Quote“মানুষের উর্দির প্রতি যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। সমস্যায় থাকা মানুষেরা যখন আপনাদের দেখতে পান, তাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের জীবন এখন নিরাপদ, তাঁদের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়”
Quoteসমস্যা যখন অধ্যাবসায় ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে মোকাবিলা করা হয়, তখন সাফল্য নিশ্চিত
Quote“পুরো অভিযানের মধ্য দিয়ে স্পর্শকাতরতা, সম্পদের প্রাচুর্য এবং সাহসের প্রতিফলন ঘটেছে”
Quoteসবকা প্রয়াস – এই অভিযানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে”

আমার সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে যারা যুক্ত হয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি, সাংসদ শ্রী নিশিকান্ত দুবেজি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, চিফ অফ আর্মি স্টাফ, চিফ অফ এয়ার স্টাফ, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ডায়রেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বা ডিজিপি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ-এর ডায়রেক্টর জেনারেল, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের ডায়রেক্টর জেনারেল, স্থানীয় প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীরা, আমাদের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বাহাদুর সেনা জওয়ান, কম্যান্ডো, পুলিশকর্মী এবং অন্যান্য সাথীগণ,

আপনাদের সবাইকে নমস্কার!

আপনারা তিনদিন ধরে ২৪ ঘন্টা ক্রমাগত কাজ করে একটি অত্যন্ত কঠিন ত্রাণ ও উদ্ধার অপারেশনকে সুসম্পন্ন করেছেন এবং অনেক দেশবাসীর জীবন বাঁচিয়েছেন। গোটা দেশবাসী আপনাদের সাহস ও পরাক্রমের প্রশংসা করছে। আমি এই সাফল্যকে বাবা বৈদ্যনাথজির কৃপা বলে মনে করি। যদিও আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে কয়েকজন দেশবাসীর জীবন আমরা বাঁচাতে পারিনি। অনেকে ভীষণভাবে আহতও হয়েছেন। পীড়িত পরিবারগুলির সঙ্গে আমাদের সকলের সম্পূর্ণ সমবেদনা রয়েছে। আমি সমস্ত আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।

|

 

বন্ধুগণ,

যাঁরাই এই অপারেশনকে নানা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দেখেছেন, তাঁরা অবাক হয়েছেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত উৎকন্ঠায় থেকেছেন। আপনারা সবাই তো সেখানে কাজ করছিলেন। আপনাদের সকলের জন্য সেই পরিস্থিতি সামলানো কতটা মুশকিল ছিল, কতটা কঠিন ছিল -  তা কল্পনা করা যেতে পারে। কিন্তু দেশ এজন্য গর্বিত যে আমাদের এরকম সক্ষম স্থলবাহিনী, দক্ষ বায়ুসেনা, কর্মঠ ও কুশলী জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এন ডি আর এফ এর সেনাকর্মী, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের সেনাকর্মী এবং রাজ্য পুলিশের দক্ষ কর্মীদের নিয়ে এমন পারদর্শী বাহিনী রয়েছে, যারা দেশবাসীকে প্রত্যেক বিপর্যয় থেকে সুরক্ষিতভাবে বের করে আনার ক্ষমতা রাখে। এই দুর্ঘটনা আর এই ‘রেসকিউ মিশন’ থেকে আমরা অনেক শিক্ষাও পেয়েছি। আপনাদের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে। আমি আপনাদের সবার সঙ্গে কথা বলার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে আছি।  কারণ, এই অপারেশনের সঙ্গে আমি শুরু থেকেই যুক্ত ছিলাম। দূর থেকে হলেও আমি প্রতিটি বিষয়ের, প্রতিটি পদক্ষেপ এর নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। কিন্তু আজ আমার জন্য আপনাদের মুখ থেকে সমস্ত কথা বিস্তারীত জানাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। আসুন, আমরা সবার আগে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী(এন ডি আর এফ)-র মহাপরাক্রমী সেনাদের কথা শুনি। কিন্তু আমি একটা কথা বলব, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলেছে, আর এই পরিচয় তারা নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে, নিজেদের পৌরুষ দিয়ে এবং পরাক্রম দিয়ে গড়ে তুলেছে। সেজন্য ভারতের যেখানেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেনাকর্মীরা যান, তাঁরা এই পরিশ্রম এবং এই নিজেদের পরাক্রমের মাধ্যমে গড়ে তোলা পরিচয়ের জন্যও অভিনন্দনের অধিকারী হয়ে ওঠেন।

|

ক্লোজিং রিমার্ক্স (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর পরাক্রমী সেনাদের বক্তব্য)

