ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজী, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজী, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি এবং বিধান পরিষদের সদস্য শ্রী ভূপেন্দ্র চৌধুরীজী, উত্তরপ্রদেশের মাননীয় মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, অন্য অভ্যাগতবৃন্দ, আজমগড়ের আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আজ আজমগড়ের নক্ষত্র উজ্জ্বল শোভা পাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন দিল্লিতে কোনো অনুষ্ঠান হলে, দেশের অন্য রাজ্যগুলি তাতে যোগ দিত। আজ আজমগড়ের এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি আমাদের সাথে যুক্ত হওয়া হাজার হাজার মানুষকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আজ কেবল আজমগড়েরই নয়, সারা দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে এখানে। আজমগড় একসময় দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হত। আজ দেশের উন্নয়নে এখানে এক নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে। আজমগড় থেকে আজ বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা অথবা উদ্বোধন হচ্ছে। আজমগড়ের সঙ্গেই শ্রাবস্তি, মুরাদাবাদ, চিত্রকূট, আলিগড়, জব্বলপুর, গোয়ালিয়র, লক্ষ্মৌ, পুণে, কোলাপুর, দিল্লি এবং আদমপুরের বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। যে দ্রুততার সঙ্গে এই টার্মিনালগুলির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, গোয়ালিয়রের বিজয়রাজে সিন্ধিয়া বিমানবন্দর তার এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। কেবলমাত্র ১৬ মাসের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আজ নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল কাডাপ্পা, বেলাগাভি এবং হুবলি বিমানবন্দরের জন্য। এই সমস্ত প্রয়াস দেশের সাধারণ মানুষের বিমান যাত্রাকে অনেক সুগম এবং স্বাচ্ছন্দপূর্ণ করে তুলবে।
কিন্তু বন্ধুগণ,
গত কয়েকদিন ধরে সময়াভাবে আমি একটা জায়গা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করছি এবং জনগণ দেশের এতগুলি বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, আইআইএম, এইমস একসাথে গড়ে উঠছে দেখে রীতিমতো পুলকিত হচ্ছেন। কখনও কখনও পুরোনো দিনের সম্পর্কের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা তাঁদের প্রচলিত বিশ্বাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা কী বা বলতে পারেন? ও আচ্ছা এটি নির্বাচনের সময় না! অতীতে নির্বাচনের সময় কী হত ? অতীতের সরকারগুলি জনসাধারণের দৃষ্টি টানতে এই জাতীয় প্রকল্পের ঘোষণা করত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংসদেই নতুন রেলওয়ে প্রকল্পের কথাও জোড়ালোভাবে ঘোষণা করা হত। কেউ আর তা নিয়ে পরে প্রশ্ন তুলত না। আমি এগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ৩০-৩৫ বছর আগে এগুলোর ঘোষণা করে হয়েছিল। নির্বাচনের আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। তারপর, সেগুলি হারিয়ে গেছে। আর হারিয়ে গেছেন সেইসব নেতারাও। সেগুলি কেবল ঘোষণার জন্য ঘোষণা হয়েছিল। আমার স্মরণে আছে, আমি ২০১৯ সালে যখন কোনো ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম, তখন সবসময়ই প্রথম হেডলাইন হত “দেখুন এটা করা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য”। আজ দেশ প্রত্যক্ষ করছে। মোদী হলেন এক কথার মানুষ । ২০১৯ সালে আমরা যেসব প্রকল্পের সূচনা করেছিলাম, তা নির্বাচনের জন্য নয় । আজ আপনারা দেখছেন সেগুলি রূপায়িত এবং উদ্বোধন হতে। দয়া করে এইসব প্রকল্পগুলিকে ২০২৪-এর নির্বাচনের লেন্স চোখে লাগিয়ে দেখবেন না। উন্নয়নের অনন্ত যাত্রাপথে এটি আমার অভিযান। ২০৪৭ সালের “বিকশিত ভারত”(উন্নত ভারত)গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংকল্প পূরণে আমি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছি এবং দেশকেও সেইসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া মানুষ আজমগড়ের এই ভালোবাসাকে প্রত্যক্ষ করছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, তাঁবুর মধ্যে বসে থাকা মানুষের অপেক্ষা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই ভালাবাসা সত্যিই অবিশাস্য।
বন্ধুগণ,
বিমানবন্দরের জন্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের পাশাপাশি আজমগড়ে মহাসড়ক, রেলপথ, শিক্ষা, পাণীয়জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমি উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে এইসব প্রকল্পের জন্য অভিনন্দন জানাই। আজমগড়ের মানুষের প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, কারন তাঁরা বহু সংখ্যায় আমাকে আশীর্ব্বাদ জানাতে এসেছেন। আমার আজমগড়ের ভাই ও বোনেরা মোদীর আর একটি গ্যারান্টির কথা কী আপনাদের জানাবো ? দেখুন, আজকের আজমগড় কিন্তু গতদিনের আজমগড় নয়। এটা কোনো দূর্গ নয়। এটা অনন্তকালের উন্নয়নের কেল্লা হয়ে থাকবে। বন্ধুরা এটাই মোদীর গ্যারান্টি।
বন্ধুগণ,
আজমগড়ে আজ এক নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে। আজমগড়ে যারা বসবাস করছেন, এবং এখান থেকে যারা বিদেশে গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁরা প্রত্যকেই আজ খুশি । এটাই প্রথমবার নয়। আগেও আমি যখন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস ওয়ের উদ্বোধন করেছিলাম, আজমগজড়ের প্রত্যেকেই তখন বলতেন, লক্ষ্মৌতে নামার পর আমরা কেবলমাত্র ২ থেকে আড়াই ঘন্টাতেই এখানে পৌঁছে যতে পারি। এখন আজমগড় নিজস্ব বিমানবন্দর পেল। এছাড়াও, মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে পড়াশুনা বা চিকিৎসার জন্য বেনারসে ছোটারও প্রয়োজন কমবে।
বন্ধুগণ,
আজমগড়ের উন্নয়নের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা ইন্ডি জোট শরিকদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। বর্ণবাদ, স্বজনপ্রীতি এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির ওপর যারা নির্ভরশীল। পূর্বাঞ্চল দশকের পর দশক ধরে বর্ণবাদ এবং স্বজন-পোষণের রাজনীতি প্রত্যক্ষ করে এসেছে। গত ১০ বছর তাঁরা উন্নয়নের রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছেন। বিশেষত গত ৭ বছর ধরে যোগীজীর নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়ন এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। জনসাধারণ মাফিয়ারাজ এবং চরমপন্থার বিপদ প্রত্যক্ষ করেছেন। আজ তাঁরা আইনের শাসন প্রত্যক্ষ করছেন। আজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড়, মুরাদাবাদ, চিত্রকূট এবং শ্রাবস্তির মতো শহরগুলি যেগুলি একমসয় ছোটো এবং পিছিয়ে পড়া শহর হিসেবে চিহ্নিত হত, তারা নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল পেল। এসব শহরগুলির দিকে কেউ আগে ফিরেও তাকাতো না। এখন এইসব জায়গা থেকে বিমান চলাচল করছে। তার কারন, এইসব শহরগুলিতে উন্নয়ন এবং শিল্প বিকাশ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকার কল্যাণমূলক প্রকল্পকে মেট্রো শহরের বাইরেও ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা আধুনিক পরিকাঠামো প্রকল্পকে ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দিচ্ছি। মেট্রো শহরের মতোই ছোট শহরের জন্য ভালো বিমানবন্দর এবং মহাসড়কের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতে এখন দ্রুত নগরায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এই কাজ ৩০ বছর আগে হওয়া উচিত ছিল, কিন্ত তা হয়নি। একথা মাথায় রেখেই আমরা টিআর-২ এবং টিআর-৩ শহরগুলিকে শক্তিশালী করে তুলছি, যাতে করে নগরায়নের প্রক্রিয়া থেমে না থাকে এবং তা যাতে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত হয়। “সবকা সাথ সবকা বিকাশ”(সম্মিলিত প্রয়াস, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি)ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দিশা পথে এই মৌলিক মন্ত্রসাধনে আমরা কাজ করে চলেছি।
বন্ধুগণ,
আজ আজমগড়, মাও এবং বালিয়া অনেকগুলি রেল প্রকল্প উপহার পেল। এর পাশাপাশি, আজমগড় রেল স্টেশনের উন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলেছে। সীতাপুর, শাহজাহানপুর, গাজিপুর, প্রয়াগরাজ এবং অন্য জেলাগুলির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন হয়েছে। অনেকগুলি মহাসড়ক যেমন প্রয়াগরাজ-রায়বেরিলি, প্রয়াগরাজ-চাকেরি এবং সামলি-পানিপথ মহাসড়কেরও এখন উদ্বোধন হল। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীন ৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। এরফলে, যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসারলাভ করছে এবং কৃষক, যুবসম্প্রদায় এবং পূর্বাঞ্চলের উদ্যোগপতিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার হল, কৃষক যাতে তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় তা সুনিশ্চিত করা। আজ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি নূন্যতম সহায়কমূল্যের বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। আখ চাষীদের এ'বছর লাভজনক মূল্য ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আখের লাভজনক মূল্য ক্যুইন্টাল প্রতি ৩১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪০ টাকা করা হয়েছে। আখ চাষের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে আজমগড় চিহ্নিত। আপনাদের কী মনে আছে, অতীতের উত্তরপ্রদেশের সরকারি প্রশাসন আখ চাষীদের সঙ্গে কিরকম ব্যবহার করত? তারা তাদের রীতিমতো অত্যাচার করত। তাদের বকেয়া টাকা আটকে রাখা হত এবং বহু সময় তা মেটানোই হতো না। বিজেপি সরকারই আখ চাষীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া মিটিয়েছে। আজ আখ চাষীরা সঠিক সময়ে তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। সরকার অন্য নতুন এলাকাতেও আখ চাষীদের সহায়তা প্রসার ঘটিয়েছে। আখ থেকে ইথানল তৈরি হচ্ছে, যা পেট্রলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে। ফসলের বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, চিনির দাম কমে যাওয়ায় চিনিকলগুলিকে বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছে। এখন চিনিকলগুলি নতুন করে খুলছে এবং আখ চাষীদের ভবিষ্যৎও বদলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ সম্মাননিধি এখানকার চাষীদেরও দেওয়া হচ্ছে। আজমগড়ের প্রায় ৮ লক্ষ চাষী পিএম কিষাণ সম্মাননিধি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
দ্রুত এই উন্নয়নের কাজ সম্ভব হচ্ছে. তার কারন, সরকার সঠিক লক্ষ্য পথে সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবারতান্ত্রিক সরকারগুলির পক্ষে এত বিরাট পরিমানে উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব ছিলনা । অতীতের প্রশাসনে আজমগড় এবং পূর্বাঞ্চল কেবলমাত্র পিছিয়ে পড়ার যন্ত্রনাই বহন করেনি। এই এলাকাকে ঘিরে বদনামের তকমাকেও তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যোগীজী এর সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। আমি আর তার পুনরুক্তি করছি না। অতীতের সরকারগুলি পেশি শক্তি এবং সন্ত্রাসবাদকে যে মদত দিত, সারা দেশ তা প্রত্যক্ষ করেছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে যুব সম্প্রদায়ের সামনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। আমাদের সরকারের সময় মহারাজা সুহেলদেব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে এবং তার উদ্বোধনও হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আজমগড় মন্ডলের তরুণ সম্প্রদায়কে শিক্ষালাভের জন্য বেনারস, গোরখপুর এবং প্রয়াগরাজে যেতে হত। অন্য শহরে সন্তানদের পাঠাতে অভিভাবকদের যে আর্থিক বোঝা বহন করতে হয়, সে সম্বন্ধে আমি সম্যক অবগত। এখন আজমগড়ের বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ সম্প্রদায়ের উচ্চশিক্ষার পথকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন আজমগড়, মাও, গাজিপুর এবং সন্নিকটবর্তী অন্য জেলা থেকে পড়ুয়ারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করতে পারবে। এবার আপনারাই বলুন, এই বিশ্ববিদ্যালয় এ'সব এলাকাগুলির উপকারে লাগবে না লাগবে না?
বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশ দেশের রাজনীতিকেই কেবলমাত্র প্রভাবিত করেনা, দেশের উন্নয়নের দিশাকেও নির্দিষ্ট করে দেয়। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতার আসার পর ডাবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের ভাবমূর্তি এবং ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। আজ উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়নে প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম। উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ হওয়ায় আমি কেবল একথা বলছি না। সংখ্যাই সেকথা বলছে এবং বাস্তব আমাদের বোঝাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ প্রথম সারিতে এগিয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ডাবল ইঞ্জিন সরকার সম্পাদন করেছে। এতে, উত্তরপ্রদেশের পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেই রূপান্তর ঘটেছে তাই নয়, যুব সম্প্রদায়ের জন্য লক্ষ লক্ষ সম্ভাবনার ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি এখন নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে রাজ্যে রেকর্ড পরিমান বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে। আজ উত্তরপ্রদেশের পরিচিতি বহন করছে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মহাসড়কের নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে। উত্তরপ্রদেশের উন্নত আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য শতবর্ষের পুরোনা চাহিদা পূরণ করা গেছে। অযোধ্যা, বেনারস, মথুরা এবং কুশীনগরের দ্রুত বিকাশের মধ্যে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন প্রসার সমগ্র রাজ্যের উপকারা লাগছে। এই গ্যারান্টি মোদী দিয়েছিল ১০ বছর আগে। আজ আপনাদের আশীর্বাদে এই গ্যারান্টি পূর্ণতা পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন শিখর স্পর্শ করেছে। তোষণের বিষ তার শক্তি হারিয়েছে। বিগত নির্বাচনে আজমগড়ের মানুষ দেখিয়েছেন,পরিবারবাদের শক্ত ঘাঁটিকে দীনেশের মতো এক তরুণ কিভাবে পতন ঘটিয়েছে। ফলে, পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকরা দিনরাত মোদীকে অভিশাপ দিয়ে চলেছেন। এইসব মানুষররা বলে থাকেন যে, মোদীর নিজের পরিবার নেই। তারা ভুলে যান মোদীর পরিবার মানে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের পরিবার। ফলে, দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠছে আমি মোদীর পরিবারের! আমি মোদীর পরিবারের! আমি মোদীর পরিবারের! এবারও আজমগড় পিছিয়ে না থেকে উত্তরপ্রদেশের জয়যাত্রায় পা মেলাবে এবং আমি নিশ্চিত জানি, আজমগড় যখন কোনো কিছু চায়, তখন তা পূর্ণ হয়।
ফলে আমি এই ভূখণ্ডের প্রত্যেককে বলব দেশ যা বলছে, উত্তরপ্রদেশ যা বলছে এবং আজমগড় যা বলছে, আমিও তাই বলছি। এইবার--- ৪০০ আসন পার! এইবার--- ৪০০ আসন পার! এইবার--- ৪০০ আসন পার! আজকের এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমি সমস্ত এলাকার মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজ যে পরিমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হল, আজমগড়ের ইতিহাসে তা প্রথম। এটা হলো উন্নয়নের উৎসব। আমি সকলকে আহ্বান জানাবো। আপনারা আমায় শুনতে পাচ্ছেন? যদি শুনতে পান তাহলে একসঙ্গে সবাই জোরে বলুন আপনারা শুনতে পাচ্ছেন তো? ঠিকভাবে শুনতে পাচ্ছেন? তাহলে তা করুন। আপনারা আপনাদের মোবাইল ফোন বের করুন। আপনাদের মোবাইলের ফ্ল্যাস লাইট জ্বালান। স্টেজে যাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরাও তাই করুন। দেখুন এটা হল উন্নয়নের উদযাপন। এটা হল প্রগতির উদযাপন। এটা হল বিকশিত ভারতের শপথ। এটা বিকশিত আজমগড়ের শপথ। এবার আমার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলুন-
ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
ভারত মাতার-জয় !
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণ হিন্দিতে ।