প্রবীণ আধিকারিক এবং আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ!
আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই!
লাক্ষাদ্বীপের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য খুব কমই ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। জাহাজ চলাচল এখানকার জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বন্দর ক্ষেত্রের পরিকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থেকেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এমনকি, পেট্রোল ও ডিজেলের সহজলভ্যতা - বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের সরকার এখন এই সমস্যাগুলির সমাধানে সক্রিয় হয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের কাভারাত্তি ও মিনিকয় দ্বীপে প্রথম পিওএল বাল্ক স্টোরেজ ফেসিলিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রিয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
গত এক দশক ধরে আগাত্তিতে প্রচুর উন্নয়নমূলক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের প্রিয় মৎস্যজীবীদের জন্য নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। আগাত্তিতে এখন একটি বিমানবন্দর এবং আইস প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে সমুদ্রজাত খাদ্যসামগ্রীর প্রক্রিয়াকরণ এবং সেগুলির রপ্তানিতে প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে। এই অঞ্চল থেকে টুনা মাছ রপ্তানির ফলে লাক্ষাদ্বীপের মৎস্যজীবীদের আয় বাড়বে।
আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ,
এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির চাহিদা পূরণ করতে একটি বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিমানে ব্যবহৃত জ্বালানির ডিপো তৈরি করা হয়েছে, যার সুফল আপনারা সবাই পাবেন। আগাত্তি দ্বীপের প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছনোর খবর পেয়ে আমি আনন্দিত। সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য আবাসন, শৌচাগার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। কেন্দ্রীয় সরকার আগাত্তি সহ লাক্ষাদ্বীপের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামীকাল কাভারাত্তিতে আমি লাক্ষাদ্বীপের জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প উৎসর্গ করব। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপের জনসাধারণ যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সে সংক্রান্ত একটি প্রকল্প, যার ফলে স্থানীয় পর্যটন শিল্পের সুবিধা হবে। আজ রাতে আমি লাক্ষাদ্বীপে থাকব। আগামীকাল সকালে আমি দ্বীপের জনসাধারণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব এবং মতবিনিময় করব। আমাকে আপনারা যেভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তার জন্য প্রত্যেককে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন