“বিনা শোধনাগারে পেট্রো কেমিক্যাল চত্ত্বরের” ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন
ইন্দোর-এ ২টি আইটি পার্ক এবং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৬টি নতুন শিল্প পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে
“আজকের এই প্রকল্পগুলি মধ্যপ্রদেশের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিচায়ক”
“যে কোন দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য প্রশাসনের স্বচ্ছ হওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়া জরুরি”
“ভারত দাসত্ব মনোবৃত্তি পিছনে ফেলে এসেছে এবং স্বাধীনতার আত্ববিশ্বাস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে”
“জি২০র বিশেষ সাফল্য ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সাফল্য”
“রানী দুর্গাবতীর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী বিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ৫ অক্টোবর পালন করা হবে”
“‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’এর মডেল এখন সমগ্র বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে”
নর্মদা পূরণ জেলায় একটি বিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রস্ততকারক অঞ্চল, ইন্দোর-এ দুটি আইটি পার্ক, রথলম-এ একটি মেগা শিল্পপার্ক এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৬টি নতুন শিল্পক্ষেত্র তৈরি করা হবে।
“মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক এটি” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নর্মদা পূরণ, ইন্দোর এবং রথলাম-এই প্রকল্পগুলি মধ্যপ্রদেশের শিল্প ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবে এবং এর সুফল লাভ করবেন সকলে।
আগামী কয়েক বছরে মধ্যপ্রদেশ শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
কোনোও বোনই যেন গ্যাস সংযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

ভারত মাতার জয়,

ভারত মাতার জয়,

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভাই শিবরাজ সিং চৌহ্বানজী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি মধ্যপ্রদেশের অন্যান্য সাংসদগণ, রাজ্যের মন্ত্রিগণ, বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনরা !

বুন্দেলখণ্ডের এই মাটি বীরদের মাটি, শূরবীরদের মাটি। এই মাটি বীনা এবং বেতোয়া উভয় নদীর আশীর্বাদ পেয়েছে। এবার আমার একমাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার সাগর শহরে এসে আপনাদের সকলের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। আর আমি শিবরাজজীর নেতৃত্বাধীন সরকারকেও অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই যে, আজ তাঁরা আমাকে আপনাদের সবার মধ্যে এসে এই সাক্ষাতের সুযোগ করে দিয়েছেন। গতবার আমি সন্ত রবিদাসজীর স্মৃতিতে নির্মীয়মান অনিন্দ্যসুন্দর স্মারকের ‘ভূমি পূজন’ উপলক্ষে আপনাদের মধ্যে এসেছিলাম। আজ আমার মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন গতি প্রদানকারী অনেক প্রকল্পের ভূমি পূজনের সৌভাগ্য হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি এলাকার শিল্পোদ্যোগ উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি জোগাবে। এই প্রকল্পগুলি নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় করবে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, ৫০ হাজার কোটি টাকা কত বড় অঙ্ক ? আমাদের দেশের অনেক রাজ্যের সারা বছরের বাজেটও এই অঙ্কের হয়না। যতটা আজ একটি অনুষ্ঠানে শিলান্যাস করা মধ্যপ্রদেশের এই উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করতে চলেছে। এথেকে বোঝা যায় যে, মধ্যপ্রদেশের জন্য আমাদের সংকল্প কত বড়। এই প্রকল্পগুলি আগামীদিনে মধ্যপ্রদেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান করবে। এই প্রকল্পগুলি গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে। আমি বীনা রিফাইনারির সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অনেক পরিষেবার শিলান্যাসের জন্য মধ্যপ্রদেশের কোটি কোটি জনগণকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার এই অমৃতকালে প্রত্যেক দেশবাসী আমাদের ভারতকে উন্নত করে তোলার সংকল্প নিয়েছেন। এই সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হলে ভারতকে আত্মনির্ভর হতে হবে, যাতে আমাদের বিদেশ থেকে ন্যূনতম পণ্য আমদানি করতে হয়। আজ ভারতকে বিদেশ থেকে পেট্রল, ডিজেল তো আমদানি করতে হয়ই, আমাদের বিভিন্ন পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের জন্যও অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। আজ বীনা রিফাইনারিতে যে পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সের শিলান্যাস হয়েছে, তা ভারতকে এধরণের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তোলার কাজ করবে। অনেকেই জানেন না যে, প্ল্যাস্টিক পাইপ, শৌচাগারে ব্যবহার্য প্ল্যাস্টিকের বালতি এবং মগ, প্ল্যাস্টিকের নল, প্ল্যাস্টিকের চেয়ার-টেবিল, বাড়ির দেওয়ালের রঙ, গাড়ির বাম্পার ও ড্যাসবোর্ড, বিভিন্ন প্যাকিং মেটিরিয়াল, নানারকম চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন গ্লুকোজের বোতল, মেডিকেল সিরিঞ্জ ইত্যাদি নানা ধরণের কৃষি উপকরণ ইত্যাদি অনেক নিত্য ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনে পেট্রোকেমিক্যালের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। এবার বীনায় নির্মীয়মান এই আধুনিক পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স এই সম্পূর্ণ এলাকার উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আজ আমি আপনাদেরকে গ্যারান্টি দিতে এসেছি এর ফলে, এখানে অনেক নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ আসবে । ফলে এখানকার কৃষক এবং ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্লোদ্যোগীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি আমার নবীন ভাই-বোনেদের জন্য কয়েক হাজার নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
আজকের নতুন ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর বা উৎপাদন শিল্প ক্ষেত্রেও প্রভূত পরিবর্তন আসছে। যেভাবে দেশের প্রয়োজনগুলি বাড়ছে, সেভাবেই আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকেও আধুনিক করে তুলতে হবে। এই ভাবনা নিয়েই আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের জনগণের স্বার্থে ১০টি নতুন শিল্পোদ্যোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হল। নর্মদাপূরমে পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন নির্ভর ম্যানুফ্যাকচারিং জোন থেকে শুরু করে ইন্ডোরে দুটি নতুন আইটি পার্ক, রতলামে মেগা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হওয়ায় এগুলি মধ্যপ্রদেশের শিল্পোদ্যোগ শক্তিকে অনেক বাড়িয়ে দেবে। আর যখন মধ্যপ্রদেশের শিল্পোদ্যোগ শক্তি বাড়বে, তখন সবাই লাভবান হবেন। এখানকার নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা, এখানকার কৃষক, এখানকার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের রোজগার বাড়বে, সবাই অনেক বেশি রোজগারের সুযোগ পাবেন।

আমার পরিবারের প্রিয় আপনজনরা,

কোনও দেশ, বা যে কোনও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য স্বচ্ছ প্রশাসন জরুরি, যাতে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মধ্যপ্রদেশের আজকের প্রজন্মের হয়তো তেমন মনে নেই, কিন্ত একটা সময় ছিল যখন মধ্যপ্রদেশ দেশের সবচাইতে দরিদ্র রাজ্যগুলির অন্যতম ছিল। স্বাধীনতার পর যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যপ্রদেশের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা দুর্নীতি এবং অপরাধ ছাড়া মধ্যপ্রদেশবাসীকে কিছুই দেননি, কিছুই দেননি।  একটা সময় ছিল যখন মধ্যপ্রদেশে অপরাধীদের শাসন চলত। শাসন ব্যবস্থার ওপর মানুষের ভরসাই ছিল না । এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশে শিল্পোদ্যোগ কিভাবে শুরু হত ? কোনও ব্যবসায়ী এখানে আসার সাহস কী করে করত ? আপনারা যখন আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, আমাদের দলের সহকর্মীদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, তখন আমরা সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমরা মধ্যপ্রদেশকে ভয়মুক্ত করেছি। এখানকার আইন ব্যবস্থাকে পুনঃস্থাপিত করেছি। পূর্ববর্তী প্রজন্মের অনেকেরই হয়তো মনে আছে যে কিভাবে কংগ্রেস এই বুন্দেলখণ্ডকে সড়কপথ, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং জলসরবরাহের মতো পরিষেবাগুলি থেকে বঞ্চিত রেখেছিল। আজ আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রত্যেক গ্রামে সড়কপথ পৌঁছে দিয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। যখন এই রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হল, তখন ব্যবস্যা-বাণিজ্যের জন্যও এখানে একটি ইতিবাচক আবহ গড়ে উঠেছে। আজ বড় বড় বিনিয়োগকারীরা মধ্যপ্রদেশে আসতে চান, এখানে নতুন নতুন কারখানা চালু করতে চান।আমার দঢ় বিশ্বাস, আগামী কয়েক বছরে মধ্যপ্রদেশ শিল্পোদ্যাগ উন্নয়নের ক্ষে্ত্রে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে।

আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

আজকের নতুন ভারত অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বদলাচ্ছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় সবাইকে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি এবং সকলের প্রচেষ্টা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আজ এটা দেখে আমার খুব গর্ব হচ্ছে যে ভারত ইতিমধ্যেই দাসত্বের মানসিকতাকে পিছনে ফেলে এখন স্বাধীন হওয়ার আত্মাভিমান নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। যে কোনও দেশ যখন এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠে, তখন তার সমাজ জীবনেও আমূল পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তেমনই পরিবর্তনের ছবি সম্প্রতি আপনারা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখেছেন। দেশের প্রতিটি গ্রামের বাচ্চাদের মুখেও এখন জি-২০ শব্দটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গুঞ্জরিত হচ্ছে। আপনারা সবাই দেখেছেন যে, ভারত কিভাবে এই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজন করেছে। আপনারা আমাকে বলুন বন্ধুগণ, বলবেন তো, আমাকে জবাব দিন। হাত উপরে তুলে জবাব দিন। যারা পেছনে বসে আছেন, তাঁরাও জবাব দিন। সবাই বলুন, আপনারা বলুন যে, জি-২০-র সাফল্যে আপনারা গর্বিত হয়েছেন কিনা? দেশ গর্বিত হয়েছে কিনা? গর্বে আপনাদের বুক উঁচু হয়েছে কিনা!   

 

আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

আপনাদের যেরকম গর্ব হচ্ছে, আজ সারা দেশের তেমনই গর্ব হচ্ছে। এই যে জি-২০ শিখর সম্মেলন এত বড় সাফল্য অর্জন করেছে, এর কৃতিত্ব কার? জানেন এর কৃতিত্ব কার?  কে এটা করে দেখিয়েছে? কে এটা করেছেন? না, এতে মোদির কোনও কৃতিত্ব নেই,আপনারা সবাই মিলে এটা সম্ভব করেছেন। এটাই আপনার শক্তি. বন্ধুরা, এটা ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সাফল্য। এটা ভারতের সম্মিলিত শক্তির প্রমাণ। আর এই সম্মেলনে অংশ নিতে সারা বিশ্ব থেকে যে বিদেশি অতিথিরা ভারতে এসেছেন, তাঁরাও বলছেন, এমন আয়োজন আগে কখনও দেখেননি। ভারত দেশের বিভিন্ন শহরে বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানিয়েছে, তাঁরা তাঁদের ভারতকে দেখেছে, তাঁরা এদেশের বৈচিত্র্য দেখে, ভারতের ঐতিহ্য দেখে, ভারতের সমৃদ্ধি দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছেন। এখানে, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, ইন্দোর এবং খাজুরাহোতে জি-২০-র সভা আয়োজিত হয়েছিল এবং সেখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা আপনাদের প্রশংসা করছেন এবং আপনাদের গুণগান করছেন। জি-২০র সফল সংগঠন এবং এখানে কাজ করার সুযোগের জন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা মধ্যপ্রদেশের সাংস্কৃতিক, পর্যটন, কৃষি ও শিল্প সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন। এর ফলে সারা বিশ্বে মধ্যপ্রদেশের নতুন ভাবমূর্তিও উন্নত হয়েছে। জি-২০র সফল আয়োজন নিশ্চিত করার জন্য আমি শিবরাজজি এবং তাঁর গোটা টিমের প্রশংসা করছি।
 
আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

একদিকে, আজকের ভারত বিশ্বের সাথে সংযোগ স্থাপনের সামর্থ্য দেখাচ্ছে। আমাদের ভারত বিশ্ব মঞ্চে বিশ্ব বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। অন্যদিকে কিছু দল আছে যারা দেশ ও সমাজকে বিভক্ত করতে লিপ্ত। তাঁরা একসাথে একটি ইন্ডি-অ্যালায়েন্স গঠন করেছে। কেউ কেউ এই ইন্ডি-অ্যালায়েন্সকে অহংকারী জোটও বলে থাকেন। তাঁদের নেতা ঠিক হয়নি, নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে সম্প্রতি মুম্বাইয়ে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। আমার মনে হয়, ওই বৈঠকে তাঁরা এই অহংকারী জোট ভবিষ্যতে কীভাবে চলবে তার নীতি ও কৌশল তৈরি করেছেন। তাঁরা নিজেদের একটি গোপন এজেন্ডাও রচনা করেছেন। আর এই নীতি কৌশল কী? এই নীতি হল ইন্ডি অ্যালায়েন্সের নীতি, এই নীতি হল ভারতের সংস্কৃতিকে আক্রমণ করা, এটাই অহংকারী জোটের নীতি। ইন্ডি অ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্ত ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাসে আঘাত করা। ইন্ডি অ্যালায়েন্সের অহংকারী জোটের উদ্দেশ্য হল হাজার হাজার বছর ধরে ভারতকে একত্রিত করার ধারণা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা। যে সনাতন ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে, দেবী অহিল্যাবাই হোলকার দেশের নানা প্রান্তে সামাজিক কাজ করেছেন, নারী উন্নয়নের জন্য অভিযান চালিয়েছেন, দেশের আত্মবিশ্বাস রক্ষা করেছেন, এই অহংকারী জোট, এই ভারত-জোট সেই সনাতন মূল্যবোধগুলিকে শেষ করার চেষ্টা করছে, এই পরম্পরাকে সমাপ্ত করার একটি রেজোলিউশন নিয়ে এসেছেন।

এই সনাতন ভাবধারায় উদবুদ্ধ হয়েই ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছিলেন যে তিনি তাঁর ঝাঁসি ছাড়বেন না। যে সনাতনে গান্ধীজী সারাজীবন বিশ্বাস করেছেন, ভগবান শ্রী রাম তাঁকে সারাজীবন অনুপ্রাণিত করেছেন, তাঁর উচ্চারিত শেষ বাক্যটি ছিল- হে রাম! যে সনাতন ভাবধারা তাঁকে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিল, এই ইন্ডি অ্যালায়েন্সের লোকেরা, এই অহংকারী জোট সেই সনাতন ঐতিহ্যের অবসান ঘটাতে চায়। স্বামী বিবেকানন্দ যে সনাতনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেছিলেন, ইন্ডি- অ্যালায়েন্সের লোকেরা সেই সনাতনকে শেষ করতে চায়। যে সনাতন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লোকমান্য তিলক ভারতমাতাকে স্বাধীন করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, গণেশ পূজাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, সর্বজনীন গণেশ উৎসবের ঐতিহ্য তৈরি করেছিলেন, আজ এই ইন্ডি অ্যালায়েন্স সেই সনাতন ভাবধারাকে ধ্বংস করতে চায়।
বন্ধুগণ, 
এমনই ছিল সনাতন বাগধারার শক্তি যে, স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের জন্য ফাঁসির সাজা হওয়া বীরেরা বলতেন, পরের জন্য আমি যেন এই ভারতমাতার কোলেই জন্ম নিই! যে সনাতন সংস্কৃতি আমাদের সাধক রবি দাসের ভাবনার প্রতিফলন, যে সনাতন সংস্কৃতি মাতা শর্বরীর পরিচয় তুলে ধরে, যে সনাতন সংস্কৃতি মহর্ষি বাল্মিকীর সৃষ্টির ভিত্তি, যে সনাতন সংস্কৃতি কয়েক হাজার  বছর ধরে ভারতকে একত্রিত করে রেখেছে, এই ইন্ডি অ্যালায়েন্সের লোকেরা এই সনাতন সংস্কৃতিকেই টুকরো টুকরো করতে চায়। আজ তাঁরা প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছে, আজ তাঁরা প্রকাশ্যে আক্রমণ শুরু করেছে। আগামীকাল তাঁরা আমাদের ওপর আক্রমণ আরও বাড়াবে। সেজন্যে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে বসবাসকারী সনাতন ভাবধারায় বিশ্বাসী মানুষ, দেশকে যারা ভালোবাসেন, দেশের মাটিকে যারা ভালোবাসেন, দেশের কোটি কোটি জনগণকে যারা ভালোবাসেন, এরকম প্রত্যেকেরই সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই সনাতন ভাবধারাকে মিটিয়ে তাঁরা আর একবার দেশকে হাজার বছরের দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে চায়। কিন্তু, আমাদের সকলকে একজোট হয়ে এই ধরণের শক্তিকে রুখতে হবে, আমাদের সংগঠনের শক্তি এবং আমাদের সংহতি দিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে হবে।