এটা খুব ভালো কথা যে আপনারা সবাই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজ করেছেন আর খুবই কো-অর্ডিনেটেড বা সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করেছেন, সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছেন। আমি প্রথম দিন সন্ধ্যাতেই এই খবর পেয়েছিলাম এবং তারপর থেকে নিয়মিত খবর পেয়েছি। প্রথম দিনই পরের দিকে জানতে পেরেছি যে সেখানে হেলিকপ্টার নিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন! কঠিন হওয়ার কারণ, হেলিকপ্টারের ভাইব্রেশনে বাতাসে যে আলোড়ন ওঠে, তাতে একসঙ্গে অনেকগুলি তার নড়তে শুরু করে। এর ফলে ট্রলিতে বসে থাকা মানুষ বাইরে পড়ে যেতে শুরু করেন। সেজন্য হেলিকপ্টার ওখানে নিয়ে যাওয়াও একটা দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল। সারা রাত এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। কিন্তু এত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আমি দেখতে পেয়েছি কতটা সমন্বয়ের মাধ্যমে আপনারা এই কাজ করেছেন, আর আমি বুঝতে পারছি যে এ ধরনের বিপর্যয়ের সময়ে ‘রেসপন্স টাইম’ বা দ্রুত সক্রিয় হওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বা বিষয় হয়ে ওঠে। আপনাদের দ্রুতগতিতে কাজ করার ক্ষিপ্রতা বা আপনাদের তৎপরতার মাধ্যমেই এ ধরনের অপারেশনের সাফল্য বা বিফলতা নির্ধারিত হয়। ইউনিফর্ম পরিহিত মানুষদের প্রতি জনগণের অনেক আস্থা রয়েছে। সঙ্কটের সময় বিপদে পড়া দুর্গত মানুষেরাও যখন আপনাদের দিকে তাকান, তখন তাদের মনে আস্থা জাগে। সে আপনারা যে ইউনিফর্মই পড়ে থাকুন না কেন, সবার মনে আস্থা জাগে। এখন তো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ইউনিফর্মের সঙ্গেও সবাই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আপনাদের সকলের ইউনিফর্মের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়ে উঠেছে। আপনাদের দেখলেই দুর্গতদের মনে আস্থা জাগে, বিশ্বাস জাগে যে এখন তাঁদের জীবন সুরক্ষিত। তাঁদের মনে একটি নতুন আশার আলো জেগে ওঠে। আপনাদের উপস্থিতিতেই এই আশা, এই সাহস জেগে ওঠার কাজ এক প্রকার শুরু হয়ে যায়। বরিষ্ঠ নাগরিকগণ এবং শিশুদের দিকে এরকম সময়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, আর আমি এজন্য অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে আপনারা নিজেদের প্ল্যানিং-এ আর অপারেশনের প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টিকে অত্যন্ত অগ্রাধিকার দিয়েছেন, আর খুব ভালোভাবে তা বাস্তবায়িত করেছেন। আপনাদের প্রশিক্ষণ অতুলনীয়। এই দুর্ঘটনায় প্রভাবিত দুর্গতদের উদ্ধার কার্য থেকে আমরা সবাই আরও একবার জানতে পেরেছি যে, কতটা ভালোভাবে আপনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, আপনারা কতটা সাহসী হন, আর কিভাবে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দেশবাসীর জীবন রক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রত্যেক অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আপনারা নিজেদেরকে প্রতি মুহূর্তে আরও সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করে তুলছেন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ সমস্ত উদ্ধারকারী দলকে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত অত্যাধুনিক উপকরণের যোগান দিয়ে সমৃদ্ধ করা – এটা আমাদের সরকারের দায়বদ্ধতা। এক্ষেত্রে কোনও ফাঁক থাকলে, কোনত্রুটি থাকলে আমরা তার পর্যালোচনা করে নিজেদের ব্যবস্থাপনাকে অবশ্যই শুধরে নেব। এই গোটা অপারেশন সমবেদনা, সংবেদনশীলতা, ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করা, আর অদম্য সাহসের অনুপম নিদর্শন হয়ে উঠেছে। আমি এই দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে বেঁচে ফিরে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এত বড় দুর্ঘটনার পরও ঠান্ডা মাথায় সেনাকর্মীদের নির্দেশ পালন করে নিজেদের সুরক্ষিত করতে তাঁদের সাহায্য করেছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, অনেক দুর্ঘটনাগ্রস্থ মানুষ বিপজ্জনকভাবে ঝুলে ঝুলেও কয়েক ঘন্টা কাটিয়েছেন। রাতভর ঘুমোননি। তারপরেও এই গোটা অপারেশনে তাঁদের ধৈর্য, তাঁদের হিম্মত, তাঁদের উদ্ধারে সেনাকর্মীদের সাহায্য করা - এই উদ্ধার কাজকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে। আপনারা সবাই যদি এই হিম্মত না রাখতেন, আপনারা যদি হাল ছেড়ে দিতেন, তাহলে হয়তো এত সেনা জওয়ানের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এতটা সাফল্য আমরা পেতাম না। সেজন্য যাঁরা এই দুর্ঘটনায় আটকে পড়েছিলেন, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত হিম্মতেরও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আপনারা নিজেদের