উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্য, রেল, সড়ক, তেল ও গ্যাসের মতো ক্ষেত্রগুলি রয়েছে
শ্রী সাইঁবাবা সমাধি মন্দিরে নতুন দর্শন পংক্তি প্রাঙ্গণের উদ্বোধন করেছেন
নীলওয়ান্দে বাঁধের বামতীরের দীর্ঘ ক্যানেল নেটওয়ার্ক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
‘নমো সেতকারী মহাসন্মান নিধি যোজনা’র সূচনা করেছেন
আয়ুষ্মান কার্ড এবং স্বামীত্ব কার্ড বিতরণ করেছেন
“সামাজিক ন্যায়ের প্রকৃত অর্থ হল দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা এবং যেখানে দরিদ্র মানুষ প্রভূত সুযোগপ্রাপ্ত হবেন”
“দরিদ্রদের কল্যাণ ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়”
“সরকার কৃষকদের ক্ষমতায়নের জন্য দায়বদ্ধ”
“আমাদের সরকার সমবায় আন্দোলনকে শক্তিশালী করার কাজ করছে”;
“মহারাষ্ট্রের প্রভূত সম্ভাবনা আছে”
“যত দ্রুত মহারাষ্ট্র উন্নতি করবে, ভারত তত দ্রুত উন্নতি করবে”

নমস্কার ছত্রপতি পরিবার!
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বহিশজী, কঠোর পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ সিন্ডেজী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রজী, অজিতজী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রিগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং আমার পরিবারের সদস্যরা, যাঁরা আমাদের সকলকে আশীর্বাদ করতে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন! 
আজ সাঁইবাবার আশীর্বাদ নিয়ে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হ’ল। গত পাঁচ দশক ধরে মহারাষ্ট্র যে নীলওয়ান্ডে বাঁধের অপেক্ষায় ছিলেন, তা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আমি সৌভাগ্যবান যে, আমি এখানে জল পূজন করার সুযোগ পেয়েছি। আমি এই মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করারও সুযোগ পেয়েছি। ‘দর্শন কিউ’ প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে দেশ-বিদেশের ভক্তরা উপকৃত হবেন। 

