লাখপতি দিদি : নারী দিবস উপলক্ষে আমরা আজ এখানে যে মান-সম্মান পেয়েছি, এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী : নারী দিবস, বিশ্ববাসী আজকের দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করে, কিন্তু আমাদের শিষ্টাচারে এবং আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে ‘মাতৃ দেব ভবঃ’ দিয়ে শুরু হয়, আর আমাদের জন্য ৩৬৫ দিনই ‘মাতৃ দেব ভবঃ’ হয়।

লাখপতি দিদি : আমি শিবানী। মহিলা মণ্ডলে আমরা মোতি বা পুতিরমালা তৈরির কাজ করি। এটা আমাদের সৌরাষ্ট্রের সংস্কৃতি। আমরা ৪০০-র বেশি বোনকে এই কাজে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ১১ জন বোনের মধ্যে আমরা যে ৩-৪ জন বোন রয়েছি, তাঁরা মার্কেটিং-এর কাজ সামলাই, আর দু’জন বোন সমস্ত হিসাব সামলান।

প্রধানমন্ত্রী : অর্থাৎ মার্কেটিং যাঁরা করেন তাঁরাই বাইরে যান।

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার, রাজ্যের বাইরেও যাই। সব জায়গায়।

প্রধানমন্ত্রী : তার মানে সারা ভারত ঘুরে নিয়েছেন?

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার। প্রায় সারা ভারত। কোনো বড় শহর বাকি রাখিনি।

প্রধানমন্ত্রী : আর পারুল বোনেরা কত রোজগার করেন?

লাখপতি দিদি : পারুল বোনেরা ৪০ হাজারেরও বেশি রোজগার করি।

প্রধানমন্ত্রী : তার মানে আপনারা লাখপতি দিদি হয়ে গেছেন।

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার। লাখপতি দিদি হয়ে গিয়েছি। আর লাখপতি দিদি প্রকল্পে অর্থও বিনিয়োগ করেছি। আমি মনে করি, আমার সঙ্গে আমাদের এই ১১ জন বোনই লাখপতি হয়ে গেছেন। আর আমাদের স্বপ্ন হল গ্রামের সমস্ত দিদিদের লাখপতি করে তোলা।

 

|

প্রধানমন্ত্রী : বাহ!

লাখপতি দিদি : আমরা সবাইকে লাখপতি দিদি বানাতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী : চলুন, তাহলে তো আমার যে স্বপ্ন দেশে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা, আমার মনে হয় আপনারা এই পরিসংখ্যানকে ৫ কোটিতে পৌঁছে দেবেন।

লাখপতি দিদি : পাক্কা স্যার, পাক্কা। প্রমিস, আমরা করে দেব।

লাখপতি দিদি : আমার টিমে ৬৫ জন বোন রয়েছেন। তাঁরা মিসরী থেকে যে সরবত তৈরি হয়, সেটা উৎপাদন করেন। আমাদের বার্ষিক টার্নওভার ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে আমার নিজের ২.৫-৩ লক্ষ টাকা। আমার সঙ্গে যে দিদিরা রয়েছেন, তাঁরা ২-২.৫ লক্ষ টাকার ওপর রোজগার করেন। আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য দিই। আমরা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি স্যার, আমাদের মত অসহায় মহিলারা মাথার ওপর ছাদ পেয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে, আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছি। আমাদের সঙ্গে যে বোনেরা রয়েছেন, তাঁরাও তাঁদের ছেলে-মেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা করাচ্ছেন স্যার। আর সবাইকে আমরা বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগও দিয়েছি। অনেক মহিলা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন যাঁরা একটিবার মার্কেটিং করেন। আবার কেউ কেউ ব্যাঙ্কে কাজ করেন। কেউ কেউ আমাদের তৈরি করা পণ্য বিক্রির কাজ করেন।

প্রধানমন্ত্রী : আপনাদের সমস্ত বোনেদের কি নিজস্ব যানবাহন আছে?

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার। আমি নিজের জন্য একটি ইকো গাড়ি নিয়েছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : তাই নাকি!

লাখপতি দিদি : আমি গাড়ি চালাতে পারি না। তাই যখন শহরে যেতে হয়, ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে যাই। স্যার আজকে তো আমাদের আনন্দ আরও বেড়ে গেছে। আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল আমরা এতদিন আপনাকে টিভিতে দেখতাম, ভিড়ের মধ্যে আপনাকে দেখতে যেতাম। আর এত কাছে থেকে দেখতে পাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী : এই দেখুন আমি আপনাদের প্রত্যেকের স্টলে এসেছি। যখনই সুযোগ পেয়েছি, মানে যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম কিংবা যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, আমার মধ্যে কোনো পার্থক্য আসেনি। আমি তেমনই আছি।

লাখপতি দিদি : স্যার আপনার সুবাদে, আপনার আশীর্বাদে আমরা মহিলারা অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই সুন্দর গন্তব্যে পৌঁছেছি, আর লাখপতি দিদি হয়ে গিয়েছি স্যার। আর আজ আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে …

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা গ্রামের মানুষ কি জানেন যে আপনি লাখপতি দিদি?

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার, সবাই জানে স্যাঁর। আজ এখানে আসার সময় সবাই ভয় পাচ্ছিল স্যার। তাঁরা ভাবছিল আমরা গ্রাম সম্পর্কে কোনো অভিযোগ জানাতে আপনার কাছে আসছি। তখন বলছিল যে দিদি যাও কিন্তু কোনো অভিযোগ করোনা।

লাখপতি দিদি : ২০২৩-এ, যখন আপনি মিলেটস ইয়ার, ইন্টারন্যাশনাল মিলেটস ইয়ার ঘোষণা করেছিলেন, তখন আমরা গ্রামের মেয়েরা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। আমরা জানতাম, আমরা ৩৫ টাকায় যে বাজরা কিংবা জোয়ার বিক্রি করছি, এতে যদি আমরা ভ্যালু অ্যাডিশন করি যাতে মানুষও হেলদি কিছু পাবে, আর আমাদেরও বিজনেস বাড়বে। তখন আমরা তিনটি প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করেছিলাম। একটি ছিল কুকিজ, আরেকটি খাখরা। গুজরাটি খাখরা তো আপনি জানেনই।

 

|

প্রধানমন্ত্রী : এখন খাখরা তো অল ইন্ডিয়া হয়ে গেছে।

লাখপতি দিদি : ইয়েস, অল ইন্ডিয়া হয়ে গেছে স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : সবাই যখন শুনেছেন যে মোদী লাখপতি দিদি বানাতে চান, তখন তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া ছিল?

লাখপতি দিদি : স্যার সত্যি কথা বলব? প্রথমে তাঁরা ভাবছিলেন এটা মহিলাদের পক্ষে সম্ভবই নয়। লাখপতি মানে পাঁচটি শূন্য দিতে হয়। আর এটা পুরুষের পকেটেই ভালো লাগে। সবাই এটাই ভাবত। কিন্তু আমি বলেছিলাম স্যার, যে আজ তো আমরা লাখপতি হওয়ার কথা ভাবছি, ২-৪ বছর পর এই দিনে আমরা সবাই কোটিপতি দিদির ইভেন্টে বসতে চলেছি।

প্রধানমন্ত্রী : বাহ!

লাখপতি দিদি : আর এই স্বপ্ন আমরা সাকার করবই। অর্থাৎ, আপনি আমাদের পথ দেখিয়েছেন, আর আমাদের লাখপতি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এবার আমরা কোটিপতি বানাব। আমরা কোটিপতি হব, এই ব্যানার আপনি তৈরি করে দিতে পারেন।

লাখপতি দিদি : আমি একজন ড্রোন পাইলট। আমাকে সবাই ড্রোন দিদি বলে। আর এখন আমার রোজগার ২ লক্ষ টাকায় পৌঁছে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী : হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও এক বোনের দেখা হয়েছিল। তিনি বলছিলেন যে আগে তিনি সাইকেলও চালাতে জানতেন না, আর এখন তিনি ড্রোন চালাচ্ছেন।

লাখপতি দিদি : আমরা এরোপ্লেন তো চালাতে পারি না, কিন্তু ড্রোন উড়িয়ে গ্রামের মধ্যে পাইলট হয়ে গিয়েছি স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : পাইলট হয়ে গেছেন!

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার। আমার যে দেওর ও তাঁর বন্ধুরা আমাকে সবাই পাইলট বলে ডাকে। আমাকে বৌদি বলে ডাকে না।

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা, আপনি গোটা পরিবারের পাইলট দিদি হয়ে গেছেন?

