Quoteবিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং সংস্থায় ৭০ হাজার নবনিযুক্ত কর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে
Quote"সরকারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানের থেকে ভাল সময় আর হতে পারে না"
Quote"আপনাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস অন্য কারোর জীবনে বড় একটি পরিবর্তন নিয়ে আনতে পারে"
Quote"আজ, পৃথিবীর যে কটি দেশে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র শক্তিশালী ভারত তার অন্যতম"
Quote"যেসব ব্যাঙ্ক একসময়ে ক্ষতি এবং অনুৎপাদক সম্পদের জন্য আলোচিত হত, আজ সেই ব্যাঙ্কগুলিই রেকর্ড পরিমান লাভ করছে"
Quote"ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কখনই আমাকে বা আমার পরিকল্পনাকে হতাশ করেননি"
Quote"যৌথ উদ্যোগে ভারত থেকে সম্পূর্ণ দারিদ্র দূরীকরণ সম্ভব। দেশের প্রত্যেক সরকারি কর্মীর এক্ষেত্রে বড় একটি ভূমিকা রয়েছে"

নমস্কার,

আজ যেসব যুবক-যুবতী বন্ধুরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন তাঁদের জন্য এটি অবশ্যই একটি স্মরণীয় দিন, কিন্তু পাশাপাশি দেশের জন্যও এ এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ২২ জুলাই ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার বর্তমান স্বরূপকে সংবিধানে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে আপনারা সকলে সরকারি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এটি আপনাদেরকে বিশেষ প্রেরণা দেবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে যখন দেশ উন্নত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে তখন আপনাদের সরকারি চাকুরিতে আসা এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আপনাদের পরিশ্রমের ফল। আমি যারা নিয়োগপত্র পেয়েছেন সেইসব যুবক-যুবতীদের ও তাদের পরিবার পরিজনকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, অনেক অনেক শুভ কামনাও জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার এই অমৃতকালে আমি সব দেশবাসীকে আগামী ২৫ বছরে ভারতকে উন্নত করার সংকল্প গ্রহণের আহ্বান জানাই। আগামী ২৫ বছর আপনাদের সকলের সঙ্গে জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ভারতের প্রতি যে চিন্তাভাবনা তৈরি হয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে, আকর্ষণ তৈরি হয়েছে, এই সবকিছুর সম্পূর্ণ লাভ গ্রহন করতে হবে। আপনারা দেখেছেন যে ভারত মাত্র ৯ বছরে বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থার তালিকায় ১০ নম্বর থেকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে। বর্তমানে প্রায় সব বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, আগামী কয়েক বছরে ভারত দুনিয়ায় প্রথম তিনটি অর্থনীতির দেশের তালিকায় উঠে আসবে। প্রথম তিনটি অর্থনীতির দেশের তালিকায় উঠে আসা ভারতের জন্য এক অসামান্য সাফল্য হবে। কারণ সব ক্ষেত্রেই চাকুরির সম্ভাবনা বাড়বে, দেশের সাধারণ নাগরিকদের আয়ও বাড়বে। সব সরকারি কর্মচারীদের জন্যও এর থেকে বড় সুযোগ আর কিছু হতে পারেনা। আপনাদের সিদ্ধান্ত, আপনাদের পদক্ষেপ দেশহিতের জন্য, গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে গতি সঞ্চার করবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। এই সুযোগ, এই চ্যালেঞ্জ এবং এই সম্ভাবনা সবকিছুই আপনাদের সামনে রয়েছে। আপনারা এই অমৃতকালে দেশ সেবার বিশেষ সুযোগ পেয়েছেন। দেশের জনগণের জীবন সহজ করতে তাদের সমস্যার সমাধান করতে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে, এটাই হওয়া উচিত আপনাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। আপনারা যে বিভাগেই নিয়োগপত্র পেয়ে থাকুন না কেন, যে শহর বা গ্রামেই তা হোক, সর্বদা এ কথা মনে রাখবেন যেন আপনাদের কাজের ফলে জনগণের জীবনযাপন সহজ হয়। জীবনযাত্রার সরলীকরণ হয়, পাশাপাশি আগামী ২৫ বছরের মধ্যে উন্নত ভারত তৈরির জন্য অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও আপনাদের ছোট্ট একটি প্রয়াস কারও কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘ কয়েক মাসের প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারে। তাঁদের কোনো বিফল হতে যাওয়া কাজ সাফল্য অর্জন করতে পারে। আপনারা আমার একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, জনতা জনার্দন এবং তাঁরা ঈশ্বরেরই অন্য রূপ। জনগণের থেকে পাওয়া আশীর্বাদ, দেশের দরিদ্র শ্রেণীর থেকে পাওয়া আশীর্বাদ সর্বদাই ভগবানের আশীর্বাদের সমান হয়। এইজন্য আপনারা অন্যদের সাহায্য করার চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করবেন। এরফলে আপনাদের  সম্মান বৃদ্ধি পাবে। আপনারা নিজেরাও সন্তুষ্ট হবেন।

বন্ধুগণ,

আজকের এই অনুষ্ঠানে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বহু মানুষ নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অর্থ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আমাদের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ভারত সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যেখানে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু ৯ বছর আগে পরিস্থিতি এমন ছিলনা। যখন ক্ষমতা দখলের স্বার্থ জনগণের উন্নয়নকে ছাপিয়ে যায় তখন সব কাজই নষ্ট হয়ে যায়। এর বেশ কিছু উদাহরণ আমরা চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি। এই ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র পূর্ববর্তী সরকারের সময় এমন দূরবস্থায় পড়েছিল, আমরা প্রত্যেকেই তা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনারা আজকাল ডিজিটাল যুগে রয়েছেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রহণ করেন। ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাজকর্মও করেন। কিন্তু ৯ বছর আগে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তখন ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের পরিষেবা পাওয়ার কল্পনাও কেউ করেনি। সম্পূর্ণ কর্মপদ্ধতিই ছিল আলাদা। সেইসময় আপনাদের মতো সাধারণ জনগণের জন্য ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু ছিল না। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই পরিষেবা পাননি। সেইসময় একটি বিশেষ পরিবারে ঘনিষ্ঠ কিছু শক্তিশালী নেতা ব্যাঙ্কে ফোন করে নিজেদের পছন্দের মানুষকে হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। এই ঋণগুলি কখনই পরিশোধ করা হয়নি। কাগজেই কেবল কাজ হতো। ঋণ পরিশোধ করার জন্য পুনরায় ব্যাঙ্ককে ফোন করে দ্বিতীয়বার ঋণ, দ্বিতীয়বার নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য তৃতীয় বার ঋণ এভাবই চলতো ঋণের পর ঋণ গ্রহণ। এই ফোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার কেলেঙ্কারি পূর্ববর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দূর্নীতির মধ্যে অন্যতম। পূর্ববর্তী সরকারের এই দূর্নীতির জন্য দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ২০১৪ সালে আপনারা আমাদেরকে ক্ষমতায় এনে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা এই পরিস্থিতি থেকে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে এবং দেশকে উদ্ধার করেছি। একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ম্যানেজমেন্টকে মজবুত করেছি। পেশাদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা দেশের ছোট ছোট ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিত করে বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করেছি। আমরা এটি সুনিশ্চিত করেছি যে ব্যাঙ্কে সাধারণ নাগরিকের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ কখনও হারিয়ে না যায়। কেননা ব্যাঙ্কের প্রতি সাধারণ নাগরিকের বিশ্বাস মজবুত করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। বেশ কিছু কর্পোরেট ব্যাঙ্ক তখন ডুবতে বসেছিল। সাধারণ জনগণের পরিশ্রমের অর্থ ডুবে যাচ্ছিল, এইজন্য আমরা এই সীমা ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছি। এর ফলাফল এখন আপনাদের সামনে। যেসব সরকারি ব্যাঙ্কের হাজার কোটি টাকা ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হত বর্তমানে সেইসব ব্যাঙ্কেরই রেকর্ড পরিমান মুনাফা নিয়ে আলোচনা হয়।

বন্ধুগণ,

ভারতের মজবুত ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র এবং ব্যাঙ্কের প্রত্যেক কর্মচারি বিগত ৯ বছরে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কাজ করেছেন। এইজন্য আমরা সকলে গর্বিত। ব্যাঙ্কে কর্মরত আমার সব কর্মচারী ভাই-বোনেদের তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সংকট থেকে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে বের করে আনার জন্য এবং দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা কখনও আমার লক্ষ্যকে ভ্রষ্ট হতে দেননি। আমার চিন্তাভাবনাকেও নিরাশ করেননি। আমার মনে আছে যখন জনধন যোজনা শুরু হয়েছিল তখন পুরনো ধ্যান ধারনার মানুষ এই বিষয়টিতে প্রশ্নের পর প্রশ্ন তোলেন। যেসব দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ নেই তারা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে কী করবেন? সেই প্রশ্ন ওঠে বার বার। ব্যাঙ্কের ওপর অযথা চাপ বাড়বে, ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা কী করে কাজ করবেন সেই প্রশ্নও উঠেছিল। নানাভাবে নিরাশাজনক কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার ব্যাঙ্কের বন্ধুরা দরিদ্র শ্রেণীর জনগণের জন্য জনধন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এরজন্য তাঁরা দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন। বস্তিতে গিয়েও ব্যাঙ্কের কর্মচারিরা অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০ কোটি জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পিছনে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের পরিশ্রম বিশেষভাবে জড়িত আছে। এই ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা যে পরিশ্রম করেছেন তার ফলেই করোনাকালে সরকার কোটি কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাতে পেরেছে।

বন্ধুগণ,

কিছু কিছু মানুষ কোনো কিছু শুরুর আগে থেকেই অভিযোগ করতে শুরু করেন। সে রকমই অভিযোগ উঠেছিল আরও একটি। বলা হয় আমাদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের জনগণকে সাহায্য করার জন্য কোনো সংস্থান নেই। পূর্ববর্তী সরকারের সময় কী হয়েছিল তা তো আপনারা ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু ২০১৪ সালের পর পরিস্থিতি আর এমনটা নেই। সরকার মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিনা গ্যারান্টিতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছেন। সরকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য ঋণের পরিমান দ্বিগুণ করেছে। ব্যাঙ্কের কর্মচারীরাই তখন অধিক থেকে অধিকতর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জনগণকে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। সরকার যখন কোভিড কালে এমএসএমই ক্ষেত্রকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন এই ব্যাঙ্ক কর্মীরাই বেশি পরিমান ঋণ দিয়ে এমএসএমই ক্ষেত্রকে রক্ষা করতে সাহায্য করেন। তাঁদের পরিশ্রমের ফলে দেড় কোটির বেশি উদ্যোগপতির রোজগার হারানোর সম্ভাবনা রক্ষা করা যায়। সরকার যখন কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা শুরু করে তখন ব্যাঙ্ক কর্মীরাই প্রযুক্তির সাহায্যে এই প্রকল্পকে সফল করার সব রকম চেষ্টা চালান।

যখন সরকার ফুটপাথ-এ বসে যারা নিজেদের পণ্য বিক্রি করেন সেইসব বিক্রেতাদের জন্য স্বনিধি যোজনা শুরু করে তখন আমাদের এই ব্যাঙ্ক কর্মীরাই তাদের দরিদ্র মা-বোনেদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। কিছু কিছু ব্যাঙ্কের শাখায় তো এই ধরনের জনগণকে খুঁজে বের করে এই প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ করা হয়। হাতে ধরে তাদের ঋণ দেওয়ার কাজ করেন ব্যাঙ্ক কর্মীরাই। বর্তমানে আমাদের ব্যাঙ্ক কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে ৫০ লক্ষের বেশি ঠেলাওয়ালা, ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে সাহায্য পেয়েছেন। আমি সব ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের প্রশংসা করি, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আপনারাও যখনই ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তখনই এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নতুন বিশ্বাস এবং সমাজের জন্য কিছু করার এক নতুন চিন্তা তৈরি হবে এভাবেই। এতদিন যারা পরিশ্রম করেছেন তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে আপানাদের শ্রম। আমি সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সাহায্যে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষকেও সক্ষম করে তুলতে পারবো। আপনারা আজ যারা নিয়োগ পত্র পেয়েছেন তাঁরা এই সংকল্প সঙ্গে করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন বলে আমার আশা।

বন্ধুগণ,

যখন সঠিক চিন্তা-ভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সঠিক নীতি তৈরি করা হয়, তখন তার ফল অবশ্যই ভালো হয়। এর এক প্রমান মাত্র কিছুদিন আগেই প্রত্যক্ষ করেছে দেশ। নীতি আয়োগের রিপোর্টে দেখা গেছে যে ৫ বছরের মধ্যে ভারতের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দরিদ্র রেখার ওপরে উঠে এসেছেন। ভারতের এই সাফল্যে সরকারি কর্মচারীদের পরিশ্রমও যুক্ত রয়েছে। দরিদ্র শ্রেণীর জনগণকে পাকা বাড়ি দেওয়ার প্রকল্প হোক বা তাদের জন্য শৌচালয় তৈরি করা বা বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার প্রকল্পই হোক না কেন, আমাদের সরকারী কর্মীরা গ্রামে গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছেন। এই প্রকল্পগুলির সুবিধা যখন দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছেছে তখন তাদের মনোবল বেড়েছে, বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এই সাফল্য এটাই প্রমান করে যে আমরা সকলে মিলে যদি ভারতকে দারিদ্র মুক্ত করার চেষ্টা চালাই তবে দেশ থেকে দারিদ্র সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব। এই কাজের সঙ্গে নিশ্চিতভাবে দেশের সকল সরকারী কর্মচারীর ভূমিকা বিশেষভাবে জড়িত রয়েছে। গরিব কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত যে প্রকল্পগুলি রয়েছে, আপনাদের সকলের সেগুলির বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং জনগণকে এ সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

বন্ধুগণ,

ভারতে ক্রমাগত দারিদ্র হ্রাস পাওয়ার অন্য একটি দিকও রয়েছে। দেশের নিও মিডল ক্লাস আওতাভুক্ত জনগণ ক্রমশ উন্নত হচ্ছেন। কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে তাদের সামনে। এই শ্রেণীর জনগণের নিজেদের চাহিদা রয়েছে, আকাঙ্খা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণের জন্য বর্তমানে দেশে বিপুল সংখ্যায় উৎপাদনের কাজ চলছে। বর্তমানে আমাদের কারখানা ও উদ্যোগ ক্ষেত্রগুলি রেকর্ড পরিমান উৎপাদন করছে। আমাদের কারখানাগুলিতে বর্তমানে যখন রেকর্ড পরিমান উৎপাদন হচ্ছে তখন এর সুবিধা সবচেয়ে বেশি পাচ্ছেন আমাদের যুবক-যুবতীরা। সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা দেখতে পাবেন প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নতুন রেকর্ড নিয়ে বা নতুন সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতে রেকর্ড পরিমান মোবাইল ফোন রপ্তানী হচ্ছে। দেশে এ বছরে প্রথম ৬ মাসের মধ্যে যতো সংখ্যক গাড়ি বিক্রি হয়েছে তাও বিশেষভাবে উৎসাহব্যাঞ্জক। বৈদ্যুতিন সামগ্রীও ভারতে রেকর্ড পরিমান বিক্রি হচ্ছে। এই সবকিছুর থেকে দেশে রোজগার বাড়ছে, বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

