আজাদি কা অমৃত মহোৎসব – এ ভারতের আদিবাসী ঐতিহ্যের বর্ণময় চিত্র আদি মহোৎসব ফুটিয়ে তুলছে
“ভারতের একবিংশ শতক ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে”
“দেশের যে কোনও প্রান্তেই আদিবাসী শিশুদের শিক্ষাদান আমার অগ্রাধিকার”
কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের অধীন আদিবাসী সমবায় বিপণন উন্নয়ন ফেডারেশন লিমিটেড (ট্রাইফেড) – এর এটি বার্ষিক উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ভগবান বিরশা মুন্ডাকে পুষ্পর্ঘ্য অর্পণ করেন এবং প্রদর্শনী স্থল ঘুরে দেখেন।
তিনি বলেন, আদি মহোৎসব ভারতের বিবিধতার মধ্যে ঐক্যকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ঐতিহ্যের সঙ্গে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সুস্থায়ী উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা পেতে পারি।

আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী অর্জুন মুন্ডাজী, শ্রী ফগগন সিং কুলাস্তেজী, শ্রীমতী রেণুকা সিংজী, ডাঃ ভারতী পাওয়ারজী, শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডুজী, অন্যান্য বিশিষ্ট জন এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আমার আদিবাসী ভাই ও বোনেরা! আদি মহোৎসব উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা।

‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ – এর সময় দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতিফলন এই আদি মহোৎসব। আমি ভারতের আদিবাসী ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করার বিশেষ সুযোগ পেয়েছি। নানা রঙ, সুন্দর পোশাক, বৈচিত্র্যময় শিল্পকলা, নানারকমের স্বাদ এবং বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত – এই সবকিছু উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বৈচিত্র্যময় ভারতের নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। 

ভারতের অনন্ত আকাশে রামধনুর মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই নানা বর্ণের রঙ-রস। সব রঙ একসঙ্গে মিলেমিশে বিশ্বকে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। বিভিন্ন রঙের এই বৈচিত্র্য এক সূত্রে গাঁথা হলেই যথাযথভাবে পরিস্ফুট হয় ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ চিন্তাভাবনার। এভাবেই ভারত তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য দিয়ে বিশ্বকে আকৃষ্ট করে। 

এই আদি মহোৎসব আমাদের ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’কে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের ভাবনাচিন্তাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি আমার আদিবাসী ভাই ও বোনদের অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

একুশ শতকের ভারত ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সমাজের যে অংশের মানুষকে পেছনের সারিতে রাখা হ’ত, কিন্তু আজ তাঁরা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্পর্শে এসেছে। বিগত ৮-৯ বছরে আদি মহোৎসবের মতো আদিবাসী সমাজের অনুষ্ঠান বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের নানা অনুষ্ঠানের সাক্ষী থেকেছি। আমি যখন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তখন সমাজকর্মী হিসাবে বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছিল। আমি বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর এলাকাগুলিও ঘুরে দেখেছি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি বেশ কিছু সপ্তাহ। আমি ঘনিষ্ঠভাবে আপনাদের ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করেছি এবং আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এমনকি, গুজরাটেও আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় আমি অতিবাহিত করেছি, গুজরাটের পূর্বাঞ্চলের উমর গ্রাম থেকে অম্বাজী পর্যন্ত আদিবাসী ভাই ও বোনেদের সেবার কাজে নিয়োজিত হয়ে। আদিবাসীদের জীবনযাপন দেশ ও আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তাই, আমি যখন আপনাদের মধ্যে আসি, তখন বিশেষ ধরনের এক আকর্ষণ অনুভব করি। নিজের প্রিয়জনের সঙ্গ লাভের অনুভূতি হয় আমার।

বন্ধুগণ,

আদিবাসী সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমি যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি ও তাঁদের উপহার দিই, তখন চেষ্টা করি আমার আদিবাসী ভাই-বোনেদের তৈরি কোনও উপহার তাঁদের হাতে তুলে দিতে।

বর্তমানে ভারত বিশ্বের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চেই উপস্থিত। তাই, আদিবাসীদের ঐতিহ্যও বিশ্বের কাছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে। আদিবাসীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমান ভারত সমগ্র বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব ঊষ্ণায়নের মতো নানা আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পন্থা-পদ্ধতি তুলে ধরছে। তাঁদের জীবনযাত্রা আমাদের এই ধরনের সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে সাহায্য করে। বর্তমানে আমরা যখন সুসঙ্ঘত উন্নয়নের কথা বলি, তখন গর্বিতভাবে এটা বলতে পারি যে, আমাদের আদিবাসী সমাজ থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে গাছ, বন, নদী, পর্বতের সম্পর্ক কি করে স্থাপন করতে হয় এবং কিভাবে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করবো, তা আমাদের শেখায় আদিবাসী ভাই ও বোনেরা। বর্তমানে ভারত এই একই জিনিস শেখাচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে। 

বন্ধুগণ,

বর্তমানে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী, বিশেষ করে আদিবাসী ভাই-বোনদের তৈরি নানা সামগ্রীর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন সামগ্রী এখন বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, পূর্ববর্তী সরকারের সময় বাঁশ কাটা ও বাঁশ ব্যবহারের উপর আইনি নিষেধাজ্ঞা ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাঁশ কে তৃণ প্রজাতির আওতায় এনেছি এবং এর উপর জারি থাকা সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এর ফলে, বাঁশজাত সামগ্রী বর্তমানে এক বিশাল শিল্পে পরিণত হয়েছে। আদিবাসীদের তৈরি সামগ্রী যেন সবচেয়ে বেশি বাজার পায়, সেই লক্ষ্যে সরকার অবিরাম কাজ করে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে আমরা বন ধন মিশনের উদাহরণ দিতে পারি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৩ হাজারেরও বেশি বন ধন বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে খুব কম সংখ্যক অরণ্যজাত সামগ্রী এমএসপি-র আওতাধীন ছিল। বর্তমানে তা সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার প্রায় ৯০টি অরণ্যজাত সামগ্রী ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করছে। এ থেকে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী উপকৃত হচ্ছেন। ৫০ হাজারেরও বেশি বন ধন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমানে ৮০ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী জনগণ এই গোষ্ঠীগুলির সদস্য। আমাদের মা ও বোনেরাও এই গোষ্ঠীগুলিতে রয়েছেন। এগুলির মাধ্যমে আদিবাসী মহিলারাও বিশেষ সুযগ-সুবিধা পাচ্ছেন।

ভাই ও বোনেরা,

বর্তমান সরকার আদিবাসী যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছেন। এ বছরের বাজেটে আদিবাসী শিল্পীদের জন্য পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আপনাদের আর্থিক সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, আপনার সামগ্রী বাজারজাতকরণের জন্যও সাহায্য করা হবে। এ থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন তরুণ প্রজন্ম। বন্ধুগণ, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই আমাদের চেষ্টা সীমাবদ্ধ নয়। দেশে শত শত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন। তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য ও দক্ষতা রয়েছে। আদিবাসী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এইসব ক্ষেত্রে সম্ভাবনা আরও বাড়ানোর জন্য ও আদিবাসী যুবকদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ উন্মোচিত করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

২০ বছর আগে আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন আমি সেখানে লক্ষ্য করি যে, আদিবাসীদের উন্নয়নে পূর্ববর্তী সরকার বিশেষ কিছু করেনি। আদিবাসী এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়নি তারা। বর্তমানে শুধু একবার ভেবে দেখুন! যদি কোনও আদিবাসী শিশু বিজ্ঞান নিয়ে একেবারেই না পড়ে, তা হলে সে কিভাবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে আমরা আদিবাসী এলাকার বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে আদিবাসী শিশুর শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।

বর্তমানে দেশে একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫ গুণ বেড়েছে। ২০০৪-২০১৪ এই ১০ বছর সময় কেবলমাত্র ৯০টি একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় চালু হয়েছিল। কিন্তু, ২০১৪-২০২২ এই ৮ বছর সময়ে ৫০০-রও বেশি একলব্য মডেল বিদ্যালয়কে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৪০০-রও বেশি এই ধরনের বিদ্যালয় কার্যকর রয়েছে। ১ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী ছাত্রছাত্রী এই বিদ্যালয়গুলিতে পড়াশুনা করে। এ বছরের বাজেটে এই ধরনের বিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারীর শূন্য পদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিলি উপজাতিভুক্ত তরুণদের প্রদেয় বৃত্তির পরিমাণও দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। ৩০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া এতে উপকৃত হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

