জয় মা কৈলা দেবী, জয় মা কৈলা দেবী, জয় মা কৈলা দেবী!
জয় বুধে বাবা কী, জয় বুধে বাবা কী!
ভারতমাতা কী জয়!
ভারতমাতা কী জয়!
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ জি, পূজ্য শ্রী অবধেশানন্দ গিরি জি, কল্কি ধামের প্রধান আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম জি, পূজ্য স্বামী কৈলাশনন্দ ব্রহ্মচারী জি, পূজ্য সদ্গুরু শ্রী রীতেশ্বর জি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সম্মানীয় সন্তগণ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
কল্কি ধামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, কল্কি ধাম ভারতীয় ধর্মীয় বিশ্বাসের আরও একটি পীঠস্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সমস্ত ভক্তদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আজ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জন্মবার্ষিকী। আজকের দিনটি আমাদের কাছে পবিত্র ও প্রেরণাদায়ক দিন। আজ দেশজুড়ে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তা আমাদের সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনে প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমি নতমস্তকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকে প্রণাম জানাই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ঈশ্বরের নানা রূপ উপলব্ধি করি। এইসব নানা রূপ মিলিতভাবে আমাদের মনে বিশ্বাসের জন্ম দেয়। গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। এখন আমরা সম্ভলে কল্কি ধাম শিলান্যাসের সাক্ষী হচ্ছি।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে একটি নতুন যুগ। খোলা মনে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর এটাই উপযুক্ত সময়। অমৃতকালে দেশ নির্মাণ শুধুমাত্র একটি আকাঙ্ক্ষা নয়, এটি হ’ল একটি অঙ্গীকার, যা প্রতিটি যুগে আমাদের সংস্কৃতি দেখিয়ে এসেছে। আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম জি গভীরভাবে ভগবান কল্কিকে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি যেভাবে এই ধাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কল্কি ধাম তৈরির জন্য তিনি পূর্বতন সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করেছেন।
বন্ধুগণ,
শত শত বছর ধরে আমরা অসংখ্য আক্রমণের শিকার হয়েছি। অন্য কোনও দেশ বা সমাজ হলে, তা ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু, আমরা শুধু নিজেদের রক্ষাই করিনি, আরও শক্তিশালী হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছি। আজ আমরা শত শত বছরের আত্মত্যাগের সুফল ভোগ করছি। ভগবান আজ আমাকে দেশ গড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে চলেছি। আজ প্রথমবারের জন্য ভারত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নানা দিক খুলে দিচ্ছে। এই প্রথম ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম আর্থিক শক্তির দেশে উন্নীত হয়েছে। ভারতে এই প্রথম বুলেট ট্রেন চালুর প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ২৫ বছর আমাদের কঠোর শ্রমের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমাদের অবশ্যই দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে।
বন্ধুগণ,
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভগবান কল্কির আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে আমরা সময়ের আগেই আমাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে পারবো। আমরা শক্তিশালী এবং সক্ষম ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের প্রতি আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ভারতমাতা কী জয়!
ভারতমাতা কী জয়!
ভারতমাতা কী জয়!
অসংখ্য ধন্যবাদ।