Quoteগান্ধী আশ্রম মেমোরিয়ালে মাস্টারপ্ল্যানের সূচনা
Quote“সবরমতী আশ্রম বাপুর সত্য ও অহিংসার মূল্যবোধ এবং দেশ সেবা ও নিপীড়িতদের সেবাদানের মূল্যবোধ জাগ্রত রেখেছে”
Quote“অমৃত মহোৎসব ভারতকে অমৃতকালে প্রবেশের পথ করে দিয়েছে”
Quote“যে দেশ নিজের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পারে না, সেই দেশ তার ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলে; বাপুর সবরমতী আশ্রম কেবলমাত্র দেশের নয়, মানবতার ঐতিহ্য”
Quote“গুজরাট সমগ্র দেশকে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হয়”
Quoteতিনি সেখানে এখানে একটি প্রদর্শনীও প্রত্যক্ষ করেন, রোপণ করেন গাছের চারা।

গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবরাজজি, গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, মুলুভাই বেরা, নরহরি আমিন, সিআর পাটিল, কিরীটভাই সোলাঙ্কি, মেয়র শ্রীমতী প্রতিভা জৈনজি এবং ভাই কার্তিকেয়জি, অন্যান্য বিশিষ্টজন, ভদ্রমহোদয়া ও মহোদয়গণ!

পূজ্যবাপুর সবরমতী আশ্রম প্রাণবন্ত স্থান হিসেবে চিরকাল এক অনুপম প্রাণশক্তি বিকিরণ করে আসছে। অন্য অনেকের মতো যখনই আমরা পরিদর্শনের সুযোগ পাই, আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বাপুর দীর্ঘস্থায়ী প্রেরণা। সত্যের মূল্য, অহিংসা, দেশভক্তি এবং বঞ্চিতদের সেবার মনোভাব যা বাপুর দর্শন তা এখনও দেখা যায় সবরমতী আশ্রমে। এটি অত্যন্ত শুভ নিশ্চিত যে আজ আমি সবরমতী আশ্রমের পুনরুন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে প্রথমে বাপু যেখানে থাকতেন সেই কোছরাব আশ্রমটিরও সংস্কার করা হয়েছে এবং আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে এর উদ্বোধনের কথা জানাচ্ছি। এই কোছরাব আশ্রমে প্রথম গান্ধীজি চরকা কাটেন এবং কাঠের কাজ শেখেন। এখানে দু-বছর থাকার পর গান্ধীজি সবরমতী আশ্রমে যান। এই পুনঃসংস্কারের ফলে গান্ধীজি প্রথম দিকের স্মৃতি আরও ভালোভাবে সংরক্ষিত হবে কোছরাব আশ্রমে।

 

|

বন্ধুগণ, 

আজ ১২ মার্চ, তারিখটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। এই দিনে বাপু ডান্ডি যাত্রার মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারার পরিবর্তন করেছিলেন, যা ইতিহাসে গাঁথা রয়েছে। এমনকি স্বাধীন ভারতেও এই তারিখটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। নতুন যুগের ভোরের প্রতীক। ২০২২-এর ১২ মার্চ সবরমতী আশ্রম থেকেই দেশ শুরু করেছিল ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। ডান্ডি যাত্রা স্বাধীন ভারতের পবিত্র মাটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। অমৃত মহোৎসবের সূচনা অমৃতকালে ভারতের প্রবেশের বার্তা বয়ে এনেছে। প্রত্যেক ভারতীয় আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে গর্বিত হবেন। এতে গান্ধীজির আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। আজাদি কা অমৃতকাল উদযাপনে ৩ কোটির বেশি মানুষ পঞ্চ প্রাণের প্রতিজ্ঞা করেছেন। সারা দেশে ২ লক্ষের বেশি অমৃত বাটিকা তৈরি করা হয়েছে। ২ কোটির গাছ-গাছালি রোপণ করা হয়েছে। জল সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৭০ হাজারের বেশি অমৃত সরোবর তৈরি করা হবে।

