“জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে নব নিযুক্ত চাকরিপ্রাপ্তরা মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন”
“বর্তমান সরকার পাঠ্যক্রমে আঞ্চলিক ভাষায় লেখা বইয়ের উপর জোর দিচ্ছে”
“যখন ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, সঠিক উদ্দেশ্য এবং পূর্ণ সততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন সামগ্রিক পরিস্থিতি ইতিবাচক হয়”
“ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বন্ধ হওয়ায় সরকার দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছে”
“পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা বিশ্বকর্মাদের ঐতিহ্যগত দক্ষতাকে ২১ শতকের প্রয়োজনের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে সাহায্য করবে”

নমস্কার,
আজ এই ঐতিহাসিক পর্বে আপনারা সকলে নিজেদের যুক্ত করেছেন শিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে। এ বছর আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বিস্তারিতভাবে বলেছি যে, কিভাবে জাতীয় চরিত্র দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আপনাদের সকলের দায়িত্ব ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বদলে দেওয়া, আধুনিক করে তোলা এবং তাদের একটি নতুন দিশা-নির্দেশ দেওয়া। আমি শুভেচ্ছা জানাই, ৫ হাজার ৫০০-রও বেশি শিক্ষককে, যাঁরা মধ্যপ্রদেশের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, গত তিন বছরে মধ্যপ্রদেশে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আমি সেজন্য রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আপনারা সকলে জাতীয় শিক্ষা নীতি রূপায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন। জাতীয় শিক্ষা নীতি উন্নত ভারতের সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে প্রভূত অবদান রাখছে। এতে চিরাচরিত জ্ঞানের পাশাপাশি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি নতুন পাঠ্যক্রমও রচনা করা হয়েছে। আরেকটি অভিনন্দনযোগ্য কাজ করা হয়েছে, সেটি হ’ল - মাতৃভাষায় শিক্ষাদান। যেসব ছাত্র ইংরাজি জানতেন না, তাঁদের প্রতি বড় অন্যায় করা হয়েছে, তাঁদের মাতৃভাষায় শিক্ষা না দিয়ে। এটি সামাজিক ন্যায়ের বিরোধী। এখন আমাদের সরকার সেই অন্যায়কে দূর করে দিয়েছে। এখন পাঠ্যক্রমে আঞ্চলিক ভাষায় লেখা বইয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। 
বন্ধুগণ,
যখন ইতিবাচক মনোভাব, সৎ উদ্দেশ্য এবং সম্পূর্ণ নিষ্ঠা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন সম্পূর্ণ পরিবেশটি ইতিবাচক হয়ে ওঠে। ‘অমৃতকাল’ – এর প্রথম বছরে আমরা দুটি প্রধান খবর লাভ করেছি। সেটি হ’ল – দারিদ্র্য হ্রাস এবং দেশের সমৃদ্ধির বৃদ্ধি। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ৫ বছরের মধ্যে ভারতে ১৩.৫ কোটি ভারতীয়কে দারিদ্র্যসীমার উপরে আনা সম্ভব হয়েছে। কয়েকদিন আগে আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর যত সংখ্যক আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে, তাতে একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত ৯ বছরে মানুষের গড় আয় অনেক বেড়েছে। আইটিআর – এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে গড় আয় ছিল প্রায় ৪ লক্ষ টাকা, সেটি ২০২৩ – এ বেড়ে হয়েছে ১৩ লক্ষ টাকা। ভারতে নিম্ন আয়ের গোষ্ঠী থেকে উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীতে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। এই সংখ্যাগুলি উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি এই আশ্বাসও দেয় যে, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রই শক্তিশালী হচ্ছে এবং অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। 
বন্ধুগণ,
আইটি রিটার্নের নতুন পরিসংখ্যান থেকে আরেকটি জিনিসও দেখার আছে। সেটি হ’ল – দেশের নাগরিকদের তাঁদের সরকারের উপর আস্থা ক্রমাগত বাড়ছে। এর ফলে, দেশের নাগরিকরা সততার সঙ্গে কর দিতে আরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে আসছেন। তাঁরা জানেন যে, তাঁদের দেওয়া করের প্রতিটি পয়সা দেশের উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা তাঁদের কাছে স্পষ্ট যে, ২০১৪’র আগে সারা বিশ্বে যে অর্থনীতি দশম স্থানে ছিল, তা আজ পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছে। দেশের নাগরিকরা ২০১৪’র আগেকার কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির সময়কাল ভুলতে পারছেন না। গরিবদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হ’ত। তাঁদের কাছে অর্থ পৌঁছনোর আগেই লুঠ হয়ে যেত। আজ দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ অর্থ সরাসরি পৌঁছচ্ছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে। 
বন্ধুগণ,
পদ্ধতিগত এই ত্রুটি সংশোধন করার ফলাফল এই যে, সরকার এখন আগের তুলনায় দরিদ্রদের কল্যাণে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হচ্ছে। বিশাল মাপের লগ্নির ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর একটি উদাহরণ হ’ল – কমন সার্ভি০স সেন্টার। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের গ্রামগুলিতে ৫ লক্ষ নতুন কমন সার্ভিস সেন্টার স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি কমন সার্ভিস সেন্টার থেকে এখন মানুষকে কাজ দেওয়া হচ্ছে। ফলে, গ্রাম ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণ সুনিশ্চিত হয়েছে এবং সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে দেশে শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো তিনটি স্তরেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নীতি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে একাধিক আর্থিক উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে। এই ১৫ অগাস্টে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি পিএম-বিশ্বকর্মা যোজনার কথা ঘোষণা করেছি। এই কর্মসূচিটি ঐ দর্শনেরই প্রতিফলন। পিএম-বিশ্বকর্মা যোজনা তৈরি করা হয়েছে, যাতে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুযায়ী, আমাদের বিশ্বকর্মা বন্ধুদের চিরাচরিত দক্ষতাকে নতুন রূপ দেওয়া যায়। এতে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সমস্ত রকম সহায়তা দেওয়া হবে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত পরিবারকে এবং তাতে তাঁরা উপকৃত হবেন। এতে সমাজের সেই শ্রেণী উপকৃত হবে, যাঁদের গুরুত্ব নিয়ে আগে কেবলমাত্র আলোচনাই হ’ত কিন্তু কোনও দিন তাঁদের পরিস্থিতি উন্নতি করার জন্য সমন্বিত প্রয়াস নেওয়া হয়নি। বিশ্বকর্মা কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষণের সঙ্গে সুবিধা-প্রাপকদের ভাউচারও দেওয়া হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে। ফলে, পিএম-বিশ্বকর্মার মাধ্যমে যুবসমাজ তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে আরও সুযোগ পাবেন। 
বন্ধুগণ,
যাঁরা আজ থেকে শিক্ষক হলেন, আমি তাঁদের আরেকটি কথা বলতে চাই। আপনারা সকলেই এখানে পৌঁছেছেন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। আমি আশা করবো যে, আপনারা প্রতি নিয়ত নিজেরাও শিখতে থাকবেন। আপনাদের সাহায্য করতে সরকার আইগট কর্মযোগী নামে একটি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। আপনারা যতটা সম্ভব তার থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এখন যেহেতু আপনাদের স্বপ্ন সফল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছেন, আমি আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সদস্যদের নতুন সাফল্য এবং এই নতুন যাত্রার জন্য শুভেচ্ছা জানাই। 
ধন্যবাদ। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.