ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি.পি. রাধাকৃষ্ণণনজী, মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজী, উপ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশজী এবং শ্রী অজিত পাওয়ারজী, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সাংসদরা এবং বিধায়করা ও এখানে উপস্থিত অন্যান্য বর্ষিয়ান অতিথি এবং আমার মহারাষ্ট্রের প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
মহারাষ্ট্রের অন্যতম তিন শক্তিপীঠ মা ভবানী, মা মহালক্ষ্মী, মা রেণুকা এবং সপ্তষরুঙ্গিকে আমার প্রণাম জানাই। আমি ভগবান কোপিনেশ্বরের চরণেও আমার শ্রদ্ধা জানাই। আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ এবং বাবাসাহেব আম্বেদকরকেও জানাই আমার শ্রদ্ধা।
ভাই ও বোনেরা,
আজ আমি এক বিশাল খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবার জন্য মহারাষ্ট্রে এসেছি। কেন্দ্রীয় সরকার মারাঠি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এটি কেবল মাত্র মহারাষ্ট্র ও মারাঠি ভাষার সম্মান নয়, এটি দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, জ্ঞান, দর্শন, সাহিত্যের সম্মান। আমি ভারত ও সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সকল মারাঠি ভাষীদের অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
আমি নবরাত্রির সময়ে এই রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার সৌভাগ্য অর্জন করলাম। থানেতে আসার আগে আমি ওয়াসিমে ছিলাম, সেখানে আমি কৃষকদের জন্য ৯.৫ কোটি টাকার কিষাণ সম্মাননিধির অর্থ মঞ্জুর করেছি এবং তাঁদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। এখন এই থানেতে আমরা মহারাষ্ট্রের আধুনিক উন্নয়নের এক নতুন মাইলফলস স্থাপন করতে চলেছি। মহারাষ্ট্রে দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন হচ্ছে। রাজ্যের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারছি মুম্বাই-এমএমআরএ মহাদ্যুতি সরকার মুম্বাই-এমএমআরএ আজ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। থানেতে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, অভিন্ন মেট্রো পরিষেবা যা ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। এছাড়াও নভি মুম্বাই বিমানবন্দরেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। থানে পুরসভার নতুন সদর দপ্তরের ভিত্তিপ্রস্তরের স্থাপন হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে মুম্বাই ও থানে একটি আধুনিক পরিচয় পাবে।
বন্ধুগণ,
আজ আরে থেকে বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স পর্যন্ত জলপথে মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন হয়েছে। মুম্বাইয়ের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এই মেট্রো পথের অপেক্ষায় ছিলেন। আমি আজ এজন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সাহায্যে জাপান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করেছে। এই মেট্রো পরিষেবা ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ভাই ও বোনেরা,
বালাসাহেব ঠাকরের থানের সঙ্গে এক বিশেষ যোগাযোগ ছিল। এই শহর প্রয়াত আনন্দদিঘেজীর শহরও। এই শহর থেকেই দেশ প্রথম মহিলা চিকিৎসক আনন্দিবাই যোশীকে পেয়েছে। আমরা বর্তমানে এইসব মহান ব্যক্তিত্বের স্বপ্ন পূরণ করছি এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে। আমি মুম্বাই এবং থানের জনগণকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এই প্রকল্পগুলির জন্য সমগ্র মহারাষ্ট্রবাসীকে অভিনন্দিত করছি।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে দেশের সব নাগরিকের একটিই লক্ষ্য ‘বিকশিত ভারত’ বা ‘উন্নত ভারত’। সেজন্যই প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং আমাদের সরকারের প্রতিটি স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি এই লক্ষ্য অর্জনের কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের মুম্বাই এবং থানের মতো অন্য শহরগুলিকেও ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে। আমাদের দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে, কারণ আমরা পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের কাজে যে ফাঁক রয়ে গেছে তা পূরণ করবো। মনে করে দেখুন, কিভাবে কংগ্রেস ও তার জোট দলগুলি মুম্বাই ও থানের মতো শহরকে পরিচালন করেছে। এখানে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে যানবাহন। কিন্তু এর কোনো সমাধান তাদের কাছে ছিল না। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাই, বাস্তব অর্থে থমকে ছিল। কিন্তু আমাদের সরকার এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করেছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার মেট্রো নেটওয়ার্ক মুম্বাই মেট্রো পলিটন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত যাত্রাপথ বর্তমানে মাত্র ১২ মিনিটেই সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে। অটল সেতু দক্ষিণ মুম্বাই থেকে নভি মুম্বাই পর্যন্ত দূরত্ব কমিয়েছে। অরেঞ্জ গেট থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে। এরকম আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে, যার তালিকা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। ভারসোভা-বান্দ্রা সমুদ্র সেতু, ইস্টার্ন ফ্রিওয়ে, থানে-বরিভালি সুড়ঙ্গ এবং থানে-সারকুলার মেট্রো রেল প্রকল্প এই শহরের চালচিত্র বদলে দিচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি মুম্বাইবাসীর কাছেও বিশেষ লাভজনক হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের নিকটবর্তী শহরগুলির জন্য উপকারী হবে। তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান, শিল্পক্ষেত্রও উজ্জ্বীবিত হবে।
বন্ধুগণ,
একদিকে আমাদের মহাদ্যুতি সরকার হয়েছে, তারা মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছে। অন্যদিকে আমাদের রয়েছে কংগ্রেস এবং মহা অঘরি জনগণ। যারা যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে সেখানেই উন্নয়নমূলক কাজকে থমকে দিচ্ছে। মুম্বাই মেট্রো এর অনন্য উদাহরণ! মুম্বাই মেট্রো লাইন-৩ এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে। তার কার্যকালেই এই ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু এর পর মহা অঘরি সরকার ক্ষমতায় এলো এবং এই প্রকল্পের কাজ থমকে গেলো। প্রায় আড়াই বছর এই কাজ বন্ধ ছিল। এর ফলে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেলো ১৪ হাজার কোটি টাকা! এই ১৪ হাজার কোটি টাকা কার? এই অর্থ কী মহারাষ্ট্রের ছিল না? এই অর্থ কী মহারাষ্ট্রের জনগণের নয়? মহারাষ্ট্রের করদাতাদের কষ্টার্জিত অর্থ ছিল এটি।
ভাই ও বোনেরা,
একদিকে মহাদ্যুতি সরকার এই কাজ সম্পূর্ণ করেছে, অন্যদিকে মহা অঘরির জনগণ উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। মহা অঘরি তাদের উন্নয়ন বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট করেছে। তারা অটল সেতুরও বিরোধিতা করা। তারা মুম্বাই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প বন্ধ করার ছক করেছিল। ক্ষমতায় থাকার সময়ে তারা এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পটিকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। এমনকি তারা মহারাষ্ট্রের খরা প্রবণ এলাকাগুলিতে জল সম্পর্কিত প্রকল্পের কাজেও বাধা সৃষ্টি করে। এই প্রকল্পগুলি মহারাষ্ট্রের জনগণের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য তৈরি হচ্ছিল কিন্তু মহা অঘরি সরকার তা থামিয়ে দেয়। তারা আপনাদের সব প্রকল্প থমকে দিয়েছিল। বর্তমানে আপনাদের অবশ্যই তাদের থামিয়ে দেওয়া উচিত। উন্নয়ন বিরোধী এই শত্রুদের মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবেন আপনারাই। তাদের অনেক দূরে সরিয়ে দিন!
বন্ধুগণ,
ভারতবর্ষের সবচেয়ে অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দল হচ্ছে কংগ্রেস। কোনো রাজ্যেই কংগ্রেসের চরিত্র পরিবর্তন হবে না। এই দেখুন না গত সপ্তাহেরই একটি ঘটনা। একজন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর নাম জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে। তাদের একজন মন্ত্রী এক মহিলাকে অপমান করেছে ও তার শ্লীলতাহানি করেছে। হরিয়ানায় মাদক সহ ধরা পড়েছে একজন কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেস ভোটের সময়ে অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তবে তারা যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণকে শোষণ করার নতুন পন্থা খুঁজে নেয়। তাদের দুর্নীতির ভাঁড়ার পূর্ণ করতে তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন কর আরোপ করে। হিমাচলে কংগ্রেস সরকার সবরকম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে কংগ্রেস সরকার এক নতুন কর ব্যবস্থা চালু করেছে। আপনারা ভাবতেও পারবেন না তা কী। নতুন এই কর কী? জানতে চান? তারা ‘শৌচাগার কর’ লাগু করেছে! একদিকে মোদী বলছে শৌচাগার নির্মাণের কথা, আর তারা বলছে আমরা ‘শৌচাগারের উপর কর বসাবো’। এক কথায় বলতে বলতে গেলে কংগ্রেস হচ্ছে লুঠতরাজ ও প্রতারণার এক বিশেষ প্যাকেজ। তারা আপনার জমি চুরি করে নেবে, যুব সম্প্রদায়কে মাদক ব্যবহারের দিকে ঠেলে দেবে, আপনার উপর করের বোঝা বাড়াবে, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করবে, মিথ্যা, দুর্নীতি এবং কুশাসনের অন্যতম পরিচয় কংগ্রেস। মনে রাখবেন, আমি আপনাদের সামনে কেবলমাত্র সাম্প্রতিককালের কয়েকটি ছবিই তুলে ধরেছি। সময়ের স্বল্পতার জন্য কংগ্রেস গত কয়েক বছর ধরে যা করছে তার সমগ্র ছবি আমি আপনাদের তুলে ধরতে পারলাম না।
ভাই ও বোনেরা,
মহারাষ্ট্রে তারা ইতিমধ্যেই তাদের যথাযথ রং দেখাতে শুরু করেছে। মহাদ্যুতি সরকার ‘লড়কি বহিন যোজনা’ চালু করেছে এখানকার মহিলাদের জন্য। এই প্রকল্পের আওতায় মহারাষ্ট্রের মহিলারা প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে পাবেন এবং বিনামূল্যে বছরে তিনটি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন। মহা অঘরির সদস্যরা এই বিষয়টি সহ্য করতে পারছেন না। তারা একটি সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা সামান্য সুযোগ পেলেই শিন্ডেজীর উপর তাদের সমস্ত রাগ উগড়ে দেবে এবং শিন্ডেজীর চালু করা সব প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেবে। মহা অঘরি চায়না মা-বোনেদের হাতে অর্থ পৌঁছাক, তারা চায় এই অর্থ যাক মধ্যস্থতাকারীদের হাতে। তাই আমাদের মা-বোনেদের মহা অঘরি জনগণ ও কংগ্রেসের বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
বন্ধুগণ,
কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন একটি প্রশ্ন উঠেছিল যে কেন কংগ্রেস দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা নিজেদের সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। বর্তমানে কংগ্রেসের আসল রং বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে শহর এলাকার নকশালবাহিনীর দ্বারা চালিত হচ্ছে কংগ্রেস। সমগ্র বিশ্বে যারা ভারতের উন্ননয়নকে স্তব্ধ করতে চায়, কংগ্রেস খোলাখুলিভাবে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আর এজন্যই বিশাল ভরাডুবির পরেও কংগ্রেস এখনও সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখে। কংগ্রেস জানে তাদের ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষিত থাকবে কিন্তু অন্য জনগণকে সহজেই ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। তাই জন্য কংগ্রেস ও তার জোট দলগুলির একটাই লক্ষ্য সমাজে বিভাজন তৈরি করা, জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা এবং ক্ষণতা দখল করা। আমাদের একতাকেই দেশের প্রতিরক্ষায় ব্যবহার করতে হবে। আমরা কখনই কংগ্রেস এবং মহা অঘরির জনগণের পরিকল্পনা সফল হতে দিতে পারি না।
বন্ধুগণ,
কংগ্রেস যাত্রা শুরুর পর থেকেই লুঠ শুরু করে। তারা দেশকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তারা মহারাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে, তারা মহারাষ্ট্রেক কৃষকদের ধ্বংস করেছে। তারা যখন সরকার গঠন করেছিল, তখন তারা রাজ্যটিরও ক্ষতি করেছে। আপনারা জানেন আমাদের সরকার ওয়াকফ বোর্ডের অবৈধ দখলদারি বন্ধ করতে একটি বিল এনেছে। কিন্তু কংগ্রেস এখন এই ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, যে তারা ওয়াকফ বোর্ডের এই অবৈধ দখলদারিকে বন্ধ করতে দেবে না। এছাড়াও কংগ্রেসের জনগণ বীর সভরকারের বিরুদ্ধে মন্দ কথা বলছে ও তাকে অপমান করছে। বর্তমানে কংগ্রেস খোলাখুলি বলছে যে তারা জম্মু-কাশ্মীরে পুনরায় ৩৭০ ধারা চালু করবে এবং তাদের সহযোগীরা এ বিষয়ে একেবারে চুপ। কেবলমাত্র নতুন ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য এধরনের মন্তব্য বা নীতি গ্রহণ করাই হলো কংগ্রেসের লক্ষ্য।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে দেশ এবং মহারাষ্ট্রের প্রয়োজন স্বচ্ছ নীতি রয়েছে এমন সৎ এবং সুস্থির সরকার। একমাত্র বিজেপি এবং মহাদ্যুতি সরকারই তা পূরণ করতে পারে। দেশে আধুনিক পরিকাঠামো একমাত্র গড়ে তুলতে পারে বিজেপি। পাশাপাশি সামাজিক পরিকাঠামোও তারাই মজবুত করতে পারে। আমরা উন্নত সড়ক, মহাসড়ক, রাস্তা এবং বিমানবন্দর তৈরি করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছি। আমরা দেশের ২৫ কোটি জনগণকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। আমি নিশ্চিত যে মহারাষ্ট্রের প্রত্যেক জনগণ এই চিন্তাভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এবং এনডিএ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবেন। আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণ করবো। এই আস্থার সঙ্গেই আমি এখানকার সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং যে বিপুল পরিমাণ কাজ হয়েছে তার জন্য আপনাদের সকলকে আরও একবার অভিনন্দন জানাই। আপনারা সকলে আমার সঙ্গে বলুন:
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
ভারত মাতা কি – জয়!
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।