সামলেছেন, সহ-দুর্গতদের প্রতিনিয়ত সাহস জুগিয়েছেন, আর বাকি কাজ আমাদের উদ্ধার কর্মীরা সম্পন্ন করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দুর্ঘটনা স্থলের স্থানীয় বাসিন্দারা, ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ যেভাবে ২৪ ঘন্টা, সারা রাত দাঁড়িয়ে থেকে আপনাদের সবাইকে সাহায্য করেছেন, যে যতটা সাহায্য করতে পারেন, যতটা করতে পারেন তা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা যতটা বুঝতে পেরেছেন, তাঁদের কাছে যতটা সম্বল ছিল, তা দিয়ে উদ্ধারকারীদের পাশে দাঁড়ানো, দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এই সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারাও সকলের  অভিনন্দনের অধিকারী। দেখুন, এই বিপর্যয় আরও একবার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যখনই আমাদের দেশে কোনও সঙ্কট আসে, তখন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে সেই সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করি, আর সেই সঙ্কট থেকে দেশবাসীকে উদ্ধার করে দেখাই। সকলের প্রচেষ্টা, ‘সবকা প্রয়াস’ এই বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমি বাবা বৈদ্যনাথ ধামের চারপাশে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষদেরও প্রশংসা করব। তাঁরা যেভাবে সকলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তা সারা দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরও একবার আমি এই দুর্ঘটনায় প্রভাবিত পরিবারগুলির প্রতি, মৃতদের পরিবার পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। সমস্ত আহতদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সম্পূর্ণ হোক এই কামনা করি। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। পাশাপাশি আপনারা যাঁরা এই অপারেশনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতার খুঁটিনাটি লিখে রাখুন। কারণ, এ ধরনের অপারেশনে, যেমন বন্যা এলে, অতি বৃষ্টি হলে সকলের পাশে দাঁড়ানোকে আপনারা নিজেদের কাজ বলে মেনে নিয়েছেন, এসব বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা আপনাদের রয়েছে। কিন্তু এবার যা ঘটলো, এই ধরনের ঘটনা খুবই রেয়ার, খুবই বিরল। এই বিষয়ে আপনাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাকে আপনারা খুব ভালোভাবে লিখে রাখুন। আপনাদের এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা থেকে ভবিষ্যতে আপনারা এক ধরনের ম্যানুয়াল তৈরি করতে পারবেন, আর এখানে আমাদের যত বাহিনী কাজ করেছে সকলের অভিজ্ঞতার একটি সঙ্কলন, একটি ডকুমেন্টেশন হোক, যাতে আগামীদিনে এগুলি আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ হয়ে উঠতে পারে যে, এরকম সময়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জেস আসে। এই চ্যালেঞ্জগুলিকে হ্যান্ডেল করার জন্য, এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য কী কী করতে হবে, পর্যায়ক্রমে কী কী করতে হবে। একথা বলার কারণ, যখন প্রথম দিনই সন্ধ্যায় আমি জানতে পেরেছি, আমাকে বলা হয়েছিল যে, সাহেব, হেলিকপ্টার নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন, কারণ ওই তারগুলি এতটা ভাইব্রেশন সহ্য করতে পারবে না, তখন আমি নিজেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে, তাহলে কিভাবে উদ্ধার করা হবে। অর্থাৎ, এক একটি এমন পর্যায় এসেছে, আপনারা সে সম্পর্কে জানেন, আপনাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনারা অনুভব করেছেন। আপনাদের এই অভিজ্ঞতা আপনারা যত দ্রুত ভালোভাবে ডকুমেন্টেশন করবেন, লিখে রাখবেন, তা আমাদের সমস্ত সেনা দলকেই ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে, এটাকে তাঁদের প্রশিক্ষণের অঙ্গ করে তুলতে পারব, আপনাদের নথিভুক্তিকরণকে কেস স্টাডি রূপে আমরা সব সময় ব্যবহার করতে পারব, নতুন প্রশিক্ষণার্থীদের সচেতন করতে পারব। কারণ, আপনাদের তো সব সময়েই নিজেদেরকে তটস্থ রাখতে হয়। তাছাড়া, ওখানে যে কমিটি বসেছে, এই রোপওয়ে এরকম কেন হল? ভবিষ্যতে কী করা হবে? কী কী সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে তা নিয়ে রাজ্য সরকার নিজের দিক থেকে করবে, কিন্তু আমাদের একটি ইনস্টিটিউশন রূপে, একটি প্রতিষ্ঠান রূপে গোটা দেশে এই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সতর্কতার ব্যবস্থাগুলিকে বিকশিত করতে হবে। আমি আরও একবার আপনাদের প্রত্যেককে তাঁদের পরাক্রমের জন্য, তাঁদের পৌরুষের জন্য, তাঁদের নিজের দেশের নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা নিয়ে কাজ করার জন্য অনেক অনেক সাধুবাদ জানাই, প্রশংসা করি। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PMI data: India's manufacturing growth hits 10-month high in April

Media Coverage

PMI data: India's manufacturing growth hits 10-month high in April
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Press Statement by Prime Minister during the Joint Press Statement with the President of Angola
May 03, 2025

Your Excellency, President लोरेंसू,

दोनों देशों के delegates,

Media के सभी साथी,

नमस्कार!

बें विंदु!

मैं राष्ट्रपति लोरेंसू और उनके delegation का भारत में हार्दिक स्वागत करता हूँ। यह एक ऐतिहासिक पल है। 38 वर्षों के बाद, अंगोला के राष्ट्रपति की भारत यात्रा हो रही है। उनकी इस यात्रा से, न केवल भारत-अंगोला संबंधों को नई दिशा और गति मिल रही है, बल्कि भारत और अफ्रीका साझेदारी को भी बल मिल रहा है।

|

Friends,

इस वर्ष, भारत और अंगोला अपने राजनयिक संबंधों की 40वीं वर्षगांठ मना रहे हैं। लेकिन हमारे संबंध, उससे भी बहुत पुराने हैं, बहुत गहरे हैं। जब अंगोला फ्रीडम के लिए fight कर रहा था, तो भारत भी पूरी faith और फ्रेंडशिप के साथ खड़ा था।

Friends,

आज, विभिन्न क्षेत्रों में हमारा घनिष्ठ सहयोग है। भारत, अंगोला के तेल और गैस के सबसे बड़े खरीदारों में से एक है। हमने अपनी एनर्जी साझेदारी को व्यापक बनाने का निर्णय लिया है। मुझे यह घोषणा करते हुए खुशी है कि अंगोला की सेनाओं के आधुनिकीकरण के लिए 200 मिलियन डॉलर की डिफेन्स क्रेडिट लाइन को स्वीकृति दी गई है। रक्षा प्लेटफॉर्म्स के repair और overhaul और सप्लाई पर भी बात हुई है। अंगोला की सशस्त्र सेनाओं की ट्रेनिंग में सहयोग करने में हमें खुशी होगी।