আদিবাসী যুবক-যুবতীদের লেখাপড়ার জন্য ভাষা একটি বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষায় পড়াশুনোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের আদিবাসী শিশু ও যুবকরা এখন নিজেদের ভাষাতেই লেখাপড়া করতে পারছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার উচ্চাকাঙ্খী জেলা ও ব্লকগুলির উন্নয়নে প্রচার চালাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। অনুন্নত শ্রেণীর জনগণকে প্রাধান্য দেবার মন্ত্র নিয়ে দেশ উন্নয়নের নতুন দিশায় এগিয়ে চলেছে।

এ বছরের বাজেটে তপশিলি উপজাতিভুক্তদের জন্য বরাদ্দ ২০১৪ সালের তুলনায় ৫ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আদিবাসী এলাকায় আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে, পর্যটন ও আয় – এই দুয়ের সম্ভাবনাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময় দেশের যেসব হাজার হাজার গ্রাম উগ্র বামপন্থার সমস্যায় জর্জরিত ছিল, বর্তমানে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে। সেখানকার তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হচ্ছেন সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে। এই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলির প্রত্যেক নাগরিককে সমাজের মূল অংশের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

গত ৮-৯ বছরে সাম্য ও সম্প্রীতিকে মূল লক্ষ্য করে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের কাজ চলছে। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশের নেতৃত্ব এক আদিবাসীর হাতে। এই প্রথম একজন আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে ভারতকে গর্বিত করেছেন। এই প্রথম আদিবাসী ইতিহাসকে দেশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী সমাজের বিশাল ভূমিকা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত রয়েছি। তাঁদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, দশকের পর দশক ধরে এইসব নেতা-নেত্রীদের আত্মবলিদান জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়নি। বর্তমানে অমৃত মহোৎসবের সময় দেশ ভুলে যাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। 

এই প্রথম দেশে ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে আদিবাসী গর্ব দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রথম আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষায় সংগ্রহশালা চালু করা হচ্ছে। ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে গত বছর আমার এই ধরনের সংগ্রহশালা উদ্বোধন করার ও ভগবান বীরসা মুন্ডার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আমাদের অতীতকে রক্ষা করতে হবে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের জন্য বর্তমানে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদি মহোৎসবের মতো অনুষ্ঠান এই ধরনের প্রতিশ্রুতিকে আরও মজবুত করে। বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। 

বন্ধুগণ,

এই বছর সমগ্র বিশ্ব ভারতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উদযাপন করছে। এই মিলেট আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনদের অন্যতম প্রধান খাদ্য। ভারত বর্তমানে এই বিশেষ খাদ্যকে ‘শ্রী অন্ন’ পরিচয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিচ্ছে। শ্রী অন্ন বাজরা, শ্রী অন্ন জোয়ার, শ্রী অন্ন রাগি সহ অন্যান্য খাদ্যশস্যগুলি তাঁদের স্বাদ ও গন্ধের জন্য বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করছে। এই উৎসবে এ ধরনের শ্রী অন্ন – এর নানা ফুড স্টল রয়েছে। আমাদের সকলের উচিৎ, আদিবাসী এলাকার খাবারগুলিকে যথাসম্ভব প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা।

এর ফলে, আমাদের জনগণের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি, আদিবাসী কৃষকদের আয় বৃদ্ধি হবে। আমি নিশ্চিত যে, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলবো। আজ মন্ত্রক দিল্লিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের নিয়ে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর ফলে, আমরা তাঁদের নানা পণ্য সামগ্রীর নমুনা দেখতে পাচ্ছি। দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা ও গাজিয়াবাদবাসীর কাছে আমার অনুরোধ – আপনারা আসুন ও এই মেলা ঘুরে দেখুন। 

স্বাস্থ্য সচেতন জনগণ তাঁদের খাদ্য তালিকার বিভিন্ন সামগ্রীতে বিশেষভাবে নজর দিয়ে থাকেন। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাই, আপনারা আসুন ও দেখুন, আমাদের অরণ্যজাত বিভিন্ন সামগ্রী কতটা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। আদিবাসী ভাই ও বোনেদের আনা পণ্যসামগ্রী যাতে বিক্রি হয় – আপনারা তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের যেন কোনও পণ্য ফিরিয়ে নিয়ে যেতে না হয়, সবকিছুই যেন এখানে বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হবে এবং তাঁরা সাফল্যের স্বাদ অনুভব করবেন।

আসুন, আপনারা সকলে একযোগে আদি মহোৎসবকে বিশেষভাবে স্মরণীয় ও সফল করে তুলি। আপনাদের সঙ্গে রইল আমার শুভেচ্ছা!
আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।