Quoteগণতন্ত্রের অন্যতম বড় কষ্টিপাথর হ’ল অভাব-অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার সক্ষমতা; সুসংহত ওমবুডস্‌ম্যান কর্মসূচি এই লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী হবে
Quoteখুচরো প্রত্যক্ষ কর্মসূচি অর্থ-ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অন্তর্ভুক্তিকরণকে আরও মজবুত করবে, এই ব্যবস্থা মধ্যবিত্ত শ্রেণী, কর্মী, ছোট ব্যবসায়ী ও প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে সরকারি সিকিউরিটিতে নিয়ে আসবে
Quoteসরকারি পদক্ষেপের ফলে ব্যাঙ্ক পরিচালন ব্যবস্থায় উন্নতি হয়েছে এবং আমানতকারীদের মধ্যে এই ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও মজবুত হচ্ছে
Quoteরিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে
Quoteআজ থেকে ৬-৭ বছর আগেও ব্যাঙ্কিং, পেনশন এবং বিমার সুবিধাকে দেশে অভিজাত শ্রেণীর মানুষের পরিষেবা বলে গণ্য করা হ’ত
Quoteকেবল ৭ বছরেই ভারত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৯ ধাপ অগ্রগতি করেছে; আজ আমাদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা যে কোনও সময় দেশের যে কোনও স্থান থেকে সারা বছর, সপ্তাহে ৭ দিন, দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা ধরেই খোলা রয়েছে
Quoteদেশের নাগরিকদের চাহিদার বিষয়টিকে মূল কেন্দ্রে রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়াতে হবে
Quoteদেশের নাগরিকদের চাহিদার বিষয়টিকে মূল কেন্দ্রে রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়াতে হবে এক সংবেদনশীল ও বিনিয়োগ—বান্ধব গন্ত

নমস্কারজি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনজি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শ্রী শক্তিকান্ত দাসজি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

করোনার এই প্রতিকূল সময়কালে দেশের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে। অমৃত মহোৎসবের এই সময়েও একবিংশ শতাব্দীর এই গুরুত্বপূর্ণ দশকটি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা খুব বড় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে টিম ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ দেশের প্রত্যাশাগুলি পূরণে সফল হবে।

বন্ধুগণ,

বিগত ৬-৭ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের হিতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে আর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও সাধারণ মানুষের সুবিধা বৃদ্ধির খাতিরে, সাধারণ নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে ক্রমাগত অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় আজ আরও একটি পর্যায় যুক্ত হতে চলেছে। আজ যে দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে, এগুলির মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগের পরিধি বিস্তৃত হবে, আর ক্যাপিটাল মার্কেটস-এ অ্যাক্সেস বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও বেশি সহজ, আরও বেশি নিরাপদ হবে। রিটেল ডায়রেক্ট স্কিমকে দেশের ছোট ছোট বিনিয়োগকারীরা গর্ভনমেন্ট সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের আরও সরল এবং সুরক্ষিত মাধ্যম হিসেবে পাবেন। এরকমই ইন্টিগ্রেটেড ওম্বাডসম্যান লোকপাল স্কিমটি ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ওম্বাডসম্যান’ প্রক্রিয়াকে আজ সাকার করেছে। এর ফলে ব্যাঙ্কের কাস্টমারদের প্রতিটি অভিযোগ, প্রতিটি সমস্যার সমাধান যথাসময়ে, কোনও প্রতিকূলতা ছাড়াই সম্ভব হবে। এটা আমার স্পষ্ট অভিমত যে, গণতন্ত্রের সবচাইতে বড় শক্তি হল, আপনাদের ‘গ্রিভান্স রিড্রেসাল সিস্টেম’ কতটা মজবুত, কতটা সংবেদনশীল, কতটা প্রো-অ্যাক্টিভ! আমার মতে, এটাই গণতন্ত্রের সবচাইতে বড় কষ্টিপাথর।