अपनी विकास साझेदारी को आगे बढ़ाते हुए, हम Digital Public Infrastructure, स्पेस टेक्नॉलॉजी, और कैपेसिटी बिल्डिंग में अंगोला के साथ अपनी क्षमताएं साझा करेंगे। आज हमने healthcare, डायमंड प्रोसेसिंग, fertilizer और क्रिटिकल मिनरल क्षेत्रों में भी अपने संबंधों को और मजबूत करने का निर्णय लिया है। अंगोला में योग और बॉलीवुड की लोकप्रियता, हमारे सांस्कृतिक संबंधों की मज़बूती का प्रतीक है। अपने people to people संबंधों को बल देने के लिए, हमने अपने युवाओं के बीच Youth Exchange Program शुरू करने का निर्णय लिया है।

|

Friends,

International Solar Alliance से जुड़ने के अंगोला के निर्णय का हम स्वागत करते हैं। हमने अंगोला को भारत के पहल Coalition for Disaster Resilient Infrastructure, Big Cat Alliance और Global Biofuels Alliance से भी जुड़ने के लिए आमंत्रित किया है।

Friends,

हम एकमत हैं कि आतंकवाद मानवता के लिए सबसे बड़ा खतरा है। पहलगाम में हुए आतंकी हमले में मारे गए लोगों के प्रति राष्ट्रपति लोरेंसू और अंगोला की संवेदनाओं के लिए मैंने उनका आभार व्यक्त किया। We are committed to take firm and decisive action against the terrorists and those who support them. We thank Angola for their support in our fight against cross - border terrorism.

Friends,

140 करोड़ भारतीयों की ओर से, मैं अंगोला को ‘अफ्रीकन यूनियन’ की अध्यक्षता के लिए शुभकामनाएं देता हूँ। हमारे लिए यह गौरव की बात है कि भारत की G20 अध्यक्षता के दौरान ‘अफ्रीकन यूनियन’ को G20 की स्थायी सदस्यता मिली। भारत और अफ्रीका के देशों ने कोलोनियल rule के खिलाफ एक सुर में आवाज उठाई थी। एक दूसरे को प्रेरित किया था। आज हम ग्लोबल साउथ के हितों, उनकी आशाओं, अपेक्षाओं और आकांक्षाओं की आवाज बनकर एक साथ खड़े रहे हैं ।

|

पिछले एक दशक में अफ्रीका के देशों के साथ हमारे सहयोग में गति आई है। हमारा आपसी व्यापार लगभग 100 बिलियन डॉलर हो गया है। रक्षा सहयोग और maritime security पर प्रगति हुई है। पिछले महीने, भारत और अफ्रीका के बीच पहली Naval maritime exercise ‘ऐक्यम्’ की गयी है। पिछले 10 वर्षों में हमने अफ्रीका में 17 नयी Embassies खोली हैं। 12 बिलियन डॉलर से अधिक की क्रेडिट लाइंस अफ्रीका के लिए आवंटित की गई हैं। साथ ही अफ्रीका के देशों को 700 मिलियन डॉलर की ग्रांट सहायता दी गई है। अफ्रीका के 8 देशों में Vocational ट्रेनिंग सेंटर खोले गए हैं। अफ्रीका के 5 देशों के साथ डिजिटल पब्लिक इंफ्रास्ट्रक्चर में सहयोग कर रहे हैं। किसी भी आपदा में, हमें अफ्रीका के लोगों के साथ, कंधे से कंधे मिलाकर, ‘First Responder’ की भूमिका अदा करने का सौभाग्य मिला है।

भारत और अफ्रीकन यूनियन, we are partners in progress. We are pillars of the Global South. मुझे विश्वास है कि अंगोला की अध्यक्षता में, भारत और अफ्रीकन यूनियन के संबंध नई ऊंचाइयां हासिल करेंगे।

Excellency,

एक बार फिर, मैं आपका और आपके डेलीगेशन का भारत में हार्दिक स्वागत करता हूँ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।

ओब्रिगादु ।