নমস্কার!
জাতীয় স্তরের ‘রোজগার মেলাগুলি’ এনডিএ এবং বিজেপি সরকারের নতুন পরিচিতি হয়ে উঠেছে। আজ আরও একবার ৭০ হাজারের বেশি যুবক-যুবতী নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। আমি খুশি যে, বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলিও এই ধরনের রোজগার মেলা সময় সময়ে আয়োজন করছে। যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন তাঁদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
‘আজাদি কা অমৃত কাল’ সবে শুরু হয়েছে। আপনাদের লক্ষ্য আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আপনাদের শুধু বর্তমান সময়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করলে হবে না, দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেও কাজ করতে হবে। যাঁরা আজ নিয়োগপত্র পেলেন সেই সব তরুণ-তরুণী এবং তাঁদের পরিবারকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ,
এখন ভারতে সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তরুণ-তরুণীদের অধিকাংশ স্বনিযুক্তির দিকেও এগোচ্ছেন। মুদ্রা যোজনা যেটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে তাতে উপকৃত হয়েছেন হাজার হাজার তরুণ তরুণী। স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার মতো কর্মসূচি যুব সমাজের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন এমন যুবক-যুবতীরা এখন নিজেরাই অনেককে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
এই অভিযানে যেভাবে যুবসমাজ গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরি পেয়েছেন তা অভূতপূর্ব। এসএসসি, ইউপিএসসি এবং আরআরবি-র মতো বড় সরকারি চাকরিদাতার সংস্থা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বহু সংখ্যক যুবক-যুবতীকে চাকরি দিয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। কিছুক্ষণ আগে দেখানো ভিডিওটিতেও এই ব্যাপারটির উল্লেখ করা হয়েছে।
এইসব সংস্থাগুলি জোর দিয়েছে স্বচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং সঠিক ও সরল পদ্ধতির ওপর। পূর্বে পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতো। আর যদি আদালদতে মামলা হত তাহলে ২ বছর, এমনকি ৫ বছর নষ্ট হত এই প্রক্রিয়ায়। কিন্তু বর্তমানে স্বচ্ছতার সঙ্গে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে গোটা বিশ্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে হাঁটতে প্রস্তুত। ভারতের ওপর এমন আস্থা এবং আমাদের অর্থনীতির ওপর এমন বিশ্বাস আগে কখনও দেখা যায়নি। আপনারা অবগত আছেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং করোনার মতো মারাত্মক অতিমারীর এবং যুদ্ধের কারণে গোটা সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার বিষয়টি সম্বন্ধে। সারা বিশ্বে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে এবং আমার তরুণ বন্ধুরা আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, এইসব সমস্যা সত্বেও ভারত তার অর্থনীতিকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানীগুলি ভারতে আসছে পণ্য উৎপাদন করতে। বর্তমানে ভারতের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার রেকর্ড উচ্চতায়। যখন এই রকম বিশাল পরিমাণ বিদেশী লগ্নি হয়, তখন উৎপাদন বাড়ে, শিল্পের প্রসার ঘটে, নতুন শিল্প স্থাপিত হয়, রপ্তানি বাড়ে এবং স্বাভাবিক ভাবে নতুন কর্মী ছাড়া কোন কাজ করা যায় না এবং সেই জন্যই কর্মসংস্থানের সুযোগ দ্রুত বাড়ে।
এইমাত্র কিছুক্ষণ আগে ডঃ জিতেন্দ্র সিংজী আমাদের বিস্তারিত ভাবে জানালেন, আমাদের সরকার কিভাবে বেসরকারি ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করছে। আমি আপনাদের সামনে একটা উদাহরণ রাখতে চাই, যেমন গাড়ি শিল্প। দেশের জিডিপি-তে এই শিল্পের অবদান ৬.৫% -এর বেশি। গত কয়েকবছরে গাড়ি উৎপাদন শিল্প বিশাল উন্নতি করেছে।
বর্তমানে ভারত থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি এবং বাণিজ্যিক গাড়ির রপ্তানি বাড়ছে। তার ওপরে তিন চাকার এবং দু-চাকার গাড়ি রপ্তানি উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। ১০ বছর আগে এই শিল্পের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে এই শিল্প ৫ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে ১২ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার ঘটছে নিয়মিত। ভারত সরকারের কাছ থেকে পিএলআই কর্মসূচিতে এই গাড়ি উৎপাদন শিল্প প্রভূত উৎসাহ পেয়েছে। দ্রুত গতির সঙ্গে এগোতে থাকায় এই ক্ষেত্রে তরুণ সমাজের জন্য লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
একদশক আগের তুলনায় ভারত এখন অনেক নিরাপদ এবং শক্তিশালী দেশ। রাজনৈতিক দুর্নীতি, কর্মসূচিতে অসুবিধা, সাধারণ মানুষের অর্থের অপব্যবহার পূর্বেকার সব সরকারের চিহ্ন ছিল। বর্তমানে ভারত তার রাজনৈতিক স্থিরতার জন্য পরিচিত। বিশ্বে এই রাজনৈতিক স্থিরতার অনেক মূল্য।
বর্তমানে ভারত সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমনই সরকার এটি। বর্তমান ভারত সরকার তার অর্থনৈতিক এবং প্রগতিশীল সামাজিক সংস্কারের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি নিয়মিত বলেই চলেছে সে জাতীয় সড়ক বা রেলপথ নির্মাণই হোক বা বসবাস বা বাণিজ্যে স্বাচ্ছন্দের বিষয়ই হোক, ভারত পূর্বেকার সরকারগুলির তুলনায় ভাল কাজ করছে।
কয়েক বছরে ভারত পরিকাঠামো এবং সামাজিক ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এই লগ্নির ফলে কোটি কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। একটি সামাজিক পরিকাঠামোর উদাহরণ দিচ্ছি, যা আমাদের সামাজিক জীবনের সঙ্গে জড়িত, সেটি হল জল। জলের জন্য আমরা জল জীবন মিশন শুরু করেছি। জল জীবন মিশনে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
যখন এই কর্মসূচি শুরু হয়, গ্রামাঞ্চলে ১০০টি বাড়ির মধ্যে মাত্র ১৫টি বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ হত। এটা একটা গড় সংখ্যা। বর্তমানে জল জীবন মিশনের কারণে প্রতি ১০০টি বাড়ির মধ্যে ৬২টি বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ হয় এবং এর কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। বর্তমানে দেশে ১৩০টি জেলার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারে নলবাহিত জলের সংযোগ আছে।
এবং বন্ধুগণ,
পরিষ্কার সুপেয় জল পাওয়ায় মানুষের সময় বাঁচছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হল বড়সড় অসুখ থেকে তাঁরা সুরক্ষিত থাকছেন। ভাল স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ পানীয় জল একটা বড় ওষুধ। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যখন নলবাহিত জল প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছোচ্ছে তখন পেটের রোগের কারণে চার লক্ষ মৃত্যু প্রতিরোধ করা যাচ্ছে। বা এভাবেও বলা যায় যে, চার লক্ষ প্রাণ রক্ষা পাচ্ছে জল জীবন মিশনের কারণে।
এই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়িতে স্বচ্ছ পানীয় জল পৌঁছোনোর ফলে গরীব মানুষের সাশ্রয় হচ্ছে আট লক্ষ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সঞ্চয় বাড়ছে। পূর্বে তাঁদের এই টাকাটাই খরচা হত জলের ব্যবস্থা করতে এবং জলবাহিত রোগের চিকিৎসা করতে। জল জীবনে আরও একটি ভাল দিক হল, যে এটি মহিলাদের অনেক সময় বাঁচাচ্ছে।
যাঁরা ‘রোজগার মেলা’য় কাজ পেয়েছেন, তাঁরা বুঝতে পারবেন, সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির প্রভাব পড়ে বহুগুণ। আমি আপনাদের সামনে জল জীবন মিশনের উদাহরণ তুলে ধরবো। সেই একই ভাবে আমরা সরকারি ব্যবস্থায় ঢুকে পড়েছেন। আপনারা আপনাদের দপ্তরের লক্ষ্য অর্জন করতে কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং দ্রুতগতিতে সরকারের প্রতিটি কর্মসূচিকে সফল করে তুলবেন। এটাই আপনাদের ওপর আমার বিশ্বাস এবং আপনাদের কাছে আমার এই প্রত্যাশা।
বন্ধুগণ,
দেশে যে কর্মসংস্থানের অভিযান চলছে তা স্বচ্ছতা এবং সুশাসন দুটিরই প্রমাণ। আমরা সকলেই দেখেছি কিভাবে পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিটি ব্যবস্থায় স্বজনপোষণকে প্রশ্রয় দিয়েছে। সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে এই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের পৃষ্ঠপোষকতা করতো। এই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি কোটি কোটি যুবক-যুবতীকে বঞ্চনা করেছে।
২০১৪-য় আমাদের সরকার গঠন হওয়ার পর নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এসেছে। স্বজনপোষণের অবসান ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র পদে নিয়োগে ইন্টারভিউ উঠে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আমি চাই বিষয়টি আপনারা ভালভাবে বুঝুন। তবে, এই ধরনের দুর্নীতির বেশকিছু ব্যাপার সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে।
দু-একদিন আগেই আপনারা সংবাদমাধ্যমে দেখে থাকবেন - খবরের কাগজে এবং টিভিতে, একটি রাজ্যে কিভাবে নগদের বদলে চাকরীর দুর্নীতি ঘটেছে, যা আমাদের দেশের যুবসমাজের কাছে একটি উদ্বেগের বিষয়। ওই রাজ্যে চলছেটা কি? সেখানে সরকারি চাকরিতে প্রতিটি পদের জন্য ‘রেট কার্ড’ আছে। গরীব মানুষকে এভাবে লুঠ করা হচ্ছে। আপনি যদি ঝাড়ুদারের চাকরি চান, তাহলে আপনাকে এত টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে হবে। যদি আপনি গাড়ি চালকের চাকরি চান, তাহলে এত টাকা দিতে হবে। কেরানি, শিক্ষক, নার্স – যে চাকরিই হোক না কেন, তারজন্য নির্দিষ্ট রেট আছে। বুঝুন, কি ব্যাপার! ওই রাজ্যে প্রতিটি পদের জন্য ‘রেট কার্ড’ আছে। কাটমানি আছে। এইরকম চললে দেশের যুবসমাজ যাবে কোথায়।
এই কয়েকদিন আগে আর একটি ব্যাপার সামনে এসেছে, এক রেলমন্ত্রী চাকরির বদলে গরীব কৃষকের জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এই বিষয়টিও তদন্ত করছে সিবিআই। মামলা চলছে আদালতে।
ভাই এবং বোনেরা,
আপনাদের সামনে দুটি জিনিস আছে, একদিকে পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি, যাঁরা স্বজনপোষণ করে, চাকরি দেওয়ার নাম করে যুবসমাজকে লুঠ করে, যাদের রেট কার্ড আছে চাকরির জন্য, শুধু চাকরির জন্য নয় সবকিছুর জন্য কাটমানি দিতে হয়, অন্যদিকে আমরা কাজ করছি তরুণ সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-কে রক্ষা করতে। রেট কার্ড আপনাদের, ক্ষমতা, সম্ভাবনা এবং স্বপ্নকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। আমরা আপনাদের সংকল্প পূরণ করতে কাজ করি। আপনাদের প্রতিটি ইচ্ছা, প্রত্যাশা, আপনাদের পরিবারের প্রত্যাশাকে সম্মান দিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এবার দেশ ঠিক করবে যুবসমাজের ভবিষ্যৎ রেট কার্ডের ওপর নির্ভর করবে, না সুরক্ষিত হয়ে বিকশিত হবে।
বন্ধুগণ,
একদিকে এই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি উন্নতির সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে অন্যদিকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিদিন নতুন সুযোগের সৃষ্টি করছে।
বন্ধুগণ,
দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল এমন ভাষা ব্যবহার করছে যাতে মানুষে মানুষে লড়াই বেধে যায়, দেশ ভেঙে যায়। কিন্তু আমরা ভাষাকে ব্যবহার করছি মানুষের কর্মসংস্থান এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে। আমরা সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, যেখানে মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে ভাষা অন্তরায় হবে না। ভারত সরকার নিয়োগ পরীক্ষায়, প্রবেশিকা পরীক্ষায় মাতৃভাষা ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। তাই আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা এবং যুবসমাজ উপকৃত হচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা হওয়ায় তরুণ সমাজ তাঁদের দক্ষতা প্রকাশ করতে পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সরকারি ব্যবস্থা এবং সরকারি কর্মীদের কাজকর্মের ধরনের দ্রুত বদল ঘটছে। একটা সময় ছিল যখন কোন পরিষেবা পেতে গেলে সাধারণ নাগরিককে বারবার যেতে হত সরকারি অফিসে। কিন্তু এখন সরকার নাগরিকের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা এবং আঞ্চলিক প্রয়োজন বুঝতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে। সরকারি অফিস এবং দপ্তরগুলি কাজের পাশাপাশি যাতে সাধারণ মানুষের প্রতি সংবেদনশীল হয়, সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার।
সরকারি পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়া এখন খুব সহজ হয়ে গেছে মোবাইল অ্যাপ এবং ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে। মানুষের ক্ষোভ, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটেছে। এইসব পরিবর্তনের মধ্যে আপনাদেরও দেশের নাগরিকদের প্রতি পূর্ণ সংবেদনশীল হতে হবে। আপনাদের এই সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে।
সরকারি চাকরিতে ঢোকা মানে জীবনের সব প্রত্যাশা পূরণ হওয়া নয়। একে ছাপিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছোতে হবে। আপনাদের জীবনে নতুন স্বপ্ন, নতুন সংকল্প, নতুন সম্ভাবনার উদয় ঘটাতে হবে। আর এরজন্য আইগটের মতো নতুন অনলাইন পোর্টালের ব্যবস্থা করেছে সরকার। সম্প্রতি এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
এই অনলাইন পোর্টালের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন। এটা আপনাদের কাজের জন্য খুব দরকারি। এগুলোর জন্য আপনাদের সামনে নতুন রাস্তার সন্ধান দেবে এটি। এবং বন্ধুগণ, আমি আপনাদের আরও অন্য জায়গায় দেখতে চাই। যদি আপনারা এগোন, তাহলে দেশও এগোয়। আগামী ২৫ বছর আপনাদের অগ্রগতি মানে দেশের অগ্রগতি।
আসুন,
অমৃতকালের আগামী ২৫ বছরের যাত্রায় আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে হাঁটি এবং দ্রুতগতিতে এগোই উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে। আমি আরও একবার আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
অশেষ ধন্যবাদ!