গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি, নওসারির সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারে আমার সহকর্মী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভাই সিআর প্যাটেল, মঞ্চে উপস্থিত পঞ্চায়েত সদস্য এবং লাখপতি দিদিরা, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং এখানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে আমার মা, বোন এবং কন্যারা, আপনাদের সকলকে নমস্কার!
কয়েকদিন আগে, আমরা মহাকুম্ভে মা গঙ্গার আশীর্বাদ পেয়েছি। আর আজ, আমি মাতৃশক্তির এই মহান কুম্ভের আশীর্বাদ পেয়েছি। মহাকুম্ভে মা গঙ্গার আশীর্বাদ পাওয়া, আর আজকের এই মাতৃশক্তির মহাকুম্ভে সকল মা ও বোনদের আশীর্বাদ পাওয়া; আজ, এই নারী দিবসে, আমার মাতৃভূমি গুজরাটে এবং এত বিপুল সংখ্যক মা, বোন এবং কন্যাদের উপস্থিতিতে, এই বিশেষ দিনে আপনাদের ভালোবাসা, স্নেহ এবং আশীর্বাদ প্রদানের জন্য আমি মাতৃশক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করছি। গুজরাটের এই ভূমি থেকে, আমি সকল দেশবাসীকে, দেশের সকল মা ও বোনদের, নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে দুটি প্রকল্প, ‘গুজরাট সফল’ এবং ‘গুজরাট মৈত্রী’ও চালু করা হয়েছে। অনেক প্রকল্পের টাকা সরাসরি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। এর জন্য আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ ,
আজকের দিনটি মহিলাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত, এটি আমাদের সকলের জন্য মহিলাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার দিন, এটি মহিলাদের কাছ থেকে কিছু শেখার দিন এবং এই পবিত্র দিনে, আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই এবং কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করি। আজ, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে আমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। যখন আমি বলছি, আমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, আমি জানি অনেকেই কান খাড়া করবেন, পুরো ট্রোল আর্মি আজ মাঠে নেমে আসবে, কিন্তু আমি এখনও বারবার বলব যে আমি আজ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। আমার জীবনে কোটি কোটি মা, বোন এবং কন্যার আশীর্বাদ রয়েছে এবং এই আশীর্বাদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই কারণেই আমি বলি, আমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। মা, বোন এবং কন্যাদের এই আশীর্বাদ আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি, আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ, আমার নিরাপত্তার ঢাল।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশের শাস্ত্রে নারীকে নারায়ণী বলা হয়েছে। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা হলো সমাজ ও দেশের উন্নয়নের প্রথম ধাপ। অতএব, একটি উন্নত ভারত গড়ে তোলার জন্য, ভারতের দ্রুত উন্নয়নের জন্য, আজ ভারত নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের সরকার মহিলাদের জীবনে সম্মান এবং সুবিধা উভয়কেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। আমরা কোটি কোটি নারীর জন্য শৌচাগার তৈরি করে তাঁদের সম্মান বাড়িয়েছি, আর আমার উত্তর প্রদেশের কাশীর বোনেরা তো এখন আর ‘শৌচাগার’ শব্দটিই ব্যবহার করেন না, তাঁরা বলেন যে, মোদীজি ‘ইজ্জত ঘর’ তৈরি করে দিয়েছেন। আমরা কোটি কোটি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করেছি। উজ্জ্বলা সিলিন্ডার সরবরাহ করে ধোঁয়ার মতো সমস্যা থেকেও তাঁদের রক্ষা করেছি। আগে, কর্মজীবী মহিলারা গর্ভাবস্থায় মাত্র ১২ সপ্তাহের ছুটি পেতেন। সরকার এই ছুটিও ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আমাদের মুসলিম বোনেরা বছরের পর বছর ধরে তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তিন তালাকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করে, আমাদের সরকার লক্ষ লক্ষ মুসলিম বোনের জীবন ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। কাশ্মীরে যখন ৩৭০ ধারা বলবৎ ছিল, তখন সেখানকার বোন ও কন্যারা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। যদি সে রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করে, তাহলে সে পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার হারাতো। ৩৭০ ধারার প্রাচীর পতনের পর, জম্মু ও কাশ্মীরের মহিলারাও ভারতের কন্যা ও বোনদের মতো সমস্ত অধিকার পেয়েছেন। ভারতের অংশ হওয়া সত্ত্বেও, কাশ্মীরে আমার মা, বোন এবং কন্যারা তা থেকে বঞ্চিত ছিলেন এবং যারা সংবিধানের ঢাক পেটাচ্ছিলেন, তাঁরা চোখ বন্ধ করে বসে ছিলেন। নারীর প্রতি অবিচার তাঁদের কাছে উদ্বেগের বিষয় ছিল না। সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করতে হয়, মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করে সংবিধানকে দেশের চরণে উৎসর্গ করে তা দেখিয়ে দিয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ, সামাজিক স্তরে, সরকারি স্তরে এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি হচ্ছে। রাজনীতি হোক বা খেলাধুলা, বিচার বিভাগ হোক বা পুলিশ, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি স্তরে নারীর পতাকা উঁচুতে উড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলাদের অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের পরই কেন্দ্রীয় সরকারে সর্বাধিক সংখ্যক মহিলা মন্ত্রী নিযুক্ত হন। সংসদেও নারীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো আমাদের সংসদে ৭৮ জন মহিলা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮তম লোকসভায়, অর্থাৎ এবারও ৭৪ জন মহিলা সাংসদ লোকসভার অংশ। আমাদের আদালতে, বিচার বিভাগেও মহিলাদের অংশগ্রহণ সমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা আদালতগুলিতে মহিলাদের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশেরও উপরে পৌঁছেছে। অনেক রাজ্যে আমাদের মেয়েরা, সিভিল জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি।
আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। এই স্টার্টআপগুলির প্রায় অর্ধেকেরই কমপক্ষে একজন মহিলা পরিচালক রয়েছেন। ভারত মহাকাশ এবং মহাকাশ বিজ্ঞানে অসীম উচ্চতা ছুঁয়ে চলেছে। সেখানেও, বেশিরভাগ প্রধান মিশনের নেতৃত্ব দেন মহিলা বিজ্ঞানীদের দল। আমরা সকলেই গর্বিত যে আজ আমাদের ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা পাইলট রয়েছে। নওসারির এই অনুষ্ঠানে আমরা নারীর ক্ষমতায়নের শক্তি দেখতে পাচ্ছি। এই অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন মহিলারা। এত বড় অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল পুলিশ ও অফিসারই নারী। কনস্টেবল, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, ডিএসপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা মহিলারাই সামলাচ্ছেন। এটি নারীর ক্ষমতায়নের শক্তির একটি উদাহরণ। কিছুক্ষণ আগে, আমি এখানকার স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছি এবং কয়েকজন বোনের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার বোনদের এই কথাগুলো, আপনাদের সকলের এই উৎসাহ, এই আত্মবিশ্বাস, ভারতের নারীশক্তির শক্তি কতটা - তা দেখায়! এটি দেখায় যে ভারতের নারীশক্তি কীভাবে দেশের অগ্রগতির লাগাম নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। যখন আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে দেখা করি, তখন আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় যে উন্নত ভারতের সংকল্প অবশ্যই পূর্ণ হবে। আর এই সংকল্প অর্জনে আমাদের নারীশক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে।
মা ও বোনেরা ,
আমাদের গুজরাট নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের এক দুর্দান্ত উদাহরণ। গুজরাট দেশকে সহযোগিতার একটি সফল মডেল দিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত সকল বোনেরা, আপনারা জানেন যে গুজরাটের সমবায় মডেল কেবল এখানকার মহিলাদের শ্রম এবং শক্তির মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে। আজ সারা বিশ্বে আমুল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গুজরাটের প্রতিটি গ্রামের লক্ষ লক্ষ মহিলা দুধ উৎপাদনকে বিপ্লবে পরিণত করেছেন। গুজরাটের বোনেরা কেবল নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করে তোলেননি, বরং গ্রামীণ অর্থনীতিতেও নতুন শক্তি যোগান দিয়েছেন। গুজরাটি মহিলারাই লিজ্জত পাপড় উৎপাদন শুরু করেছিলেন। আজ লিজ্জত পাপড় নিজেই কয়েকশো কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
মা ও বোনেরা ,
আমার মনে আছে, যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার সেবায় ছিলাম, তখন আমাদের সরকার বোন ও মেয়েদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে অনেক কাজ করেছিল, যেমন চিরঞ্জীবী যোজনা, বেটি বাঁচাও অভিযান, মমতা দিবস, কন্যা কেলভনি রথযাত্রা, কুঁওয়ারবাই নু মামেরু, সাত ফেরে গ্রুপ ম্যারেজ স্কিম, অভয়ম হেল্পলাইন। গুজরাট সমগ্র দেশকে দেখিয়েছে যে নীতিগুলি সঠিক হলে কীভাবে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পায়। যেমন আমি এইমাত্র দুগ্ধ সমবায়ের কথা বললাম! দুগ্ধকর্মের সাথে জড়িত এই মহিলাদের নিয়েই গুজরাট এটি শুরু করেছিল। আগে এমন ছিল না, হয় নগদ টাকা দেওয়া হতো, নইলে দুধওয়ালা টাকা নিত। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে ডেয়ারি থেকে দুধের টাকা শুধুমাত্র বোনদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে, কেউ তা স্পর্শ করতে পারবে না, এবং আমরা সরাসরি বোনদের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর শুরু করি। ঠিক একইভাবে আজ, অসংখ্য প্রকল্পের অর্থ সরাসরি দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে। ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) বা প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি বন্ধ হয়েছে এবং দরিদ্ররা সাহায্য পাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
ভুজ ভূমিকম্পের পর যখন গুজরাটে বাড়িগুলি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন আমাদের সরকার সেই বাড়িগুলিও মহিলাদের নামে হস্তান্তর করেছিল। অর্থাৎ, তখন থেকেই আমরা এই প্রক্রিয়া শুরু করেছি যে সরকার কর্তৃক নির্মিত বাড়িগুলি এখন কেবল মা ও বোনেদের নামে দেওয়া হবে, আর আজ সমগ্র দেশে সেই ঐতিহ্য মেনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পেতেও এই প্নথা অনুসরণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগে যখন বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হতো, তখন তাঁদের নামের সঙ্গে কেবল বাবার নাম থাকত, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে মায়ের নামও সেখানে থাকা উচিত। ২০১৪ সাল থেকে, প্রায় ৩ কোটি মহিলা বাড়ির মালিক হয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আজ জল জীবন মিশনও সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আজ, জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, দেশের প্রতিটি গ্রামে জল পৌঁছে যাচ্ছে। গত ৫ বছরে, লক্ষ লক্ষ গ্রামের ১৫.৫ কোটি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়েছে। এত বড় একটি অভিযান সফল করার জন্য, আমরা গুজরাটে মহিলা পানি সমিতিগুলি গড়ে তুলেছি। এখন সারা দেশে মহিলা পানি সমিতি গড়ে তুলছি। এই মহিলা পানি সমিতিগুলি জল জীবন মিশনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। মহিলা পানি সমিতির এই মডেলটি গুজরাটই দেশকে দিয়েছে। আজ এই মডেলটি সমগ্র দেশের জল সংকট সমাধান করছে।
বন্ধুগণ,
যখন আমরা জল সমস্যা সমাধানের কথা বলি, তখন জল সংরক্ষণও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আজ সারা দেশে একটি অভিযান চালানো হচ্ছে – ক্যাচ দ্য রেইন – অর্থাৎ বৃষ্টির জল ধরুন! প্রতিটি জলের ফোঁটা ধরুন, বৃষ্টির জল ধরুন! অর্থাৎ, যেখানেই বৃষ্টির জল পড়ুক না কেন, তা নষ্ট হতে দেবেন না। গ্রামের সীমানার জল গ্রামেই থাকুক আর ঘরের জল ঘরেই থাকুক, সেই জল সংরক্ষণ করুন! আর আমি খুশি যে আজ আমাদের নওসারির সাংসদ সি আর পাটিলজির নেতৃত্বে এই অভিযান সারা দেশে এগিয়ে চলেছে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে, নওসারির সকল বোনেরা, আপনারাও এই লক্ষ্যে খুব ভালো কাজ করেছেন। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য, নওসারিতে পুকুর, চেক ড্যাম, বোরওয়েল রিচার্জ, কমিউনিটি সোক পিটের মতো ৫ হাজারেরও বেশি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটা একটা জেলার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এখনও নওসারিতে জল সংরক্ষণ সম্পর্কিত শত শত প্রকল্পের কাজ চলছে। এইমাত্র সিআর আমাকে বলছিলেন যে গত দুই-তিন দিনে আরও ১১০০টি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজও, এক হাজার পারকোলেশন পিট তৈরির কাজ একদিনেই করা হবে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, অর্থাৎ জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নওসারি জেলা গুজরাটের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জেলা। এই সাফল্যের জন্য আমি নওসারির মা, বোন এবং কন্যাদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। আজ আমি এই জেলার লক্ষ লক্ষ মা ও বোনের এই মহাকুম্ভের সাক্ষী ছিলাম এবং আমি দেখছিলাম যে ছেলে যখন ঘরে ফিরে আসে তখন মায়ের মুখ কেমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আজ সকলের মুখ উজ্জ্বল। কারণ, আমি আপনাদের সেই পুত্র যাকে আপনারা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করেছেন, আমি আপনাদের আশীর্বাদে ধন্য। তাই, যখন বাড়ির ছেলে বাড়িতে আসে তখন মায়ের মুখ যেমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তেমনই আজ এখানে প্রত্যেক মায়ের মুখের এই তৃপ্তি, এই আনন্দ এবং আশীর্বাদের অনুভূতি আমার জীবনকে ধন্য করে তুলছে।
বন্ধুগণ,
গুজরাটের নারী শক্তি, গুজরাটের উদাহরণ কোনও একটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যখন আপনি আমাকে প্রধান সেবক হিসেবে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন, তখন আমি এই অভিজ্ঞতা, দেশের সবজায়গার মহিলাদের জন্য একই অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। যখন দেশ আমাদের নেতৃত্বে একটি নতুন সংসদ পেল, তখন আমরা নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রথম বিলটি পাস করালাম। এই সংসদ ভবনে আমরা প্রথম যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তা ছিল বোনদের জন্য। এই পদক্ষেপ মা ও বোনদের প্রতি মোদীর নিষ্ঠার পরিচয় দেয়। আর আপনারা কি জানেন, ‘নারী শক্তি বন্দন আইন’ এর মধ্যে সবচেয়ে গর্বের বিষয় কী? আমাদের রাষ্ট্রপতি, যিনি একই পটভূমি থেকে এসেছেন, একটি আদিবাসী পরিবার থেকে এসেছেন, তিনি এই বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং অনুমোদন করেছেন। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন আপনাদের মধ্যে কেউ একজন এমপি বা এমএলএ হওয়ার পর এমন একটি মঞ্চে এসে বসবেন।
বন্ধুগণ,
গান্ধীজি বলতেন - দেশের আত্মা গ্রামীণ ভারতে বাস করে। আজ আমি এর সঙ্গে আরও একটি লাইন যোগ করছি। গ্রামীণ ভারতের আত্মা গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নের মধ্যে নিহিত। এই কারণেই আমাদের সরকার নারীর অধিকার এবং মহিলাদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করেছেন আপনাদের মতো কোটি কোটি মহিলা। গ্রামীণ অর্থনীতি এবং মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ দেশে ১০ কোটিরও বেশি মহিলা ৯০ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে, শুধুমাত্র গুজরাটেই ৩ লক্ষেরও বেশি স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী কাজ করছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য আমরা এই কোটি কোটি নারীর আয় বাড়ানোর সংকল্প নিয়েছি। আমরা এই বোনদের ‘লাখপতি দিদি’ বানাচ্ছি। প্রায় ১.৫ কোটি মহিলা ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন। আগামী ৫ বছরে, আমরা মোট ৩ কোটি নারীকে ‘লাখপতি দিদি’ করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আর বোনেরা যে গতিতে কাজ করছেন, তাতে মনে হচ্ছে হয়তো আমাদের এতদিন অপেক্ষা করতে হবে না; তার আগেই এটা ঘটবে।
মা ও বোনেরা ,
যখন আমাদের একজন বোন ‘লাখপতি দিদি’ হন, তখন পুরো পরিবারের ভাগ্য বদলে যায়। মহিলারা গ্রামের অন্যান্য মহিলাদেরও তাঁদের কাজে জড়িত করেন। আর আমি বিশ্বাস করি যে মা ও বোনেরা যে কাজই করেন না কেন, সেই কাজের প্রতি গর্বও বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে বাড়ি থেকে শুরু করা কাজ একটি অর্থনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির এই সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য, আমাদের সরকার গত ১০ বছরে ৫ বার বাজেট বৃদ্ধি করেছে। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে গ্যারান্টি ছাড়াই ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে, ২০ লক্ষ টাকা এবং তাও কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে। স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নতুন দক্ষতা অর্জন এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উপায়ও দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আজ, দেশের নারীশক্তি প্রতিটি আশঙ্কাকে পরাস্ত করে এবং প্রতিটি সন্দেহকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। যখন আমরা ড্রোন দিদি প্রকল্প চালু করি, তখন অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি এবং গ্রামীণ মেয়েদের মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে তাঁরা সন্দিহান ছিলেন। তাঁরা ভাবেন, না, না, ওরা কিভাবে তা করতে পারে! কিন্তু আমার বোন ও মেয়েদের প্রতিভা এবং নিষ্ঠার উপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। আজ, নমো ড্রোন দিদি অভিযান গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লব আনছে এবং এই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী বোনেরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এবং পুরো গ্রামে তাঁদের প্রতি সম্মান বাড়ছে। বাড়ি, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গ্রামের মানুষ - সবাই অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে পাইলট দিদি এবং ড্রোন দিদিকে দেখছেন। একইভাবে, ব্যাংক সখী এবং বীমা সখীর মতো প্রকল্পগুলি গ্রামের মহিলাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। গ্রামীণ বোনদের ক্ষমতায়নের জন্য কৃষি সখী এবং পশু সখী অভিযান শুরু করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বোন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের আয় বাড়ছে।
বোন ও মেয়েরা,
সরকারের এই ধরনের প্রচেষ্টার সর্বাধিক পরিষেবা গুজরাটের মহিলাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য, গুজরাট সরকার আরও ১০ লক্ষ মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ করার জন্য একটি অভিযান শুরু করেছে। এর জন্য আমি ভূপেন্দ্র ভাই এবং গুজরাট সরকারকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যখন প্রথমবার লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেলাম, তখন আমার ভাষণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলাম যে, যখন একটি মেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে, তখন তার মা এবং বাবা দুজনেই তাকে তিরস্কার করেন, কোথায় গেছিলে? তুমি দেরি করে ফিরলে কেন? তুমি কোথায় ছিলে? তাঁরা শত শত প্রশ্ন করেন। আর আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম যে, যদি আপনার মেয়েরা বাইরে থেকে দেরি করে বাড়ি ফিরলে শত শত প্রশ্ন করেন, কিন্তু যদি আপনার ছেলে কখনও গভীর রাতে বাড়ি ফিরে আসে, তাহলে কি আপনি তাকেও কখনও জিজ্ঞাসা করেন, কোথায় গিয়েছিলে বাবা? কার কাছে ছিলে? তুমি কী করছিলে?
নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধ করতে এবং একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত দশকে, আমরা নারীর নিরাপত্তাকে বিরাট অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোধে আমরা নিয়মকানুন আরও কঠোর করেছি। নারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত, সারা দেশে প্রায় ৮০০টি এই ধরনের আদালত অনুমোদিত হয়েছে এবং সেগুলির বেশিরভাগই কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে ধর্ষণ এবং পকসো সম্পর্কিত প্রায় ৩ লক্ষ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের শ্লীলতাহানি বিষয়ক প্রায় ৩ লক্ষ মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকারই প্রথম ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের জন্য ধর্ষকদের ফাঁসি ও মৃত্যুদণ্ডের কড়া আইন প্রণয়ন করেছে। আমরা আগের আইন পরিবর্তন করেছি। আমাদের সরকার ২৪x৭, ২৪ ঘন্টা, ৩৬৫ দিন খোলা নারী হেল্পলাইনকে শক্তিশালী করেছে এবং মহিলাদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করেছে। সারা দেশে প্রায় ৮০০টি এই ধরনের কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে সাহায্য করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
এখন দেশে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ কার্যকর হয়েছে, আমরা ব্রিটিশদের কালো আইন বাতিল করেছি, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর, আপনারা সবাই আমাকে এই পুণ্যকাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন এবং আপনারা কী পরিবর্তন এনেছেন? এতে নারীর নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিধানগুলি আরও জোরদার করা হয়েছে। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’-র আইনে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের উপর একটি পৃথক অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। আমাদের সকলের, ভুক্তভোগী বোনদের, সমাজের সকলেরই এই অভিযোগ ছিল যে, যখন কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়, তখন মেয়েদের ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’-র আইনেও এর যত্ন নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগ গঠন করতে হবে এবং ৪৫ দিনের মধ্যে রায় দিতে হবে এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আগে, ভুক্তভোগীকে থানায় এসে এফআইআর দায়ের করতে হত, তাকে থানায় যেতে হত। এখন নতুন আইনের অধীনে, যেকোনো জায়গা থেকে ই-এফআইআর নথিভুক্ত করা যাবে। এর ফলে পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হয়। জিরো এফআইআর-এর বিধান অনুযায়ী, যেকোনো নারী নির্যাতনের শিকার হলে যেকোনো থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারবেন। আরেকটি ব্যবস্থাকে বৈধতা প্রদান করা হয়েছে যে এখন পুলিশ অডিও-ভিডিওর মাধ্যমেও ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির বক্তব্য রেকর্ড করতে পারবে। এই ব্যবস্থাকে আইনি স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে। আগে, মেডিকেল রিপোর্ট পেতেও অনেক সময় লাগত। এখন ডাক্তারদের মেডিকেল রিপোর্ট ফরোয়ার্ড করার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভুক্তভোগী এমন মহিলারা অনেক সাহায্য পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ আইনে যা কিছু নতুন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে। সুরাট জেলা একটি উদাহরণ। গত বছর অক্টোবরে, সেখানে একটি মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, ঘটনাটি ছিল মর্মান্তিক। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ আইনে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা সম্ভব হয় এবং কয়েক সপ্তাহ আগে, দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ তাদের কাজ সম্পন্ন করে, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ আইন কার্যকর হওয়ার পর, দেশজুড়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দ্রুত বিচার ত্বরান্বিত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের একটি আদালত নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এটি উত্তর প্রদেশে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’-র অধীনে প্রথম দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনা, যেখানে চার্জশিট দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। সাত মাস বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কলকাতার একটি আদালত। অপরাধ সংঘটনের ৮০ দিনের মধ্যে এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এই উদাহরণগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে কীভাবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ এবং আমাদের সরকারের গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলি মহিলাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে এবং মহিলাদের দ্রুত ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করেছে।
মা ও বোনেরা ,
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে, আমি আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি যে আপনাদের স্বপ্নের পথে আমি কোনও বাধা আসতে দেব না। একজন পুত্র যেভাবে তার মায়ের সেবা করে, ঠিক সেইভাবেই আমি ভারতমাতার এবং আমার এই মা ও বোনদের সেবা করছি। আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে, আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং আশীর্বাদে, ২০৪৭ সালের মধ্যে, যখন ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, ততদিনে আমাদের একটি উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। এই ভাবনা নিয়ে, আমি আবারও আপনাদের সকলকে, দেশের প্রত্যেক মা, বোন এবং কন্যাকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে বলুন, দু’হাত তুলে বলুন -
ভারত মাতার – জয়।
আজ, মহিলাদের কণ্ঠস্বর আরও তীব্র, আরও জোরে হওয়া উচিত।
ভারত মাতার – জয়।
ভারত মাতার – জয়।
ভারত মাতার – জয়।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
বন্দে মাতরম।
আজ, যখন আমরা বন্দে মাতরম বলি, তখন তা ভারতমাতার জন্য এবং দেশের কোটি কোটি মায়ের জন্যও - বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।