 

|

বন্ধুগণ, 

যে দেশ তার ঐতিহ্যকে অবহেলা করে তার ভবিষ্যৎ বিভ্রান্তিকর হয়ে পড়ে। বাপুর সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সবরমতী আশ্রম শুধু ভারতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, গোটা মানব সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্বাধীনতার পরে এই ঐতিহ্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়নি, যা এর প্রাপ্য ছিল। এক সময়ে ১২০ একর জমি জুড়ে এই আশ্রম ছিল। নানা কারণে সেটি ৫ একরে দাঁড়িয়েছে। এক সময়ে ৬৩টি ছোট ছোট বাড়ি ছিল, এখন আছে ৩৬টি। তার মধ্যে মাত্র ৩টিতে ঢুকতে দেওয়া হয় পর্যটকদের। ১২০ কোটি ভারতীয়ের দায়িত্ব এই সবরমতী আশ্রমকে রক্ষা করার।

এবং বন্ধুগণ,

এখানকার বাসিন্দা পরিবারগুলি সবরমতী আশ্রমের উন্নয়ন ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাঁদের সাহায্যেই ৫৫ একর জমি ফিরে পাওয়া গেছে। এই উদ্যোগে যেসব পরিবার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে, তাঁদের আমার আন্তরিক প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের বর্তমান উদ্দেশ্য আশ্রমের সবকটি পুরনো বাড়িকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া।

 

|

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার পরের সরকারগুলির দূরদৃষ্টি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ছিল। বিদেশীদের চোখে ভারতকে দেখার একটা ঝোঁক ছিল। তার সঙ্গে ছিল তোষণের বাধ্যবাধকতা। যার ফলে আমাদের সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য অবহেলিত হয়েছে ধ্বংস হয়েছে। জবলদখল, অপরিচ্ছন্নতা এবং অনিয়ম ছেয়ে গেছে আমাদের ঐতিহ্যস্থলগুলিতে। কাশীর সাংসদ হিসেবে আমি কাশী বিশ্বনাথ ধামের উদাহরণ দিতে পারি। ১০ বছর আগে কি ছিল তা মানুষ ভালোই জানে। তবে, সরকারের দৃঢ় মনস্কতায় এবং জনগণের সহযোগিতায় কাশী বিশ্বনাথ ধামের পুনর্নির্মাণের জন্য ১২ একর জমি পাওয়া গেছে। বর্তমানে মিউজিয়াম, ফুডকোর্ট, অতিথিশালা, মুমুক্ষু ভবন, মন্দিরচক, এমপোরিয়াম, যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। ওই স্থানে আসছেন ১২ কোটির বেশি ভক্ত। একইভাবে অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমির সম্প্রসারণে ২০০ একর জমি মুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ছিল ঘন বসতি। আজ রাম পথ, ভক্তি পথ এবং জন্মভূমি পথ গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে। গত ৫০ দিনে ১ কোটির বেশি ভক্ত অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন। 

যাই হোক, বন্ধুগণ, 

নিশ্চিতভাবে গুজরাট দেশের মধ্যে ঐতিহ্য সংরক্ষণে নজির স্থাপন করেছে। সর্দারসাহেবের নেতৃত্বে সোমনাথ মন্দিরের সংস্কার একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। গুজরাটে অনেকগুলি ঐতিহ্যস্থল আছে। আমেদাবাদকে বলা হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্যের শহর। 

বন্ধুগণ,

আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আমাদের জাতীয় প্রেরণার সঙ্গে সম্পর্কিত স্থলগুলির উন্নয়ন নিয়ে অভিযান শুরু করেছি। দিল্লির রাজপথকে কর্তব্য পথে পরিণত করা আমরা দেখেছি। সেখানে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি বসানো হয়েছে। এছাড়া আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও নেতাজী সংক্রান্ত স্থলগুলি বাড়ানো হয়েছে, যাতে যথাযথ পরিচিতে দেওয়া যায়। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে সংযুক্ত স্থানগুলি পঞ্চতীর্থ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। একতা নগরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের একতা মূর্তি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ডান্ডিরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। 

 

|

বন্ধুগণ, 

আগামী প্রজন্ম এবং এই আশ্রম পরিদর্শনকারীরা বুঝতে পারবেন সবরমতীর এই সন্ত কীভাবে চরকার শক্তিতে দেশের মন প্রাণকে চালিত করেছেন। তিনি মানুষের চেতনা জাগরিত করেছেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামকে একাধিক ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঔপনিবেশিক শাসন এবং দাসত্বের হতাশার মধ্যে বাপু নতুন আশা রোপণ করেছেন, বিশ্বাস রোপণ করেছেন জন আন্দোলনের মাধ্যমে। এমনকি আজও তাঁর দর্শন আমাদের দেশের প্রতিশ্রুতিমান ভবিষ্যতের জন্য স্পষ্ট দিশা দেখাচ্ছে। বাপু গ্রামস্বরাজ এবং আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমানে ভোকাল ফর লোকাল নিয়ে সর্বদাই আলোচনা হয়। মূলত এটি গান্ধীজির স্বদেশী তথা আত্মনির্ভর ভারতের দর্শন নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে। আজ আচার্যজি আমাকে তাঁর জৈব চাষের মিশন নিয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গুজরাটেই ৯ লক্ষ কৃষক আছেন। এর মধ্যে সকলকে জৈব চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, যাতে গান্ধীজির রাসায়নিক মুক্ত কৃষির ভাবনা পূরণ হয়। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে গুজরাটে ৩ লক্ষ মেট্রিকটন ইউরিয়া ব্যবহার কমেছে। এর থেকে একটা জিনিস বোঝা যায়, ধরিত্রী মাকে রক্ষা করতে আমাদের সংঘবদ্ধ প্রয়াস। যদি এটি মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। তাহলে আর কী হবে। আমাদের সরকার গান্ধীজির আদর্শে চালিত। অগ্রাধিকার দেয় গ্রামীণ মানুষের কল্যাণে। এগিয়ে নিয়ে চলে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান। বর্তমানে গ্রামগুলি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, প্রকাশ করছে বাপুর গ্রাম স্বরাজের দর্শন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে মহিলারা তাঁদের ভূমিকা ফিরে পাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে। আমি খুশি যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে নিযুক্ত ১ কোটি গ্রামীণ মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন। আমাদের তৃতীয় দফার শাসনে ৩ কোটি বোনকে এই মর্যাদা দেওয়াই আমার প্রত্যাশা। গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই মহিলারাই ড্রোন পাইলট হচ্ছেন, আঁকড়ে ধরছেন আধুনিক কৃষি কাজকে। এইসব উদ্যোগ শক্তিশালী ভারত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারতকে তুলে ধরছে। আমাদের প্রয়াসের মাধ্যমে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াইয়ে সাহস পাচ্ছেন মানুষ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পূজ্য বাপুর আত্মা যেখানেই থাকুক তিনি আমাদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করছেন। সবরমতী আশ্রম, কোছরাব আশ্রম এবং গুজরাট বিদ্যাপীঠ আলোকবর্তিকার কাজ করছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করছে আধুনিক যুগকে। আমাদের সংকল্পকে দৃঢ় করছে, উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখতে প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সবরমতী আশ্রমের দর্শন যখন বাস্তবায়িত হবে তখন এখানে আসবেন হাজার হাজার দর্শক, যাঁরা ইতিহাস জানতে চাইবেন, বাপুর থেকে শিক্ষা নেবেন। 

 

|

আমার প্রিয় দেশবাসী,

আমি আজ বিনয়ের সঙ্গে নতুন প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। এই উদ্যোগের বিশেষ স্থান আছে আমার হৃদয়ে। কারণ সেই মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আমি এই স্বপ্ন দেখেছিলাম। এর জন্য আমি যথেষ্ট সময় ও শ্রম ব্যয় করেছি। নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। মানুষের তৈরি নানা সমস্যার জন্য আইনী লড়াই হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সেই সময়ে বাধা দিয়েছে। এত বাধা সত্ত্বেও ঈশ্বরের আশীর্বাদে এবং জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে আমরা আজ এই স্বপ্ন সফল করলাম, সব সমস্যা অতিক্রম করে। আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। রাজ্য সরকারের কাছে আমার একটি মাত্র অনুরোধ যে আপনারা দেরি না করে অবিলম্বে এর কাজ দ্রুত শুরু করুন। গাছ-গাছালি রোপণ হলে এটি সম্পূর্ণতা পাবে। তবে স্নিগ্ধ সবুজ অরণ্য পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগবে। কিন্তু তার প্রভাব জনগণের কাছে হবে অসীম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আরও একবার, তৃতীয় দফায়..... আমার আর কিছু বলার নেই।

 

|

অনেক ধন্যবাদ।

 

  • Jitendra Kumar April 14, 2025

    🙏🇮🇳❤️
  • Dheeraj Thakur February 17, 2025

    जय श्री राम।
  • Dheeraj Thakur February 17, 2025

    जय श्री राम
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • दिग्विजय सिंह राना September 19, 2024

    हर हर महादेव
  • ओम प्रकाश सैनी September 13, 2024

    Ram ram ram ram ram
  • ओम प्रकाश सैनी September 13, 2024

    Ram ram ram
  • ओम प्रकाश सैनी September 13, 2024

    Ram ram
  • ओम प्रकाश सैनी September 13, 2024

    Ram ji
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%

Media Coverage

India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address during the launch of various projects at Kanpur Nagar, Uttar Pradesh
May 30, 2025
QuoteIn Operation Sindoor, the world has seen the power of India's indigenous weapons and Make in India: PM
QuoteThe infrastructure, the facilities, the resources that are available in big metro cities are now visible in Kanpur as well: PM
QuoteWe are making UP a state of industrial possibilities: PM

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

उत्तर प्रदेश के मुख्यमंत्री श्रीमान योगी आदित्यनाथ जी, केन्द्रीय मंत्रिमंडल के मेरे साथी, यहां उपमुख्यमंत्री केशव प्रसाद मौर्य और श्री बृजेश पाठक जी, उत्तर प्रदेश सरकार में मंत्री, सांसद, विधायक और विशाल संख्या में पधारे हुए कानपुर के मेरे प्यारे भाइयों और बहनों,

ये एक बच्‍ची शायद यहां कोई पेंटिंग बनाकर के, जरा एसपीजी के लोग उसे ले लें। उधर भी कोई एक चित्र बनाकर के लाया है, उस कोने में, आप अपना अता-पता उस पर लिख देना, मैं चिट्ठी भेजूंगा। एक उधर कोने में कोई नौजवान है, उसका अता-पता लिख दीजिए, ताकि मैं आपको चिट्ठी लिखूंगा। ये इधर एक बालक, कब से हाथ उठा रहा है, तेरे कंधे पर दर्द होगा आज, थक जाओगे। आज कानपुर का उत्साह बड़ा जोरो पर है भई। उधर कोई जरा फोटोग्राफर उधर देखो, एसपीजी के लोग जरा उस बच्चे को मदद करो।

