তুমাকুরু-র শিল্প নগরী এবং দুটি জল জীবন মিশন প্রকল্পেরও শিলান্যাস করেছেন
“ডবল ইঞ্জিন সরকার কর্ণাটককে লগ্নিকারীদের প্রথম পছন্দে পরিণত করেছে”
“আমাদের প্রতিরক্ষার প্রয়োজন মেটাতে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে হবে”
“ ‘নেশন ফার্স্ট’ – এই মনোভাব নিলে সাফল্য সুনিশ্চিত”
“এই কারখানা এবং হ্যাল-এর উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি মিথ্যার বেসাতিকে প্রকাশ করে দিয়েছে”
“ফুড পার্ক এবং হ্যাল-এর পরে তুমাকুরু-র জন্য বড় উপহার শিল্প নগরী যা তুমাকুরু-কে দেশের মধ্যেই একটি বড় শিল্পকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে”
“এই বাজেট ‘সমর্থ ভারত, সম্পন্ন ভারত, স্বয়ম্পূর্ণ ভারত, শক্তিমান ভারত, গতিমান ভারত’-এর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ”
“বাজেটে কর-এর সুবিধাদানের কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মনে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে”
“মহিলাদের অন্তর্ভুক্তিকরণে পরিবারে তাঁদের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা পাবে এবং এই বাজেটে তার জন্য অনেক সংস্থান রাখা হয়েছে”
লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টারেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

(কন্নড় ভাষায় অভিনন্দন জানানোর পর)

কর্ণাটক হল সাধু-সন্ন্যাসীদের পবিত্র ভূমি। আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভারতীয় ঐতিহ্যকে এই রাজ্য শক্তিশালী করেছে। এক্ষেত্রে তুমাকুরুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এখানকার সিদ্ধগঙ্গা মঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পণ্ডিত শিবকুমার স্বামীজির ‘অন্ন, অক্ষর এবং আশ্রয়’ – এই ত্রিবিধ দশার ধারাটিকে শ্রী সিদ্ধলিঙ্গ মহাস্বামী এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আমি সম্মানিত সাধু-সন্ন্যাসীদের প্রণাম জানাই। একইসঙ্গে, শ্রী চিদম্বরা আশ্রম এবং গুব্বি-তে ভগবান চন্নাবাসবেশ্বরকেও প্রণাম জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

আজ সকল সাধু-সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে কর্ণাটকের যুব সম্প্রদায় নতুন নতুন কাজের সুযোগ পাবেন, গ্রা্মাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবেন, সেনাবাহিনী শক্তিশালী হবে এবং ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র ধারণা আরও শক্তিশালী হবে। তুমাকুরু-তে আজ হেলিকপ্টার নির্মাণের একটি বিরাট কারখানার উদ্বোধন হল। তুমাকুরুর শিল্প শহরের শিলান্যাস করা হল। একইসঙ্গে, তুমাকুরু জেলার শত শত গ্রামের জন্য পানীয় জল পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এগুলির জন্য আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

কর্ণাটক হল তরুণ প্রতিভা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু। ড্রোন থেকে শুরু করে তেজস যুদ্ধবিমান উৎপাদন – এসবের মধ্য দিয়ে রাজ্যের উৎপাদন শিল্পের শক্তি সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। কর্ণাটকের ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্য বিনিয়োগকারীরা প্রথমেই এই অঞ্চলের কথা বিবেচনা করেন। আজ যে হেলিকপ্টার কারখানাটির এখানে উদ্বোধন করা হল তার মধ্য দিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজের ধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরযোগ্যতা কমানোর জন্য আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেই মোতাবেক এই কারখানার শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দেশে উৎপাদিত শত শত যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম এখন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করছেন। আধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ট্যাঙ্ক, কামান, নৌ-বাহিনীর জন্য ব্যবহৃত বিমান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান দেশেই তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে একবার ভাবুন এই সংখ্যাটা কত ছিল? গত ৮-৯ বছরে বিমান চলাচল ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ আমরা আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য দেশে উৎপাদিত অস্ত্রশস্ত্রই শুধু ব্যবহার করছি না, ২০১৪ সালের নিরিখে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষমতা পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীদিনে তুমাকুরু থেকে শত শত হেলিকপ্টার তৈরি হবে। এর ফলে, প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য এই অঞ্চলে হবে। এ ধরনের একটি কারখানা যখন হয় তখন আমাদের সেনাবাহিনীর ক্ষমতাই শুধু বৃদ্ধি হয় না, পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বা স্বনির্ভর হয়ে ওঠাও সম্ভব হয়। তুমাকুরুর হেলিকপ্টার কারখানা অনেক ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

বন্ধুগণ,

‘দেশ প্রথম’ এই ভাবনায় যখন কোনও কাজ শুরু হয় তখন নিশ্চিতভাবে সাফল্য অর্জিত হয়। গত আট বছর ধরে একাধারে আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কারখানাগুলির মানোন্নয়ন ঘটিয়েছি, সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করেছি, আবার বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্যও দ্বার উন্মুক্ত করেছি। এখন আমরা বুঝতে পারছি কিভাবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হয়েছে। আর আজ আমি বছর কয়েক আগে ঘটা কিছু কথা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি নিশ্চিত, সংবাদমাধ্যমও এই বিষয়টি উল্লেখ করবে। এই হ্যাল-এর সম্পর্কে আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই একই হ্যাল, যা নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়। মানুষকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সংসদে এই বিষয় নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করেছেন। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, মিথ্যা যত বড়ই হোক, যতবারই তা প্রচার করার চেষ্টা হোক, এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যুক্ত থাকলেও দিনের শেষে তাকে সত্যের কাছে পরাজিত হতেই হবে। আজ হ্যাল-এর এই হেলিকপ্টার কারখানা সংস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এর মাধ্যমে অনেক পুরনো মিথ্যা এবং অসত্য অভিযোগ সকলের সামনে প্রকাশিত হল। আসলে বাস্তব নিজেই কথা বলে। আজ এই একই হ্যাল সংস্থা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক তেজস বিমান তৈরি করছে যা সারা পৃথিবীর কাছে আলোচ্য বিষয়। আজ এই হ্যাল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার প্রতীক।

বন্ধুগণ,

আজ তুমাকুরু শিল্প শহর গড়ার কাজ শুরু হল। ফুড পার্ক এবং হেলিকপ্টার তৈরির কারখানার পর তুমাকুরুর জন্য এটি আরও একটি সুন্দর উপহার। এই নতুন শিল্প শহর তুমাকুরুকে শুধু কর্ণাটকের প্রধান শিল্পকেন্দ্র হিসেবেই গড়ে তুলবে না, এটি দেশের নিরিখেও অন্যতম শিল্পকেন্দ্র হয়ে উঠবে। চেন্নাই-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডরের অঙ্গ হিসেবে এই শিল্প শহরটি গড়ে উঠবে। বর্তমানে এখানে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু, বেঙ্গালুরু-মুম্বাই এবং হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডর গড়ে উঠছে। কর্ণাটকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই শিল্প তালুক গড়ে উঠবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’-এর আওতায় এই শহর তৈরি করা হবে যা মুম্বাই-চেন্নাই মহাসড়ক, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর, তুমাকুরু রেল স্টেশন এবং মেঙ্গালুরু বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলবে। এর ফলে, অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং স্বনির্ভর হয়ে ওঠারও সুযোগ তৈরি হবে।

বন্ধুগণ,

ডবল ইঞ্জিন সরকারের শুধুমাত্র পরিকাঠামো গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য নয়। আমরা সামাজিক পরিকাঠামোর বিষয়েও যত্নশীল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রত্যেক ঘরে এবং চাষের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘নিবাস কী নীরু, ভূমিগে নীরাওয়ারি’ প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশজুড়ে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। এ বছরের বাজেটে জল জীবন মিশনের জন্য গত বছরের থেকেও ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে যখন জল পৌঁছে যাবে, তখন দরিদ্র মহিলা এবং ছোট্ট মেয়েরা সবথেকে বেশি উপকৃত হবে। পরিষ্কার জল আনার জন্য তাঁদের বহু দূরে যেতে হয়। গত সাড়ে তিন বছরে এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশজুড়ে ১১ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে জলের সংযোগ ছিল। এবারের বাজেটে আপার ভদ্রা প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তুমাকুরু, চিকমাগালুর, চিত্রদূর্গ এবং দাভানাগেরে-র মতো মধ্য কর্ণাটকের খরা প্রবণ অঞ্চলে এর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। প্রত্যেক বাড়িতে এবং কৃষি জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল, এই উদ্যোগের ফলে ডবল ইঞ্জিন সরকারের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে। আমাদের ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য এই প্রকল্প যথেষ্ট সহায়ক হবে কারণ, এতদিন তাঁরা শুধুমাত্র বৃষ্টির জল এবং সেচের জলের ওপর নির্ভর করে থাকতেন।

বন্ধুগণ,

এ বছরের দরিদ্র-বান্ধব এবং মধ্যবিত্ত-বান্ধব বাজেট নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে আলোচনা হবে। উন্নত ভারত গড়ার জন্য এই বাজেট সকলকে একত্রিত করবে। এ বছরের বাজেট ভারতকে এমন এক শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করবে যে ভারত সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এর এই বাজেটে উন্নত ভারত গড়ার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উপাদানগুলি রয়েছে। গ্রামাঞ্চল, দরিদ্র মানুষ, কৃষক, সমাজের বঞ্চিত অংশ, আদিবাসী মধ্যবিত্ত, মহিলা, যুব সম্প্রদায় অথবা প্রবীণ নাগরিক – প্রত্যেকের জন্যই এবারের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি একটি জনপ্রিয় ও নির্ণায়ক বাজেট। এই বাজেটের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। ভারতের নারীশক্তি দেশ গড়ার কাজে আরও বেশি করে অংশ নেবে। দেশের কৃষিক্ষেত্র এবং গ্রামাঞ্চলের আধুনিকীকরণে সহায়ক হবে এই বাজেট। ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে, পাশাপাশি ‘শ্রী অন্ন’ আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত হয়ে উঠবে। আপনাদের চাহিদা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা এবং আপনাদের আয় – সবদিকই এবারের বাজেটে বিবেচিত হয়েছে। কর্ণাটকের প্রতিটি পরিবার এর থেকে উপকৃত হবেন।

ভাই ও বোনেরা,

অতীতে সমাজের যে অংশের মানুষ সরকারি সহায়তা পেতেন না তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য ২০১৪ সাল থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। আগে তাঁদের জন্য নির্ধারিত প্রকল্পের সুবিধা তাঁদের কাছে পৌঁছত না বা মধ্যস্বত্বভোগীরা সেগুলি লুঠ করত। এই প্রথম আমাদের সরকার শ্রমিকদের জন্য পেনশন এবং বীমার ব্যবস্থা করেছে। ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’র মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই রাস্তার হকারদের জন্য ঋণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এবারই প্রথম আমাদের বিশ্বকর্মা ভাই ও বোনেদের জন্য বাজেটে একটি প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে। যাঁরা নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করেন তাঁদের বিশ্বকর্মা বলা হয়। যেমন, কুমোর, কামার, শিল্পী, স্বর্ণকার ইত্যাদিরা ‘পিএম বিকাশ যোজনা’র আওতায় তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের গুণমান এর ফলে বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ,

মহামারীর সময় আমাদের সরকার দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে রেশন বিতরণ করেছে। এই খাতে ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। এবারের বাজেটে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারের পাকা বাড়ি নিশ্চিত করার জন্য ৭০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কর্ণাটকের বহু দরিদ্র পরিবার এর সুফল পাবে। ফলে, তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আসবে।

ভাই ও বোনেরা,

এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার জন্য অভূতপূর্ব কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁদের আয় বছরে ৭ লক্ষ টাকা, তাঁদের কোনও আয়কর দিতে হবে না। এর ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা দিচ্ছে। ৩০ বছরের নিচে যাঁদের বয়স, যাঁরা নতুন চাকরিতে ঢুকেছেন বা সদ্য ব্যবসা শুরু করেছেন, তাঁরা এর ফলে আরও অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন। আমাদের প্রবীণ নাগরিকরা, যাঁরা পেনশনভোগী, তাঁদের সঞ্চিত অর্থের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রতি মাসে তাঁরা সুদ বাবদ বেশি অর্থ পাবেন। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বন্ধুদের জন্য লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপর কর ছাড়ের সুযোগ আগে ছিল ৩ লক্ষ টাকা। এখন ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লিভ এনক্যাশমেন্ট বাবদ আয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর দিতে হবে না। এর ফলে তুমাকুরু ও বেঙ্গালুরু সহ দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবারের অর্থের সাশ্রয় হবে।

বন্ধুগণ,

বিজেপি সরকার মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের দিকটি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের ফলে বাড়িতে তাঁরা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবেন এবং যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁরা এগিয়ে আসতে পারবেন। আমাদের মা, বোন ও মেয়েদের জন্য এবারের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন আরও বেশি করে ব্যাঙ্কের সুবিধা নিতে পারবেন। আমরা ‘মহিলা সম্মান বচৎ পত্র’ চালু করতে চলেছি। এই প্রকল্পে আমাদের বোনেরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদ পাওয়া যাবে ৭.৫ শতাংশ। ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি’, ‘জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’, ‘মুদ্রা’ ঋণ এবং ‘আবাস’-এর পর মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গ্রামাঞ্চলে মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবারের বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

এবারের বাজেটে গ্রামীণ অর্থনীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি অথবা সমবায়ের প্রসার ঘটানোর মধ্য দিয়ে আমাদের কৃষকদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যার সুফল কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবীরা পাবেন। আখ চাষীদের জন্য গঠিত সমবায়গুলিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। আগামীদিনে আরও অনেক সমবায় সমিতি গড়ে উঠবে। দেশজুড়ে খাদ্যশস্য মজুত রাখার জন্য বিপুল উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর ফলে ক্ষুদ্র চাষীরা তাঁদের শস্য মজুত রাখতে পারবেন এবং উৎপাদিত শস্য বিক্রির সময় ভালো দাম পাবেন। শুধু তাই নয়, জৈব চাষে ব্যয় হ্রাস করার জন্য ক্ষুদ্র চাষীরা যাতে সহায়তা পান সেই উদ্দেশ্যে হাজার হাজার সহায়তাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

বন্ধুগণ,

কর্ণাটকের আপনারা সকলে মোটা দানাশস্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আর তাই আপনাদের কাছে এটি ‘সিরিধান্য’ বলে পরিচিত। আর আজ দেশ কর্ণাটকের সেই ভাবনাকে অনুসরণ করে এর নাম দিয়েছে ‘শ্রী অন্ন’ অর্থাৎ, শ্রেষ্ঠ শস্য। কর্ণাটকে শ্রী অন্ন রাগি, শ্রী অন্ন নবনে, শ্রী অন্ন সামে, শ্রী অন্ন হরকা, শ্রী অন্ন কোরালে, শ্রী অন্ন উদলু, শ্রী অন্ন বারগু, শ্রী অন্ন সাজ্জে, শ্রী অন্ন বিডিজোড়া, কৃষকরা উৎপাদন করেন। এই রাজ্যের রাগি মুড্ডে বা রাগি রুটির স্বাদ কে ভুলতে পারেন বলুন তো? এবারের বাজেটে খাদ্যশস্য উৎপাদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটকের খরা প্রবণ অঞ্চলের ক্ষুদ্র কৃষকরা এর সুফল সবথেকে বেশি পাবেন।

বন্ধুগণ,

ডবল ইঞ্জিন সরকারের সর্বতো প্রয়াসের ফলে আজ দেশের নাগরিকদের আস্থা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনের নিরাপত্তার জন্য, আরও সমৃদ্ধশালী জীবনের জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছি। আপনাদের নিরন্তর আশীর্বাদ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। আরও একবার এবারের বাজেটের জন্য এবং আজ তুমাকুরু-তে যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে তার জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনারা বিপুল সংখ্যায় এখানে এসেছেন এবং আশীর্বাদ করেছেন। তাই আপনাদের সকলকে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage