দেশের বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি নানাবিধ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
নবি মুম্বাইয়ে মহিলা ও শিশুর ক্যান্সার হাসপাতাল বিল্ডিং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
নবি মুম্বাইয়ে ন্যাশনাল হ্যাড্রন বিম থেরাপি ফিসিলিটি, রেডিওলজিক্যাল রিসার্চ ইউনিট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
মুম্বাইয়ে ফিসন মলিবডেনাম-৯৯ প্রোডাকশন ফিসিলিটি, বিশাখাপত্তনমে রেয়ার আর্থ পারমানেন্ট ম্যাগনেট প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
জাতনিতে হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র, মুম্বাই-এ টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবলি ব্লক উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল
“ভারত আজ সমস্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এক প্রযুক্তি নেতৃত্বের জায়গা করে নিচ্ছে”
লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব অবজারভেটরি- ইন্ডিয়া (এলআইজিও-ইন্ডিয়া)-র শিলান্যাস করা হয়েছে
২৫তম জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রা প্রকাশ করা হয়েছে
“আমি কখনই ভুলতে পারবো না সেই অসাধারণ ঘটনা যখন অটলজি ভারতের সফল পরমানু পরীক্ষার ঘোষণা করছেন”
“আমরা আমাদের যাত্রার কখনও বিরতি দিইনি এবং কোনোদিন আমাদের চলার পথে কোনো চ্যালেঞ্জের কাছে আত্মসমর্পণ করিনি”
“দেশকে বিকশিত এবং আত্মনির্ভর করে তুলতে হবে”
“আজকের শিশু এবং তরণদের মধ্যে যে আবেগ, শক্তি এবং সক্ষমতা রয়েছে তাই হল ভারতের শক্তি”
ভারতের এই উদ্ভাবকরাই আগামীদিনে বিশ্বের উদ্যোগপতি হয়ে উঠবে

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার অগ্রজ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় শ্রী রাজনাথ সিং জি, ডক্টর জিতেন্দ্র সিং জি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জগতের সকল সম্মানিত সদস্য এবং আমার তরুণ বন্ধুগণ!

আজ, ১১ই মে, আজকের দিনটি ভারতের ইতিহাসের সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলির মধ্যে অন্যতম। আজকের দিনে ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানীরা রাজস্থানের পোখরানে সেই সাফল্য অর্জন করেছিলেন, যা সেদিন ভারতমাতার প্রত্যেক সন্তানকে গর্বিত করেছিল। যেদিন অটলজি ভারতের সফল পারমাণবিক পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেই দিনটি আমি কখনও ভুলতে পারি না। পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষার মাধ্যমে, ভারত কেবল তার বৈজ্ঞানিক সক্ষমতাই প্রমাণ করেনি, ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদাকে একটি নতুন উচ্চতাও প্রদান করেছে। অটলজির ভাষায় যদি বলি, ‘আমরা কখনও আমাদের লক্ষ্য পূরণের অভিযানে থেমে থাকিনি। কোনও প্রতিকূলতার সামনে কখনো মাথা নত করিনি।‘ আমি সকল দেশবাসীকে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ,

আজ, এই উপলক্ষে, অনেক ভবিষ্যতমুখী উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়েছে এবং ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের ‘ন্যাশনাল হ্যাড্রন বিম থেরাপি ফেসিলিটি ’ এবং ‘রেডিওলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার’ থেকে শুরু করে বিশাখাপত্তনমের ‘বিএআরসি ক্যাম্পাস’-এর ‘রেয়ার আর্থ পারমানেন্ট ম্যাগনেট প্ল্যান্ট’, মুম্বাইয়ের ‘ফিশন মলি-৯৯ প্রডাকশন ফেসিলিটি’ সহ বিভিন্ন শহরের ক্যান্সার হাসপাতাল পর্যন্ত এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান পারমাণবিক প্রযুক্তির উন্নয়নে নিবেদিত। আপনাদের সাহায্যে আমরা মানবতা ও ভারতের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করব। আজ, ‘টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ’ এবং 'লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি- ইন্ডিয়া (LIGO-India)'-র ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে। LIGO আজ একবিংশ শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্যোগগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশে এমন মানমন্দির রয়েছে। এই মানমন্দিরটি ভারতের ছাত্র ও বিজ্ঞানীদের জন্য আধুনিক গবেষণার অনেক নতুন সুযোগ নিয়ে আসছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য আমি দেশের বৈজ্ঞানিক সমাজ এবং সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

বর্তমানে আমরা স্বাধীনতার অমৃতকালের একদম গোড়ার দিকের মাসগুলিতে রয়েছি। ২০৪৭ সালের জন্য আমাদের স্পষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। দেশকে উন্নত করতে হবে, দেশকে স্বাবলম্বী করতে হবে। ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ বা উদ্ভাবনের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা - এরকম প্রতিটি পদক্ষেপে  প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জন্য অপরিহার্য। আর সেজন্যই আজ ভারত এক্ষেত্রে একটি নতুন সুষ্পষ্ট চিন্তাভাবনা নিয়ে, ৩৬০° সংহত দৃষ্টিকোণ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত প্রযুক্তিকে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করে। আজ এখানে এসে আমি এটা দেখে খুবই আনন্দ পেয়েছি যে এই বছরের মূলভাবনা রাখা হয়েছে 'স্কুল টু স্টার্টআপস- ইগনাইটিং ইয়াং মাইন্ডস টু ইনোভেট' বা বিদ্যালয় থেকে স্টার্ট আপ পর্যন্ত – নবীন মনে উদ্ভাবনের স্ফূলিঙ্গ সঞ্চার’ । স্বাধীনতার এই অমৃতকালে, ভারতের ভবিষ্যৎ কেমন হবে - তা আমাদের আজকের তরুণ প্রজন্ম, আমাদের আজকের ছাত্র-যুবরাই ঠিক করবে। আজকের তরুণ প্রজন্মের মনে রয়েছে নতুন নতুন স্বপ্ন, নতুন নতুন সংকল্প। তাদের শক্তি, তাদের উৎসাহ, তাদের উদ্দীপনা, এটাই আজকের ভারতের সবচাইতে বড় শক্তি।

 

বন্ধুগণ

আজ ভারত প্রত্যেক দিকে এগিয়ে চলেছে, যা কোনও একটি প্রযুক্তিক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা অনেকেই জানেন যে ২০১৪ সালে আমাদের দেশে মাত্র ১৫০ টি ইনকিউবেশন সেন্টার ছিল। আজ ভারতে ইনকিউবেশন সেন্টারের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত ‘গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স’ -এ ৮১ নম্বরে ছিল আজ, সেখান থেকে উঠে ৪০তম স্থানে পৌঁছে গেছে। আজ দেশের তরুণরা, আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ডিজিটাল উদ্যোগ গড়ে তুলছে, স্টার্টআপ শুরু করছে। ২০১৪ সালে, এদেশে স্টার্ট-আপের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক শতাধিক। আজ আমাদের দেশে স্বীকৃত স্টার্ট আপের সংখ্যাও প্রায় এক লাখে পৌঁছেছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম হয়ে উঠেছে। আর এই প্রবৃদ্ধি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্ব চরম অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই বিস্তার ভারতের সামর্থ্যকে তুলে ধরে, ভারতের প্রতিভাকে তুলে ধরে। আর তাই আমি আবারও বলব, নীতিনির্ধারকদের জন্য, আমাদের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা আমাদের হাজার হাজার গবেষণাগারের জন্য, আমাদের বেসরকারি খাতের জন্য, এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 'স্কুল থেকে স্টার্টআপ'-এর এই যাত্রাপথে আমাদের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবে, কিন্তু আপনাদের তাঁদেরকে নিয়মিত গাইড করতে হবে এবং উৎসাহ জোগাতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সকলকে নিয়মিত পূর্ণ সমর্থন জানাতে থাকবো।

বন্ধুগণ

আমরা যখন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সামাজিক প্রেক্ষাপট বুঝে এগিয়ে যাই, তখন প্রযুক্তি ক্ষমতায়নের একটি বড় মাধ্যম হয়ে ওঠে। এটি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার এবং ভারসাম্যহীনতা দূর করার একটি উপায় হয়ে ওঠে। একটা সময় ছিল যখন প্রযুক্তি সাধারণ ভারতীয়দের নাগালের বাইরে ছিল। আপনাদের হয়তো মনে আছে, একটা সময় ছিল, যখন কারও পকেটে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড বহন করা স্ট্যাটাস সিম্বল হিসাবে বিবেচিত হত। কিন্তু ভারতের ইউপিআই তার পদ্ধতিগত সরলতার কারণে আজ ‘নিউ নর্মাল’ বা নতুন স্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের উপায় হয়ে উঠেছে। আজ, রাস্তার বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিকশাচালক, সবাই ডিজিটাল লেন্দেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যেখানে সর্বাধিক ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করা হয়। সবচাইতে মজার কথা হল যে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আজ শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি। এটি মানুষের কাছে তথ্য, সম্পদ এবং সুযোগের একটি নতুন জগত খুলে দিচ্ছে। JAM ট্রিনিটি বা জনধন – আধার – মোবাইলের সম্মীলিত ব্যবহার, GeM পোর্টাল, CoWIN পোর্টাল বা কৃষকদের জন্য ডিজিটাল কৃষি বাজার বা- ‘ই-ন্যাম’ সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সরকার ‘এজেন্ট অফ ইনক্লুশন’ বা সামাজিক অন্তর্ভুক্তির এজেন্ট হিসাবে প্রযুক্তির ব্যবহারকে সুল্ভ করে তুলেছে।

বন্ধুগণ,

সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার সমাজে নতুন শক্তি যোগায়। আজ, ভারতে জীবনচক্রের প্রতিটি পর্যায়ের জন্য এক বা একাধিক প্রযুক্তিগত সমাধান প্রস্তুত করা হচ্ছে। জন্মের সময়, অনলাইন জন্ম শংসাপত্রের সুবিধা রয়েছে। শিশু যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে, তখন তার জন্য ‘ই-পাঠশালা’ এবং ‘দীক্ষা’র মতো বিনামূল্যে ‘ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম’ রয়েছে। আর মেধা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, তারা ‘ন্যাশানাল স্কলারশিপ পোর্টাল’-এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তারপর সে যখন বড় হয়ে চাকরি শুরু করে, তখন তার কাছে ‘ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস নম্বর’-এর সুবিধা রয়েছে, যাতে চাকরিক্ষেত্র বা কোম্পানি পরিবর্তন করার পরেও সে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়। কোনও অসুখ হলে আজই ‘ই-সঞ্জীবনী’র সাহায্যে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন। বয়স্কদের জন্য বায়োমেট্রিক-সক্ষম ডিজিটাল পরিষেবার সুবিধা রয়েছে- জীবন প্রণাম। আপনারা স্মরণ করুন, মাত্র কয়েক বছর আগেই পেনশনের মতো পরিষেবার জন্য প্রবীণদের প্রতিবছর বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হতো। তাঁরা অসুস্থ থাকলে বা হাঁটাচলার অসুবিধা থাকলেও, তাঁদের সশরীরে যাচাই করানোর জন্য যেতে হতো। এখন প্রযুক্তির সাহায্যে এসব সমস্যার অবসান ঘটছে। দৈনন্দিন জীবনে, প্রযুক্তির সমাধান প্রতিটি পদক্ষেপে দেশের নাগরিকদের সাহায্য করছে। তিনি যদি দ্রুত পাসপোর্ট করাতে চান, তাহলে রয়েছে ‘এম পাসপোর্ট’ পরিষেবা। তিনি যদি বিমানবন্দরে ঝামেলা-মুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চান, তাহলে রয়েছে ‘ডিজিযাত্রা অ্যাপ’। যদি তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি সুরক্ষিত রাখতে হয়, তবে রয়েছে ‘ডিজি-লকার’ পরিষেবা। এই সমস্ত প্রচেষ্টা সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব সহায়তা সুনিশ্চিত করেছে।

 

বন্ধুগণ,

বর্তমানে প্রযুক্তির জগতে প্রতিদিনই দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এই গতির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে, মেলবন্ধন ঘটাতে এবং এই গতিকে অতিক্রম করতে আজ ভারতের যুবক -যুবতীরাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামগুলি নতুন নতুন অগ্রগতির উপাদান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আজ আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে অসীম সম্ভাবনা অনুভব করছি। ড্রোন প্রযুক্তিতেও নিত্য নতুন উদ্ভাবন ঘটছে। একইভাবে থেরাপিউটিকস সেক্টরও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এহেন বৈপ্লবিক প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আজ ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রটিকে স্বনির্ভর করে তুলছে। এ ছাড়া আমাদের তরুণ স্টার্ট আপ শিল্পদ্যোগীরা  অনেক সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিরক্ষায় উদ্ভাবনের জন্য, আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘ইনোভেশন ফর ডিফেন্স অ্যাক্সেলেন্স’ বা ‘iDEX’ চালু করেছি। আমি খুশি যে আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১৪টি ‘ iDEX’ উদ্ভাবিত ও উৎপাদিত সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে৷

 

বন্ধুগণ,

‘আই- ক্রিয়েট’ থেকে শুরু করে ‘ডিআরডিও ইয়ং সাইটিস্টস ল্যাবস’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আজ এই প্রচেষ্টাগুলিকে একটি নতুন দিকনির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণা এবং কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রেও নতুন নতুন সংস্কারের মাধ্যমে ভারত আজ বিশ্বব্যাপী ‘গেম চেঞ্জার’ বা পরিবর্তনের অগ্রদূত রূপে আবির্ভূত হচ্ছে। এক্টু আগেই আমি ‘এসএসএলভি’ এবং ‘পিএসএলভি অরবিটাল প্ল্যাটফর্ম’-এর মতো প্রযুক্তিগুলি দেখছিলাম। আমাদের তরুণদের নতুন সুযোগ দিতে হবে, মহাকাশ গবেষণা এবং কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রে আমাদের স্টার্টআপের জন্য নতুন সুযোগ করে দিতে হবে। ‘কোডিং’ থেকে শুরু করে ‘গেমিং’ এবং ‘প্রোগ্রামিং’ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। এই সময়ে, ভারতও ‘সেমি কন্ডাক্টর’-এর মতো নতুন ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে তার উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। নীতিগত পর্যায়ে উৎসাহ জোগাতে আমরা পিএলআই স্কিমের মতো উদ্যোগ নিচ্ছি। এই ক্ষেত্রে মেধাবী যুবকদের সমর্থন করা শিল্পজগত ও প্রতিষ্ঠানগুলির দায়িত্ব।

 

বন্ধুগণ,

আজ উদ্ভাবন থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই ‘হ্যাকথন’গুলি একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সরকার তাদের জন্য প্রতিনিয়ত প্রচার করছে। আমাদের এই ‘হ্যাকথন’ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে, স্টার্টআপগুলিকে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এই প্রতিভাদের হাত ধরে থাকতে হবে, যাতে তাদের এগিয়ে যেতে বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হতে হয়, এর জন্য আমাদের একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। বিশেষ করে, ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’ থেকে বেরিয়ে আসা যুবকদের এক্ষেত্রে জড়িত রাখার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমরা কি একইভাবে দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০০টি করে ল্যাব চিহ্নিত করতে পারি, যেগুলি তরুণরাই পরিচালনা করবে? ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক চাষের মতো ক্ষেত্রগুলিতে, যেগুলিকে দেশের সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে, আমাদের গবেষণা ও প্রযুক্তির অগ্রগতি সুনিশ্চিত করতে হবে। এর জন্যও নবীন প্রজন্মকে মিশন মোডে সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। আমি নিশ্চিত যে, এবারের জাতীয় প্রযুক্তি সপ্তাহ এই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে, আবারও এই অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্যের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।