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

कानपुर में विकास का ये कार्यक्रम 24 अप्रैल को होने वाला था, लेकिन पहलगाम हमले के कारण मुझे अपना कानपुर दौरा रद्द करना पड़ा। पहलगाम के कायराना आतंकी हमले में हमारे कानपुर के बेटे शुभम द्विवेदी ने भी इस बर्बरता का वो शिकार हुए। बेटी ऐशान्या की वो पीड़ा, वो कष्ट और भीतर का आक्रोश हम सब महसूस कर सकते हैं। हमारी बहनों-बेटियों का वही आक्रोश ऑपरेशन सिन्‍दूर के रूप में पूरी दुनिया ने देखा है। हमने पाकिस्तान में आतंकियों के ठिकाने घर में घुसकर, सैकड़ों मील अंदर जाकर तबाह कर दिए। और हमारी सेना ने ऐसा पराक्रम किया, ऐसा पराक्रम किया कि पाकिस्तानी सेना को गिड़गिड़ाकर युद्ध रोकने की मांग करने पर मजबूर होना पड़ा। स्वतंत्रता संग्राम की इस धरती से सेना के शौर्य को बार-बार सैल्यूट करता हूं। मैं फिर कहना चाहता हूं, ऑपरेशन सिंदूर के दौरान जो दुश्मन गिड़गिड़ा रहा था, वो किसी धोखे में न रहे, ऑपरेशन सिंदूर अभी खत्म नहीं हुआ है। भारत ने आतंक के खिलाफ अपनी लड़ाई में तीन सूत्र स्पष्ट रूप से तय किए हैं। पहला- भारत हर आतंकी हमले का करारा जवाब देगा। उसका समय, जवाब देने का तरीका और जवाब देने की शर्तें हमारी सेनाएं खुद तय करेंगी। दूसरा- भारत अब एटम बम की गीदड़ भभकी से नहीं डरेगा और न ही उसके आधार पर कोई फैसला लेगा। तीसरा- आतंक के आका और आतंकी की सरपरस्त सरकार को भारत एक ही नजर से देखेगा। पाकिस्तान का Straight और Non Straight Actor ये अब खेल चलने वाला नहीं है। अगर मैं सीधे-सीधे कानपुरिया में कहूं तो दुश्मन कहीं भी हो, हांक दिया जाएगा।

|

साथियों,

ऑपरेशन सिंदूर में दुनिया ने भारत के स्वदेशी हथियारों और मेक इन इंडिया की ताकत भी देखी है। हमारे भारतीय हथियारों ने, ब्रह्मोस मिसाइल ने दुश्मन के घर में घुसकर तबाही मचाई है। जहां टारगेट तय किया, वहां धमाके किए। यह ताकत हमें आत्मनिर्भर भारत के संकल्प से मिली है। एक समय था, जब भारत अपनी सैन्य जरूरतों के लिए, अपनी रक्षा के लिए दूसरे देशों पर निर्भर था। हमने उन हालातों को बदलने की शुरुआत की। भारत अपनी सुरक्षा जरूरतों के लिए आत्मनिर्भर हो, यह हमारी अर्थव्यवस्था के लिए तो जरूरी है ही, यह देश के आत्‍म सम्‍मान के लिए भी उतना ही जरूरी है। इसलिए हमने देश को उस निर्भरता से आजादी दिलाने के लिए आत्मनिर्भर अभियान चलाया है और यह पूरे यूपी के लिए गर्व की बात है, वो डिफेंस सेक्टर में आत्मनिर्भर में बड़ी भूमिका निभा रहा है। जैसे कानपुर में पुरानी Ordnance Factory है, वैसे ही 7 Ordnance Factories को हमने बड़ी आधुनिक कंपनियों में बदल दिया है। आज यूपी में देश का बड़ा डिफेंस कॉरिडोर बन रहा है। इस कॉरिडोर का कानपुर नोड, रक्षा क्षेत्र में आत्मनिर्भर भारत का बड़ा केंद्र है।

साथियों,

एक समय जहां से पारंपरिक उद्योग पलायन कर रहे थे, वहां अब डिफेंस सेक्टर की बड़ी कंपनियां आ रही हैं। यहां पास में ही अमेठी में AK203 राइफल का निर्माण शुरू हो चुका है। ऑपरेशन सिंदूर में जिस ब्रह्मोस मिसाइल ने दुश्मनों को सोने नहीं दिया, उस ब्रह्मोस मिसाइल का भी नया पता है उत्तर प्रदेश। भविष्य में कानपुर और यूपी भारत को डिफेंस का बड़ा एक्स्पोर्टर बनाने में सबसे आगे रहेंगे। यहाँ नई फैक्ट्रियां लगेंगी। यहाँ बड़े पैमाने पर निवेश आएगा। यहां के हजारों युवाओं को रोजगार के अच्छे अवसर मिलेंगे।

साथियों,

यूपी और कानपुर को विकास की नई ऊंचाई पर लेकर जाना, ये डबल इंजन सरकार की पहली प्राथमिकता है। ये तभी होगा, जब यहाँ पर उद्योगों को बढ़ावा मिलेगा, जब कानपुर का पुराना गौरव फिर से लौटेगा, लेकिन भाइयों और बहनों, पिछली सरकारों ने आधुनिक उद्योगों की इन जरूरतों को नज़रअंदाज करके रखा था। कानपुर से उद्योगों का पलायन होता गया। परिवारवादी सरकारें आँख बंद करके बैठे रहीं। नतीजा ये हुआ कि केवल कानपुर ही नहीं पूरा यूपी पीछे हो गया।

|

भाइयों बहनों,

राज्य की औद्योगिक प्रगति के लिए दो सबसे जरूरी शर्तें हैं, पहली- ऊर्जा क्षेत्र में आत्मनिर्भरता, यानी बिजली सप्लाई और दूसरी- इंफ्रास्ट्रक्चर और कनेक्टिविटी। आज यहाँ 660 मेगावाट के पनकी पावर प्लांट, 660 मेगावाट के नेवेली पावर प्लांट, 1320 मेगावाट के जवाहरपुर पावर प्लांट, 660 मेगावाट के ओबरासी पावर प्लांट, 660 मेगावाट के खुर्जा पावर प्लांट, का लोकार्पण हुआ है। ये यूपी की ऊर्जा जरूरतों को पूरा करने के लिए बहुत बड़ा कदम है। इन पावर प्लांट्स के बाद यूपी में बिजली की उपलब्धता और बढ़ेगी, इससे यहां के उद्योगों को भी गति मिलेगी। आज 47 हजार करोड़ रुपए से अधिक की लागत के कई और विकास कार्यों का लोकार्पण और शिलान्यास भी किया गया है। यहां बुजुर्गों को मुफ्त इलाज के लिए आयुष्मान वय वंदना कार्ड भी दिये गए हैं। अन्य योजनाओं के लाभार्थियों को भी मदद दी गई है। ये योजनाएँ, ये विकास कार्य, कानपुर और यूपी की प्रगति के लिए हमारे कमिटमेंट को दिखाते हैं।

साथियों,

आज केंद्र और प्रदेश की सरकार आधुनिक और विकसित यूपी के निर्माण के लिए काम कर रहे हैं। इसी का परिणाम है, जो इंफ्रास्ट्रक्चर, जो सुविधाएं, जो संसाधन बड़ी-बड़ी मेट्रो सिटीज़ में होती है, वो सब अब अपने कानपुर में भी दिखने लगी हैं। कुछ साल पहले हमारी सरकार ने कानपुर को पहली मेट्रो की सौगात दी थी। अब आज कानपुर मेट्रो की ऑरेंज लाइन, कानपुर सेंट्रल तक पहुंच गयी है। पहले elevated और अब अंडरग्राउंड, हर तरह का मेट्रो नेटवर्क कानपुर के महत्वपूर्ण इलाकों को जोड़ रहा है। कानपुर मेट्रो का ये विस्तार, ये कोई साधारण प्रोजेक्ट नहीं है। कानपुर मेट्रो इस बात का सबूत है, अगर सही इरादों, मजबूत इच्छाशक्ति और नेक नियत वाली सरकार हो, तो देश के विकास के लिए, प्रदेश के विकास के लिए कैसे ईमानदारी से प्रयास होते हैं। आप याद करिए कानपुर के बारे में पहले लोग कैसी-कैसी बातें करते थे? चुन्नीगंज, बड़ा चौराहा, नयागंज, कानपुर सेंट्रल, इतनी भीड़-भाड़ वाले इलाके, जगह-जगह सँकरी सड़कों की समस्या, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर और प्लानिंग की कमी, लोग कहते थे, यहाँ कहाँ मेट्रो जैसे काम हो पाएंगे? यहाँ कहाँ कोई बड़ा बदलाव हो पाएगा? एक तरह से कानपुर और यूपी के दूसरे प्रमुख शहर विकास की दौड़ से बाहर थे। इससे ट्रैफिक की समस्या गहराती रही, शहर की रफ्तार कम होती चली गई, यूपी में सबसे ज्यादा संभावनाओं से भरे शहर विकास की दौड़ में पिछड़ते गए। लेकिन, आज वही कानपुर, वही यूपी, विकास के नए कीर्तिमान गढ़ रहा है। आप देखिए, मेट्रो सेवाओं से ही कानपुर के लोगों को कितना फायदा होने जा रहा है। कानपुर व्यापार का इतना बड़ा केंद्र है। मेट्रो के कारण अब हमारे व्यापारियों और ग्राहकों दोनों के लिए नवीन मार्केट और बड़ा चौराहा पहुंचना आसान हो जाएगा। कानपुर आने-जाने वाले लोग, IIT के स्टूडेंट्स, सामान्य मानवी, इन सबके लिए सेंट्रल रेलवे स्टेशन तक पहुंचने में कितना समय बचेगा। हम जानते हैं, शहर की गति ही शहर की प्रगति बनती है। ये सुविधाएं, ये कनेक्टिविटी, ट्रांसपोर्ट की आधुनिक फैसिलिटी आज यूपी के आधुनिक विकास की नई तस्वीर बन रही है।

