Inaugurates 19 km long Haryana Section of Dwarka Expressway
“In less than three months of 2024, projects worth more than Rs 10 lakh crore have been either dedicated to the nation or foundation stone has been laid for them”
“Converting problems into possibilities has been Modi's guarantee”
“The 21st Century India is India of big vision and big goals”
“Earlier, there were delays, now there are deliveries. Earlier, there was delay, now there is development”

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্রাত্তেয় জি, রাজ্যের কর্মযোগী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল জি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার প্রিয় সহকর্মী শ্রী নীতিন গড়করি জি, রাও ইন্দ্রজিৎ সিং জি, কৃষাণ পাল গুজ্জর জি, হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত জি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদে আমার সহকর্মী নায়েব সিং সাইনি জি, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গ এবং এখানে ব্যপক সংখ্যায় সমবেত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

আমি পর্দাতেই লক্ষ্য করছি যে দেশের প্রায় সবকটি প্রান্তের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ যুক্ত হয়েছেন আমাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে। আধুনিক প্রযুক্তিগত যোগাযোগের মঞ্চে তাঁদের এই উপস্থিতি। একসময় এই ধরনের কর্মসূচি আয়োজিত হতো দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে। তাতে অংশগ্রহণ করতেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে গুরুগ্রামে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলেও তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সারা দেশ।  আজ আধুনিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আমরা এগিয়ে গেছি। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯,০০০ কোটি টাকারও বেশি। এর ফলে, আজ থেকে দিল্লি ও হরিয়ানার মধ্যে পরিবহণের অভিজ্ঞতা চিরকালের মতো বিশেষ পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে রইলো। 

 

বন্ধুগণ, 

দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি ছোট ছোট কর্মসূচির ছক রচনা করত। অনুষ্ঠানের আয়োজনও হতো খুবই ছোট ও সংক্ষিপ্ত আকারে। কিন্তু তারই দামামা বাজতো দীর্ঘ ৫ বছর ধরে। কিন্তু বিজেপি সরকারের কাজের ধারা ও গতি এমনটাই যে কোনো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধনের সময়কালের ব্যবধান যে কখন ঘুচে যায় তা বোঝাই যায় না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ১০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস অথবা উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। 

২০১৪ সালের আগের দিনগুলির কথা স্মরণ করুন। তুলনা করুন আজকের দিনটির সঙ্গে। ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে শতাধিক প্রকল্পের কাজের আজ শিলান্যাস বা উদ্বোধন পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্ণাটক, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প। উন্নয়নমূলক বেশ কয়েকটি কর্মসূচিও স্থান পেয়েছে আজকের কর্মসূচির মধ্যে। এর সুফল ভোগ করবে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি। আবার মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের জন্যও কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে আজকের কর্মসূচির মধ্যে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম দেশের সকল প্রান্তেরই কোটি কোটি নাগরিককে জানাই আমার অভিনন্দন। 

বন্ধুগণ, 

মনে রাখতে হবে যে কোন সমস্যা ও সুযোগের মধ্যে পার্থক্যের বিষয়টি একান্ত বাহ্যিক, তাই সমস্যাকে সুযোগে রূপান্তরিত করাই হল মোদীর গ্যারান্টি। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েটি তারই এক বিশেষ দৃষ্টান্ত। যে অঞ্চলগুলির মধ্য দিয়ে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হয়েছে, সেখানে একসময় সূর্যাস্তের পর মানুষ যাতায়াত করতে ভয় পেতেন। এমনকি ট্যাক্সি চালকরাও ওই পথ এড়িয়ে চলতেন। কারণ, ঐ পথ ছিল তখন এতটাই বিপদসঙ্কুল। কিন্তু আজ বড় বড় শিল্প সংস্থা এগিয়ে এসেছে ঐ অঞ্চলগুলিতে শিল্প স্থাপনের উদ্দেশ্যে। এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। ফলে, অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টাও উত্তরোত্তরও উৎসাহ লাভ করবে। 

 

 

বন্ধুগণ, 

দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে যখন দিল্লি - মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে তখন সূচনা হবে পরিবহণের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের। পশ্চিম ভারতের শিল্প ও রপ্তানি প্রচেষ্টায় এই করিডোরটি নতুন নতুন শক্তি ও উদ্যম যোগাতে সাহায্য করবে। এজন্য আমি বিশেষ ভাবে প্রশংসা করি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল জি এবং তাঁর সরকারকে। কারণ, এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে তাঁরা যথেষ্ট নিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হরিয়ানার সার্বিক বিকাশে নিরলস পরিশ্রম করেছেন মনোহর লাল জি। তিনি আমার পুরোনো সহকর্মীদের একজন। আমরা যখন মেঝেতে শতরঞ্চি বিছিয়ে শয়ন করতাম সেই সময় থেকে তিনি ছিলেন আমার সঙ্গী। তাঁর সঙ্গে মোটরসাইকেলে চেপে আমি সফর করতাম বিভিন্ন স্থানে। তিনি থাকতেন চালকের আসনে, আমি বসতাম পেছনে। রোহটাক থেকে শুরু করে আমরা গিয়ে থামতাম গুরুগ্রামে। সেই দিনগুলির কথা আজও আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। খুবই আনন্দের বিষয় যে সেই গুরুগ্রামে আজ আমি আপনাদের সকলের সামনে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছি। মনোহর লাল জি-র নেতৃত্বে 'বিকশিত হরিয়ানা বিকশিত ভারত' কর্মসূচির মূল নীতিগুলি নাগরিকদের ক্ষমতায়ণ ঘটাতে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। 

 

বন্ধুগণ, 

২১ শতকের ভারত হল এক বিশেষ স্বপ্নদ্রষ্টা ভারত। এই ভারতের লক্ষ্য হল অনেক। কারণ, এগিয়ে চলার গতির সঙ্গে তা কোন ভাবেই আপোষ করতে আগ্রহী নয়। এমনকি আমি নিজে যা চিন্তা করি, যা স্বপ্ন দেখি তা কিন্তু তুচ্ছ বা নগণ্য নয়। কারণ, আমার স্বপ্ন তথা কাজের জগৎ হল বিশাল। আমি যে কাজই করি না কেন, আকারে এবং গতিতে তা হয়ে ওঠে বিশাল। এই ভাবে আমার স্বপ্নের ২০৪৭ সালের ভারত হয়ে উঠবে এক উন্নততর ভারত। আগামী প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজে আমি হয়ে থাকবো একনিষ্ঠ এক কর্মী। 

বন্ধুগণ, 

উন্নয়নের কাজে গতি সঞ্চার করতে দিল্লি - জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে আমরা হাত দিয়েছি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের। বিগত ২ বছরের কোভিড সঙ্কট কালেও আমরা দ্রুততার সঙ্গে দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। গত ১০ বছরে দিল্লি - জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে নতুন মেট্রোলাইন নির্মিত হয়েছে ২৩০ কিলোমিটারেরও বেশি। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে তোলার কাজও কোন ভাবেই থেমে নেই। কারণ, আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গতি ও গতিময়তা। 

 

বন্ধুগণ, 

বর্তমান ভারতে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ এবং দারিদ্র হ্রাস করার বিষয় দুটি পরস্পর সংযুক্ত। এক্সপ্রেসওয়ে যখন দেশের গ্রামাঞ্চলগুলিকে যুক্ত করে, গ্রামবাসী যখন যুক্ত হয় উন্নত সড়কপথের সঙ্গে, তখন গ্রামের সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছোয় অসংখ্য নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা। যেজন্য মানুষকে একসময় গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি হিতে হতো, সেই পরিস্থিতির এখন দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। উন্নত ও আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে গ্রামগুলিতেই এখন গড়ে উঠছে নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা। একদিকে যেমন দ্রুততার সঙ্গে গড়ে উঠছে হাসপাতাল, শৌচাগার, পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের সরবরাহ এবং নতুন নতুন বাসস্থান প্রকল্প, তখন গ্রামের দরিদ্রতর মানুষটিও শরিক হতে পারছেন আমাদের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টার। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতো শিক্ষার পরিকাঠামোও সম্প্রসারিত হচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চলে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষার নতুন নতুন সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২৫ কোটি মানুষকে গত ১০ বছরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে দারিদ্র্যসীমার বাইরে। এই ভাবে উন্নয়নের পথে ক্রমান্নয়নে এগিয়ে যেতে যেতে বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতির একটি দেশ থেকে আজ আমরা হয়ে উঠতে পেরেছি পঞ্চম বৃহত্তম এক অর্থনীতিতে। 

বন্ধুগণ, 

যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে সারা দেশজুড়ে আজ পরিকাঠামো গড়ে উঠছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এক অর্থনীতি। নানা ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সম্ভাবনা, স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ সব কিছুই সম্প্রসারিত হবে নতুন নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। 

 

বন্ধুগণ, 

যে উন্নয়নের যজ্ঞ আজ সারা দেশে শুরু হয়েছে তাতে অখুশি কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি। কারণ, এত উন্নয়নের জোয়ার তারা কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। তারা যখন মাত্র একটি প্রকল্পের কথা বলে তখন মোদী বাস্তবে সম্পূর্ণ করে দেখায় দশ দশটি প্রকল্প। তাতে তারা বিস্ময় প্রকাশ করে এবং প্রচার করে যে শুধুমাত্র নির্বাচনের দিকে চোখ রেখে কোটি কোটি টাকা উন্নয়নের নামে খরচ করে মোদী। গত ১০ বছরে দেশ একটাই পাল্টে গেছে যে তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে পারছে না কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি। 

আমাদের সরকার কোনো প্রকল্পের কাজ শুধুমাত্র শুরুই করে না, নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে তা শেষও করে। নির্বাচন আমাদের কাছে কোন বড় বিষয় নয়। আমাদের কাছে প্রাধান্য পায় সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি। দেশের প্রত্যেক করদাতার অর্থকে আমরা মূল্যবান বলে মনে করি। তাই, বরাদ্দকৃত বাজেট ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে আমরা আগ্রহী। 

 

একসময় পরিকাঠামো প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হতো শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়লাভের জন্য। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন প্রকল্প নির্মাণের কাজ সঠিক সময়ে নির্মিত হওয়ার ঘটনাটি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। এই হল আমাদের নতুন ভারত। একসময় বিলম্বই ছিল একটি স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু বর্তমানে প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টি হল স্বাভাবিক ঘটনা। বর্তমানে আমরা দেশে ৯,০০০ কিলোমিটার উচ্চ গতির করিডোর গড়ে তোলার ওপর দৃষ্টিপাত করেছি। তার মধ্যে ৪,০০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের করিডোর নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ৫ বছরের সময়কাল হল আরও বড় বড় প্রকল্প নির্মাণের এক বিশেষ সময়কাল এবং এটাই হল মোদীর গ্যারান্টি। কারণ, এ হল এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এক বিশেষ অঙ্গীকার। তাই আসুন আমরা সকলে একসঙ্গে বলে উঠি -

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।