|

বন্ধুগণ,

অর্থ ব্যবস্থায় সকলের অংশীদারিত্বকে উন্নীত করার যে ভাবনা নিয়ে আমরা কাজ করছি, তাকে এই ‘রিটেল ডায়রেক্ট স্কিম’ নতুন উচ্চতা প্রদান করবে। দেশের উন্নয়নে গর্ভমেন্ট সিকিউরিটিজ মার্কেট-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সাধারণত সকলেই পরিচিত। বিশেষ করে আজ যখন দেশ নিজের ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তুলছে, অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করছে, তখন ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রতম বিনিয়োগকারীদের প্রচেষ্টা, সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব অনেক কাজে লাগবে। এতদিন পর্যন্ত গর্ভনমেন্ট সিকিউরিটিজ মার্কেটে আমাদের মধ্যবিত্ত, আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আমাদের সিনিয়র সিটিজেন অর্থাৎ, যাঁদের ছোট ছোট সঞ্চয় রয়েছে, তাঁদেরকে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের জন্য ব্যাঙ্ক, ইনস্যুরেন্স কিংবা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো অপ্রত্যক্ষ পথ বেছে নিতে হত। এখন তাঁদের সামনে সুরক্ষিত বিনিয়োগের আরেকটি ভালো বিকল্প এসে গেল। এখন দেশের একটি অনেক বড় অংশ গর্ভমেন্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নির্মাণে আরও অনেক সহজে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটাও আপনারা জানেন যে ভারতে সমস্ত গর্ভমেন্ট সিকিউরিটিজে গ্যারান্টিড সেটেলমেন্টের ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার একটি আশ্বাস থাকে। অর্থাৎ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এভাবে সুরক্ষিত বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পাওয়ার বিকল্প পাবেন, আর সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য, দেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার অনুরূপ নতুন ভারত গড়ে তোলার জন্য যে যে ব্যবস্থা বিকশিত করতে হবে, সেগুলি করার প্রয়োজনীয় অর্থ পাবে। আর এটাই তো আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের জন্য নাগরিক এবং সরকারের সামগ্রিক শক্তি, সমবেত প্রচেষ্টা।

|

বন্ধুগণ,

সাধারণত ফিনান্স নিয়ে আলাপ-আলোচনা একটু টেকনিক্যাল ব্যাপার। সাধারণ মানুষ তো এই বিষয়ের খবরের হেডলাইন পড়ে ছেড়ে দেন আর এজন্যই সাধারণ মানুষকে এই বিষয়গুলি ভালোভাবে বোঝাতে হবে, আর আমি মনে করি তাঁদেরকে সরলভাবে বোঝানো আজকের সময়ের চাহিদা। কারণ, আমরা যখন অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির কথা বলি, তখন আমরা দেশের প্রান্তিকতম ব্যক্তিকেও এই প্রক্রিয়ার অংশীদার করে তুলতে চাই, আপনাদের মতো বিশেষজ্ঞরা খুব ভালোভাবেই এই বিষয়টা জানেন! কিন্তু সাধারণ দেশবাসীর জন্য এই বিষয়টা সহজভাবে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের এই জানা ও বুঝতে পারা, এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে। যেমন তাঁদের জানা থাকা উচিৎ যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফান্ড ম্যানেজারদের প্রয়োজন পড়বে না। সরাসরি রিটেল ডায়রেক্ট গিল্ট বা আরডিজি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এই অ্যাকাউন্টও অনলাইন খোলা যেতে পারে আর সিকিউরিটির কেনাকাটাও অনলাইনে সম্ভব। কেউ বেতনভুক কর্মচারী হন কিংবা অবসরপ্রাপ্ত পেনশনপ্রাপক, তাঁদের জন্য বাড়িতে বসেই সুরক্ষিত বিনিয়োগের এটা একটা বড় বিকল্প। এর জন্য কোথাও আসা-যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফোন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আপনারা বিনিয়োগ করতে পারবেন। ফোনে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকলেই আপনাদের কাজ হয়ে যাবে। এই আরডিজি অ্যাকাউন্ট বিনিয়োগকারীদের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গেও লিঙ্ক করা যাবে। এর ফলে, সেল-পারচেজ অটোমেটিক, কেনাকাটার যত কাজ রয়েছে, সব ঘরে বসেই অবলীলায় করতে পারবেন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, জনগণ কত সহজে এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন?