বন্ধুগণ,
আজ সকালে দেশের মহামূল্যবান রত্ন বরাকরি সম্প্রদায়ের জ্যোতি হরি ভক্ত বাবা মহারাজ সতরকরের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি। তিনি কীর্তন ও বাণীর মাধ্যমে যে সমাজ জাগরণের কাজ করতেন, তা আগামী শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর কথা বলার সহজ অভ্যাস, তাঁর প্রেমময় শব্দগুলি, তাঁর শৈলী মানুষকে মুগ্ধ করতো। আমরা তাঁর কন্ঠে ‘জয় জয় রামকৃষ্ণ হরি’ – এই মন্ত্রের মনোমুগ্ধকর প্রভাব দেখেছি। আমি বাবা মহারাজ সতরকরজীকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাই। 
আমার পরিবারের সদস্যগণ,
সামাজিক ন্যায়ের প্রকৃত অর্থ হ’ল দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করা এবং দরিদ্রতম পরিবারগুলির এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া। আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্রে কাজ করছে। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকারের অগ্রাধিকার হ’ল – গরীবের কল্যাণ। যেহেতু বর্তমানে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধিশীল, দরিদ্রদের কল্যাণে সরকারের বাজেটও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আজ মহারাষ্ট্রে ১ কোটি ১০ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এইসব কার্ড প্রাপকগণ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচিতে দেশ গরীবদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন কর্মসূচিতে দেশ ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। ২০১৪ সালের আগের ১০ বছর যা খরচ হয়েছিল, এখন খরচ হয়েছে তার ৬ গুণ। প্রত্যেকটি পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে দিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পিএম স্বনিধি যোজনায় রাস্তার হকাররা হাজার হাজার কোটি টাকার সহায়তা পাচ্ছেন।
বর্তমানে সরকার আরেকটি নতুন কর্মসূচি – পিএম বিশ্বকর্মার সূচনা করেছে। এর অধীনে সূত্রধর, স্বর্ণকার, কুম্ভকার এবং ভাস্করদের মতো লক্ষ লক্ষ পরিবার এই প্রথম সরকারি সাহায্য পাচ্ছে। এ কর্মসূচিতে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। আমি আপনাদের যে অঙ্ক দিচ্ছি তা লক্ষ থেকে কোটি পর্যন্ত। এমনকি, ২০১৪ সালের আগে আপনারা এই অঙ্কের সংখ্যা শুনে থাকবেন, কিন্তু তা ছিল লক্ষ লক্ষ – কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারি। কিন্তু, এখন কি হচ্ছে? লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে নানাবিধ প্রকল্প এবং কর্মসূচিতে। 
আমার পরিবারের সদস্যগণ,
আমার কৃষক বন্ধুদের অধিকাংশই আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। আমি প্রথমেই সেইসব কন্যাদের অভিনন্দন জানাতে চাই, যাঁরা আমাদের কৃষক সমাজের প্রতি বার্তা দিতে আমাদের সামনে ‘ধরতি কহে পুকার’ নামে একটি নাটক পরিবেশন করলেন। আপনারা নিশ্চয়ই এই বার্তা নিয়ে ঘরে যাবেন। আমি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সেই সকল কন্যাদের অভিনন্দন জানাই। 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,
এর আগে কৃষকদের নিয়ে কেউ মাথা ঘামাতো না। আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেদের জন্য আমরা পিএম কিষাণ সম্মান নিধি শুরু করি। এর অধীনে সারা দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ক্ষুদ্র চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও সরাসরি জমা পড়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আমি খুশি যে, মহারাষ্ট্র সরকার ‘নমো সেতকারী মহাসম্মান নিধি যোজনা’ শুরু করেছে। এর অধীনে মহারাষ্ট্রের কৃষক পরিবারকে আরও ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এর অর্থ সম্মান নিধির অধীনে ক্ষুদ্র কৃষকরা ১২ হাজার কোটি টাকা করে পাবেন। 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,
কৃষকদের নামে যাঁরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করেন, তাঁদের জন্য আপনাদের প্রতিটি জলের ফোঁটার জন্য ভুগতে হয়েছে। আজ নীলওয়ান্ডে প্রকল্পে ‘জল পূজন’ করা হ’ল। এটি ১৯৭০ সালে অনুমোদিত হয়। একবার ভেবে দেখুন, এই প্রকল্পের কাজ ৫টি দশক ধরে বকেয়া রয়ে গেছে! যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলো, তখন এই প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হ’ল। এখন মানুষ বাম তীরের খাল থেকে জল পাচ্ছেন, এরপর খুব শীঘ্রই ডান তীরের খালটিও চালু হয়ে যাবে। বলি রাজা জল সঞ্জিবনী যোজনা রাজ্যের খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির জন্য আশীর্বাদ-স্বরূপ। মহারাষ্ট্রের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দশকের পর দশক ধরে বকেয়া আরও ২৬টি সেচ প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে ব্যস্ত। এতে আমাদের কৃষকদের এবং খরা পীড়িত অঞ্চলের অনেক উপকার হবে। কিন্তু, আজ যখন আমরা এই বাঁধ থেকে জল পেতে শুরু করেছি, তখন আমার কৃষক ভাই ও বোনেদের প্রতি আমার একটি অনুরোধ আছে। এই জল ঈশ্বরের দান। তাই, যেন একটি ফোঁটা জলও যাতে নষ্ট না হয় – প্রতি ফোঁটায় আরও বেশি শস্য। আমাদের আরও বেশি করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