साथियों,

आज हमारा यूपी आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर और कनेक्टिविटी के मामले में बहुत आगे निकल रहा है। जिस यूपी की पहचान टूटी-फूटी सड़कों और गड्ढों से होती थी, वो अब एक्स्प्रेसवेज के नेटवर्क के लिए जाना जाता है। जिस यूपी में लोग शाम के बाद बाहर जाने से बचते थे, वहाँ अब हाइवेज पर 24 सौ घंटे लोग ट्रैवल करते हैं। यूपी कैसे बदला है, ये कानपुर वालों से बेहतर भला कौन जानता है? कुछ ही दिनों में कानपुर लखनऊ एक्सप्रेस वे से लखनऊ का सफर सिर्फ 40-45 मिनट का होने वाला है। यह बेटी कब से खड़ी है, चित्र लेकर के थक गई होगी, जरा एसपीजी के लोग इस बेटी से वो चित्र ले लीजिए। Thank you बेटा, बहुत बढ़िया शानदार चित्र बनाकर लाई हो आप, देखिए इस बच्‍ची के कब से, थक जाएगी बेटा, वो तुम्हारा नाम पता लिख दिया है बेटा? वो मेरे ऑफिस के लोग आएंगे, अभी ले लेंगे, मुझे पहुंच जाएगा बेटा, बहुत-बहुत धन्यवाद आपका।

|

साथियों,

लखनऊ से ही पूर्वांचल एक्सप्रेस वे से सीधे कनेक्टिविटी भी मिलेगी। कानपुर-लखनऊ एक्सप्रेस वे को गंगा एक्सप्रेस वे से भी जोड़ा जाएगा। इससे पूर्व और पश्चिम, दोनों तरफ जाने के लिए दूरी भी और समय भी बचेगा।

साथियों,

कानपुर के लोगों को अब तक फर्रुखाबाद अनवरगंज सेक्शन में, सिंगल-लाइन से दिक्कत होती रही है। एक दो नहीं 18 रेलवे क्रॉसिंग से आपको संघर्ष करना पड़ता था, कभी ये फाटक बंद, कभी वो फाटक बंद, आप लोग कब से इस परेशानी से मुक्ति की मांग कर रहे थे। अब यहां भी एक हजार करोड़ रुपए खर्च करके एलिवेटेड रेल कॉरिडोर बनने जा रहा है। इससे यहां ट्रैफिक सुधरेगा, स्पीड बढ़ेगी और प्रदूषण भी कम होगा और सबसे बड़ी बात, कानपुर के आप लोगों का समय बचेगा।

