“For years, judiciary and bar have been the guardians of India's judicial system”
“Experience of the legal profession has worked to strengthen the foundation of independent India and today’s impartial judicial system has also helped in bolstering the confidence of the world in India”
“Nari Shakti Vandan Act will give new direction and energy to women-led development in India”
“When dangers are global, ways to deal with them should also be global”
“Citizens should feel that the law belongs to them”
“We are now trying to draft new laws in India in simple language”
“New technological advancements should be leveraged by the legal profession”

 

ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এবং আমার সহকর্মী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ব্রিটেনের লর্ড চ্যান্সেলার অ্যালেক্স চক, অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটার জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের সব মহামান্য বিচারপতি, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা, রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা এবং সম্মানিত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

এই সম্মেলনে বিশ্বের আইন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি এবং তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। দেশের সব প্রান্তের মানুষও আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন। ইংল্যান্ডের লর্ড চ্যান্সেলর এবং তাঁর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও আমাদের মধ্যে রয়েছেন। কমনওয়েল্থ ও আফ্রিকার দেশগুলির প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। একদিক থেকে দেখলে এই আন্তর্জাতিক আইনজীবী সম্মেলন ভারতের “বসুধৈব কুটুম্বকম” অনুভবের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভারতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে বিশেষ অভিনন্দন। 

 

বন্ধুরা,

যে কোন দেশের উন্নয়নে তার আইন জগৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতে বহু বছর ধরে বিচার বিভাগ এবং বার, দেশের আইনী ব্যবস্থার অভিভাবক। আমি আজ আমাদের বিদেশী অতিথিদের বিশেষভাবে কিছু জানাতে চাই। সম্প্রতি ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে আইনী পেশাদাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করেছেন। সেইসময় বহু আইনজীবী তাঁদের পেশা ছেড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, আমাদের সংবিধানের প্রধান স্থপতি বাবাসাহেব আম্বেদকর, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, লোকমান্য তিলক, বীর সাভারকর প্রমুখ অনেক মহান ব্যক্তিত্বই পেশায় আইনজীবী ছিলেন। অর্থাৎ এই আইনী পেশাদারদের অভিজ্ঞতা স্বাধীন ভারতের ভিত্তিকে মজবুত করেছে। আজ যখন ভারতের ওপর বিশ্বের আস্থা ক্রমশ বাড়ছে, তখন সেক্ষেত্রে ভারতের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। 

এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের সাক্ষী হয়েছে। মাত্র একদিন আগেই লোকসভা ও বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের আইন সংসদে পাশ হয়েছে। এই নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম দেশের মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে নতুন দিশা ও গতির সঞ্চার করবে। 

মাত্র কয়েকদিন আগেই ঐতিহাসিক জি২০ শিখর সম্মেলনে সারা বিশ্ব আমাদের গণতন্ত্র, জনগোষ্ঠী ও কূটনীতির ঝলক দেখেছে। একমাস আগে ঠিক আজকের দিনেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে। এইসব সাফল্য থেকে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে ভারত আজ ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভিত্তিভূমি হিসেবে দেশে অবশ্যই এক শক্তিশালী, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে এই আন্তর্জাতিক আইনজীবী সম্মেলন ভারতের জন্য বিশেষ উপকারী বলে প্রমাণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এই সম্মেলনে সব দেশই একে অপরের ভালো থেকে শিক্ষা নিতে পারবে বলে আমি আশা করি।  

 

বন্ধুরা,

একুশ শতকে আমরা গভীরভাবে সংযুক্ত এক বিশ্বে বাস করি। প্রতিটি আইনী প্রতিষ্ঠানই তার এক্তিয়ারের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। কিন্তু আমাদের এমন কিছু শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয় যারা সীমানা বা এক্তিয়ারের তোয়াক্তা করে না। বিপদ যখন বিশ্বব্যাপী, তখন তার মোকাবিলার দৃষ্টিভঙ্গীও বিশ্বব্যাপী হওয়া উচিত। সাইবার সন্ত্রাস, অর্থপাচার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার- এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যার মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রয়োজন। এটা কোন একটি সরকার বা প্রশাসনের বিষয় নয়। এইসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের আইনী পরিকাঠামোকে একসূত্রে বাঁধতে হবে, ঠিক যেমন আমরা বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে করে থাকি। কেউই বলতে পারেন না, “আপনার আইন আপনার, আমার আইন আমার, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” এমনটা হলে কোন বিমানই কোথাও অবতরণ করতে পারবে না। সেজন্যই প্রত্যেকে এক অভিন্ন নিয়ম, বিধি ও প্রোটোকল মেনে চলে। একইভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের এই রকম বিশ্বজনীন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনজীবী সম্মেলন নিশ্চয় বিষয়টি নিয়ে ভাববে এবং বিশ্বকে এক নতুন দিশা নির্দেশ দেবে। 