আমার পরিবারের সদস্যগণ,
আমরা সৎ উদ্দেশ্যে কৃষকদের ক্ষমতায়নের কাজে যুক্ত। কিন্তু, কিছু মানুষ মহারাষ্ট্রে কৃষকদের নামে রাজনীতি করছে। মহারাষ্ট্রের এক বর্ষীয়ান নেতা, যিনি কেন্দ্রে বহু বছর ধরে কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে সম্মান করি। কিন্তু, তিনি কৃষকদের জন্য কি করেছেন? তাঁর ৭ বছরের রাজত্বকালে সারা দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের শস্য কিনেছেন। সংখ্যাটা মনে রাখুন! ঐ একই ৭ বছরে আমাদের সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ১৩.৫ লক্ষ কোটি টাকার শস্য কিনেছে। ২০১৪’র আগে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে মাত্র ৫০০ – ৬০০ কোটি টাকার ডাল ও তৈলবীজ কেনা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে আমাদের সরকার ডাল ও তৈলবীজের জন্য কৃষকদের ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে। যখন তিনি কৃষি মন্ত্রী ছিলেন, তখন কৃষকদের তাঁদের ন্যায্য পাওনা পেতে মধ্যস্বত্ত্বাভোগীদের উপর নির্ভর করতে হ’ত। মাসের পর মাস কৃষকদের টাকা দেওয়া হয়নি। আমাদের সরকার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের অর্থ সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। 

বন্ধুগণ,
সম্প্রতি রবিশস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। ছোলার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১০৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গম ও সূর্যমুখীর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এতে মহারাষ্ট্রে আমাদের কৃষক বন্ধুদের প্রভূত উপকার হবে। আমরা ইক্ষু চাষীদের স্বার্থ রক্ষায় নজর দিয়েছি। ক্যুইন্টাল প্রতি আখের দাম বাড়িয়ে ৩১৫ টাকা করা হয়েছে। গত ৯ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকার ইথানল কেনা হয়েছে। এই টাকাও আখ চাষীদের কাছেই পৌঁছেছে। আখ চাষীদের সময় মতো অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে চিনি কল ও সমাবায় সমিতিগুলিকে কয়েক হাজার কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

আমার পরিবারের সদস্যগণ,
আমার সরকার সমবায় আন্দোলনকে শক্তিশালী করতেও কাজ করছে। সারা দেশে ২ লক্ষেরও বেশি সমবায় সমিতি স্থাপন করা হয়েছে। কৃষকদের গুদাম ও হিমঘরের সুবিধা নিশ্চিত করতে সমবায় সমিতি এবং পিএসি-গুলিকে সাহায্য করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র চাষীদের সংগঠিত করা হচ্ছে ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন (এফপিও) - এর মাধ্যমে। সরকারের এই প্রয়াসের মাধ্যমেই সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০-রও বেশি এফপিও গঠন করা হয়েছে। 

আমার পরিবারের সদস্যগণ,
মহারাষ্ট্র প্রভূত সম্ভাবনার কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্র যত দ্রুত উন্নতি করবে, ভারত তত দ্রুত উন্নতি করবে। এই কয়েক মাস আগে মুম্বাই ও শিরডির মধ্যে সংযোগকারী বন্দেভারত ট্রেনের উদ্বোধন করার সুযোগ আমার হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে রেলপথের সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া লাগাতার চলছে। জলগাঁও ও ভুসওয়ালের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনের উদ্বোধন হওয়ার ফলে মুম্বাই – হাওড়া রেলপথে যাতায়াত আরও সহজ হবে। একই রকমভাবে সোলাপুর থেকে বরগাঁও চার লেনের সড়ক হওয়ায় সমগ্র কোঙ্কণ অঞ্চলে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এতে শুধুমাত্র শিল্পগুলি উপকৃত হবে তাই নয়, আখ, আঙুর ও হলুদ চাষীরাও উপকৃত হবেন। এটি পরিবহণেরই রাস্তা তৈরি করবে তা নয়, সার্বিক অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নও ঘটাবে। 
আরও একবার বিপুল সংখ্যায় এখানে এসে আমাকে আশীর্বাদ করার জন্য উপস্থিত হওয়ায় আমি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আসুন, স্বাধীনতার শতবর্ষে ২০৪৭ – এর জন্য আমরা শপথ নিই সারা বিশ্বে ভারত পরিচিত হবে উন্নত ভারত হিসেবে।
অনেক ধন্যবাদ।  

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PM Modi hails diaspora in Kuwait, says India has potential to become skill capital of world

Media Coverage

PM Modi hails diaspora in Kuwait, says India has potential to become skill capital of world
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi