বন্ধুগণ,
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অধিবেশনের শেষের দিকে নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম পাসের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে, ২৬ জানুয়ারি দেশ ‘কর্তব্য পথ’-এ মহিলাদের শক্তি, সাহস এবং অধ্যবসায় প্রত্যক্ষ করেছে। আজ বাজেট অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি যে পথ দেখিয়েছেন এবং নির্মলা সীতারমন যে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন, তা নারীশক্তির উদাহরণ।
বন্ধুগণ,
গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদে প্রত্যেক সদস্য তাঁর নিজের মতো করে সংসদে ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু আমি এই কথাটি অবশ্যই বলব, যাঁরা এখানে বিভিন্ন ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অবনমিত করেছেন, সেইসব মাননীয় সাংসদ আজ যখন শেষ অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছেন, তাঁরা অবশ্যই নিজেদের মূল্যায়ন করুন। গত ১০ বছরে তাঁরা যে কাজ করেছেন, নিজেদের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে ১০০ জন লোককে সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করুন তো। যাঁরা এ ধরনের হট্টগোল করেছেন, তাঁদের কথা কারুর মনে পড়বে না, অনেকের নামও মনে পড়বে না। বিরোধিতার কন্ঠস্বর তীব্র হতে পারে, কিন্তু অনেকেই সেইসব মানুষগুলোর কথা মনে রাখবেন যাঁরা সংসদে গঠনমূলক বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
আগামীদিন যখন সংসদে কোনো বিষয়ের ওপর আলোচনা কেউ দেখবেন, তখন প্রতিটি শব্দ ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেবে। আর তাই, যাঁরা তাঁদের বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করেছেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা তুলে ধরেছেন, অথবা আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন, আমি বিশ্বাস করি, দেশের অনেক মানুষ তাঁদের সেই আচরণকে সমর্থন করবেন। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নেতিবাচক বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হয়েছেন, বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন, খারাপ আচরণ করেছেন, তাঁদের হয়তো কেউই মনে রাখবে না। তবে, বর্তমান বাজেট অধিবেশন তাঁদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগে সামিল হওয়ার একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রত্যেক সম্মানীয় সাংসদদের কাছে আমার অনুরোধ, এই সুযোগটিকে নষ্ট করবেন না। দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সংসদে আপনাদের সবথেকে মূল্যবান ধারণাটি উপস্থাপিত করুন। দেশের মধ্যে নতুন এক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঞ্চার করুন। আপনারা জানেন, নির্বাচন যখন আসন্ন তখন প্রথা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয় না। আমরা সেই ঐতিহ্যকে বজায় রেখে নতুন সরকার গঠনের পরই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করব। এবার দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলাজি আগামীকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সহ তাঁর বাজেট পেশ করবেন।
বন্ধুগণ,
দেশ ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, উন্নয়নের নতুন এক উচ্চতায় দেশ যে উন্নীত হবে, সে বিষয়েও আমি আস্থাশীল। সর্বাত্মক ও সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। জনসাধারণের আশীর্বাদে ভারতের এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে এই আশা নিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। রাম-রাম!
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন