Quoteপুনে মেট্রোর সম্পূর্ণ হওয়া অংশের উদ্বোধন করে মেট্রোর যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
Quoteপ্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় নির্মিত বাড়িগুলির হস্তান্তর এবং নির্মিত হতে চলা বাড়িগুলির শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী
Quoteবর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের উদ্বোধন
Quote“পুনে এমন এক প্রাণবন্ত শহর যা দেশের অর্থনীতিকে গতি দেয় এবং সারা দেশের যুব সমাজের স্বপ্নপূরণ করে”
Quote“আমাদের সরকার নাগরিকদের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”
Quote“আধুনিক ভারতের শহরগুলিতে মেট্রো এক নতুন জীবনরেখা হয়ে উঠছে”
Quote“স্বাধীনতার পর থেকেই মহারাষ্ট্রের শিল্পোন্নয়ন, ভারতের শিল্পোন্নয়নকে পথ দেখাচ্ছে”
Quote“গরিব বা মধ্যবিত্ত, প্রত্যেকের স্বপ্নপূরণ করা মোদীর গ্যারান্টি”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বৈশ্য জি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্দে জি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সহযোগীগণ, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অজিত পাওয়ার জি, ভাই দিলীপ জি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ,সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং এখানে উপস্থিত আমার প্রিয়  ভাই ও বোনেরা!
আগস্ট মাস উদযাপন ও বিপ্লবের মাস।
এই বিপ্লবের মাসের শুরুতে, আমি পুণেতে এসেছি,
আসার সৌভাগ্য হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, পুণে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছে। পুণে দেশকে বাল গঙ্গাধর তিলক সহ বহু মহান বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী দিয়েছে। আজ লোকশাহির আন্না ভাউ সাঠের জন্মজয়ন্তী। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন। আন্না ভাউ সাঠে, একজন মহান সমাজ সংস্কারক ছিলেন তিনি বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। আজও বিপুল সংখ্যক ছাত্র ও পণ্ডিত তাঁর সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেন। আন্না ভাউ সাঠের কাজ, তাঁর আহ্বান আজও আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে।

|

বন্ধুগণ,
পুণে  আজ দেশের অর্থনীতিতে  গতি আনা, সারা দেশের যুবকদের স্বপ্ন পূরণকারী  একটি প্রাণবন্ত শহর। আজ পুণে এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় যে প্রকল্পগুলি পেয়েছে সেগুলির মাধ্যমে  এই ভূমিকাগুলি আরও শক্তিশালী হতে চলেছে৷ এই মুহূর্তে, এখান থেকে প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করা হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে, বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরি করার জন্য অত্যাধুনিক ‘প্ল্যান্ট’ বা কারখানা চালু হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য আমি পুণের সমস্ত মানুষকে, এখানকার সমস্ত নাগরিককে অভিনন্দন জানাই৷
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার পেশাদারদের, বিশেষ করে শহরে বসবাসকারী মধ্যবিত্তদের ‘কোয়ালিটি অফ লাইফ” বা  জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত আন্তরিক, । জীবনযাত্রার মান যখন উন্নত হয়, তখন সেই শহরের উন্নয়নও হয় আরও দ্রুত। আমাদের সরকার পুণের মতো শহরে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। এখানে আসার আগে আমি পুণে মেট্রোরেলের আরেকটি সেকশন উদ্বোধন করে এসেছি। আমার মনে আছে, পুণে মেট্রোর কাজ যখন শুরু হয়েছিল, তখন আমি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি, আর আজ  দেবেন্দ্র জি এই বিষয়টিকে খুব মজা করে বর্ণনা করছিলেন। বিগত ৫ বছরে এখানে প্রায় ২৪ কিলোমিটার মেট্রো নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
 
বন্ধুগণ,
 
আমরা যদি ভারতের শহরগুলিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই, আর এই কর্মযজ্ঞকে একটি নতুন উচ্চতা দিতে চাই তবে আমাদের গণপরিবহনকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আর সেজন্যেই আজ ভারতের শহরগুলিতে মেট্রো রেলের নেটওয়ার্ক ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে, নতুন নতুন ফ্লাইওভার তৈরি হচ্ছে, লাল বাতির সংখ্যা কমানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের হিসাবে, ভারতে মোট ২৫০ কিলোমিটারেরও কম মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ছিল। এর বেশিরভাগই ছিল দিল্লি-এনসিআরে। এখন দেশে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেড়েছে। এ ছাড়া ১০০০ কিলোমিটার নতুন মেট্রোরেল লাইন স্থাপনের কাজও চলছে। ২০১৪ সালে শুধুমাত্র দেশের ৫টি শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ছিল। আজ দেশের ২০টি শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণে ছাড়াও মুম্বাই এবং নাগপুরেও মেট্রো রেল সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক ক্রমে আধুনিক ভারতের শহরগুলির নতুন লাইফলাইন হয়ে উঠছে। পুণের মতো শহরে পরিবেশ রক্ষা এবং দূষণ কমাতে মেট্রোরেলের সম্প্রসারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যেই তো আমাদের সরকার শুরু থেকেই মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য এত কঠোর পরিশ্রম করছে।

