inaugurates and lays the foundation stone of new terminal buildings of 15 airports across the country
Inaugurates Light House Projects (LHP) in Lucknow and Ranchi; foundation stone of these LHPs was laid by the PM in January 2021
Rail and road infrastructure to get strengthened in UP with projects worth more than Rs 19,000 crore
Dedicates to nation about 744 rural road projects under PMGSY worth more than Rs 3700 crore in UP
“Our government is working day and night to make the lives easier for families in Eastern Uttar Pradesh and the country”
“Azamgarh, which was counted among the backward areas, is writing a new chapter of development today”
“Just as our government took public welfare schemes beyond metro cities to small towns and villages... similarly, we are taking the work of modern infrastructure to small towns too”
“Uttar Pradesh decides the politics as well as the direction of the country's development”
“With the double engine government, both the picture and destiny of UP have transformed. Today Uttar Pradesh is among the best performing states in implementing central schemes”

ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজী, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজী, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি এবং বিধান পরিষদের সদস্য শ্রী ভূপেন্দ্র চৌধুরীজী, উত্তরপ্রদেশের মাননীয় মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, অন্য অভ্যাগতবৃন্দ, আজমগড়ের আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আজ আজমগড়ের নক্ষত্র উজ্জ্বল শোভা পাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন দিল্লিতে কোনো অনুষ্ঠান হলে, দেশের অন্য রাজ্যগুলি তাতে যোগ দিত। আজ আজমগড়ের এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি আমাদের সাথে যুক্ত হওয়া হাজার হাজার মানুষকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাচ্ছি। 

বন্ধুগণ,
আজ কেবল আজমগড়েরই নয়, সারা দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে এখানে। আজমগড় একসময় দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হত। আজ দেশের উন্নয়নে এখানে এক নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে। আজমগড় থেকে আজ বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা অথবা উদ্বোধন হচ্ছে। আজমগড়ের সঙ্গেই শ্রাবস্তি, মুরাদাবাদ, চিত্রকূট, আলিগড়, জব্বলপুর, গোয়ালিয়র, লক্ষ্মৌ, পুণে, কোলাপুর, দিল্লি এবং আদমপুরের বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। যে দ্রুততার সঙ্গে এই টার্মিনালগুলির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, গোয়ালিয়রের বিজয়রাজে সিন্ধিয়া বিমানবন্দর তার এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। কেবলমাত্র ১৬ মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আজ নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল কাডাপ্পা, বেলাগাভি এবং হুবলি বিমানবন্দরের জন্য। এই সমস্ত প্রয়াস দেশের সাধারণ মানুষের বিমান যাত্রাকে অনেক সুগম এবং স্বাচ্ছন্দপূর্ণ করে তুলবে।
কিন্তু বন্ধুগণ,
গত কয়েকদিন ধরে সময়াভাবে আমি একটা জায়গা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করছি এবং জনগণ দেশের এতগুলি বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, আইআইএম, এইমস একসাথে গড়ে উঠছে দেখে রীতিমতো পুলকিত হচ্ছেন। কখনও কখনও পুরোনো দিনের সম্পর্কের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা তাঁদের প্রচলিত বিশ্বাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা কী বা বলতে পারেন? ও আচ্ছা এটি নির্বাচনের সময় না! অতীতে নির্বাচনের সময় কী হত ? অতীতের সরকারগুলি জনসাধারণের দৃষ্টি টানতে এই জাতীয় প্রকল্পের ঘোষণা করত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংসদেই নতুন রেলওয়ে প্রকল্পের কথাও জোড়ালোভাবে ঘোষণা করা হত। কেউ আর তা নিয়ে পরে প্রশ্ন তুলত না। আমি এগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ৩০-৩৫ বছর আগে এগুলোর ঘোষণা করে হয়েছিল। নির্বাচনের আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। তারপর, সেগুলি হারিয়ে গেছে। আর হারিয়ে গেছেন সেইসব নেতারাও। সেগুলি কেবল ঘোষণার জন্য ঘোষণা হয়েছিল। আমার স্মরণে আছে, আমি ২০১৯ সালে যখন কোনো ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম, তখন সবসময়ই প্রথম হেডলাইন হত “দেখুন এটা করা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য”। আজ দেশ প্রত্যক্ষ করছে। মোদী হলেন এক কথার মানুষ । ২০১৯ সালে আমরা যেসব প্রকল্পের সূচনা করেছিলাম, তা নির্বাচনের জন্য নয় । আজ আপনারা দেখছেন সেগুলি রূপায়িত এবং উদ্বোধন হতে। দয়া করে এইসব প্রকল্পগুলিকে ২০২৪-এর নির্বাচনের লেন্স চোখে লাগিয়ে দেখবেন না। উন্নয়নের অনন্ত যাত্রাপথে এটি আমার অভিযান। ২০৪৭ সালের “বিকশিত ভারত”(উন্নত ভারত)গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংকল্প পূরণে আমি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছি এবং দেশকেও সেইসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত  থেকে যুক্ত হওয়া মানুষ আজমগড়ের এই ভালোবাসাকে প্রত্যক্ষ করছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, তাঁবুর মধ্যে বসে থাকা মানুষের অপেক্ষা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই ভালাবাসা সত্যিই অবিশাস্য। 

বন্ধুগণ,
বিমানবন্দরের জন্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের পাশাপাশি আজমগড়ে মহাসড়ক, রেলপথ, শিক্ষা, পাণীয়জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমি উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে এইসব প্রকল্পের জন্য অভিনন্দন জানাই। আজমগড়ের মানুষের প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, কারন তাঁরা বহু সংখ্যায় আমাকে আশীর্ব্বাদ জানাতে এসেছেন। আমার আজমগড়ের ভাই ও বোনেরা মোদীর আর একটি গ্যারান্টির কথা কী আপনাদের জানাবো ? দেখুন, আজকের আজমগড় কিন্তু গতদিনের আজমগড় নয়। এটা কোনো দূর্গ নয়। এটা অনন্তকালের উন্নয়নের কেল্লা হয়ে থাকবে। বন্ধুরা এটাই মোদীর গ্যারান্টি।
বন্ধুগণ,
আজমগড়ে আজ এক নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে। আজমগড়ে যারা বসবাস করছেন, এবং এখান থেকে যারা বিদেশে গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁরা প্রত্যকেই আজ খুশি । এটাই প্রথমবার নয়। আগেও আমি যখন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস ওয়ের উদ্বোধন করেছিলাম, আজমগজড়ের প্রত্যেকেই তখন বলতেন, লক্ষ্মৌতে নামার পর আমরা কেবলমাত্র ২ থেকে আড়াই ঘন্টাতেই এখানে পৌঁছে যতে পারি। এখন আজমগড় নিজস্ব বিমানবন্দর পেল। এছাড়াও, মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে পড়াশুনা বা চিকিৎসার জন্য বেনারসে ছোটারও প্রয়োজন কমবে। 
বন্ধুগণ, 
আজমগড়ের উন্নয়নের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা ইন্ডি জোট শরিকদের ঘুমের ব্যাঘাত  ঘটাচ্ছে। বর্ণবাদ, স্বজনপ্রীতি এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির ওপর যারা নির্ভরশীল। পূর্বাঞ্চল দশকের পর দশক ধরে বর্ণবাদ এবং স্বজন-পোষণের রাজনীতি প্রত্যক্ষ করে এসেছে। গত ১০ বছর তাঁরা উন্নয়নের রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছেন। বিশেষত গত ৭ বছর ধরে যোগীজীর নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়ন এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। জনসাধারণ মাফিয়ারাজ এবং চরমপন্থার বিপদ প্রত্যক্ষ করেছেন। আজ তাঁরা আইনের শাসন প্রত্যক্ষ করছেন। আজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড়, মুরাদাবাদ, চিত্রকূট এবং শ্রাবস্তির মতো শহরগুলি যেগুলি একমসয় ছোটো এবং পিছিয়ে পড়া শহর হিসেবে চিহ্নিত হত, তারা নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল পেল। এসব শহরগুলির দিকে কেউ আগে ফিরেও তাকাতো না। এখন এইসব জায়গা থেকে বিমান চলাচল করছে। তার কারন, এইসব শহরগুলিতে উন্নয়ন এবং শিল্প বিকাশ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকার কল্যাণমূলক প্রকল্পকে মেট্রো শহরের বাইরেও ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা আধুনিক পরিকাঠামো প্রকল্পকে ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দিচ্ছি। মেট্রো শহরের মতোই ছোট শহরের জন্য ভালো বিমানবন্দর এবং মহাসড়কের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতে এখন দ্রুত নগরায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এই কাজ ৩০ বছর আগে হওয়া উচিত ছিল, কিন্ত তা হয়নি। একথা মাথায় রেখেই আমরা টিআর-২ এবং টিআর-৩ শহরগুলিকে শক্তিশালী করে তুলছি, যাতে করে নগরায়নের প্রক্রিয়া থেমে না থাকে এবং তা যাতে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত হয়। “সবকা সাথ সবকা বিকাশ”(সম্মিলিত প্রয়াস, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি)ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দিশা পথে এই মৌলিক মন্ত্রসাধনে আমরা কাজ করে চলেছি।

বন্ধুগণ,
আজ আজমগড়, মাও এবং বালিয়া অনেকগুলি রেল প্রকল্প উপহার পেল। এর পাশাপাশি, আজমগড় রেল স্টেশনের উন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলেছে। সীতাপুর, শাহজাহানপুর, গাজিপুর, প্রয়াগরাজ এবং অন্য জেলাগুলির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন হয়েছে। অনেকগুলি মহাসড়ক যেমন প্রয়াগরাজ-রায়বেরিলি, প্রয়াগরাজ-চাকেরি এবং সামলি-পানিপথ মহাসড়কেরও এখন উদ্বোধন হল। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীন ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। এরফলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসারলাভ করছে এবং কৃষক, যুবসম্প্রদায় এবং পূর্বাঞ্চলের উদ্যোগপতিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার হল, কৃষক যাতে তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় তা সুনিশ্চিত করা। আজ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি নূন্যতম সহায়কমূল্যের বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। আখ চাষীদের এ'বছর লাভজনক মূল্য ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আখের লাভজনক মূল্য ক্যুইন্টাল প্রতি ৩১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪০ টাকা করা হয়েছে। আখ চাষের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে আজমগড় চিহ্নিত। আপনাদের কী মনে আছে,  অতীতের উত্তরপ্রদেশের সরকারি প্রশাসন আখ চাষীদের সঙ্গে কিরকম ব্যবহার করত? তারা তাদের রীতিমতো অত্যাচার করত। তাদের বকেয়া টাকা আটকে রাখা হত এবং বহু সময় তা মেটানোই হতো না। বিজেপি সরকারই আখ চাষীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া মিটিয়েছে। আজ আখ চাষীরা সঠিক সময়ে তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। সরকার অন্য নতুন এলাকাতেও আখ চাষীদের সহায়তা প্রসার ঘটিয়েছে। আখ থেকে ইথানল তৈরি হচ্ছে, যা পেট্রলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে। ফসলের বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, চিনির দাম কমে যাওয়ায় চিনিকলগুলিকে বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছে। এখন চিনিকলগুলি নতুন করে খুলছে এবং আখ চাষীদের ভবিষ্যৎও বদলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ সম্মাননিধি এখানকার চাষীদেরও দেওয়া হচ্ছে। আজমগড়ের প্রায় ৮ লক্ষ চাষী পিএম কিষাণ সম্মাননিধি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। 

বন্ধুগণ,
দ্রুত এই উন্নয়নের কাজ সম্ভব হচ্ছে. তার কারন, সরকার সঠিক লক্ষ্য পথে সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবারতান্ত্রিক সরকারগুলির পক্ষে এত বিরাট পরিমানে উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব ছিলনা । অতীতের প্রশাসনে আজমগড় এবং পূর্বাঞ্চল কেবলমাত্র পিছিয়ে পড়ার যন্ত্রনাই বহন করেনি। এই এলাকাকে ঘিরে বদনামের তকমাকেও তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যোগীজী এর সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। আমি আর তার পুনরুক্তি করছি না। অতীতের সরকারগুলি পেশি শক্তি এবং সন্ত্রাসবাদকে যে মদত দিত, সারা দেশ তা প্রত্যক্ষ করেছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে যুব সম্প্রদায়ের সামনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। আমাদের সরকারের সময় মহারাজা সুহেলদেব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে এবং তার উদ্বোধনও হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আজমগড় মন্ডলের তরুণ সম্প্রদায়কে শিক্ষালাভের জন্য বেনারস, গোরখপুর এবং প্রয়াগরাজে যেতে হত। অন্য শহরে সন্তানদের পাঠাতে অভিভাবকদের যে আর্থিক বোঝা বহন করতে হয়, সে সম্বন্ধে আমি সম্যক অবগত। এখন আজমগড়ের বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ সম্প্রদায়ের উচ্চশিক্ষার পথকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন আজমগড়, মাও, গাজিপুর এবং সন্নিকটবর্তী অন্য জেলা থেকে পড়ুয়ারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করতে পারবে। এবার আপনারাই বলুন, এই বিশ্ববিদ্যালয় এ'সব এলাকাগুলির উপকারে লাগবে না লাগবে না?
বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশ দেশের রাজনীতিকেই কেবলমাত্র প্রভাবিত করেনা, দেশের উন্নয়নের দিশাকেও নির্দিষ্ট করে দেয়। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতার আসার পর ডাবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। আজ উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়নে প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম। উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ হওয়ায় আমি কেবল একথা বলছি না। সংখ্যাই সেকথা বলছে এবং বাস্তব আমাদের বোঝাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ প্রথম সারিতে এগিয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ডাবল ইঞ্জিন সরকার সম্পাদন করেছে। এতে, উত্তরপ্রদেশের পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেই রূপান্তর ঘটেছে তাই নয়, যুব সম্প্রদায়ের জন্য লক্ষ লক্ষ সম্ভাবনার ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি এখন নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে রাজ্যে রেকর্ড পরিমান বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে। আজ উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি বহন করছে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মহাসড়কের নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে। উত্তরপ্রদেশের উন্নত আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য শতবর্ষের পুরোনা চাহিদা পূরণ করা গেছে। অযোধ্যা, বেনারস, মথুরা এবং কুশীনগরের দ্রুত বিকাশের মধ্যে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন প্রসার সমগ্র রাজ্যের উপকারা লাগছে। এই গ্যারান্টি মোদী দিয়েছিল ১০ বছর আগে। আজ আপনাদের আশীর্বাদে এই গ্যারান্টি পূর্ণতা পেয়েছে।

বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন শিখর স্পর্শ করেছে। তোষণের বিষ তার শক্তি হারিয়েছে। বিগত নির্বাচনে আজমগড়ের মানুষ দেখিয়েছেন,পরিবারবাদের শক্ত ঘাঁটিকে দীনেশের মতো এক তরুণ কিভাবে পতন ঘটিয়েছে। ফলে, পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকরা দিনরাত মোদীকে অভিশাপ দিয়ে চলেছেন। এইসব মানুষররা বলে থাকেন যে, মোদীর নিজের পরিবার নেই। তারা ভুলে যান মোদীর পরিবার মানে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের পরিবার। ফলে, দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠছে আমি মোদীর পরিবারের! আমি মোদীর পরিবারের! আমি মোদীর পরিবারের! এবারও আজমগড় পিছিয়ে না থেকে উত্তরপ্রদেশের জয়যাত্রায় পা মেলাবে এবং আমি নিশ্চিত জানি, আজমগড় যখন কোনো কিছু চায়, তখন তা পূর্ণ হয়। 
ফলে আমি এই ভূখণ্ডের প্রত্যেককে বলব দেশ যা বলছে, উত্তরপ্রদেশ যা বলছে এবং আজমগড় যা বলছে, আমিও তাই বলছি। এইবার--- ৪০০ আসন পার! এইবার--- ৪০০ আসন পার! এইবার--- ৪০০ আসন পার! আজকের এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমি সমস্ত এলাকার মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজ যে পরিমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হল, আজমগড়ের ইতিহাসে তা প্রথম। এটা হলো উন্নয়নের উৎসব। আমি সকলকে আহ্বান জানাবো। আপনারা আমায় শুনতে পাচ্ছেন? যদি শুনতে পান তাহলে একসঙ্গে সবাই জোরে বলুন আপনারা শুনতে পাচ্ছেন তো?  ঠিকভাবে শুনতে পাচ্ছেন? তাহলে তা করুন। আপনারা আপনাদের মোবাইল ফোন বের করুন। আপনাদের মোবাইলের ফ্ল্যাস লাইট জ্বালান। স্টেজে যাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরাও তাই করুন। দেখুন এটা হল উন্নয়নের উদযাপন। এটা হল প্রগতির উদযাপন। এটা হল বিকশিত ভারতের শপথ। এটা বিকশিত আজমগড়ের শপথ। এবার আমার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলুন-
ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণ হিন্দিতে ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।