লাখপতি দিদি : পাইলটই তো বলে ওরা। বাড়িতে গেলেই পাইলট বলে ডাকতে শুরু করে। এমনিতেও পাইলটই ডাকে।

প্রধানমন্ত্রী : আর গ্রামের লোকেরাও ডাকে?

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ গ্রামের লোকেরাও ডাকে স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : আপনি প্রশিক্ষণ কোথায় নিয়েছেন?

লাখপতি দিদি : মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে।

 

|

প্রধানমন্ত্রী : বাড়ির লোকেরা আপনাকে যেতে দিয়েছে?

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ যেতে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী : খুব ভালো।

লাখপতি দিদি : আমার বাচ্চা ছোট ছিল। আমি শাশুড়ির কাছে রেখে গিয়েছিলাম। থাকবে কি থাকবে না সেটাই ভাবছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী : তাহলে তো আপনার ছেলেই আপনাকে ড্রোন দিদি বানিয়ে দিয়েছে।

লাখপতি দিদি : সেও এখন স্বপ্ন দেখছে। সে বলে যে মা তুমি ড্রোনের পাইলট হয়েছ, আর আমি প্লেনের পাইলট হব।

প্রধানমন্ত্রী : আরে বাহ! তার মানে আজ গ্রামে গ্রামে ড্রোন দিদিরা তাঁদের নিজস্ব একটি পরিচয় তৈরি করেছেন।

লাখপতি দিদি : স্যার, এর জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাইব কারণ, আপনার ড্রোন দিদি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেই আজ আমি লাখপতি দিদির তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী : তাহলে তো আপনার বাড়িতে নিজের গুরুত্ব বেড়ে গেছে।

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার।

লাখপতি দিদি : যখন আমি শুরু করেছিলাম, তখন আমার সঙ্গে ১২ জন বোন ছিলেন। এখন ৭৫ জন হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী : তাঁরা এখন কিরকম রোজগার করেন?

লাখপতি দিদি : আমি আমাদের রাধাকৃষ্ণ মণ্ডলের কথা বলছি। আমাদের বোনেরা সুচিশিল্পের পাশাপাশি পশুপালনের কাজও করে। আর ১২ মাসে ৯.৫-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করে।

প্রধানমন্ত্রী : ১০ লক্ষ টাকা!

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার। এতটা তো রোজগার করেই।

লাখপতি দিদি : স্যার আমি ২০১৯-এ এই সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বরোদা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ‘ব্যাঙ্ক সখি’র জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী : সারাদিন কাজ করে হাতে কত টাকা থাকে?

লাখপতি দিদি : স্যার, এমনিতে তো ১-১.৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে ব্যাঙ্কে লেনদেন করি। আর তার থেকে কম টাকা হলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাজ করি।

 

|

প্রধানমন্ত্রী : কোনো টেনশন হয়?

লাখপতি দিদি : কোনও সমস্যা নেই স্যার। একটি ছোট ব্যাঙ্ক সঙ্গে নিয়ে ঘুরি।

প্রধানমন্ত্রী : তাহলে আপনার প্রতি মাসে কত টাকার ব্যবসা হয়?

লাখপতি দিদি : স্যার, আমার মাসে ৪-৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়।

 

|

প্রধানমন্ত্রী : তার মানে এখন মানুষের ব্যাঙ্কের ওপর ভরসা বেড়েছে আর মানুষ ভাবে আপনি যাওয়া মানেই ব্যাঙ্ক যাওয়া।

লাখপতি দিদি : হ্যাঁ স্যার।

লাখপতি দিদি : স্যার, আমি নিজের মনে মনে আপনাকে গুরু বলে ভাবি। আজ যে আমি লাখপতি দিদি হয়েছি, তার প্রেরণা আপনি। আপনার প্রেরণাতেই আজ এই মঞ্চে এসে পৌঁছতে পেরেছি। আমার মনে হচ্ছে একটা স্বপ্ন দেখছি। আমাদের স্বপ্ন হল স্যার নিজেরা লাখপতি হওয়ার পাশাপাশি অন্য বোনেদেরও লাখপতি করে তোলা। আমাদের সখি মণ্ডলে যোগদানের পর জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে স্যার। আমাদের কাছে মুসৌরি থেকে একজন ম্যাডাম এসেছিলেন। রাধা বেন রাস্তোগি। তিনি আমার দক্ষতা দেখেছেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে আমি মুসৌরি যাব কিনা। আমি রাজি হই। তারপর তিনি আমার মুসৌরি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে একবার আমি গুজরাটি নাস্তা তৈরি করি। সেখানকার কিচেনে ৫০ জন স্টাফ রয়েছেন। তাঁদেরকে আমি গুজরাটি নাস্তা তৈরির প্রশিক্ষণ দিই। আমাদের গুজরাটে যাকে বলে রোটলা; সেখানে আমি বাজরা, জোয়ার মিশিয়ে সবাইকে তা তৈরি করা শেখাই। সেখানে আমার একটা জিনিস খুব ভালো লাগে। সবাই আমাকে রীতা বেন বলে ডাকতেন আর বলতেন, গুজরাট থেকে, নরেন্দ্র মোদী সাহেবের রাজ্য থেকে এসেছেন। তখন আমার খুব গর্ব হত যে আমি গুজরাটের মহিলা। এরকমই গৌরবে আমি গৌরবান্বিত হয়েছি বারবার।