ভাই ও বোনেরা,
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শহরগুলিতে পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। একটা সময় ছিল যখন উন্নত দেশের শহর দেখে বলা হতো- বাহ, কী পরিচ্ছন্ন শহর। এখন আমরা ভারতের শহরগুলিকে একইরকম ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অন্যদের এরকম বলার সুযোগ করে দিচ্ছি। তাই ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ আজ শুধু সারা দেশে শৌচাগার নির্মাণেই সীমাবদ্ধ নয়। এই অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও অনেক জোর দেওয়া হচ্ছে। আজ আমাদের শহরে আবর্জনার বিশাল পাহাড় একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি আরও জানেন যে পুণেতে যেখানে মেট্রো ডিপো তৈরি করা হয়েছে, এটি আগে কোথরুড আবর্জনা ডাম্পিং ইয়ার্ড হিসাবে পরিচিত ছিল। এখন এ ধরনের আবর্জনার পাহাড় অপসারণের কাজ মিশন মোডে চলছে। আর আমরা বর্জ্য থেকে সম্পদ উৎপাদন-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করছি - অর্থাৎ সম্পদের অপচয় রোধ করছি। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ের ওয়েস্ট টু এনার্জি প্ল্যান্ট একটি খুব ভাল প্রকল্প। এতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখানকার বিদ্যুত দিয়ে পৌরসংস্থা তার চাহিদাও মেটাতে পারবে। তার মানে দূষণের সমস্যা হবে না এবং পৌরসংস্থার জন্য সাশ্রয়ও হবে।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার পর থেকে, মহারাষ্ট্রের শিল্প উন্নয়ন ভারতের শিল্প উন্নয়নে ক্রমাগত গতি প্রদান করেছে। মহারাষ্ট্রে শিল্প উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে, এখানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যেই আজ আমাদের সরকার মহারাষ্ট্রে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে তা নজিরবিহীন। আজ এখানে বড় বড় এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন রেলপথ, নতুন নতুন বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে ২০১৪ সালের তুলনায় এখানে ১২ গুণ বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও সংযুক্ত করা হচ্ছে। এবার উচ্চগতি সম্পন্ন  মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র উভয়কেই উপকৃত করবে। দিল্লি-মুম্বাই অর্থনৈতিক করিডোর মহারাষ্ট্রকে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করবে। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরের মাধ্যমে মহারাষ্ট্র এবং উত্তর ভারতের মধ্যে রেল সংযোগও সম্পূর্ণ বদলে যাবে। ট্রান্সমিশন লাইন নেটওয়ার্ক, যা মহারাষ্ট্রকে তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা এখন মহারাষ্ট্রের শিল্পদ্যোগগুলিতেও একটি নতুন গতি দিতে চলেছে৷ তা সে তেল এবং গ্যাস পাইপলাইন হোক, ঔরঙ্গাবাদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি গড়ে তোলা, নাভি মুম্বাইয়ে নতুন বিমানবন্দর গড়া, শেন্দ্রা-বিরকিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মানের মতো অনেক কাজের ফলে আজ মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে নতুন গতি প্রদানের সম্ভাবনা বেড়েছে।

