জয় ভবানী, জয় ভবানী, জয় সেবালাল! জয় বীরসা!
সকলকে অভিনন্দন জানাই!
মঞ্চে উপবিষ্ট মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বাইসজী, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজী, দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশজী ও অজিত পাওয়ারজী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। আজ এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেরা বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করছেন, আমি তাঁদেরকেও স্বাগত জানাই।
ভাই ও বোনেরা,
আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের এই পবিত্র ভূমিকে প্রণাম জানাই। আমি মহারাষ্ট্রের সন্তান, দেশের গর্ব ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা জানাই। ইয়াবতমল – ওয়াসিম অঞ্চলের সাহসী বাঞ্জারা ভাই ও বোনেদের রাম রাম।
বন্ধুগণ,
১০ বছর আগে ইয়াবতমলে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে আমি যখন এসেছিলাম, তখন আপনাদের অকৃপণ আশীর্বাদ আমি পেয়েছি। দেশের মানুষ এনডিএ-কে ৩০০রও বেশি আসন দিয়েছিলেন। এরপর আমি ২০১৯ – এর ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও ইয়াবতমলে এসেছিলাম। আপনাদের ভালোবাসা আরও একবার আমাদের দিয়েছেন। সেবার দেশ এনডিএ জোট-কে ৩৫০টিরও বেশি আসনে জয়ী করেছিল। আর এবার আমি ২০২৪ – এর নির্বাচনের আগে উন্নয়নের উৎসবে সামিল হয়েছি, দেশ জুড়ে এক ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ অনুরণিত হচ্ছে। এবার … ৪০০রও বেশি আসন, এবার … ৪০০রও বেশি আসন, এবার … ৪০০রও বেশি আসন! আমি দেখতে পাচ্ছি, বিপুল সংখ্যায় মা ও বোনেরা আমাকে আশীর্বাদ করতে এখানে এসেছেন। জীবনে এরচেয়ে আর কি সৌভাগ্যের হতে পারে? আমি বিশেষত, গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মা ও বোনেদের আমার শ্রদ্ধা জানাই। ইয়াবতমল, ওয়াসিম, চন্দ্রপুর এবং সমস্ত বিদর্ভ অঞ্চল এনডিএ সরকারের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত তাঁদের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এবার … ৪০০রও বেশি আসন, এবার … ৪০০রও বেশি আসন!
বন্ধুগণ,
আমরা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাই। ৩৫০ বছর আগে তিনি দেশ শাসন করেছিলেন যখন তিনি ক্ষমতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তাঁর কাছে সবকিছু ছিল। তিনি কিন্তু, সেই ক্ষমতাকে উপভোগ করতে পারতেন। কিন্তু, তিনি তা করেননি। সচেতনভাবে তিনি জাতির সর্বোচ্চ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছেন। যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন, ততদিন তিনি কাজ করেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও দেশ গড়ার কাজ, নাগরিকদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার কাজ করে চলেছি। গত ১০ বছরে আমরা যে কাজ করেছি, তা আসলে আগামী ২৫ বছরের ভিত গড়ার কাজ। ভারতের প্রতিটি কোণায় উন্নয়ন নিশ্চিত করা আমার সংকল্প। আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এই প্রতিশ্রুতি পূরণে উৎসর্গীকৃত। ভারতকে উন্নত করতে যাঁদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি, তাঁরা হলেন – দরিদ্র জনসাধারণ, কৃষক, যুবসম্প্রদায় এবং মহিলা। এদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরা যদি ক্ষমতাশালী হন, তা হলে দেশের প্রত্যেক সমাজ, প্রত্যেক পরিবার ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবেন।
বন্ধুগণ,
আজ ইয়াবতমলের দরিদ্র, কৃষক, যুবসম্প্রদায় এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রচুর কাজ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃষকরা সেচের জল পাচ্ছেন, দরিদ্র মানুষ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন, গ্রামাঞ্চলে আমার বোনেদের আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে এবং দেশের যুবসম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। বিদর্ভ এবং মারাঠাওয়াড়ার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। আজ এখান থেকে বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা হয়েছে। এর জন্য আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রে যে সময় ইন্ডি জোট ক্ষমতায় ছিল, সেই সময়ের অবস্থাটা মনে করার চেষ্টা করুন। তখন কৃষি মন্ত্রী ছিলেন মহারাষ্ট্রের। অথচ, দিল্লি থেকে বিদর্ভের কৃষকদের জন্য যে প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছিল, সেই টাকা মাঝ পথেই উধাও হয়ে যায়। গ্রামের দরিদ্র কৃষক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ কোনও টাকাই পাননি। আর আজকের পরিস্থিতি দেখুন। আমি বোতামে একটি ক্লিক করবো আর পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ২১ হাজার কোটি টাকা দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ২১ হাজার কোটি টাকা খুব একটা কম নয়, এটিই মোদীর গ্যারান্টি। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় দিল্লি থেকে ১ টাকা বরাদ্দ করলে সুবিধা-প্রাপকদের কাছে পৌঁছতো মাত্র ১৫ পয়সা। আজ যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকতো, তা হলে ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আপনাদের কাছে কত টাকা পৌঁছতো। মাঝ পথেই ১৮ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে যেত। কিন্তু, বিজেপি দরিদ্র মানুষের প্রতিটি পয়সা যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করেছে। এটিই মোদীর গ্যারান্টি – প্রত্যেক সুবিধা-প্রাপক যাতে তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা পান, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাতে প্রতিটি পয়সা ঢোকে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
যখন একটি ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকে, তখন মহারাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য ডবল গ্যারান্টি বরাদ্দ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের কৃষকদের অতিরিক্ত ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মহারাষ্ট্রের কৃষকরা পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় এ পর্যন্ত দেশের ১১ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জমা পড়েছে। মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কাছে ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ইয়াবতমলের কৃষকদের কাছে ৯০০ কোটি টাকা পৌঁছেছে। কল্পনা করুন, এই টাকা যখন ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে পৌঁছয়, তখন তাঁদের কতটা সুবিধা হয়। দিন কয়েক আগে আমাদের সরকার আখের সহায়ক মূল্য রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে ১ ক্যুইন্টাল আখের সহায়ক মূল্য ধার্য হয়েছে ৩৪০ টাকা। এর ফলে, মহারাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ আখচাষী এবং ক্ষেত মজুররা উপকৃত হবেন। দিন কয়েক আগে গ্রামাঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম গুদামঘর নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা হয়। আমাদের কৃষক বন্ধুদের পরিচালিত সমবায় সমিতিগুলি এই গুদামঘর পরিচালনা করবে। ক্ষুদ্র কৃষকরা এর ফলে উপকৃত হবেন। তাঁদের আর উৎপাদিত ফসল কম পয়সায় বিক্রি করতে হবে না। অভাবী বিক্রি বন্ধ হবে।
বন্ধুগণ,
বিকশিত ভারত – এর জন্য গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাই, গত ১০ বছর ধরে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত প্রতিটি পরিবারের সমস্যা দূর করতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। তাঁদের জন্য সুস্থায়ী অর্থনীতির ব্যবস্থা করেছি। বিদর্ভের মানুষ ছাড়া জলের সমস্যা কে ভালো বুঝবেন? ২০১৪ সালের আগে দেশের গ্রামাঞ্চলে পানীয় জল ও সেচের জল – সব ক্ষেত্রেই সমস্যা ছিল। সেই সময় ক্ষমতায় থাকা ইন্ডি জোট এ বিষয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা থাকেনি। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতি ১০০টি পরিবারের মধ্যে ১৫টি পরিবার নলবাহিত জল সরবরাহের সুবিধা পেতেন। দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবারের মানুষগুলি সেই সুবিধা পাননি। আমাদের মা ও বোনেদের জন্য এটি বড় সমস্যা ছিল। এই সমস্যার সমাধানে মোদী লালকেল্লার প্রাকার থেকে ‘হর ঘর জল’ – এর গ্যারান্টি দেয়। ৪ – ৫ বছরের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের ১০০টি পরিবারের মধ্যে ৭৫টি পরিবারের কাছে নলবাহিত জল সংযোগ পৌঁছছে। মহারাষ্ট্রে ২০১৪ সালের আগে ৫০ লক্ষেরও কম পরিবার নলবাহিত জলের সুবিধা পেতেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা ১.২৫ কোটিতে পৌঁছেছে। আর তাই আজ সারা দেশ বলছে, মোদীর গ্যারান্টির অর্থ প্রতিশ্রুতি পালনের গ্যারান্টি।
বন্ধুগণ,