প্রধানমন্ত্রী : এখন আপনারা যে অনলাইন বিজনেসের মডেল রয়েছে, সেটা নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। আমি সরকারকেও বলব আপনাদের সাহায্য করতে। এভাবে আপগ্রেড করতে হবে। আমরা এতজন বোনকে যুক্ত করেছি, এতজন বোন রোজগার করছেন, তৃণমূল স্তরে রোজগার করছেন। অনলাইনে পোর্টালে কাজ শুরু করলে বিশ্ববাসীও জানবে যে ভারতের মহিলারা শুধু বাড়ির কাজই করেন না, তাঁরা আজ ভারতের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনেক বড় ভূমিকা এখন আমাদের গ্রামীণ এলাকার মহিলারা পালন করছেন। দ্বিতীয়ত আমি দেখেছি যে, আমাদের মহিলারা অতি দ্রুত যে কোনও উন্নত প্রযুক্তিকে আপন করে নিতে পারেন। ড্রোন দিদি প্রকল্প থেকেই আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, যত দিদিকে ড্রোন পাইলটের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ৩-৪ দিনের মধ্যেই তাঁরা এই প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা এত দ্রুত শিখতে পারেন, আর অভ্যাসও অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করেন। আমাদের দেশের মা ও বোনেরা প্রাকৃতিকভাবেই লড়াই করার সামর্থ্য রাখেন, সৃষ্টি করার সামর্থ্য রাখেন, সংস্কারের সামর্থ্য রাখেন, সম্পত্তি সৃষ্টিরও সামর্থ্য রাখেন। অর্থাৎ, তাঁদের মধ্যে অন্তর্নিহিত এত বড় শক্তি রয়েছে, যার কোনও হিসাব আমরা করতে পারব না। আমি মনে করি, এই সামর্থ্য দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।

(প্রধানমন্ত্রী ও লাখপতি দিদিদের আলাপচারিতার কিছুটা অংশ গুজরাটিতে এবং বাকি অংশ হিন্দিতে ছিল। এখানে তার ভাবানুবাদ করা হয়েছে।)

 

  • Pinak goswami March 28, 2025

    Jay shree ram
  • ram Sagar pandey March 26, 2025

    🌹🌹🙏🙏🌹🌹🌹🙏🏻🌹जय श्रीराम🙏💐🌹जय श्रीकृष्णा राधे राधे 🌹🙏🏻🌹जय माता दी 🚩🙏🙏जय माँ विन्ध्यवासिनी👏🌹💐🌹🌹🙏🙏🌹🌹🌹🙏🏻🌹जय श्रीराम🙏💐🌹ॐनमः शिवाय 🙏🌹🙏जय कामतानाथ की 🙏🌹🙏🌹🌹🙏🙏🌹🌹
  • AK10 March 24, 2025

    PM NAMO IS THE BEST EVER FOR INDIA!
  • கார்த்திக் March 22, 2025

    Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺Jai Shree Ram🌺
  • Vivek Kumar Gupta March 21, 2025

    नमो ..🙏🙏🙏🙏🙏
  • Hiraballabh Nailwal March 19, 2025

    जय यमुना मैया
  • Hiraballabh Nailwal March 19, 2025

    जय गंगा मैया
  • Hiraballabh Nailwal March 19, 2025

    जय भोलेनाथ
  • Hiraballabh Nailwal March 19, 2025

    जय श्री केदार
  • Hiraballabh Nailwal March 19, 2025

    जय बद्री विशाल
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।