 

|

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার রাজ্যগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধনের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রের উন্নতি হলে ভারতও উন্নত হবে। আর ভারত যখন উন্নয়ন করবে, মহারাষ্ট্রও এর থেকে একই সুবিধা পাবে। আজকাল সারা বিশ্বের মানুষ ভারতের উন্নয়নের কথা বলছে। এই উন্নয়নের সুফল মহারাষ্ট্রও পাচ্ছে, পুণেও পাচ্ছে। আপনারা দেখুন, গত ৯ বছরে, ভারত উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপের ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করেছে। ৯ বছর আগে পর্যন্ত ভারতে মাত্র কয়েকশ স্টার্টআপ ছিল। আজ আমরা ১ লক্ষেরও বেশি  স্টার্টআপ গড়তে সফল হয়েছি। দেশে এই স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম ক্রমে এতটা সমৃদ্ধ হওয়ার মূল কারণ হল, আমরা ডিজিটাল পরিকাঠামো অনেকটা প্রসারিত করেছি। আর ভারতে উন্নত ডিজিটাল পরিকাঠামোর এই ভিত্তি তৈরিতে পুণের একটি বড় ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। সস্তা ডেটা, সস্তা ফোন এবং প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এই ক্ষেত্রটিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম ফাইভ -জি পরিষেবা রোলআউট করা দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আজ দেশে ফিনটেক, বায়োটেক, এগ্রিটেক, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের তরুণরা সাফল্যের সঙ্গে বিস্ময়কর কাজ করছে। এতে অনেক লাভবান হচ্ছে আমাদের পুণে।
 
বন্ধুগ‍্ণ,
একদিকে আমরা মহারাষ্ট্রে সর্বাত্মক উন্নয়ন দেখছি। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকে যা ঘটছে তাও আমাদের সামনে রয়েছে। ব্যাঙ্গালোর এত বড় আইটি হাব, বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কেন্দ্র। এই সময়ে বেঙ্গালুরু, কর্ণাটকের দ্রুত উন্নয়ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেখানে যে ধরনের ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছিল, এত অল্প সময়ের মধ্যে তার কুফল আজ সারা দেশ দেখছে এবং চিন্তিত বোধ করছে। একটি দল যখন তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারের কোষাগার খালি করে, তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় রাষ্ট্রের, তার জনগণের, আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতও তখন প্রশ্নের মুখে পড়ে। সেজন্যে কর্ণাটকে  ১৪টি দলের সরকার গঠিত হলেও জনগণের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কর্ণাটক সরকার নিজেই স্বীকার করছে যে তার কাছে বেঙ্গালুরুর উন্নয়নের জন্য অর্থ নেই, কর্ণাটকের উন্নয়নের জন্য তার কোষাগার খালি। ভাইয়েরা, এটা দেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা রাজস্থানেও একই অবস্থা দেখছি, সেখানেও ঋণের বোঝা বাড়ছে, উন্নয়নের কাজ থমকে গেছে।

|

বন্ধুগণ,
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, উন্নত করতে হলে সঠিক নীতি, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও আনুগত্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের প্রতি সরকারের নীতি, উদ্দেশ্য এবং জনগণের আনুগত্যই  ব্যবস্থাকে সঠিক পথে চালনার সিদ্ধান্ত নেয়, উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করে। এবার যেমন গরীবদের স্থায়ী বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যে সরকার দায়িত্বে  ছিল, তাঁরা শহরগুলিতে দরিদ্রদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ১০ বছরে দুটি প্রকল্প চালিয়েছিল। এই দুটি প্রকল্পের অধীনে ১০ বছরে সারা দেশে শহুরে দরিদ্রদের জন্য মাত্র ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই বাড়িগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অধিকাংশ গরিব মানুষ এই বাড়িগুলি নিতে অস্বীকার করে। এখন আপনি ভাবুন, বস্তিতে বসবাসকারী ব্যক্তিরাও যদি সেই বাড়িগুলি নিতে অস্বীকার করেন তাহলে সেই বাড়িগুলির অবস্থা কতটা খারাপ হবে। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দেশে ইউপিএ আমলে ২ লক্ষেরও বেশি এমন বাড়ি তৈরি হয়েছিল, যেগুলি কেউ নিতে প্রস্তুত ছিল না। আমাদের মহারাষ্ট্রেও সেই সময়ে তৈরি ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়ি এভাবে খালি পড়ে ছিল। এটা অর্থের অপচয়, জনগণের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত না থাকলেই এভাবে লোকদেখানো কাজ করা সম্ভব।
ভাই ও বোনেরা,
২০১৪ সালে, আপনারা সবাই আমাদেরকে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। সরকারে আসার পর আমরা সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি এবং নীতি পরিবর্তন করেছি। গত ৯ বছরে আমাদের সরকার গ্রাম ও শহরে গরিবদের জন্য ৪ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি তৈরি করেছে। এতে শহুরে দরিদ্রদের জন্য ৭৫ লাখের বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আমরা এসব নতুন বাড়ি নির্মাণে স্বচ্ছতা এনেছি এবং এগুলোর মানও উন্নত হয়েছে। আমাদের সরকার আরেকটি বড় কাজ করেছে, সরকার যেসব বাড়ি তৈরি করে গরিবদের দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই মহিলাদের নামে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এসব বাড়ির দাম কয়েক লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত ৯ বছরে দেশের কোটি কোটি বোন ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন, আমার অসংখ্য বোন এখন  ‘লাখপতি দিদি হয়েছেন। প্রথমবারের মতো তাঁর নামে একটি সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়েছে। আজও, আমি বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই সেই ভাই ও বোনদের যারা অবশেষে তাঁদের মাথার উপর পাকা ছাদ, নিজস্ব বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমি অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর আমি নিশ্চিত যে, তাঁদের জন্য এবারের গণেশ উৎসব খুব জমকালো হতে চলেছে।

 

|

ভাই ও বোনেরা,
দরিদ্র হোক বা মধ্যবিত্ত পরিবার, প্রত্যেকের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণই মোদির গ্যারান্টি। একটি স্বপ্ন পূরণ হলে সেই সাফল্যের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শত শত নতুন সংকল্প। এই সংকল্পগুলি সেই ব্যক্তির জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে ওঠে। আমরা আপনার সন্তানদের, আপনার বর্তমান এবং আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের উন্নতির জন্য যত্নশীল।

|

বন্ধুগণ,
এই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ হল উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প। এ জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। এখানে এই মহারাষ্ট্র রাজ্যে একই কারণে এতগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক  দল একত্রিত হয়েছে। উদ্দেশ্য হ'ল মহারাষ্ট্রের জন্য সবার অংশগ্রহণে আরও ভাল কাজ করা, দ্রুত গতিতে মহারাষ্ট্রের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা। মহারাষ্ট্র সবসময় আমাদের সকলকে অনেক ভালবাসা এবং আশীর্বাদ দিয়েছে। এই আশীর্বাদ ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকবে, এই কামনা নিয়ে আমি আবারও সকলকে বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অভিনন্দন জানাই।
আমার সঙ্গে বলুন  ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয় হোক!
ভারত মাতার জয় হোক!
ধন্যবাদ।

|

 

  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • Madhavi October 04, 2024

    🙏🏻🙏🏻
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Aditya Gawai March 12, 2024

    help me sir 🙏🏻 aapla Sankalp Vikast Bharat yatra ka karmchari huu sir 4 month hogye pement nhi huwa sir please contact me 9545509702 please help me sir 🙏🏻🙇🏼.....
  • Vaishali Tangsale February 12, 2024

    🙏🏻🙏🏻✌️
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • Uma tyagi bjp January 28, 2024

    जय श्री राम
  • Mahendra singh Solanki Loksabha Sansad Dewas Shajapur mp October 12, 2023

    नारी सशक्तिकरण की अद्भुत मिसाल स्वर्गीय राजमाता विजयराजे सिंधिया जी की जयंती पर उन्हें कोटि कोटि नमन। #Dewas #Shajapur #AgarMalwa #MadhyaPradesh #BJP #BJPMadhyaPradesh
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PMI data: India's manufacturing growth hits 10-month high in April

Media Coverage

PMI data: India's manufacturing growth hits 10-month high in April
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Press Statement by Prime Minister during the Joint Press Statement with the President of Angola
May 03, 2025

Your Excellency, President लोरेंसू,

दोनों देशों के delegates,

Media के सभी साथी,

नमस्कार!

बें विंदु!

मैं राष्ट्रपति लोरेंसू और उनके delegation का भारत में हार्दिक स्वागत करता हूँ। यह एक ऐतिहासिक पल है। 38 वर्षों के बाद, अंगोला के राष्ट्रपति की भारत यात्रा हो रही है। उनकी इस यात्रा से, न केवल भारत-अंगोला संबंधों को नई दिशा और गति मिल रही है, बल्कि भारत और अफ्रीका साझेदारी को भी बल मिल रहा है।

Friends,

इस वर्ष, भारत और अंगोला अपने राजनयिक संबंधों की 40वीं वर्षगांठ मना रहे हैं। लेकिन हमारे संबंध, उससे भी बहुत पुराने हैं, बहुत गहरे हैं। जब अंगोला फ्रीडम के लिए fight कर रहा था, तो भारत भी पूरी faith और फ्रेंडशिप के साथ खड़ा था।