মোদী দেশের কৃষকদের আরেকটি গ্যারান্টি দিয়েছেন। দশকের পর দশক ধরে কংগ্রেস সরকার ১০০টি বড় বড় সেচ প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করেনি। আর এখন সেগুলির মধ্যে ৬০টি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বাকিগুলির কাজ চলছে। মহারাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। এই রাজ্য পেয়েছে ২৬টি প্রকল্প। রাজ্যের প্রতিটি কৃষক পরিবার, বিশেষত বিদর্ভ অঞ্চলের কৃষকরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জল সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন। এই রাজ্যের ২৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ৫০ বছর পর বিজেপি সরকার নীলওয়ান্ডে জলাধার প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। বহু দশক পর কৃষ্ণা কোয়না লিফট্ ইরিগেশন প্রকল্প এবং টেম্ভু লিফট ইরিগেশন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের সরকার গোসিখুরদ্ প্রকল্পের সিংহভাগ কাজই সম্পন্ন করেছে। আজ পিএম কৃষি সিঁচাই এবং বলিরাজা জল সঞ্জীবনী প্রকল্পের আওতায় বিদর্ভ ও মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের ৫১টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হ’ল। এর ফলে, ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের সুবিধা পাওয়া যাবে।
বন্ধুগণ,
মোদী গ্রামাঞ্চলের বোনেদের লাখপতি দিদিতে উন্নীত করার গ্যারান্টি দিয়েছে। এ পর্যন্ত দেশের ১ কোটি বোন লাখপতি দিদিতে উন্নীত হয়েছেন। এবারের বাজেটে আমরা ৩ কোটি বোনকে লাখপতি দিদিতে উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেছি। আমি এই প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধ। বর্তমানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত মহিলাদের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাঙ্ক থেকে এরা ৮ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এদের জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। মহারাষ্ট্রে সঞ্চয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বোনেরা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন। আজ এইসব গোষ্ঠীকে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা প্রদান করা হ’ল। ইয়াবতমল জেলায় অনেক বোনকে ই-রিকশা্ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য আমি শিন্ডেজী, দেবেন্দ্রজী এবং অজিত দাদা সহ মহারাষ্ট্র সরকারের সকলকে অভিন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
বোনেরা এখন ই-রিক্শা চালাচ্ছেন। কিন্তু, খুব শীঘ্রই তাঁরা ড্রোন ওড়াবেন। নমো ড্রোন দিদি প্রকল্পে বোনেদের ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরপর, সরকার তাঁদের ড্রোন দেবে। এই ড্রোন কৃষি কাজে ব্যবহার করা হবে।
বন্ধুগণ,
আজ এখানে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জীর প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করা হ’ল। পণ্ডিতজী সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানোন্নয়নে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে ব্রতী হয়েছি। এই প্রথম বিনামূল্যে রেশনের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। আজ রাজ্যের ১ কোটি পরিবারের হাতে আয়ুষ্মান কার্ড তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রথম লক্ষ লক্ষ দরিদ্র পরিবারের জন্য পাকি বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। আজ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আবাসনের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত পরিবারগুলির জন্য ১০ লক্ষ পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হবে। যাঁরা এতদিন অবহেলার শিকার হয়েছেন, এখন মোদী তাঁদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বিশ্বকর্মা এবং বালুতেদর সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক প্রকল্প চালু হয়েছে। মোদী পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার সূচনা করেছে। এই প্রকল্পের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কংগ্রেসের শাসনকালে আদিবাসী সমাজকে গুরুত্ব দেওয়া হ’ত না। কিন্তু, মোদী সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কথা ভাবে। এই প্রথমবার তাঁদের উন্নয়নের জন্য পিএম জনমন যোজনার সূচনা করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের কাতকরি, কোলাম এবং মাডিয়ার মতো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই প্রকল্পের ফলে উন্নত জীবন যাপন করতে পারবেন। দরিদ্র মানুষ, কৃষক, যুবক-যুবতী এবং মহিলাদের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর দেশের উন্নয়ন আরও দ্রুতগতিতে হবে। আগামী পাঁচ বছর বিদর্ভ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারের সদস্যের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। আরও একবার কৃষক পরিবার সহ প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে আপনারাও বলুন,
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
ভারতমাতা কি জয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।