বন্ধুগণ,

ভারতের মেধার ওপর বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের নজর রয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত অর্থ ব্যবস্থার দেশে প্রবীন নাগরিকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কমে যাচ্ছে যুবক-যুবতীদের সংখ্যা। কাজ করার মানুষও কমে যাচ্ছে। এইজন্য বর্তমান সময় ভারতের যুবক-যুবতীদের প্রচুর পরিশ্রম করার সময়। নিজেদের দক্ষতা, ক্ষমতা বিকাশ করা প্রয়োজন। আমি দেখেছি যে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মেধা, চিকিৎসক, নার্স এবং উপসাগরীয় দেশগুলিতে নির্মাণকর্মীদের বিপুল চাহিদা রয়েছে। ভারতের মেধার কদর সকল দেশে সব ক্ষেত্রেই বাড়ছে। এইজন্য বিগত ৯ বছরে সরকার দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় আনুমানিক দেড় কোটির বেশি যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সরকার ৩০টি দক্ষ ভারত আন্তর্জাতিক কেন্দ্র স্থাপন করছে। এই কেন্দ্রগুলিতে বিশ্বের সুযোগ গ্রহনের জন্য আমাদের যুবক-যুবতীদের প্রস্তুত করা হবে। সমগ্র দেশে বর্তমানে নতুন মেডিকেল কলেজ, নতুন আইটিআই, নতুন আইআইটি, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কাজ চলছে। ২০১৪ পর্যন্ত আমাদের দেশে ৩৮০টির কাছাকাছি মেডিকেল কলেজ ছিল। বিগত ৯ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে ৭০০ ছাড়িয়েছে। এভাবেই নার্সিং কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। বিশ্বের চাহিদা পূরণের জন্য যে দক্ষতা ভারতের যুবক-যুবতীদের রয়েছে তা বিকশিত করার জন্য নানান সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আপনারা সকলে অত্যন্ত সদর্থক পরিবেশে সরকারি চাকরিতে যাচ্ছেন। আপনাদের ওপর এখন দেশের এই সদর্থক চিন্তাভাবনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের সকলের নিজেদের আশা-আকাঙ্খাও পূরণ করার চেষ্টাও চালাতে হবে। নতুন দায়িত্ব গ্রহনের পরেও আপনারা শেখার এবং আত্ম উন্নয়নের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। আপনাদের সাহায্য করার জন্য সরকার অনলাইন প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম iGOT Karmayogi তৈরি করেছে। আমি আপনাদের সকলকে অধিক থেকে অধিকতর এই প্ল্যাটফর্মের সুযোগ গ্রহনের আহ্বান জানাই। আরও একবার আমি আপনাদের ও আপনাদের পরিবার পরিজনকে এই নতুন দায়িত্ব গ্রহনের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। নতুন এই দায়িত্ব একটি প্রারম্ভ বিন্দু মাত্র। আপনারাও জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছান। যেখানেই আপনারা কাজ করার সুযোগ পাবেন সেখানেই আপনাদের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক নাগরিক তাঁদের নিজেদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাক, তৈরি হোক নতুন নতুন শক্তি, এই কামনা করি। আপনারাও আপনাদের সব স্বপ্ন পূরণ করুন, সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন। আমার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

  • Ponty R Bali January 05, 2025

    loan schemes for senior citizens individuals in Maharashtra
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • Jitender Kumar BJP Haryana State President May 29, 2024

    I am sitting in Rewari branch of Indian bank need some money
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Vaishali Tangsale February 12, 2024

    🙏🏻🙏🏻🙏🏻
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • Uma tyagi bjp January 28, 2024

    जय श्री राम
  • rajat khosla July 27, 2023

    Dear Prime Minister, Sir, a global mission to promote Sanskrit should be launched by your leadership team. Amitabh Bachhan should be the global ambassador for the promotion of Sanskrit.
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Namo Drone Didi, Kisan Drones & More: How India Is Changing The Agri-Tech Game

Media Coverage

Namo Drone Didi, Kisan Drones & More: How India Is Changing The Agri-Tech Game
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
We remain committed to deepening the unique and historical partnership between India and Bhutan: Prime Minister
February 21, 2025

Appreciating the address of Prime Minister of Bhutan, H.E. Tshering Tobgay at SOUL Leadership Conclave in New Delhi, Shri Modi said that we remain committed to deepening the unique and historical partnership between India and Bhutan.

The Prime Minister posted on X;

“Pleasure to once again meet my friend PM Tshering Tobgay. Appreciate his address at the Leadership Conclave @LeadWithSOUL. We remain committed to deepening the unique and historical partnership between India and Bhutan.

@tsheringtobgay”