বন্ধুগণ,

ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন বা অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণকে আরও ‘ইজ অফ অ্যাক্সেস’ বা সরলীকৃত করা যতটা প্রয়োজনীয়, ‘ইজ অফ ইনভেস্টমেন্ট’ বা সরলভাবে বিনিয়োগ করতে পারার ব্যাঙ্কিং পদ্ধতির ওপরেও সাধারণ মানুষের ভরসা ততটাই প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের জন্য যে কোনও পরিষেবায় সরলতা থাকতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য একটি শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে কয়েক বছরে দেশের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমকে যেভাবে লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছিল, আজ প্রত্যেকেই জানেন যে কী ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল! কত যে কেলেঙ্কারি হয়েছে! বিগত সাত বছরে এনপিএস-গুলিকে স্বচ্ছতার সঙ্গে ‘রিকগনাইজ’ করা হয়েছে, ‘রিজোলিউশন’ এবং ‘রিকভারি’তে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাবলিক সেক্টর বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ‘রিক্যাপিটালাইজ’ করা হয়েছে। ফিনান্সিয়াল সিস্টেম এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে একের পর এক সংস্কার আনা হয়েছে। যাঁরা ‘উইলফুল ডিফল্টার’, ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপ করেছেন, তাঁরা আগে এই সিস্টেম নিয়ে ছেলেখেলা করতেন। এখন তাঁদের জন্য মার্কেট থেকে ফান্ড সংগ্রহের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যুক্ত গর্ভন্যান্সে সংস্কার এনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ট্রান্সফার, পোস্টিং-এর ক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ছোট ব্যাঙ্কগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করা আর ন্যাশনাল অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড স্থাপন করা – এই সকল পদক্ষেপের মাধ্যমে আজ ব্যাঙ্কিং সেক্টরে নতুন বিশ্বাস, নতুন প্রাণশক্তি ফিরে আসছে।

|

বন্ধুগণ,

ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিকেও আজ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে এই ব্যাঙ্কগুলির গভর্ন্যান্সেও সংস্কার আসছে এবং লক্ষ লক্ষ ডিপোজিটারদের মনেও এই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস মজবুত হচ্ছে। বিগত কিছু সময় ধরে ডিপোজিটারদের হিতের কথা মাথায় রেখে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ওম্বাডসম্যান সিস্টেম’-এর মাধ্যমে ডিপোজিটারদের এবং ‘ইনভেস্টর্স ফার্স্ট’-এর দায়বদ্ধতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। আজ যে প্রকল্প দুটির শুভ সূচনা হল, এগুলির মাধ্যমে ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি, এবং প্রি-পেইড ইনস্ট্রুমেন্ট-এ ৪৪ কোটি লোন অ্যাকাউন্ট এবং ২২০ কোটি ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ধারকরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত সকল সংস্থার জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে, ট্র্যাক করতে এবং তদারকি করতে একটাই প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ, অভিযোগ নিরসনের জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা এখন আরও একটি সহজ বিকল্প পেলেন। যেমন, যদি কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লক্ষ্ণৌ-তে থাকে আর তিনি দিল্লিতে কাজ করেন, তাহলে আগে তাঁকে আগে অভিযোগ করতে হলে লক্ষ্ণৌ-এর ওম্বাডসম্যানের কাছে অভিযোগ করতে হত। কিন্তু এখন তিনি ভারতের যে কোনও জায়গায়ই থাকুন না কেন, সেখানেই ওম্বাডসম্যানের কাছে অভিযোগ নথিভুক্ত করার সুবিধা পাবেন। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে, অনলাইন ফ্রড, সাইবার ফ্রড-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির শুনানির জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই প্রকল্পে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহারের ব্যবস্থা রেখেছে। এর ফলে ব্যাঙ্ক এবং তদন্তকারী এজেন্সিগুলির মধ্যে ন্যূনতম সময়ে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হবে। যত দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া সম্ভব হবে, ফ্রড-এর মাধ্যমে বের করে নেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে। এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে ডিজিটাল পেনিট্রেশন এবং কাস্টমার ইনক্লুসিভনেস-এর পরিধিও বড় বিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে, কাস্টমারদের ভরসা আরও বাড়বে।

বন্ধুগণ,

বিগত বছরগুলিতে দেশের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ফিনান্সিয়াল সেক্টরে অন্তর্ভুক্তিকরণ থেকে শুরু করে টেকনলজিক্যাল ইন্টিগ্রেশন এবং অন্যান্য সংস্কার আনা হয়েছে। এদের শক্তি আমরা কোভিডের কঠিন সময়েও দেখেছি আর সেজন্য সাধারণ মানুষকে সেবা করার মাধ্যমে একটা সন্তুষ্টিও সৃষ্টি হয়েছে। সরকার যে বড় বড় সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে সেগুলির প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তগুলি অত্যন্ত সহায়ক প্রতিপন্ন হয়েছে, আর আমি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এবং তাঁর গোটা টিমকে সার্বজনিক রূপে এই সঙ্কটকালে তাঁরা সাহসের সঙ্গে যে ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন, তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। সরকার যে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ঘোষণা করেছিল, তার মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এর সাহায্যে ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী তাঁদের ব্যবসা কিংবা উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করেছে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই হলেন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী। অধিকাংশই আমাদের মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী।

বন্ধুগণ,

কোভিডের সঙ্কটকালেও সরকার ছোট কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদানের বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে ২.৫ কোটিরও বেশি কৃষক ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ পেয়েছেন এবং প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার কৃষিঋণও তাঁরা পেয়েছেন। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে প্রায় ২৬ লক্ষ ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজানো দোকানদাররা, স্ট্রিট হকাররা এবং সব্জি বিক্রেতারা উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের ২৬ লক্ষ মানুষ ঋণ পেয়েছেন। এটা আপনারা কল্পনা করতে পারেন? কোভিডকালে, এই সঙ্কটকালে আমরা ২৬ লক্ষেরও বেশি এ ধরনের মানুষকে সাহায্য করতে পেরেছি। তাঁদের জন্য এটা কত বড় সামর্থ্য প্রদান করেছে! এই প্রকল্প তাঁদেরকে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের সঙ্গেও যুক্ত করেছে। এ ধরনের অনেক ইন্টারভেনশন গ্রাম এবং শহরগুলিতে আর্থিক গতিবিধিকে আবার শুরু করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বন্ধুগণ,

৬-৭ বছর আগে পর্যন্ত ভারতে ব্যাঙ্কিং, পেনশন, ইনস্যুরেন্স – এসব কিছু একটা এক্সক্লুসিভ ক্লাবের মতো হত। দেশের সাধারণ নাগরিক, গরীব পরিবার, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মহিলারা, দলিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া – এরকম সবার জন্য এই ধরনের পরিষেবা সুদূর পরাহত ছিল। কিন্তু যাঁদের কাঁধে এই পরিষেবাগুলি গরীবদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল, তাঁরাও এই বিষয়টি নিয়ে কখনও গুরুত্ব দিয়ে ভাবেননি। ফলতঃ, কোনও পরিবর্তন আসেনি। গরীবদের কাছে যাওয়ার পথ বন্ধ করার জন্য যত ধরনের যুক্তি তাঁরা দিতে পারতেন, দিয়েছেন। নানা ধারনের বাহানা দেওয়ার একটা পরম্পরাই চালু হয়ে গিয়েছিল, আর কত কিছু যে বলা হত! খোলাখুলি নির্লজ্জভাবে বলা হত আর এই ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ নেই, স্টাফ নেই, ইন্টারনেট নেই, জনগণের মধ্যে সচেতনতা নেই – এরকম কতো না কুযুক্তি আমি শুনেছি। আনপ্রোডাক্টিভ সেভিংস এবং ইনফরমাল লেন্ডিং-এর ফলে সাধারণ মানুষের অবস্থাও খারাপ হচ্ছিল, আর দেশের উন্নয়নে তাঁদের অংশীদারিত্বও সমান ছিল। পেনশন এবং বিমা সম্পর্কে মনে করা হত যে এগুলি সব সমৃদ্ধ পরিবারের ভাগ্যেই রয়েছে। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আজ শুধু যে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ হচ্ছে তা নয়, ব্যাঙ্কিং এবং ফিনান্সিয়াল সেক্টরেও ‘ইজ অফ অ্যাক্সেস’ ভারতের পরিচয় হয়ে উঠছে। আজ ভিন্ন ভিন্ন পেনশন প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। পিএম জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং পিএম সুরক্ষা বিমা যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩৮ কোটি দেশবাসী ২ লক্ষ টাকা করে বিমা সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। দেশের প্রায় প্রত্যেক গ্রামে ৫ কিলোমিটার পরিধির মধ্যে ব্যাঙ্কের শাখা কিংবা ব্যাঙ্কিং করেসপনডেন্ট-এর পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে। গোটা দেশে আজ প্রায় ৮.৫ লক্ষ ব্যাঙ্কিং টাচ পয়েন্টস রয়েছে যা দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম পর্যন্ত পৌঁছনোর ক্ষমতা বাড়িয়েছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে ৪২ কোটিরও বেশি জিরো ব্যালেন্স ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে যেগুলিতে আজ গরীব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে মহিলাদের মধ্যে, দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসীদের মধ্যে একটা নতুন ব্যবসায়িক প্রজন্ম গড়ে উঠেছে। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানদার এবং ফেরিওয়ালারাও ইনস্টিটিউশনাল লেন্ডিং বা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন।

বন্ধুগণ,

‘লাস্ট মাইল ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন’ বা সমাজের প্রান্তিকতম ব্যক্তির অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণকে যখন ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট বা ক্ষমতায়নের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, তখন তাঁরা দেশকে একটি নতুন শক্তি যুগিয়েছেন। ৩১ কোটিরও বেশি রুপে কার্ড প্রায় ৫০ লক্ষ পয়েন্ট অফ সেলিং / এম-পিওএস মেশিনের মাধ্যমে আজ দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে ডিজিটাল লেনদেন সম্ভব হয়েছে। ইউপিআই অত্যন্ত কম সময়ে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্বের অগ্রণী দেশে পরিণত করেছে। মাত্র সাত বছরে ভারত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৯ গুণ দীর্ঘ উল্লফন করেছে আর এখন ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন এবং ১২ মাস দেশে সবসময়, সর্বত্র আমাদের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালু থাকে। করোনার সঙ্কটকালে আমরা এই প্রক্রিয়ার উপকারও দেখেছি।

বন্ধুগণ,

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে আর পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখে, তখন এই প্রতিষ্ঠান দেশের বড় শক্তি হয়ে ওঠে। আজকাল আপনারা দেখছেন যে ফিনটেকের মতো ক্ষেত্রে আমাদের ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলি কিভাবে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের দেশের যুবশক্তি ভারতকে উদ্ভাবনের ‘গ্লোবাল পাওয়ার হাউজ’ বা আন্তর্জাতিক শক্তিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। এক্ষেত্রে এটাও জরুরি যে আমাদের রেগুলেটিং সিস্টেম বা নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া এই পরিবর্তনগুলির প্রতি সচেতন থাকবে এবং আমাদের ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের উৎকৃষ্ট আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সুইটেবল ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলবে এবং তাকে শক্তিশালী করে তুলতে থাকবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের দেশকে, দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনীয়তাগুলিকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের ভরসাকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে একটি সংবেদনশীল এবং ‘ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন’ বা বিনিয়োগ-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে ভারতের নতুন পরিচয়কে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ক্রমাগত শক্তিশালী করে তুলেছে আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই শক্তিশালী করে তোলার প্রক্রিয়া জারি থাকবে। আরেকবার এত বড় সংস্কারের জন্য আমি আপনাদের সবাইকে, সংশ্লিষ্ট সকলকে ইনিশিয়েটিভ গ্রহণকারী সকলকে, এই প্রযুক্তিগত উল্লফনের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক শুভকামনা জানাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ!

  • krishangopal sharma Bjp January 17, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹
  • krishangopal sharma Bjp January 17, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷
  • krishangopal sharma Bjp January 17, 2025

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌹🌷🌷
  • Reena chaurasia August 29, 2024

    बीजेपी
  • MLA Devyani Pharande February 17, 2024

    जय श्रीराम
  • Laxman singh Rana June 11, 2022

    नमो नमो 🇮🇳🌷
  • Laxman singh Rana June 11, 2022

    नमो नमो 🇮🇳
  • SHRI NIVAS MISHRA February 04, 2022

    100003100129503
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    जय भारत
  • शिवकुमार गुप्ता January 19, 2022

    जय हिंद
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%

Media Coverage

India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister greets the people of Goa on their Statehood Day
May 30, 2025

Prime Minister, Shri Narendra Modi, has greeted the people of Goa on the occasion of their Statehood Day. "Goa's unique culture is India's pride. Goan people have made a strong mark in diverse sectors. This state has always been drawing people from all over the world", Shri Modi stated.

The Prime Minister posted on X :

"Greetings to my sisters and brothers of Goa on the occasion of their Statehood Day. Goa's unique culture is India's pride. Goan people have made a strong mark in diverse sectors. This state has always been drawing people from all over the world. Over the last decade, a lot of work has been done that is furthering Goa's progress. May the state continue to scale new heights of development in the times to come."