ইন্দোরে রাম নবমীর দিন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
“ভারতীয় রেলের ইতিহাসে স্বল্প সময়ের মধ্যে একই রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয়বার সফর একটি বিরল ঘটনা”
“ভারত এখন নতুন ভাবনা ও উদ্যোগে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে”
“ভারতের উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রতীক বন্দে ভারত; এর মধ্য দিয়ে আমাদের দক্ষতা, প্রত্যয় এবং ক্ষমতা প্রদর্শিত হচ্ছে”
“তাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কিন্তু আমরা নাগরিকদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাঁদের সন্তুষ্ট করতে দায়বদ্ধ”
“৬০০টি ‘এক স্টেশন, এক পণ্য’ বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে এখান থেকে ১ লক্ষ কেনাকাটা হয়েছে”
“দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা প্রদান ভারতীয় রেলের সমার্থক হয়ে উঠেছে”
“আজ মধ্যপ্রদেশ নিরন্তর উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায় রচনা করছে”
“এক সময়ে ‘বিমারু’র তকমা পাওয়া মধ্যপ্রদেশ আজ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে”
“ভারতের দরিদ্র জনসাধারণ, ভারতের মধ্যবিত্ত, ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ, ভারতের দলিত – পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা ౼ প্রত্যেক ভারতবাসী আমার রক

ভারত মাতা কি জয়,

ভারত মাতা কি জয়,

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মাননীয় শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রেলমন্ত্রী অশ্বিনীজী, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার ভোপালের ভাই ও বোনেরা!

সবার আগে আমি ইন্দোর মন্দিরে রাম নবমী উৎসবে যে দুর্ঘটনা হয়েছে, সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দুর্ঘটনার ফলে যাঁরা আমাদের অসময়ে ছেড়ে চলে গেলেন, তাঁদের আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যে ভক্তরা আহত হয়েছেন,, যাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে, আমি তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

 

বন্ধুগণ,

আজ মধ্যপ্রদেশ তার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভোপাল ও দিল্লির মধ্যে যাতায়াত আরও সুগম ও দ্রুত হবে। এই ট্রেন সমস্ত ধরনের পেশাদার, নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতী ও ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন নতুন পরিষেবা নিয়ে আসবে।

বন্ধুগণ,

এই অনুষ্ঠান যে আধুনিক এবং অনিন্দ্য সুন্দরভাবে গড়ে তোলা কমলাপতি স্টেশনে আয়োজিত হচ্ছে - এই স্টেশনের উদ্বোধনের সৌভাগ্যও আপনারা আমাকেই দিয়েছিলেন। আজ আপনারা আমাকে এখান থেকে দিল্লি যাতায়াতের জন্য ভারতের আধুনিকতম বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রার সূচনার সুযোগ দিয়েছেন। রেলের ইতিহাসে খুব কম ক্ষেত্রেই এরকম হয়েছে যে, এত অল্প সময়ের ব্যবধানে কোনও রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার এসেছেন। কিন্তু, আধুনিক ভারতে নতুন নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠছে, নতুন নতুন পরম্পরারও সৃষ্টি হচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠান তেমনই নতুন ব্যবস্থা ও পরম্পরার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

 

বন্ধুগণ,

এখন আজকের এই ট্রেনে যাত্রী রূপে আমাদের স্কুলের যে ছেলেমেয়েদের পেয়েছি, তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি, তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। তাদের মনে এই ট্রেন নিয়ে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল – তা দেখার মতো। অর্থাৎ, এই বন্দে ভারত ট্রেন উন্নয়নশীল ভারতের উৎসাহ ও উদ্দীপনার ঢেউ – এর প্রতীক। আজকের এই অনুষ্ঠান যখন স্থির হয়, তখন আমাকে বলা হয়েছিল পয়লা এপ্রিলে হবে। আমি বললাম, ভাই পয়লা এপ্রিলে কেন করছেন। যখন খবরের কাগজে ছাপা হবে, পয়লা এপ্রিল মোদী বন্দে ভারত ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখাবেন, তখন আমাদের কংগ্রেসের বন্ধুরা অবশ্যই বয়ান দেবেন যে, মোদী তো এপ্রিল ফুল করবেন। কিন্তু, আপনারা নিজের চোখের সামনে দেখলেন যে, পয়লা এপ্রিলেই এই ট্রেন চলতে শুরু করেছে।

বন্ধুগণ,

এটা আমদের দক্ষতা, আমাদের সামর্থ্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। ভোপালগামী যে কোনও ট্রেন এই রাজ্যের পর্যটনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে চলেছে। এই ট্রেন চালু হওয়ার ফলে সাঁচী স্তুপ, ভীমবেটকা, ভোজপুর এবং উদয়গিরি গুহার মতো পর্যটন স্থানগুলিতে পর্যটকদের যাতায়াত আরও বৃদ্ধি পাবে। আপনারা জানেন যে, পর্যটন বৃদ্ধি পেলে সেই অঞ্চলের মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়তে থাকে এবং সাধারণ মানুষের আয়ও বাড়ে। অর্থাৎ, এই বন্দে ভারত মধ্যপ্রদেশের একটি বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির মাধ্যম যেমন হয়ে উঠবে, তেমনই এই এলাকাগুলি উন্নয়নের মাধ্যও হয়ে উঠবে।

 

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীর ভারত এখন নতুন ভাবনা ও দৃষ্টিকোণ নিয়ে কাজ করে চলেছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলি তদের তুষ্টিকরণ নীতি বাস্তবায়নে এত ব্যস্ত ছিল যে, দেশবাসীর সন্তুষ্টিকরণের দিকে তাদের কোনও লক্ষ্যই ছিল না। তারা ভোট ব্যাঙ্কের তুষ্টিকরণে ব্যস্ত ছিল। আর আমরা, আমাদের সরকার দেশবাসীর সন্তুষ্টিকরণে সমর্পিত প্রাণ। পূর্ববর্তী সরকারগুলি আরেকটি ক্ষেত্রে ভীষণ জোর দিত, তা হ’ল – দেশের একটি পরিবারকে দেশের প্রথম পরিবার বলে মনে করতো। সেজন্য তারা দেশের গরীব পরিবার, মধ্যবিত্তি ও নিম্নবিত্তদের নিজের অবস্থাতেই ছেড়ে রেখেছিল। এই পরিবারগুলির আশা-আকাঙ্খা ও প্রত্যাশার খোঁজ কেউ রাখতেন না। এই মনোভাবের জলজ্যান্ত উদাহরণ হ’ল আমাদের ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেল আসলে সাধারণ ভারতীয় পরিবারের জীবনের অঙ্গ, তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। অনেক দশক ধরে বাবা-মা, দাদু-দিদা, ঠাকুরদা-ঠাকুমা এবং পরিবারের সঙ্গে ছেলেমেয়ের সাক্ষাতের সবচেয়ে বড় মাধ্যমই ভারতীয় রেল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সাধারণ ভারতীয় পরিবারের এই যাতায়াতের মাধ্যমকে কি আধুনিক করা যেত না? রেলকে এরকম খারাপ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া কী ঠিক ছিল?

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার পর ভারত একটি অনেক বড় তৈরি রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পেয়েছিল। তখনকার সরকারগুলি যদি চাইতো, তা হলে অনেক দ্রুত এই রেলকে আধুনিক করে তুলতে পারতো। কিন্তু, নিহিত রাজনৈতিক স্বার্থে জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য তারা রেলের উন্নয়নকেই বলি প্রদত্ত করেছেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, স্বাধীনতার এত দশক পরও আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই কোনও রেল পরিষেবা পৌঁছায়নি। ২০১৪ সালে আপনারা যখন আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, তখন আমি ঠিক করেছিলাম যে, এখন আর এমন হতে দেব না। এখন রেলের সার্বিক পরিবর্তন করিয়ে ছাড়বো। বিগত ৯ বছরে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা এটাই ছিল যে, ভারতীয় রেলকে কিভাবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রেল নেটওয়ার্কে পরিণত করা যায়! ২০১৪ সালের আগে খবরের কাগজে ও টেলিভিশনের পর্দায় ভারতীয় রেল নিয়ে কী ধরনের খবর ছাপা হ’ত বা দেখানো হ’ত – তা আপনারা সকলে খুব ভালোভাবেই জানেন। এত বড় রেল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মানবহীন লেভেল ক্রসিং ছিল। সেই লেভেল ক্রসিং – এ প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটতো। কখনও কখনও স্কুল পড়ুয়াদের মৃত্যুর খবর সকলের হৃদয় বিদীর্ণ করতো। আজ ব্রডগেজ নেটওয়ার্ককে সম্পূর্ণ রূপে মানবহীন লেভেল ক্রসিং মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রায় প্রতিদিন রেল দুর্ঘটনার এবং অসংখ্য মানুষের জীবন ও সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার খবর আসতো। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আজ ভারতীয় রেল যাত্রা অনেক বেশি নিরাপদ হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে রেলে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’কে অগ্রাধিকার দেওয়ার সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