साथियों,

कानपुर सेंट्रल रेलवे स्टेशन को भी अपग्रेड करके विश्वस्तरीय लुक दिया जा रहा है। थोड़े ही समय में कानपुर सेंट्रल रेलवे स्टेशन भी एयरपोर्ट की तरह आधुनिक वर्ल्ड क्लास आपको नजर आएगा। हमारी सरकार यूपी के 150 से ज्यादा रेलवे स्टेशनों को अमृत भारत रेलवे स्टेशन के रूप में विकसित कर रही है। यूपी, पहले ही देश में सबसे ज्यादा इंटरनेशनल एयरपोर्ट वाला राज्य बन चुका है। यानी, हाइवेज, रेलवेज़ और एयरवेज, यूपी अब हर क्षेत्र में तेजी से आगे बढ़ रहा है।

|

साथियों,

हम यूपी को औद्योगिक संभावनाओं का राज्य बना रहे हैं। इस साल के बजट में हमने मेक इन इंडिया के लिए मिशन manufacturing की घोषणा की है। इसके तहत लोकल उद्योगों को, उत्पादन को बढ़ावा दिया जाएगा। कानपुर जैसे शहरों को इसका बहुत बड़ा लाभ मिलेगा। आप जानते ही हैं, कानपुर के औद्योगिक सामर्थ्य में सबसे बड़ा योगदान यहाँ की MSMEs, लघु उद्योगों का होता था। आज हम यहां के लघु उद्योगों की अपेक्षाओं को पूरा करते हुए काम कर रहे हैं।

साथियों,

कुछ समय पहले तक हमारी MSMEs को इस तरह परिभाषित किया जाता था, कि उन्हें विस्तार करने में भी डर लगता था। हमने उन पुरानी परिभाषाओं को बदला। हमने लघु उद्योगों के टर्नओवर और स्केल की सीमा को बढ़ाया। इस बजट में सरकार ने एक बार फिर MSMEs के दायरे को और बढ़ाते हुए उन्हें और भी छूट दी है। पहले के समय में MSMEs के सामने बड़ी दिक्कत क्रेडिट की भी होती थी। पिछले 10 वर्षों में हमने क्रेडिट की समस्या को खत्म करने के लिए एक के बाद एक कई बड़े फैसले लिए हैं। आज युवा अपना उद्योग शुरू करना चाहते हैं, तो उन्हें मुद्रा योजना के जरिए तुरंत पूंजी मिल जाती है। छोटे और मध्यम उद्योगों को आर्थिक मजबूती देने के लिए हमने क्रेडिट गारंटी स्कीम चलाई है। इस साल के बजट में MSME लोन पर गारंटी को बढ़ाकर 20 करोड़ कर दिया गया है। MSMEs के लिए 5 लाख तक की लिमिट वाले क्रेडिट कार्ड भी दिए जा रहे हैं। हम यहां पर नए उद्योगों, खासकर, MSMEs के लिए अनुकूल माहौल बना रहे हैं। इसके लिए प्रक्रियाओं को सरल किया जा रहा है। कानपुर के पारंपरिक चमड़ा और होजरी उद्योगों को 'वन डिस्ट्रिक्ट, वन प्रॉडक्ट' जैसी योजनाओं के माध्यम से सशक्त किया जा रहा है। हमारे इन प्रयासों का लाभ कानपुर के साथ-साथ यूपी के सभी जिलों को भी मिलेगा।

|

साथियों,

आज उत्तर प्रदेश में निवेश का एक अभूतपूर्व और सुरक्षित माहौल बना है। गरीब कल्याण की योजनाओं को पारदर्शिता से जमीन पर उतारा जा रहा है। मध्यम वर्ग के सपनों को पूरा करने के लिए भी सरकार उनके साथ खड़ी है। इस बजट में हमने 12 लाख रुपए तक की आय को पूरी तरह टैक्स फ्री कर दिया है। इससे करोड़ों मध्यम वर्गीय परिवारों में नया विश्वास जगा है, उन्हें नई ताकत मिली है। हम सेवा और विकास के इस संकल्प के साथ इसी तरह तेजी से आगे बढ़ेंगे। हम देश को, यूपी को नई ऊंचाई पर लेकर जाने के लिए मेहनत करने में कोई कोर कसर नहीं छोड़ेंगे। मैं कानपुर के उज्ज्वल भविष्‍य के लिए सभी मेरे कानपुर के भाई-बहनों को बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं।

बहुत-बहुत धन्यवाद