Government stands firmly with them as a friend”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগণ এবং উপস্থিত সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ,
আজ দেশ বীর সাহিবজাদাদের (গুরু গোবিন্দ সিংহ – এর চার পুত্র সাহিবজাদা অজিত সিংহ, জুঝার সিংহ, জোরাওরার সিংহ এবং ফতেহ সিংহ) অমর আত্মবলিদানকে স্মরণ করছে, তাঁদের থেকে প্রেরণা নিচ্ছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে আমরা জাতীয় ক্ষেত্রে বাল দিবস রূপে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। গত বছর দেশ প্রথমবার এই ২৬ ডিসেম্বর তারিখে বীর বাল দিবস উদযাপন করেছে। তখন গোটা দেশে সমস্ত নাগরিক ভাববিভোর হয়ে এই সাহিবজাদাদের বীরগাথা শুনেছে। বীর বাল দিবস আমাদের ভারতীয়ত্ব রক্ষার জন্য যে কোনও কিছু, যে কোনও প্রকার আত্মোৎসর্গ করার সংকল্পের প্রতীক। এই দিনটি আমাদের মনে করায় যে, যাঁরা শৌর্যের প্রতীক হন, তাঁদের বয়স কম না বেশি – তাতে কিছু যায়-আসে না। আজকের এই উৎসব সেই মহান ঐতিহ্যের উৎসব, যেখানে গুরু বলেছেন, “সূরা সো পেহেচানিয়ে, জো লর্যে দীন কে হেত, পুরজা পুরজা কাট মর্যে, কবহু না ছাডে খেত”!
মাতা গুজরী, গুরু গোবিন্দ সিংজী এবং তাঁর চার বীর পুত্র সাহিবজাদাদের বীরত্ব ও তাঁদের আদর্শ, আজও প্রত্যেক ভারতবাসীকে শক্তি যোগায়। সেজন্য এই বীর বাল দিবস সেই প্রকৃত বীরদের অপ্রতিম শৌর্য এবং তাঁদের জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি রাষ্ট্রের প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি। আজ আমি বাবা মতিরাম মেহরা, তাঁর পরিবারের আত্মবলিদান এবং দেওয়ান টোডরমলের ভক্তিকেও সশ্রদ্ধ স্মরণ করছি। আমাদের গুরুদের প্রতি অগাধ ভক্তি আমাদের মনে দেশভক্তির যে উদ্দীপনা জাগ্রত করে, এটা তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ।
আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যগণ,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন বীর বাল দিবস আন্তর্জাতিক স্তরেও পালন করা শুরু হয়েছে। এ বছর আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমীরশাহী এবং গ্রিসেও এই বীর বাল দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের এই বীর সাহিবজাদাদের গোটা বিশ্ব আরও বেশি করে জানবে তাঁদের মহান আত্মবলিদান থেকে শিক্ষালাভ করবে। আজ থেকে ৩০০ বছর আগে চমকৌর এবং সরহিন্দের যুদ্ধে যা হয়েছিল, সেই ইতিহাস অবিস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এই ইতিহাস অতুলনীয়। আগামী প্রজন্মের মানুষদের এই ইতিহাস স্মরণ করানো অত্যন্ত প্রয়োজন। যখন দেশ অন্যায় ও অত্যাচারের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জমান ছিল, তখনও আমরা এক মুহূর্তের জন্যও নিরাশাকে প্রশ্রয় দিইনি। আমরা ভারতীয়রা নিজেদের আত্মাভিমান রক্ষার পাশাপাশি অত্যাচারীদের মোকাবিলা করেছি। আমাদের পূর্বজরা আবালবৃদ্ধ নির্বিশেষে সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের জন্য বেঁচে থাকার পরিবর্তে এই মাটির জন্য মরে যাওয়াকেই বেশি পছন্দ করেছেন।
বন্ধুগণ,
যতদিন পর্যন্ত আমরা নিজেদের ঐতিহ্যকে সম্মান করিনি, বিশ্ববাসীও আমাদের ঐতিহ্যকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আজ যখন আমরা নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করছি, তখন আমাদের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গীও বদলেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দেশ ক্রমে দাসত্বের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসছে। আজকের ভারত তার নাগরিকদের উপর, নিজেদের সামর্থ্যের উপর এবং নিজেদের ইতিহাস থেকে পাওয়া প্রেরণাগুলির উপর সম্পূর্ণ ভারসা করে। আজকের ভারতের জন্য সাহিবজাদাদের আত্মবলিদান জাতীয় প্রেরণার বিষয়। আজকের ভারতকে প্রেরণা যোগায় ভগবান বীরসা মুন্ডার আত্মবলিদান, প্রেরণা যোগায় গোবিন্দ গুরুর আত্মবলিদান।এই প্রেরণায় গোটা দেশ উজ্জীবিত হয়। আর যখন কোনও দেশ তার ঐতিহ্য সম্বল করে এরকম গর্বের সঙ্গে এগিয়ে যায়, তখন বিশ্ববাসীও তাঁদের সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে দেখে ও সম্মান দেয়।
বন্ধুগণ,
আজ গোটা বিশ্ব ভারত ভূমিকে সুযোগের ভূমি রূপে প্রথম সারিতে রাখে। আজ ভারত সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে অনেক বড় বড় আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে ভারত বড় ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, অনুসন্ধান থেকে শুরু করে ক্রীড়া, নীতি থেকে শুরু করে কূটনীতি – আজ সমস্ত ক্ষেত্রে ভারত নতুন সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর সেজন্যই আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছিলাম – ‘এটাই সময়, প্রকৃত সময়, এটা ভারতের সময়’। আগামী ২৫ বছর ভারতের সামর্থ্যের পরাকাষ্ঠা প্রবলভাবে প্রদর্শিত হবে। আর সেজন্য আমাদের ‘পঞ্চপ্রাণ’ নীতি মেনে চলতে হবে। আমাদের জাতীয় চরিত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমাদের একটি মুহূর্তও নষ্ট করলে চলবে না। আমাদের একটি মুহূর্তও থমকে থাকলে চলবে না। গুরুরা তখনও আমাদের এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন, আর তাঁদের এই শিক্ষা আজও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। আমাদের এই মাটির মান-সম্মান-শৌর্য রক্ষার জন্য বেঁচে থাকতে হবে, আমাদের দেশকে উন্নত করার জন্য বেঁচে থাকতে হবে। আমাদের এই মহান দেশের সন্তান রূপে, দেশকে উন্নত করে তোলার জন্য বাঁচতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে, লড়তে হবে এবং বিজয়ী হতে হবে।
আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যগণ,
আজ ভারত সেই সময়খন্ড অতিক্রম করছে, যা বহু যুগ পর একবার আসে। স্বাধীনতার এই অমৃতকালে ভারতের সোনালী ভবিষ্যৎ লেখার জন্য অনেক উপাদান আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম, যে দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষ রয়েছেন। এত শতাংশ নবীন প্রজন্মের মানুষ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও ছিল না। সেই সীমিত যুবশক্তি নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যখন দেশকে দাসত্ব মুক্ত করতে পেরেছেন, তখন আমরা এই বিশাল যুবশক্তি নিয়ে দেশকে কোন উচ্চতায় যে তুলে নিয়ে যেতে পারবো, তা অকল্পনীয়।
ভারত সেই দেশ, যেখানে নচিকেতার মতো বালক জ্ঞানের অন্বেষণে আকাশ-পাতাল এক করে দিয়েছিল। ভারত সেই দেশ, যেখানে এত কম বয়সী অভিমন্যু কঠোর চক্রব্যূহ ভাঙ্গার জন্য ঝাঁপিয়েছিল; ভারত সেই দেশ, যেখানে বালক ধ্রুব এমন কঠোর তপস্যা করেছিল যে, আজ এত বছর পরও তার সঙ্গে কারও তূলনা করা যায় না; ভারত সেই দেশ, যেখানে বালক চন্দ্রগুপ্ত অত্যন্ত কম বয়সে একটি সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য পা বাড়িয়েছিলেন; ভারত সেই দেশ, যেখানে একলব্যের মতো শিষ্য তাঁর গুরুকে দক্ষিণা দেওয়ার জন্য অকল্পনীয় কাজ করে দেখিয়েছিল; ভারত সেই দেশ, যেখানে ক্ষুদিরাম বসু, বটকেশ্বর দত্ত, কণকলতা বড়ুয়া, রানী গাইদিনলিউ, বাজি রাওৎ - এর মতো অনেক নবীন বীর দেশের জন্য তাঁদের সর্বস্ব সমর্পণ করার আগে এক মুহূর্তও ভাবেননি। সেজন্যই আজও আমার বিশ্বাস, আজকের শিশু, আজকের নবীন প্রজন্মের উপর অটল। এই নবীন প্রজন্মই ভবিষ্যৎ ভারতের কর্ণধার। একটু আগে এখানে যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অসাধারণ মার্শাল আর্ট-এর প্রদর্শন করেছে, তাদের অদ্ভুত কৌশল দেখে আমরা শিহরিত হয়েছি, রোমাঞ্ছিত হয়েছি। এ থেকে প্রমাণ হয়, আজও ভারতের বীর বালক-বালিকাদের সামর্থ্য কত বেশি।
আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যগণ,
আগামী ২৫ বছর আমাদের যুবশক্তির জন্য অনেক বড় সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে। ভারতের নবীন প্রজন্মের মানুষ, সে তাঁরা দেশের যে কোনও ক্ষেত্রে, যে কোনও সমাজে জন্ম নিয়ে থাকুন না কেন, তাঁদের স্বপ্ন অসীম। এই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমাদের সরকারের স্পষ্ট পথচিত্র রয়েছে। এজন্য আমাদের স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গী ও নীতি রয়েছে। আমাদের ইচ্ছাশক্তিতে কোনও ভেজাল নেই। আজ ভারত যে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে, তা নিশ্চিতভাবেই একবিংশ শতাব্দীর যুবক-যুবতীদের নতুন সামর্থ্য বিকাশ করবে। আজ দেশে ১০ হাজার অটল টিঙ্কারিং ল্যাব আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে উদ্ভাবন ও গবেষণার নতুন নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করছে। আপনারা স্টার্টআপ ইন্ডিয়া অভিযানের দিকে তাকান। ২০১৪ সালে আমাদের দেশে খুব কম মানুষই এই স্টার্টআপ সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। কিন্তু, আজ ভারতে ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি নতুন স্টার্টআপ রয়েছে। এই স্টার্টআপ-গুলিতে যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন, উদ্ভাবন এবং নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আজ মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৮ কোটিরও বেশি যুবক-যুবতী প্রথমবার নিজস্ব কোনও ব্যবসা, নিজস্ব কোনও স্বনির্ভর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। এরা হলেন গ্রামের গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী জনজাতি ও বঞ্চিত পরিবারগুলি থেকে উঠে আসা যুবক-যুবতীরা। এই যুবক-যুবতীদের কাছে ব্যাঙ্কে গ্যারান্টি দেওয়ার মতো কোনও সম্পদ ছিল না। এই মোদী তাঁদের গ্যারান্টি দিয়েছে। আমাদের সরকার তাঁদের সাথী হয়েছে। আমরা ব্যাঙ্কগুলিকে বলেছি যে, আপনারা নির্ভয়ে এই যুবক-যুবতীদের মুদ্রা ঋণ দিন। ফলে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার মুদ্রা ঋণ পেয়ে আজ কোটি কোটি যুবক-যুবতীর ভাগ্য পরিবর্তিত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা আজ প্রত্যেক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ যুবক-যুবতী গ্রাম, আধা-শহর, দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাঁরা আজ ‘খেলো ইন্ডিয়া অভিযান’ – এর মাধ্যমে বাড়ির কাছেই উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো পাচ্ছেন। স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য যথোচিত ব্যবস্থা পাচ্ছেন। সেজন্য গ্রাম ও গরীবের ছেলেমেয়েরাও আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার মর্যাদা বাড়িয়ে চলেছেন। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, যখন সরকার যুবসম্প্রদায়ের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়, তখন পরিণামও অনেক অসাধারণ হয়।
বন্ধুগণ,
আজ যখন আমি ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলছি, তখন তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হবেন আমার দেশের নবীন প্রজন্ম। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার মানে উন্নত স্বাস্থ্য, উন্নত শিক্ষা। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির শক্তি হয়ে ওঠার মানে হ’ল – জীবনধারণের উৎকর্ষ বৃদ্ধি, সমস্ত পণ্যের উৎকর্ষ বৃদ্ধি। ২০৪৭ সালে উন্নত ভারত কেমন হবে, তার একটি বৃহৎ চিত্র আমাদের যুবশক্তিকেই একটি বৃহত্তর ক্যানভাসে গড়ে তুলতে হবে। সরকার, যুবসম্প্রদায়ের পেছনে একজন সহায়ক বন্ধুরূপে সবলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। উন্নত ভারত গঠনের জন্য যুবসম্প্রদায়ের উপদেশ এবং তাঁদের সংকল্পগুলিকে যুক্ত করার জন্য দেশব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে। আমি দেশের সমস্ত নবীন প্রজন্মের মানুষকে MyGov পোর্টালে উন্নত ভারত কিভাবে গড়ে তোলা যাবে, সে সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানাবো। দেশের যুবশক্তিকে একই মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য সরকার একটি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এই প্রতিষ্ঠান, এই মঞ্চের নাম হ’ল ‘মেরা যুবা ভারত’ বা ‘MY Bharat’। এই মঞ্চটি এখন দেশের নবীন পুত্র ও কন্যা সন্তানদের একটি অনেক বড় সংগঠনে পরিণত হতে চলেছে। আজকাল যে উন্নত ভারত সংকল্প যাত্রা চলছে, সেই সময়ও লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এই ‘MY Bharat’ মঞ্চে নিজেদের নথিভুক্ত করাচ্ছেন। আমি দেশের সমস্ত যুবক-যুবতীদের আবারও অনুরোধ জানাই যে, আপনারা ‘MY Bharat’ – এ গিয়ে নিজেদেরকে অবশ্যই নথিভুক্ত করান।
আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যগণ,
আজ বাল দিবস উপলক্ষে দেশের সমস্ত নবীন প্রজন্মের কাছে আমার নিবেদন যে, আপনারা সকলে নিজেদের স্বাস্থ্য রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন। যখন ভারতের যুবসম্প্রদায় সুস্থ ও সবল থাকবেন, তখন তাঁরা নিজেদের জীবনে ও কর্মজীবনেও সর্বোচ্চ সাফল্য পাবেন। ভারতের যুবসম্প্রদায়কে নিজেদের জন্য কিছু নিয়ম অবশ্যই গড়ে নিতে হবে, আর সেগুলিকে অনুসরণ করতে হবে। যেমন – আমি যদি প্রশ্ন করি যে, আপনারা দিনে বা সপ্তাহে কত ঘন্টা শরীরচর্চা করেন? আপনারা কি সুপারফুড মিলেট বা শ্রী অন্ন সম্পর্কে জানেন? আর আপনারা কি এই শ্রী অন্ন-কে নিজেদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেছেন? আপনারা নিজেদের ডিজিটাল ডিটক্স করার ক্ষেত্রে কতটা লক্ষ্য দিচ্ছেন? আপনারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কী কী করেন? আপনারা কী প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান নাকি ঘুমানোর দিকে ততটা নজর দেন না?
এরকম অনেক প্রশ্ন যা আজকের আধুনিক নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। আরেকটি অনেক বড় সমস্যা হ’ল, যেভাবে একটি জাতি রূপে, একটি সমাজ রূপে আমাদের গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। সেই সমস্যাটি হ’ল – নেশা ও নানারকম ড্রাগের শিকার হওয়া। এই সমস্যা থেকে আমাদের ভারতের যুবশক্তিকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি, সমাজ ও পরিবারের শক্তিকেও নিজেদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে হবে, তার কার্যকারিতা সম্প্রসারিত করতে হবে। আমি আজ এই বীর বাল দিবস উপলক্ষে সমস্ত ধর্মগুরু ও সকল সামাজিক সংস্থাগুলিকে অনুরোধ জানাই যে, আপনারা দেশে ড্রাগস্ – এর বিরুদ্ধে একটি বড় গণআন্দোলন শুরু করুন। দেশে একটি সমর্থ ও শক্তিশালী যুবশক্তি গড়ে তুলতে আমাদের সকলের প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সকলের প্রচেষ্টার, সমবেত প্রচেষ্টার সেই শিক্ষাও আমরা আমাদের গুরুদের কাছ থেকেই পেয়েছি। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার এই ভাবনা থেকেই ভারত উন্নত হবে। আরেকবার আমাদের মহান গুরুদের পরম্পরাকে, আত্মবলিদানকে নতুন সম্মান, নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া বীর সাহিবজাদাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্যকে বিরাম দিচ্ছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভ কামনা!
ওয়াহে গুরুজীকা খালসা, ওয়াহে গুরুজী কি ফতেহ ! (সর্বশক্তিমান গুরুর শিষ্যদল, সর্বশক্তিমান গুরুর জয় !)।