নমস্কার!
(শুরুর বক্তব্য ছিল স্থানীয় ভাষায়)
আজ মহারাষ্ট্র সরকার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যুবক-যুবতীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজে যুক্ত হয়েছে। ধনতেরাসের দিন কেন্দ্রীয় সরকার ১০ লক্ষ চাকুরি দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেছে। তখন আমি বলেছিলাম যে আগামীদিনে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি এই ধরনের চাকুরি মেলায় আয়োজন করবে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ মহারাষ্ট্রে শত শত যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আজ নিয়োগপত্র পাচ্ছেন আমি তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ভাই দেবেন্দ্র ফড়নবীসজিকেও অভিনন্দন জানাই। এই 'রোজগার মেলা' খুব স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে আয়োজন করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত যে মহারাষ্ট্র সরকার যুবক-যুবতীদের চাকুরি দিতে কতটা আগ্রহী। আমাকে বলা হয়েছে যে মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগে হাজার হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে।
বন্ধুগণ,
দেশ এখন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে। দেশ উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই লক্ষ্য পূরণে আমাদের যুবক-যুবতীদের ভূমিকা বিশেষ। পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজের ধরণও দ্রুত বদলাচ্ছে। সরকারও এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি করছে। মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় স্বরোজগারের জন্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সরকার ২০ লক্ষ কোটি যুবক-যুবতীকে সহায়তা প্রদান করেছে। মহারাষ্ট্রের যুব সম্প্রদায় এই প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি সুযোগ গ্রহণ করেছে। সরকার স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলির জন্য সম্ভাব্য সব রকম আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
বন্ধুগণ,
সরকারের এই প্রচেষ্টার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল যে, বর্তমানে কর্মসংস্থান এবং স্বরোজগারের সুযোগ পাচ্ছেন সকলে সমানভাবে-দলিত, অনুন্নত শ্রেণীর জনগণ, আদিবাসী, মহিলা, সাধারণ শ্রেণীর জনগণ সকলেই এই সুবিধা পাচ্ছেন। গ্রামীন এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও সরকার সাহায্য করছে। বর্তমানে মহিলারা কেবল মাত্র নিজেদের পণ্য সামগ্রী তৈরি করছেন তা নয়, অন্যদের কাজের সুযোগও তৈরি করছেন।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে পরিকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকার রেকর্ড পরিমান বিনিয়োগ করছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। আমরা যদি কেবল মহারাষ্ট্রের কথাই বলি তাহলে দেখতে পাই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ২২৫টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। একবার ভেবে দেখুন! মহারাষ্ট্রে রেল প্রকল্পের জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকা ও আধুনিক সড়ক নির্মাণের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমি নিশ্চিত যে আগামীদিনও মহারাষ্ট্রের যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। যে সব যুবক-যুবতীরা আজ নিয়োগপত্র পেয়েছেন আমি আরও একবার তাঁদের আমার শুভেচ্ছা জানাই।
অনেক ধন্যবাদ!