“গুজরাটের এই ‘স্বাগত’ উদ্যোগ দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে প্রযুক্তি কার্যকরভাবে জনগণের অভাব-অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারে”
“আমি কখনই আমার পদের দাসত্ব গ্রহণ করবো না – এই বিষয়ে আমার ধারণা ছিল স্পষ্ট; আমি জনগণের মধ্যে থেকে তাঁদের জন্য কাজ করবো”
“’স্বাগত’ ভারতের জীবনযাত্রার সরলীকরণ এবং সরকারের কাছে পৌঁছনোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে”
“আমরা প্রমাণ করেছি যে, শাসন ব্যবস্থা কেবলমাত্র পুরনো আইন বা নিয়ম-কানুনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনেরও অন্যতম স্থান”
“শাসন ব্যবস্থার নানা সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ‘স্বাগত’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে; অনেক রাজ্যই এই ধরনের ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করছে”
এই উদ্যোগ সফলভাবে ২০ বছর পূর্ণ করায় গুজরাট সরকার ‘স্বাগত’ সপ্তাহ পালন করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের পুরনো সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন।

আপনারা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলবেন। পুরনো দিনের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া দারুণ একটি বিষয়। আসুন দেখা যাক, প্রথম কার সঙ্গে কথা বলব।

প্রধানমন্ত্রী : আপনার নাম কি?

সুবিধাভোগী : সোলাঙ্কি ভরতভাই বাছুজি।

প্রধানমন্ত্রী : আমরা যখন ‘স্বাগত কর্মসূচি শুরু করেছিলাম তখন কি আপনি প্রথম এসেছিলেন?

ভরতভাই(সুবিধাভোগী) : হ্যাঁ স্যার! প্রথম যাঁরা এসেছিলেন আমি তাঁদের মধ্যে একজন ছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী : তাহলে আপনি কি করে জানলেন যে যদি সরকারি আধিকারিকদের জন্য কিছু বলতে হয় তাহলে ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে আপনাকে আসতে হবে?

ভরতভাই (সুবিধাভোগী) : হ্যাঁ স্যার! ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর আমি সরকারি আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি বানানোর অনুমতি পেয়েছিলাম দেহগ্রাম তহশিল থেকে। এক সপ্তাহের জন্য এই অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আমি যখন প্লিন্থ পর্যন্ত গেঁথেছি, তখন আমার কোনও ধারণা নেই দেওয়ালটি কি ৯ ইঞ্চির গাঁথব না ১৪ ইঞ্চির। ভূমিকম্পের জন্য আমার মনে আশঙ্কা ছিল যে ৯ ইঞ্চির দেওয়াল যদি গাঁথি তাহলে কি বাঁচতে পারব? তাই আমি ১৪ ইঞ্চির দেওয়াল গেঁথেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহে আমার মজুরি চাইতে গেলে বিডিও জানান, যেহেতু আমি ৯ ইঞ্চির বদলে ১৪ ইঞ্চির দেওয়াল গেঁথেছি, তাই আমাকে মজুরি দেওয়া হবে না। তিনি আমাকে বলেন, প্রথম সপ্তাহের ৮,২৫৩ টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে। আমি এরপর জেলা এবং ব্লকের অফিসে বারবার আমার অভিযোগ নিয়ে যাই কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেননি। গান্ধীনগর জেলায় এক আধিকারিক আমার কাছে জানতে চান যে আমি বারবার কেন এখানে আসছি। আমার কথা শোনার পর তিনি বলেন, “কাকা আপনি এক কাজ করুন, সচিবালয়ে মাননীয় শ্রী নরেন্দ্রভাই মোদীর ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে চলে যান। প্রতি বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।” তাই আমি সরাসরি সচিবালয়ে গিয়ে আপনার কাছে অভিযোগ দায়ের করি। আপনি আমার পুরো অভিযোগ ধৈর্য্য ধরে শুনে শান্তভাবে জবাব দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়ার পর আমি ৯ ইঞ্চির বদলে ১৪ ইঞ্চির দেওয়াল বানানোর বাড়তি পয়সাও পেয়েছিলাম। আজ আমি আমার ছয় সন্তানকে নিয়ে নিজের বাড়িতে সুখে-শান্তিতে বাস করছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : ভরতভাই, আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে আমার পুরনো দিনের ঘটনাগুলি মনে পড়ছে। ২০ বছর পর আবারও আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেলাম। আপনার সন্তানরা কি পড়াশোনা করছে, নাকি অন্য কিছু কাজ করছে?

ভরতভাই (সুবিধাভোগী) : স্যার, আমার চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাকি দুই মেয়ের বয়স এখনও ১৮ হয়নি, তাই তাদের বিয়েও হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী : এই ২০ বছরে আপনার বাড়ি কি একইরকম আছে, নাকি পুরনো হয়ে গেছে?

ভরতভাই (সুবিধাভোগী) : স্যার, আগে চাল দিয়ে জল পড়ত। তাছাড়া বাড়িতে জলের সমস্যাও ছিল। কাঁচা বাড়ি হওয়ায় ছাদ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী : আপনার জামাইরা কি সবাই ভালো?

ভরতভাই (সুবিধাভোগী) : হ্যাঁ স্যার! সকলেই খুব ভালো।

প্রধানমন্ত্রী : বাঃ! ভালো থাকুন। আচ্ছা আপনি কি ‘স্বাগত’ কর্মসূচির কথা অন্যদেরকে বলেছিলেন বা অন্যদেরকে পাঠিয়েছিলেন?

ভরতভাই (সুবিধাভোগী) : স্যার, আমি অন্যদেরকেও এই কর্মসূচির কথা বলতাম। আমি তাঁদের বলতাম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্রভাই মোদী আমাকে সন্তোষজনক উত্তর দিয়েছেন, আমার অভিযোগগুলি ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। তাই, কারোর কোনও সমস্যা থাকলে ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে চলে যাও। যদি কোনও অসুবিধা হয় তাহলে আমিও তোমাদের সঙ্গে যেতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা ভরতভাই শুনে খুব ভালো লাগল। এরপর কে আছেন?

বিনয় কুমার (সুবিধাভোগী) : নমস্কার স্যার! আমি চৌধুরি বিনয় কুমার বালুভাই, তাপি জেলার ওয়াগমেরা গ্রাম থেকে আসছি।

প্রধানমন্ত্রী : বিনয়ভাই নমস্কার!

বিনয়ভাই : নমস্কার স্যার!

প্রধানমন্ত্রী : কেমন আছেন?

বিনয়ভাই : আপনার আশীর্বাদে ভালো আছি।

প্রধানমন্ত্রী : আপনি কি জানেন, আপনাদের মতো মানুষদের আমরা ‘দিব্যাঙ্গ’ বলে অভিহিত করি? আপনার গ্রামে যাতে সবাই আপনাকে সম্মান জানান তার জন্য সকলের এই শব্দটি ব্যবহার করা উচিত।

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার!

প্রধানমন্ত্রী : আমার মনে পড়ছে আপনি সেই সময় আপনার অধিকার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট লড়াই করেছিলেন। এখানে সকলকে আপনার সেই লড়াইয়ের সম্পর্কে জানান যার জন্য আপনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন এবং আপনার অধিকার অর্জন করেছিলেন। সবাইকে বলুন!

বিনয়ভাই : স্যার, ব্যাপারটা হল সেই সময় আমি স্বনির্ভর ছিলাম না। আমি সংখ্যালঘু অর্থ কমিশনে ঋণের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমার আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল কিন্তু আমি চেক হাতে পাইনি। আমার খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় আমার এক বন্ধু আমাকে বলেন, গান্ধীনগরে ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে আমি আমার সমস্যার কথা জানালে তার সমাধান হতে পারে। তাই আমি বাসে করে গান্ধীনগরে যাই এবং এই কর্মসূচির সুবিধা পাই। আপনি আমার সমস্যার কথা শুনে তক্ষুণি, ৩৯,২৪৫ টাকার চেক ইস্যু করেন। এই টাকা দিয়ে আমি ২০০৮ সালে আমার বাড়িতে একটি দোকান খুলি। আজও আমার সংসার এই দোকানের আয় থেকে চলে। স্যার, দোকান খোলার দু’বছর পর আমি বিয়ে করি। আমার দুটি কন্যাসন্তান আছে, তারা পড়াশোনা করছে। বড়টি ক্লাস এইট আর ছোটটি ক্লাস সিক্স-এ পড়ে। আজ আমাদের পরিবার স্বনির্ভর। গত দু’বছর ধরে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে দোকান চালানোর পাশাপাশি চাষবাসের কাজও করি। এখন আমার আয় বেশ ভালো।

প্রধানমন্ত্রী : বিনয়ভাই, আপনার দোকানে আপনি কি বিক্রি করেন?

বিনয়ভাই : আমরা চাল, ডাল, মুদিখানার জিনিসপত্র বেচি।

প্রধানমন্ত্রী : এখন তো ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তা আপনার দোকানের খরিদ্দাররা কি স্থানীয় পণ্য কিনতে আগ্রহী?

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার! তাঁরা আমার দোকান থেকে চাল, ডাল, চিনি - এসব কেনেন।

প্রধানমন্ত্রী : এখন আমরা ‘শ্রী অন্ন’ অভিযান শুরু করেছি। সকলে মিলেট, জোয়ার এগুলি খান। আচ্ছা, আপনার দোকানে কি ‘শ্রী অন্ন’ বিক্রি হয়?

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : আপনি কি আপনার স্ত্রীর সঙ্গেই কাজকর্ম করেন নাকি অন্য কোনও লোক রেখেছেন?

বিনয়ভাই : আমরা কয়েকজন মজুরকে রেখেছি।

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা। আপনি ক’জন মজুরকে রেখেছেন?

বিনয়ভাই : প্রায় ৪-৫ জন। মাঠে কাজ করেন।

প্রধানমন্ত্রী : এখন তো আমরা সকলকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনে উৎসাহিত করছি। আপনিও কি ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করেন? মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বা কিউআর কোড ব্যবহার করে?

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার! অনেক লোকেই আমার দোকানে এসে আমার কিউআর কোড জানতে চায় এবং সরাসরি আমার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী : দারুণ ব্যাপার! তার মানে গ্রামে এখন সবকিছুই পাওয়া যায়।

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার! সবরকমের সুবিধাই পাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী : বিনয়ভাই, আপনার বিশেষত্ব হল আপনি ‘স্বাগত’ কর্মসূচি থেকে যে সুবিধা পেয়েছেন সেটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন। আপনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সাহস রেখেছেন। আচ্ছা, আধিকারিকরা যখন জেনেছিলেন যে আপনি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তখন কি তাঁরা ঝামেলা করেছিলেন?

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার!

প্রধানমন্ত্রী : তারপর কি সমস্যার সমাধান হয়েছিল?

বিনয়ভাই : হ্যাঁ স্যার!

প্রধানমন্ত্রী : তারপর তো বিনয়ভাই গ্রামের সবাইকে নিশ্চয়ই বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার সরাসরি যোগাযোগ আছে, তাই না?

বিনয়ভাই : না স্যার!

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা বিনয়ভাই, আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনার মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন, খুব ভালো বিষয়। ওদেরকে ভালো করে পড়াশোনা করান, কেমন? আপনার নাম কি?

রাকেশভাই পারেখ : রাকেশভাই পারেখ

প্রধানমন্ত্রী : রাকেশভাই পারেখ। আপনি কি সুরাট জেলা থেকে এসেছেন?

রাকেশভাই পারেখ : হ্যাঁ, আমি সুরাট থেকে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী : আপনি কি সুরাটেই থাকেন না সুরাটের কাছাকাছি?

রাকেশভাই পারেখ : আমি সুরাটে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকি।

প্রধানমন্ত্রী : আপনার অভিজ্ঞতার কথা জানান।

রাকেশভাই পারেখ : ২০০৬ সালে একটি রেল প্রকল্পের জন্য আমাদের বাড়ি ভাঙা পড়েছিল। আটতলা বাড়িতে ৩২টি ফ্ল্যাট ও আটটি দোকান ছিল। যেহেতু আমাদের বাড়ি বিপজ্জনক বাড়ি বলে ঘোষিত হয়েছিল তাই আমরা বাড়ি বানানোর জন্য কোনও অনুমতি পাইনি। পুরসভাও আমাদের অনুমতি দেয়নি। সেই সময় আমরা জানতে পারি, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহেবের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। আমি শ্রী গাম্বিতের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, আমার অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমাকে ডাকা হবে। এরপর আমি ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে যোগদানের সুযোগ পাই। সেই সময় আপনি বাড়ি বানানোর অনুমতি দেন। আমি বছর দশেক একটি ভাড়া বাড়িতে থাকি। আপনি স্পেশাল কেস হিসেবে আমার বাড়ি বানানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপর আমরা বাড়ি বানাই এবং ৩২টি পরিবার ও আটজন দোকানদার সকলেই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী : পারেখজি, আপনি দারুণ কাজ করেছেন। শুধু নিজের জন্যই নয়, ৩২টি পরিবারের জন্যও কাজ করেছেন। আচ্ছা, এই ৩২টি পরিবারের সকলে ভালো আছেন তো?

রাকেশভাই পারেখ : সকলেই ভালো আছেন কিন্তু আমি সামান্য সমস্যায় রয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী : সকলে কি একসঙ্গে থাকেন?

রাকেশভাই পারেখ : হ্যাঁ, সকলেই একসঙ্গে থাকি।

প্রধানমন্ত্রী : আর আপনার আবার কি সমস্যা হল?

রাকেশভাই পারেখ : হ্যাঁ স্যার! সেই সময় আপনি বলেছিলেন, যদি আমার কোনও সমস্যা হয় তাহলে আমি আপনার বাংলোতে থাকতে পারি। কিন্তু আমি ভাড়া বাড়িতে ছিলাম এবং পুরো বাড়িটি আমরা তৈরি করেছিলাম। তবে এখন আমরা শান্তিতেই আছি। আমার দুই ছেলে এবং স্ত্রীর সঙ্গে সুখেই ঘর করছি।

প্রধানমন্ত্রী : ছেলেরা কি করে?

রাকেশভাই পারেখ : এক ছেলে চাকরি করছে, অন্যজন রাঁধুনির কাজ করে। ঐ যে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বলে না। ও আসলে ঘর থেকেই ব্যবসা চালায়। আমার আসলে স্নায়ুজনিত কিছু সমস্যা হয়েছে তাই গত দেড় বছর ধরে আমি খুব একটা হাঁটাচলা করতে পারি না।

প্রধানমন্ত্রী : কিন্তু আপনি যোগাভ্যাস করেন তো?

রাকেশভাই পারেখ : হ্যাঁ স্যার! নিয়মিত ব্যায়াম করি।

প্রধানমন্ত্রী : কোনও অপারেশন করার আগে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। এখন তো আয়ুষ্মান কার্ডও আছে। আশা করি সেই কার্ড আপনার রয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনারা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন। গুজরাট সরকারেরও ‘মা কার্ড’-এর মতো বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। এই সুবিধাগুলি আপনি নিন। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।

রাকেশভাই পারেখ : হ্যাঁ স্যার।

প্রধানমন্ত্রী : দেখুন, আপনি এত বুড়ো হয়ে যাননি যে এখনই পিছু হটবেন। রাকেশভাই আপনি ‘স্বাগত’ কর্মসূচির মাধ্যমে অনেক মানুষের সুবিধা করে দিয়েছেন। একজন সচেতন নাগরিক কিভাবে অন্যকে সাহায্য করতে পারেন তার উদাহরণ আপনি। সরকার যে আপনার সমস্যার সমাধান যথাযথভাবে করেছে, সেটি জেনে আমারও ভালো লাগছে। বহু বছর আগের ঘটনা। এখন আপনার ছেলেরাও নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন।

বন্ধুগণ,

এই মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমি এটা বুঝতে পারছি ‘স্বাগত’ কর্মসূচি যথেষ্ট সফল হয়েছে। মানুষ শুধু তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন তা নয়, রাকেশজির মতো অনেকে শত শত পরিবারগুলির সমস্যার কথা জানিয়ে সেগুলির সমাধানও করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, সাধারণ নাগরিকের সব বিষয় সরকার জানতে পারবে এবং তার সমাধান করবে। ভূপেন্দ্রভাই আজ আমাদের মধ্যে রয়েছেন। এখানে অনেক মন্ত্রী ও আধিকারিকরাও আছেন। বেশিরভাগই নতুন মুখ। আমি কয়েকজনকে চিনতে পারছি।

গুজরাটের কোটি কোটি মানুষের জন্য যে ‘স্বাগত’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল আজ তা ২০ বছর অতিক্রম করল। কয়েকজন সুবিধাভোগীর কথা জানতে পেরে আমার পুরনো দিনের বিভিন্ন ঘটনা আবারও মনে পড়ছে। ‘স্বাগত’ কর্মসূচির সাফল্যের জন্য যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন, এই উপলক্ষে আমি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

যখন কোনও কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়, তখন সেই কর্মসূচি কতটা সাধারণ মানুষের কাছে ভবিষ্যতে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে থাকবে। ২০০৩ সালে আমি যখন ‘স্বাগত’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলাম, তারপর দীর্ঘদিন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নই। এর আগে আমি একজন কর্মী হিসেবে, সাধারণ নাগরিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেছি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যখন আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তখন সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। বলা হত, এই পদে বসার পর মানুষ বদলে যায়। কিন্তু আমি তখন থেকেই ঠিক করেছিলাম, আমি যেমনটি ছিলাম, তেমনটিই থাকব। আমি যে কোনও পরিস্থিতির শিকার হব না। মানুষের মধ্যেই আমি থাকব। এই ভাবনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ গ্রহণ করার এবং সমস্যার সমাধানের জন্য ‘স্বাগত’ কর্মসূচির সূচনা করা হয় যাতে সাধারণ মানুষ একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় এসে তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আজ ২০ বছর পর ‘স্বাগত’-র অর্থ দাঁড়িয়েছে সহজ জীবনযাত্রা এবং প্রশাসনের কাছে সহজে পৌঁছনো। ফলস্বরূপ, আজ বিশ্বে গুজরাট প্রশাসনিক দিক থেকে আদর্শ স্থানীয় হয়ে উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম অর্গানাইজেশন একে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে স্বচ্ছ এবং দায়বদ্ধ এক কর্মসূচি বলে আখ্যায়িত করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘও এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছে। জনসেবামূলক পুরস্কার পেয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে এই কর্মসূচি। ২০১১ সালে যখন কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল, সেই সময়ও গুজরাট ই-গভর্ন্যান্সের জন্য স্বর্ণ পদক লাভ করেছিল। এর মূল কারণ ছিল ‘স্বাগত’ কর্মসূচি।

ভাই ও বোনেরা,

‘স্বাগত’ কর্মসূচির সাফল্যের সবথেকে বড় কারণ আমরা গুজরাটবাসীর জন্য কাজ করছি। ব্লক এবং তহশিল স্তর থেকে অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলাস্তরে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের ওপর। রাজ্যস্তরে আমি নিজে এই কাজের তত্ত্বাবধান করতাম। সরকারের বিভিন্ন নীতির সুযোগ-সুবিধা যাতে মানুষ পান, তার জন্য আমি মানুষের কথা নিয়মিত শুনতাম। কেউ যাতে সরকারের কোনও নীতির কারণে সমস্যায় না পড়েন তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা উদ্যোগী হয়েছি। ‘স্বাগত’ কর্মসূচির মাধ্যমে গুজরাটের সাধারণ নাগরিকরা উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে সহজে পৌঁছতে পারেন। তাঁদের কাজ যদি না হত, তাহলে তাঁরা স্পষ্ট বলতেন, যদি আপনারা আমার কথা না শোনেন তাহলে আমি সোজা ‘স্বাগত’ কর্মসূচিতে চলে যাব। আধিকারিকরাও তৎক্ষণাৎ তাঁদের অভিযোগগুলি শুনতেন।

‘স্বাগত’ কর্মসূচির জনপ্রিয় এতটাই বেড়েছিল যে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে আমি সরাসরি খবর পেতাম। তাঁদের অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি করে তৃপ্তিও পেতাম। এখানেই শেষ নয়। মাসে একবার এই কর্মসূচি পালিত হলেও তার জন্য কাজ কিন্তু গোটা মাস জুড়ে চলত। আমরা বিভিন্ন সময়ে তার পর্যালোচনা করতাম। যদি কোথাও কোনও নিয়ম-কানুনের পরিবর্তন ঘটাতে হয়, তাও করতাম। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অদ্ভূত এক আস্থা তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যখন জনসাধারণের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়, তখনই গণতন্ত্রের সাফল্য নিশ্চিত হয়। আজ আমি গর্বিত, ‘স্বাগত’ নামের যে বীজটি আমি বপন করেছিলাম, তা আজ এক মহীরূহে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমার পুরনো সহকর্মী এ কে শর্মা আজ ইকনমিক টাইমস পত্রিকায় এই কর্মসূচিতে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে সুন্দর একটি নিবন্ধ লিখেছেন। আজ তিনি আমার মতো রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমানে তিনি উত্তরপ্রদেশের একজন মন্ত্রী। কিন্তু সেই সময় তিনি একজন আধিকারিক হিসেবে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতেন।

বন্ধুগণ,

দীর্ঘ সময় ধরে একটি বিশ্বাস ছিল, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, অবস্থা একইরকম থাকবে। যাঁরা সরকার চালাতেন তাঁরা তাঁদের সময়কালে ফিতে কাটতেন, প্রদীপ জ্বালাতেন। কিন্তু গুজরাট ‘স্বাগত’ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। প্রশাসন যে শুধুমাত্র কতগুলি নিয়ম-কানুন তৈরি করবে তা নয়, প্রশাসনিক কাজে উদ্ভাবনও নিয়ে আসতে হবে, নতুন নতুন ধারণার প্রয়োগ করতে হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা একটি জীবন্ত উদ্যোগ যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

২০০৩ সালে যখন ‘স্বাগত’ কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল তখন প্রযুক্তি বা ই-গভর্ন্যান্সকে এত গুরুত্ব দেওয়া হত না। প্রত্যেক কাজের জন্য নতুন নতুন ফাইল তৈরি হত, আবার সেই ফাইল হারিয়েও যেত। সেই সময় ভিডিও কনফারেন্সিং সম্পর্কেও ধারণা কম ছিল। এই পরিস্থিতিতে গুজরাট ভবিষ্যতের কথা ভেবে এক উদ্যোগ গ্রহণ করে। আজ ‘স্বাগত’-র মতো একটি কর্মসূচি বহু সরকারি ব্যবস্থাপনার অনুপ্রেরণার উৎস। অনেক রাজ্যই এই ব্যবস্থাপনাকে গ্রহণ করেছে। আমার মনে আছে, বিভিন্ন রাজ্যের থেকে সেই সময় প্রতিনিধিরা গুজরাটে আসতেন এবং পরবর্তীতে নিজের রাজ্যে গিয়ে তাঁরা এই ব্যবস্থাপনাগুলিকে প্রয়োগ করতেন। আপনারা যখন আমাকে দিল্লিতে পাঠালেন তখন আমরা কেন্দ্রে ‘প্রগতি’ বলে একটি কর্মসূচির সূচনা করি। গত ৯ বছরে দেশে দ্রুত উন্নয়নের পিছনে ‘প্রগতি’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ‘স্বাগত’ কর্মসূচির থেকেই ধারণা নিয়ে ‘প্রগতি’র পরিকল্পনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি ‘প্রগতি’র বৈঠকগুলিতে ১৬ লক্ষ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করেছি। দেশে শত শত প্রকল্পে আজ গতি এসেছে। আজ যখন ‘প্রগতি’তে কোনও কর্মসূচি পর্যালোচনার জন্য নথিভুক্ত হয়, তখন সব রাজ্যগুলি সব ধরনের বাধা-বিপত্তিকে সরিয়ে তা কার্যকর করার জন্য উদ্যোগী হয়।

বন্ধুগণ,

একটি বীজ থেকে গাছের জন্ম হয় আর সেই গাছ যখন হাজার হাজার ডালপালা মেলে ধরে তখন সেখান থেকে হাজার হাজার বীজের জন্ম হয়। আর সেই বীজ থেকেই আবার নতুন নতুন গাছ জন্মায়। আমি নিশ্চিত, ‘স্বাগত’ কর্মসূচিও প্রশাসনিক কাজে হাজার হাজার নতুন নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে। এটি জনমুখী প্রশাসনের আদর্শ হয়ে উঠবে। আপনাদের মধ্যে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আবারও একবার আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘স্বাগত’ কর্মসূচি আরও উৎসাহ-উদ্দীপনায় এগিয়ে চলবে। গুজরাটে আমার ভাই-বোনেদের আবারও শুভেচ্ছা জানাই। ১ মে রাজ্যজুড়ে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হবে। সেই দিন উন্নয়নের উৎসব আমরা উদযাপন করব। তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনাদের সবাই ধন্যবাদ। অনেক অনেক অভিনন্দন।

প্রধানমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের সঙ্গে গুজরাটি ভাষায় মতবিনিময় করেছেন

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।