Friends,

आज, विभिन्न क्षेत्रों में हमारा घनिष्ठ सहयोग है। भारत, अंगोला के तेल और गैस के सबसे बड़े खरीदारों में से एक है। हमने अपनी एनर्जी साझेदारी को व्यापक बनाने का निर्णय लिया है। मुझे यह घोषणा करते हुए खुशी है कि अंगोला की सेनाओं के आधुनिकीकरण के लिए 200 मिलियन डॉलर की डिफेन्स क्रेडिट लाइन को स्वीकृति दी गई है। रक्षा प्लेटफॉर्म्स के repair और overhaul और सप्लाई पर भी बात हुई है। अंगोला की सशस्त्र सेनाओं की ट्रेनिंग में सहयोग करने में हमें खुशी होगी।

अपनी विकास साझेदारी को आगे बढ़ाते हुए, हम Digital Public Infrastructure, स्पेस टेक्नॉलॉजी, और कैपेसिटी बिल्डिंग में अंगोला के साथ अपनी क्षमताएं साझा करेंगे। आज हमने healthcare, डायमंड प्रोसेसिंग, fertilizer और क्रिटिकल मिनरल क्षेत्रों में भी अपने संबंधों को और मजबूत करने का निर्णय लिया है। अंगोला में योग और बॉलीवुड की लोकप्रियता, हमारे सांस्कृतिक संबंधों की मज़बूती का प्रतीक है। अपने people to people संबंधों को बल देने के लिए, हमने अपने युवाओं के बीच Youth Exchange Program शुरू करने का निर्णय लिया है।

Friends,

International Solar Alliance से जुड़ने के अंगोला के निर्णय का हम स्वागत करते हैं। हमने अंगोला को भारत के पहल Coalition for Disaster Resilient Infrastructure, Big Cat Alliance और Global Biofuels Alliance से भी जुड़ने के लिए आमंत्रित किया है।

Friends,

हम एकमत हैं कि आतंकवाद मानवता के लिए सबसे बड़ा खतरा है। पहलगाम में हुए आतंकी हमले में मारे गए लोगों के प्रति राष्ट्रपति लोरेंसू और अंगोला की संवेदनाओं के लिए मैंने उनका आभार व्यक्त किया। We are committed to take firm and decisive action against the terrorists and those who support them. We thank Angola for their support in our fight against cross - border terrorism.

Friends,

140 करोड़ भारतीयों की ओर से, मैं अंगोला को ‘अफ्रीकन यूनियन’ की अध्यक्षता के लिए शुभकामनाएं देता हूँ। हमारे लिए यह गौरव की बात है कि भारत की G20 अध्यक्षता के दौरान ‘अफ्रीकन यूनियन’ को G20 की स्थायी सदस्यता मिली। भारत और अफ्रीका के देशों ने कोलोनियल rule के खिलाफ एक सुर में आवाज उठाई थी। एक दूसरे को प्रेरित किया था। आज हम ग्लोबल साउथ के हितों, उनकी आशाओं, अपेक्षाओं और आकांक्षाओं की आवाज बनकर एक साथ खड़े रहे हैं ।

पिछले एक दशक में अफ्रीका के देशों के साथ हमारे सहयोग में गति आई है। हमारा आपसी व्यापार लगभग 100 बिलियन डॉलर हो गया है। रक्षा सहयोग और maritime security पर प्रगति हुई है। पिछले महीने, भारत और अफ्रीका के बीच पहली Naval maritime exercise ‘ऐक्यम्’ की गयी है। पिछले 10 वर्षों में हमने अफ्रीका में 17 नयी Embassies खोली हैं। 12 बिलियन डॉलर से अधिक की क्रेडिट लाइंस अफ्रीका के लिए आवंटित की गई हैं। साथ ही अफ्रीका के देशों को 700 मिलियन डॉलर की ग्रांट सहायता दी गई है। अफ्रीका के 8 देशों में Vocational ट्रेनिंग सेंटर खोले गए हैं। अफ्रीका के 5 देशों के साथ डिजिटल पब्लिक इंफ्रास्ट्रक्चर में सहयोग कर रहे हैं। किसी भी आपदा में, हमें अफ्रीका के लोगों के साथ, कंधे से कंधे मिलाकर, ‘First Responder’ की भूमिका अदा करने का सौभाग्य मिला है।

भारत और अफ्रीकन यूनियन, we are partners in progress. We are pillars of the Global South. मुझे विश्वास है कि अंगोला की अध्यक्षता में, भारत और अफ्रीकन यूनियन के संबंध नई ऊंचाइयां हासिल करेंगे।

Excellency,

एक बार फिर, मैं आपका और आपके डेलीगेशन का भारत में हार्दिक स्वागत करता हूँ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।

ओब्रिगादु ।