Inaugurates, dedicates to nation and lays foundation stone for multiple development projects worth Rs 55,600 crore in Manipur, Meghalaya, Nagaland, Sikkim, Tripura and Arunachal Pradesh
Lays foundation stone for Dibang Multipurpose Hydropower Project in Arunachal Pradesh
Dedicates Sela Tunnel to the nation to provide all weather connectivity to Tawang
Launches UNNATI scheme worth about Rs 10,000 crores
Inaugurates Sabroom Land Port to facilitate movement of passengers and cargo between India and Bangladesh
Releases coffee table book - Building Viksit Arunachal
“Northeast is the 'Ashtalakshmi' of India”
“Our government is committed to development of the Northeast”
“Development works are reaching Arunachal and the Northeast like the first rays of the sun”
“UNNATI Yojana for encouraging development of industries in the Northeast”

জয় হিন্দ! 

জয় হিন্দ! 

জয় হিন্দ! 

অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরার রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীগণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, সহযোগী সাংসদ, সকল বিধায়ক, অন্যান্য সরকারি প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

'বিকশিত রাজ্য থেকে বিকশিত ভারত'- এই অভিযানকে ঘিরে সারা দেশে উৎসবের আবহ আমি লক্ষ্য করছি। আজ বিকশিত অর্থাৎ উন্নত উত্তর পূর্বাঞ্চল কর্মসূচি উপলক্ষে উত্তর পূর্বের সবকটি রাজ্যের সঙ্গে আমার সংযোগসাধনের এক বিশেষ সুযোগ উপস্থিত। আপনারা সকলে বিপুল সংখ্যায় এখানে সমবেত হয়েছেন। এই ধরনের সমাবেশ লক্ষ্য করে আমি আনন্দিত। এছাড়াও মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা থেকেও হাজার হাজার মানুষ প্রযুক্তির মঞ্চে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিকাশে আপনারা সকলেই সংকল্পবদ্ধ। এই কারণে সকলকেই জানাই আমার অভিনন্দন। এর আগে, আমি অনেকবারই অরুণাচল প্রদেশ সফরে এসেছি। কিন্তু আজকের এই দিনটি আমার কাছে এক বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে উপস্থিত। যেদিকেই তাকাই না কেন আমি দেখতে পাচ্ছি এক বিশাল জনসমুদ্র, এমনকি বহু মা বোনেদের উপস্থিতি এখানকার পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। 

 

বন্ধুগণ, 

উত্তর পূর্বের উন্নয়ন সম্পর্কে আমাদের চিন্তা-ভাবনা খুবই সুস্পষ্ট। কারণ, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে আমরা মিলিত ভাবে 'অষ্টলক্ষ্মী' বলে বর্ণনা করি। ভারতের শিল্প, বাণিজ্য, পর্যটন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও দক্ষিণ এশিয়া তথা পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংযোগ ও যোগাযোগ খুবই তাৎপর্যময়। আজ এখানে ৫৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি কয়েকটি শিলান্যাস পর্বও অনুষ্ঠিত হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের ৩৫,০০০ দরিদ্র পরিবারের জন্য পাকা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আবার অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরার হাজার হাজার পরিবার পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের সংযোগও ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কিত কয়েকটি প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি কয়েকটির আবার উদ্বোধনও করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জল, সড়ক, রেল, স্কুল, হাসপাতাল ও পর্যটন সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে উন্নয়নের গ্যারান্টি। এর আগে, কংগ্রেস বা অন্যান্য পূর্ববর্তী সরকারের আমলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে যে অর্থ বিনিয়োগ করা হতো, তার তুলনায় গত ৫ বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুণ বেশি। এই কথাটির তাৎপর্য হল এই, যে কাজ আমরা মাত্র ৫ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে পেরেছি, তা বাস্তবায়িত করতে কংগ্রেসের কমপক্ষে ২০টি বছর লেগে যেত। এখন বলুন, ২০ বছর ধরে অপেক্ষা করার জন্য কি আপনারা প্রস্তুত ছিলেন। নাকি অত দীর্ঘকাল ধরে আমাদের অপেক্ষা করে থাকা উচিত। আপনারা কি বিশ্বাস করেন যে তাতে প্রগতি ও অগ্রগতির ধারায় গতিসঞ্চার সম্ভব। এবার বলুন, মোদী সরকারের কাজকর্মে আপনারা সন্তুষ্ট কিনা। 

বন্ধুগণ, 

উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর রাখার ফলে 'মিশন পাম তেল'-এর সূচনা আমরা করতে পেরেছি। এই কর্মসূচির আওতায় আজ এই অঞ্চলের প্রথম তেলকলটির উদ্বোধন করা হল। এর ফলে, ভারত শুধুমাত্র ভোজ্য তেল উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে না, এর পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৃষকদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। পাম তেল মিশনের কাজ শুরু করার ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষকরা পাম চাষের ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এজন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়েও উত্তর পূর্বাঞ্চলের এক উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বন্ধুগণ, 

আপনারা প্রায়ই মোদী গ্যারান্টির কথা শুনে থাকেন। কিন্তু জানেন কী এর প্রকৃত অর্থ বা তাৎপর্য কী। অরুণাচল প্রদেশের দূরত্ব যাই হোক না কেন, আপনারা এখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রত্যক্ষ করুন যে মোদী গ্যারান্টি কিভাবে বাস্তবায়িত হয়। ২০১৯ সালে আমি এখানে সেলা টানেল নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গিয়েছিলাম। এখন সেটি সম্পূর্ণ হল তো? এটাই হচ্ছে মোদী গ্যারান্টি। এই ভাবেই ঐ বছরটিতেই আমি ডোনি পোলো বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে ছিলাম। আজ দেখুন সেখানে কিভাবে কল্পনারও অতীত পরিষেবা শুরু হয়েছে। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন যে আমার সেই প্রতিশ্রুতি একটি নির্বাচনী চমক মাত্র। এখন আপনারা উপলব্ধি করছেন যে আমার সেই প্রতিশ্রুতি ছিল বাস্তবায়নেরই এক গ্যারান্টি বিশেষ। যে মাস বা যে বছরেই আমি কাজ শুরু করি না কেন, আমার মূল লক্ষ্য হল দেশের নাগরিক তথা আপনাদের মতো সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণ। মোদীর এই গ্যারান্টি যখন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় তখন সারা উত্তর পূর্ব ভারতেই প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়। যার প্রতিধ্বনি শোনা যায় পাহাড় ও নদীতেও। সারা দেশে এখন সকলের কন্ঠে একটি ধ্বনি 'অবকি বার - ৪০০ পার' অর্থাৎ এবারেও এনডিএ সরকার ৪০০-র বেশি আসন লাভ করতে চলেছে। সারা উত্তর পূর্ব ভারতে ধ্বনিত হোক 'অবকি বার মোদী সরকার'  অর্থাৎ এবারও মোদী সরকার। 

 

বন্ধুগণ, 

মাত্র দু-দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার উন্নতি কর্মসূচিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করেছে। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল উত্তর পূর্বাঞ্চলের শিল্পায়ন প্রচেষ্টায় উৎসাহ দান। এসম্পর্কিত একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিও আপনারা কিছুক্ষণ আগে দেখে থাকবেন। তা থেকে স্পষ্ট যে আমাদের সরকার কত দ্রুততার সঙ্গে সুদক্ষভাবে কাজ করে যেতে পারেন। আজ আমি আপনাদের সকলের সামনে উপস্থিত থেকে উন্নতি যোজনার সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১০ বছরে আমরা যেমন আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছি, অন্যদিকে তেমনি ১২টির মতো শান্তি চুক্তিও বাস্তবায়িত করেছি। এমনকি, সীমান্ত বিরোধ বা নিষ্পত্তিরও আমরা ফয়সালা করে ফেলেছি। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপই হল উত্তর পূর্ব ভারতের শিল্পোন্নয়ন। ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে উন্নতি কর্মসূচির আওতায় নতুন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ ছাড়াও কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। স্টার্টআপ, প্রযুক্তিগত উদ্যোগ, হোমস্টে এবং পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার প্রসার ঘটানো হবে এই অঞ্চলের যুবশক্তিকে উৎসাহ দানের লক্ষ্যে। এই সমস্ত কর্মসূচিগুলির জন্য আপনাদের সকলকেই জানাই আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

বন্ধুগণ, 

উত্তর পূর্বাঞ্চলের মহিলাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাঁদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টিকে বিজেপি সরকার অগ্রাধিকারের দৃষ্টিতে দেখে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সরকার আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে গ্যাস সিলিন্ডার পিছু ১০০ টাকা করে মূল্য হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ নিশ্চিত করতে যে কর্মসূচির আমরা সূচনা করেছি, তার অনেকটাই এপর্যন্ত এগিয়ে গেছে। আমি এজন্য বিশেষ ভাবে অভিন্দন জানাই অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে। সত্যি কথা বলতে কি, সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারত, বিশেষত অরুণাচল প্রদেশ উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আগে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল যে সকলের শেষে বোধ হয় এই অঞ্চলে উন্নয়নের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। কিন্তু দিনের প্রথম সূর্য কিরণের মতোই এই অঞ্চলটি উন্নয়নের আলোতে এখন আলোকিত হয়ে উঠেছে। 

অরুণাচল প্রদেশের ৪৫,০০০ গৃহস্থ পরিবারে পানীয় জলের যোগান পৌঁছে দিতে কয়েকটি প্রকল্পের আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্যদিকে, 'অমৃত সরোবর' অভিযানের আওতায় আরও বেশকিছু জলাশয় ও সরোবর ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে। গ্রামীণ মহিলাদের মানোন্নয়নে সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ অভিযানও শুরু করেছে। এর লক্ষ্য হল 'লাখপতি দিদি' তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ। উত্তর পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার বোন ইতিমধ্যেই 'লাখপতি দিদি'র মর্যাদা অর্জন করেছেন। তাঁরা সকলেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্য। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল সারা দেশে ৩ কোটি বোনের ক্ষমতায়ন ঘটিয়ে তাঁদের 'লাখপতি দিদি'-র মর্যাদায় উন্নীত করা। উত্তর পূর্ব ভারতের মহিলা তথা আমাদের বোন ও কন্যা সন্তানরা তাতে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। 

বন্ধুগণ, 

বিজেপি সরকারের এই কর্ম প্রচেষ্টা সম্পর্কে কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলির দৃষ্টিভঙ্গী কীরকম তা আপনারা ভালো ভাবেই জানেন। দেশের সীমান্ত এলাকায় আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিবর্তে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারগুলি দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছিল। যার ফলে দেশের গ্রাম ও সীমান্ত এলাকা ছিল অবহেলিত এবং সমগ্র জাতির নিরাপত্তা ছিল তখন অনিশ্চিত। এই ভাবে দেশের সীমান্ত অঞ্চলকে অনুন্নত রেখে এবং দেশের সশস্ত্রবাহিনীকে দুর্বল করে তুলে দেশবাসীকে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। এটাই ছিল কংগ্রেসের কর্মসংস্কৃতি। 

 

বন্ধুগণ, 

সেলা টানেলটি অনেক আগেই কিন্তু নির্মিত হওয়ার কথা। কিন্তু কংগ্রেসের মানসিকতা ও অগ্রাধিকারের বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে লোকসভার আসন সংখ্যা খুব সীমিত, সেখানে বিনিয়োগের বিষয়ে তারা ছিল অনাগ্রহী। কিন্তু মোদী সংসদীয় প্রতিনিধিত্বের সংখ্যার বিচারে নয়, বরং জাতির চাহিদা ও প্রয়োজন পূরণ করার লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞে সামিল হতে আগ্রহী। তাই, জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকারের দৃষ্টিতে বিবেচনা করেই আমরা এই টানেলটি নির্মাণ করেছি। এই টানেলটি এমন ভাবে তৈরি যাতে তাওয়াং-এর অধিবাসীরা যে কোন ধরনের জল-হাওয়ায় এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয়, পর্যটন ও পরিবহণকে উৎসাহিত করতেও এই টানেলটির গুরুত্ব অপরিসীম। এই ধরনের আরও কয়েকটি টানেল এই অঞ্চলে নির্মিত হতে চলেছে। 

কংগ্রেস সীমান্ত গ্রামগুলিকে দেশের শেষ গ্রাম মনে করে অবহেলার অন্ধকারে ফেলে রেখে ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে এই গ্রামগুলি হল দেশের সর্ব প্রথম গ্রাম। তাই, এক প্রাণবন্ত গ্রাম গঠনের কর্মসূচির কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। শুধু তাই নয়, দেশে সর্বাপেক্ষা অনগ্রসর আদিবাসী মানুষের জীবন ধারণের মানকে আরও উন্নত করতে আমরা সূচনা করেছি 'প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা'। মণিপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ে তুলতে শিলান্যাস পর্ব আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবার ত্রিপুরায় উদ্বোধন করা হয়েছে সাব্রুম স্থলবন্দর যার মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতের বাণিজ্য প্রচেষ্টা আরও উৎসাহিত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। 

বন্ধুগণ, 

জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক কাজকর্মকে আরও সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ এবং সংযোগ তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতার সময়কাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তর পূর্ব ভারতে সাত সাতটি দশকের সময়কালে নির্মিত হয়েছিল মাত্র ১০,০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক, কিন্তু গত ১০ বছরে ৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় সড়ক আমরা নির্মাণ করে ফেলেছি। ঠিক সেই রকমই ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলে নতুন রেলপথ গড়ে তোলা হয়েছে ২,০০০ কিলোমিটার ব্যাপী। আবার অরুণাচল প্রদেশে দিবাং বহু উদ্দেশ্যসাধক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ত্রিপুরায় একটি সৌরশক্তি প্রকল্পের আজ সূচনা হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, দিবাং বাঁধটি হল দেশের উচ্চতম বাঁধ। 

 

বন্ধুগণ, 

মোদী নিরলস ভাবে দিন রাত কাজ করে চলেছেন দেশের যুবসমাজের উন্নততর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। অনেকেই তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং আমাকে এই ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যেতেও নিষেধ করেন। এই যেমন ধরুন আজ মাত্র একটি দিনের মধ্যেই চার চারটি রাজ্যে আমার কর্মসূচি রয়েছে। এগুলি হল - অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশ। আমার এই পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা সত্বেও বিরোধী দলগুলি আমার ওপর আক্রমণের ধার শানাতে পিছপা হয় না। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে যে মোদীর পরিবার পরিজন কারা? আমি উত্তর দিই, অরুণাচল প্রদেশের প্রতিটি পরিবারের মানুষ আমার পরিবার পরিজন। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ আমার পরিবার পরিজন। এদেশের প্রতিটি ব্যক্তি মানুষ এবং প্রতিটি পরিবারই আমার একান্ত আপন। পাকা বাসস্থান, বিনামূল্যে রেশন, বিশুদ্ধ পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, শৌচাগার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, গ্যাস সংযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসার এবং ইন্টারনেট সংযোগ যতদিন পর্যন্ত না দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, ততদিন পর্যন্ত আমার কোন বিশ্রাম নেই। 

আমার প্রিয় পরিবার পরিজন, 

আপনাদের স্বপ্ন যাই থাকুন না কেন, তার বাস্তবায়নই হল মোদীর সংকল্প বিশেষ। আপনারা যেভাবে আজ এখানে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উপস্থিত থেকে আমাকে আশীর্বাদ করলেন অন্তরের গভীর থেকে আমি তাকে স্বাগত জানাই। সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার জন্য আমি আপনাদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। উন্নয়নের এই উদযাপনে আমরা সকলেই যখন উচ্ছ্বসিত আমি তখন আপনাদের সকলের কাছে আর্জি জানাই আপনাদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইটগুলি চালু করার জন্য। কারণ, তা হয়ে উঠবে আমাদের সকলের কাছে মিলিত ভাবে উৎসব উদযাপনের এক বিশেষ প্রতীক। আসুন আমরা সমোচ্চস্বরে বলে উঠি :

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December

Media Coverage

Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 17 ডিসেম্বর 2024
December 17, 2024

Unstoppable Progress: India Continues to Grow Across Diverse Sectors with the Modi Government