নিরপত্তা শুধুই দুর্ঘটনা থেকে নয়, এখন যাত্রাপথে যাত্রীদের সুরক্ষাও অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কোনও যত্রী যদি অভিযোগ করেন, তা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অনেক কম সময়ে তাঁদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন আমাদের মা ও বোনেরা। আগে অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অনেক অভিযোগ আসতো। রেল স্টেশনগুলিতে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা শাস্তির সমতুল ছিল। এছাড়াও, অনেক ট্রেন ঘন্টার পর ঘন্টা দেরীতে চলতো। আজ পরিচ্ছন্নতা অনেক বেশি সুনিশ্চিত হয়েছে। ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়েই চলছে। আর মানুষের অভিযোগও নিরন্তর হ্রাস পাচ্ছে। আগে তো এমন পরিস্থিতি ছিল যে, মানুষ অভিযোগ করাটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কারণ, তাঁদের কথা শোনারও লোক ছিল না। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, গে টিকিট বা আসন সংরক্ষণ নিয়ে কালোবাজারি একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই এই সংক্রান্ত স্ট্রিং অপারেশন দেখানো হ’ত। কিন্তু, আজ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা এমন অনেক সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতীয় রেল দেশের দরিদ্র, হস্তশিল্পী ও কারিগরদের উৎপাদিত পণ্য দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে। ‘এক স্টেশন, এক পণ্য’ – এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনটি যে এলাকয় রয়েছে, সেখানকার প্রসিদ্ধ বস্ত্র, শিল্পকৃতি, হস্তশিল্প, বাসন এবং তৈল চিত্রের মতো পণ্য যাত্রীরা স্টেশন থেকেই কিনতে পারছেন। সেজন্য সারা দেশে প্রায় ৬০০টি আউটলেট তৈরি করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত কম সময়ের মধ্যেই এই আউটলেট-গুলি থেকে ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রী কেনাকাটা করেছেন।

 

বন্ধুগণ,

আজ ভারতীয় রেল দেশের সাধারণ পরিবারগুলির জন্য উন্নত পরিষেবার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজ দেশের অনেক রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। আজ দেশের ৬ হাজার স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা রয়েছে। আজ দেশের ৯০০টিরও বেশি প্রধান রেল স্টেশনে সিসি টিভি লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তো গোটা দেশে, আমাদের নবীন প্রজন্মের মনে সুপারহিট হয়ে গেছে। সারা বছর এই ট্রেনগুলির সমস্ত আসন ভরা থাকে। দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর দাবি উঠে আসছে। আগে এ ধরনের কাজের জন্য সাংসদদের কাছ থেকে চিঠি আসতো। আর সেই চিঠিতে কী লেখা থাকতো? সাংসদরা লিখতেন যে, অমুক ট্রেনকে তমুক স্টেশনে হল্টের ব্যবস্থা করুন। এখন দুটি স্টেশনে থামে, এটিকে তিনটি স্টেশনে থামাবার ব্যবস্থা করুন। আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলছি যে, আমি খুব খুশি হই, যখন কোনও সাংসদ আমাকে চিঠি লিখে দাবি জানান যে, আমাদের এখানেও যত দ্রুত সম্ভব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হোক।

বন্ধুগণ,

রেল যাত্রীদের এই পরিষেবা বৃদ্ধির অভিযান অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এ বছরের বাজেটেও রেলকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন রেলের উন্নয়নের প্রশ্ন উঠলেই লোকসানের অছিলা দেওয়া হ’ত। কিন্তু, কারও মনে যদি প্রকৃত উন্নয়নের ইচ্ছাশক্তি থাকে, মনোভাব যদি স্পষ্ট হয়, আর নিষ্ঠা যদি দৃঢ় হয় - তা হলে নতুন নতুন সমাধানের পথও বেরিয়ে আসে। বিগত ৯ বছরে আমরা নিয়মিতভাবে রেলের বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছি। মধ্যপ্রদেশের জন্যও এই বছর ১৩ হাজ্র কোটি টাকারও বেশি রেল বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে মধ্যপ্রদেশের জন্য প্রতি বছর গড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হ’ত। এখন আপনারাই বলুন কোথায় ৬০০ কোটি আর কোথায় ১৩ হাজার কোটি।

 

বন্ধুগণ,

আজ রেলের আধুনিকীকরণ কত দ্রুত এগিয়ে চলেছে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হ’ল বৈদ্যুতিকীকরণ অভিযান। জ আপনারা প্রায়ই শুনছেন যে, দেশের কোনও না কোনও প্রান্তে ১০০ শতাংশ রেল নেটওয়ার্ক বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। যে ১১টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে, এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ অন্যতম। ২০১৪ সালের আগে দেশে বছরে গড়ে ৬০০ কিলোমিটার রেল পথ বৈদ্যুতিকীকরণ হ’ত আর এখন বছরে ৬ হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিকীকরণ হচ্ছে। এটাই হ’ল আমাদের সরকারের কাজের গতি।

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, মধ্যপ্রদেশ আজ পুরনো দিনগুলিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে। এখন প্রতিদিন মধ্যপ্রদেশ ক্রমাগত উন্নয়নের নতুন নতুন গাথা লিখছে। কৃষি থেকে শুরু করে শিল্প – প্রতিটি ক্ষেত্রেই আজ মধ্যপ্রদেশের সামর্থ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ তা ভারতের সামর্থ্যকে বৃদ্ধি করছে। উন্নয়নের যে ক্ষেত্রগুলিতে এক সময় মধ্যপ্রদেশকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য বলে মনে করা হ’ত, সেই সমস্ত ক্ষেত্রেও আজ মধ্যপ্রদেশের সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজ মধ্যপ্রদেশ দরিদ্র গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রেও অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম। প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযানে মধ্যপ্রদেশ খুব ভালো কাজ করছে। গম সহ অনেক ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমদের মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছেন। শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রেও এখন মধ্যপ্রদেশ ক্রমাগত নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে। এই সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের জন্য অসংখ্য নতুন নতুন সুযোগের সম্ভাবনা গড়ে উঠছে।

 

বন্ধুগণ,

দেশের উন্নয়নের জন্য এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মধ্যেও আমি সকল দেশবাসীকে আরেকটি বিষয় বলতে চাই। আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ২০১৪ সালের পর থেকেই শপথ নিয়েছেন, জনসমক্ষে এই শপথের কথাও বলেছেন আর নিজেদের সংকল্প ঘোষণা করেছেন যে, তাঁরা আমাদের নিন্দা করে যাবেন। তাঁরা মোদীর গায়ে কালী ছিটাতে থাকবেন। সেজন্য এই মানুষেরা নানাধরনের দুষ্কৃতিকারীকে সুপারি দিয়ে রেখেছেন। আর নিজেরাও যুদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছেন। এদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য কিছু মানুষ দেশের মধ্যেও যেমন রয়েছেন, তেমনই বিদেশি কিছু মানুষও তাঁদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লাগাতার কাজ করে চলেছেন যে, কিভাবে মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায়। কিন্তু, আজ ভারতের গরীব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত, ভারতের বিভিন্ন জনজাতির মানুষ, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া সমাজের প্রত্যেক ভারতীয় আজ মোদীর সুরক্ষা কবচ হয়ে উঠেছেন। আর সেজন্য আজ ওদের রক্ত টগবগ করে ফুটছে, তাঁরা নতুন নতুন ফন্দি আঁটছেন। ২০১৪ সালে তাঁরা মোদীর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার যে সংকল্প নিয়েছিল, সেই সংকল্প বদলে তাঁরা এখন নতুন শপথ নিয়েছেন যে, ‘মোদী তেরি কবর খুদেগি’। তাঁদের এই ষড়যন্ত্রগুলির মাঝে আপনাদের প্রত্যেক দেশবাসীকে দেশের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে, দেশ গড়ে তোলার কথা ভাবতে হবে। আমাদের উন্নত ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে মধ্যপ্রদেশের ভূমিকাকে আরও বাড়াতে হবে। এই নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মধ্যপ্রদেশকে শক্তিশালী করে তোলার এই শপথেরই একটি অঙ্গ। সেজন্য আমি আরেকবার মধ্যপ্রদেশের নাগরিক সমস্ত ভাই-বোনদের, ভোপালের সমস্ত নাগরিক ভাই-বোনদের এই আধুনিক ট্রেন যাত্রা শুরুর জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমাদের প্রত্যেকের যাত্রা মঙ্গলময় হোক – এই শুভ কামনা নিয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.