থাকা অংশীদারিত্ব ভারত মাতার উপর আস্থা রাখা প্রত্যেক ব্যক্তিকে ক্ষমতায়িত করবে। আপনাদের কাছে প্রতিভা আছে, নিজস্ব দক্ষতার শক্তি আছে আর সঙ্গে রয়েছে আপনাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধগুলি আপনাদের অস্ট্রেলিয়ার জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। আমি গতকালই পাপুয়া নিউ গিনি থেকে এসেছি। সেখানে আমি সেদেশের স্থানীয় ভাষায় আমাদের তামিল সাহিত্যের ধ্রুপদী গ্রন্থ ‘তুরুক্কুরল-এর অনুবাদ সম্প্রদান করেছি। এই অনুবাদ করেছেন সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন স্থানীয় গভর্নর। আমরা ভারতীয়রা কিভাবে বিদেশে থেকেও নিজেদের শিকড় নিয়ে গর্ববোধ করি, শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকি, তার একটি সজীব উদাহরণ হল এই অনুবাদ। আপনারাও এখানে, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির সৌরভ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আপনারাই অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের কালচারাল অ্যাম্বাসেডর বা সাংস্কৃতিক রাজদূত, আপনারাই ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

বন্ধুগণ,

আমি নিজের বক্তব্য শেষ করার আগে আপনাদের কাছ থেকে কিছু চাইবো, আপনারা দেবেন? আওয়াজ অনেক হালকা হয়ে গেছে, দেবেন? ঠিক দেবেন? প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন? আমি আপনাদের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি আর আপনাদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা যখনই ভারতে আসবেন নিজেদের সঙ্গে কোনো না কোনো অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু এবং তাঁদের পরিবারকেও সঙ্গে নিয়ে আসবেন। তাহলে তাঁরা ভারতকে বোঝা, জানার আরও বেশি সুযোগ পাবেন। আজ এত বিপুল সংখ্যায় আপনারা এসেছেন, তাই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আপনারা প্রত্যেকেই সুস্থ থাকুন, খুশি থাকুন, আনন্দে থাকুন। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

আমার সঙ্গে জোরে বলুন, -  ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!

 

  • krishangopal sharma Bjp December 18, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩,,
  • krishangopal sharma Bjp December 18, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩,
  • krishangopal sharma Bjp December 18, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Anil Kumar Shukla March 26, 2024

    Jai shree krishna
  • Pahalad Pahalad March 25, 2024

    , मोदीजी भारत के सिरमौर है
  • Gundappa Gundappa March 21, 2024

    2024 me BJP govt
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India achieves 100 GW solar PV module capacity under ALMM: MNRE

Media Coverage

India achieves 100 GW solar PV module capacity under ALMM: MNRE
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM pays tribute to the resilience of Partition survivors on Partition Horrors Remembrance Day
August 14, 2025

Prime Minister Shri Narendra Modi today observed Partition Horrors Remembrance Day, solemnly recalling the immense upheaval and pain endured by countless individuals during one of the most tragic chapters in India’s history.

The Prime Minister paid heartfelt tribute to the grit and resilience of those affected by the Partition, acknowledging their ability to face unimaginable loss and still find the strength to rebuild their lives.

In a post on X, he said:

“India observes #PartitionHorrorsRemembranceDay, remembering the upheaval and pain endured by countless people during that tragic chapter of our history. It is also a day to honour their grit...their ability to face unimaginable loss and still find the strength to start afresh. Many of those affected went on to rebuild their lives and achieve remarkable milestones. This day is also a reminder of our enduring responsibility to strengthen the bonds of harmony that hold our country together.”