বন্ধুরা,

এবারের সম্মেলনের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (Alternate Dispute Resolution-ADR)। তুষারজি এর বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। বাণিজ্যিক লেনদেনের জটিলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এডিআর-এর গুরুত্ব বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। আমাকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে এবারের সম্মেলনে বিশদে আলোচনা হবে। ভারতে বহু শতাব্দী ধরেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ঐতিহ্য রয়েছে; এটা আমাদের সংস্কৃতিতেই নিহিত। এই ঘরোয়া ব্যবস্থাপনাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে আমাদের সরকার মধ্যস্থতা আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া ভারতে বিরোধ নিষ্পত্তির আর একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল লোক আদালত। আমি মনে করতে পারি, গুজরাটে আমার মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময়ে লোক আদালতে কোনো মামলার নিষ্পত্তির গড় খরচ ছিল মাত্র ৩৫ পয়সা। এই ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত। গত ৬ বছরে লোক আদালতে প্রায় ৭ লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।    

 

বন্ধুরা,

ন্যায়বিচার প্রদানের আর একটি উল্লেখযোগ্য দিক, যা প্রায়শই যথেষ্ট আলোচিত হয় না, তা হল ভাষা এবং আইনের সারল্য। আমরা এখন আইনকে দু-ভাবে উপস্থাপন করার কথা ভাবছি: একটি হল সেই ভাষা, যার সঙ্গে আপনারা সকলে পরিচিত এবং আর একটি এমন ভাষায়, যা আমাদের দেশে একজন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। তাঁরও তো আইনকে নিজের মতো করে বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিবর্তন আনার জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করছি। তবে এর সংস্কার সাধনে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু আমার কাছে সময় আছে এবং আমি এটা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। যে ভাষায় আইন লেখা হয় এবং যে ভাষায় আদালতের কাজকর্ম পরিচালিত হয়, ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতীতে যে কোন আইনের খসড়া তৈরি করা খুব জটিল কাজ ছিল। তবে সরকারের দিক থেকে, আমি আগেই বলেছি, আমরা এটিকে যতটা সম্ভব সহজ করার চেষ্টা করছি। দেশের যতগুলি ভাষায় সম্ভব, এটি প্রকাশ করারও চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। 

আপনারা নিশ্চয় ক্রেতা সুরক্ষা আইন সম্পর্কে জানেন। আমরা এরও সরলীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষের কাছে এটি সুবিধাজনক হয়ে উঠবে। দেশের বিচার ব্যবস্থায় এ এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে আমি মনে করি। আমি একবার প্রকাশ্যে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশংসা করেছিলাম। কারণ তিনি জানিয়েছিলেন, এখন থেকে আদালতের রায়ের কার্যকর অংশটি মামলাকারির ভাষায় অনুবাদ করে দেওয়া হবে। দেখুন, এই ছোট্ট কাজটা করতেও আমাদের ৭৫ বছর সময় লেগে গেল এবং আমাকেও এতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। রায়গুলিকে স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করার জন্য আমি ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে অভিনন্দন জানাই। এতে দেশের সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে। ডাক্তার রোগীর সামনে তার ভাষায় কথা বললে অর্ধেক অসুখ সেরে যায়। এখানেও আমাদের এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 

 

বন্ধুরা,

প্রযুক্তির প্রয়োগ, সংস্কার এবং নতুন বিচার বিভাগীয় পদ্ধতির মাধ্যমে আইনী প্রক্রিয়ার উন্নয়নে আমাদের ক্রমাগত কাজ করতে হবে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিচার ব্যবস্থার সামনে নতুন পথ খুলে দিয়েছে। প্রযুক্তির প্রয়োগ আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অসাধারণ গতির সঞ্চার করেছে। আইনী পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই প্রযুক্তিগত সংস্কারের সুফল গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনজীবী সম্মেলন বিশ্বজুড়ে আইনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই সফল কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। 

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন। এটি তার বঙ্গানুবাদ। 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।