“Swami Vivekanand filled the country with new energy and enthusiasm during the period of slavery”
“Conduct cleanliness campaigns in all the temples of the country on the auspicious occasion of the consecration of Ram Temple”
“The world is looking towards India as a new skilled force”
“Youth of today have a chance to make history, to register their names in history”
“Today, the mood and style of the country are youthful”
“Advent of Amrit Kaal is filled with pride for India. Youth must take India forward in this Amrit Kaal to make a ‘Viksit Bharat’”
“Greater participation of youth in democracy will create a better future for the nation”
“First-time voters can bring new energy and strength to India’s democracy”
“Upcoming 25 years of Amrit Kaal is a period of duty for youth. When youth keep their duties paramount, the society will progress and the country will also progress”

ভারতমাতার জয়! 
ভারতমাতার জয়! 

ভারতমাতার জয়! 

মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডেজি, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর, শ্রীমতী ভারতীয় পাওয়ার, শ্রী নিশীথ প্রামাণিক, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, শ্রী অজিত পাওয়ারজি, অন্যান্য মন্ত্রীগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমার তরুণ বন্ধুরা!

 

আজ ভারতের যুবশক্তির উদযাপন চলছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে নাসিকে আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। জাতীয় যুব দিবসে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আজ ভারতের নারীশক্তির প্রতীক রাজমাতা জিজাও মা সাহেবেরও জন্মবার্ষিকী।

বন্ধুগণ,

মহারাষ্ট্রের এই ভূমিতে ভারতের বহু মহান ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছেন। এই রাজ্যটি হল পবিত্র, বীর যোদ্ধাদের ভূমি। এই ভূমিতে রাজমাতা জিজাও মা সাহেব ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মতো মহান বীরের জন্ম দিয়েছেন। এই ভূমি দেবী অহল্যাবাঈ হোলকার, রামাবাঈ আম্বেডকরের মতো স্মরণীয় মহীয়সীদের জন্ম দিয়েছে। লোকমান্য তিলক, বীর সাভারকার, দাদাসাহেব পটনিসের মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের শিকড় হল এই রাজ্য। নাসিক-পঞ্চবটীতে বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন ভগবান শ্রীরাম। আজ আমি নতমস্তকে এই ভূমিকে প্রণাম জানাই। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের তীর্থস্থান এবং মন্দিরগুলিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর ডাক দিয়েছিলাম আমি। আজ আমি কালারাম মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিই। সমস্ত মন্দির এবং তীর্থস্থানগুলিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর জন্য আমি নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন রাখছি।

 

আমার তরুণ বন্ধুগণ,

সাধু-সন্ন্যাসী, পণ্ডিত থেকে শুরু করে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ – প্রত্যেকেই যুবশক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। শ্রী অরবিন্দ ভারতের লক্ষ্য পূরণে স্বাধীন চিন্তাভাবনা নিয়ে তরুণদের এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দও ভারতের আকাঙ্ক্ষা পূরণে তরুণদের চরিত্র, দৃঢ়তা ও বুদ্ধিমত্তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রী অরবিন্দর বার্তা এই ২০২৪ সালেও ভারতের তরুণদের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। তরুণদের শক্তির জন্যই ভারত আজ বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ভারত আজ অসংখ্য উদ্ভাবন, রেকর্ড সংখ্যক পেটেন্ট এবং উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, যা সম্ভব হয়েছে তরুণদের ক্ষমতা এবং শক্তির জন্যই।

বন্ধুগণ, 

সময় প্রত্যেকের জীবনে সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসে। ‘অমৃতকাল’ এখন ভারতের তরুণদের সামনে সেই সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। আজ আপনাদের সামনে ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ এসেছে। ‘অমৃতকাল’-এ আপনাদের ওপরে অনেক দায়িত্ব বর্তেছে। ‘অমৃতকাল’-এ ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। এই সময়ে আপনাদের কাজ পরবর্তী শতাব্দীর প্রজন্মের কাছে আপনাদের স্মরণীয় করে রাখবে। আমি আপনাদের একুশ শতকের ভারতের সবচেয়ে ভাগ্যবান প্রজন্ম হিসেবে মনে করি। আপনাদের ওপর আমার সবচেয়ে বেশি আস্থা রয়েছে। ‘MY Bharat’ প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠার পর এটাই প্রথম যুব দিবস। প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ তরুণ তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের শক্তি ও চেতনা দেশ এবং সমাজকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

বন্ধুগণ, আমাদের সরকার ১০ বছর পূর্ণ করেছে। এই এক দশকে আমরা তরুণদের সামনে থেকে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি দূর করার চেষ্টা করেছি এবং তাঁদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার প্রয়াস চালিয়েছি। আজ শিক্ষা, কর্মসংস্থান, শিল্পোদ্যোগ বা অন্যান্য ক্ষেত্র, স্টার্ট-আপ, ক্রীড়া – প্রতিটি ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তা করা হচ্ছে। একটি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণ করা হয়েছে। হস্তশিল্পে তরুণদের দক্ষ করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা চালু করা হয়েছে। নতুন নতুন আইআইটি এবং এনআইটি গড়ে তোলা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে আমাদের তরুণরা যাতে তাঁদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারেন, সেজন্য সরকার তাঁদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। 

 

বন্ধুগণ,

তরুণদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র খুলে দিচ্ছে সরকার। অ্যানিমেশন, কম্পিউটার গেমিং প্রভৃতি ক্ষেত্রের উন্নয়নে সরকার এগিয়ে এসেছে। পরমাণু ক্ষেত্র, মহাকাশ এবং মানচিত্রের ক্ষেত্রে সরকার সহায়তার পথ খুলে দিয়েছে।

আমাদের দেশের বিমানবন্দরগুলিকে আন্তর্জাতিক মানের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। আজ ভারতে মোবাইল ডেটা আশ্চর্যজনকভাবে সস্তা হয়ে উঠেছে, যা বিশ্বের অনেক দেশ এখনও কল্পনা পারে না। আজ তরুণরা নেতা হয়ে উঠেছেন। তাই, ভারত আজ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই সাফল্যের সাক্ষ্য বহন করছে চন্দ্রযান এবং আদিত্য এল-১। দেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন ইউপিআই লেনদেন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বড় মল থেকে ছোটোখাটো দোকান – সর্বত্রই ইউপিআই লেনদেন হচ্ছে, যা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। 

বন্ধুগণ,

আমরা ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। এখন আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে চলেছি। আমাদের ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্বপ্ন পূর্ণ করতে হবে। পরিষেবা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারত অবশ্যই বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্রস্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

বন্ধুগণ,

দুর্ভাগ্যজনকভাবে দাসত্বের মানসিকতার কারণে বাজরা রুটি, রাগি, জোয়ারের মতো খাদ্যকে গরিবদের খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হত। আজ মিলেট উচ্চমানের খাদ্য হিসেবে উঠে এসেছে। শ্রীঅন্ন যোজনার মাধ্যমে সরকার এই মিলেটগুলিকে নতুন পরিচয় এনে দিয়েছে। 

 

বন্ধুগণ,

আমি যখনই বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা বা বিনিয়োগকারীদের মুখোমুখি হই, তখন তা আমার মনে প্রভূত আশার সঞ্চার করে। গণতন্ত্রের কারণেই এই আশা-আকাঙ্ক্ষা। ভারত হল গণতন্ত্রের জননী। গণতন্ত্রে যত বেশি তরুণ অংশ নেবেন, দেশের ভবিষ্যৎ ততই উজ্জ্বল হবে। আপনারা যত সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হবেন, পারিবারিক রাজনীতির প্রভাব তত কমবে। পরিবার-কেন্দ্রিক রাজনীতি দেশের প্রভূত ক্ষতি করেছে। গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল, ভোটের মাধ্যমে আপনার মতামত প্রকাশ। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের জীবনে এই প্রথমবার ভোট দেবেন। প্রথমবারের ভোটদাতারা গণতন্ত্রে নতুন শক্তি ও ক্ষমতা নিয়ে আসবে। অতএব, ভোটার তালিকায় আপনার নাম সুনিশ্চিত করতে, গোটা প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করুন। আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে আপনার ভোট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুগণ,

‘অমৃতকাল’-এর আগামী ২৫ বছর হল আপনার কাছে ‘কর্তব্যকাল’ বা দায়িত্ব পালনের পর্ব। দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তাই, স্থানীয় পণ্যকে ছড়িয়ে দিন এবং ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য যত বেশি সম্ভব ব্যবহার করুন। মাদক এবং মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকুন। মহিলাদের বিরুদ্ধে কটু মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান। 

 

বন্ধুগণ,

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের প্রত্যেকে ত্যাগ ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রতিটি দায়িত্ব পালন করবেন। শক্তিশালী, সক্ষম এবং দক্ষ ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে যে আলো আজ আমরা প্রজ্জ্বলন করেছি, ‘অমৃতকাল’-এ তা গোটা বিশ্বকে আলোকিত করবে। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! ভারতমাতার জয়! দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলুন – ভারতমাতার জয়! আপনি যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে আপনার কন্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়া উচিত। ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়!

 

ভারতমাতার জয়! 
ভারতমাতার জয়! 

বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।