 

আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

ভারতীয় জনতা পার্টি রাষ্ট্রভক্তি, জনশক্তির ভক্তি এবং জনসেবার রাজনীতির জন্য সমর্পিত। বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার প্রদানই ভারতীয় জনতা পার্টির সুশানের মূল মন্ত্র। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার একটি সংবেদনশীল সরকার। দিল্লি হোক কিম্বা ভোপাল, আজ সরকার আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে আপনাদের সেবা করার চেষ্টা করে। যখন কোভিডের মতো এত ভয়ঙ্কর সংকট এসেছিল, তখন সরকার কোটি কোটি দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকাকরণের অভিযান চালিয়েছে। আমরা আপনাদের সুখ দুঃখের সাথী। আমাদের সরকার ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে, যাতে গরীবের বাড়িতে উনুন জ্বলতে থাকে, যাতে গরীব মানুষকে খালি পেটে না থাকতে হয়। আমরা এই চেষ্টাই করেছি যাতে কোনো গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী পরিবারের মাকে পেটে গামছা বেধে ঘুমাতে না হয়। বাচ্চা অভুক্ত রয়েছে, এই চিন্তায় ছটফট না করতে হয়। আমিও একজন গরীব মায়ের সন্তান। তাই এই সংকটকালে দেশের দরিদ্রের রেশনের কথা ভেবেছি । আর আপনাদের আশীর্বাদে আজও আমি এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। 

আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

আমরা গোড়া থেকেই এই চেষ্টা করেছি, যাতে মধ্যপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করে, মধ্যপ্রদেশের প্রত্যেক পরিবারের জীবন-যাপন যেন সহজ হয়, প্রত্যেক বাড়িতে যেন সমৃদ্ধি আসে। মোদীর গ্যারান্টি ‘ ট্র্যাক রেকর্ড‘’ আপনাদের সামনে রয়েছে। এখন তাঁদের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’-এর কথা স্মরণ করুন আমাদের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’-এর সঙ্গে তুলনা করুন। মোদী গবীরদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিল। আজ মধ্যপ্রদেশেই ৪০ লক্ষেরও বেশি পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে। আমরা বাড়িতে বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিলাম, তা আমরা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছি। আমরা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার গ্যারান্টি দিয়েছিলাম। আমরা প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম একজন সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানোর গ্যারান্টি দিয়েছিলাম। আমরা মা ও বোনেদের ধোঁয়া ও দূষণমুক্ত রান্নাঘরের গ্যারান্টি দিয়েছিলাম। এই রকম প্রতিটি গ্যারান্টি আপনাদের সেবক এই মোদী আজ বাস্তবায়িত করছে। আমরা বোনেদের কল্যাণের কথা ভেবে এবারের রাঁখি পূর্ণিমায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি। এর ফলে, উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগী বোনেরা এখন অন্যদের তুলনায় ৪০০ টাকা কম দামে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পাচ্ছেন। উজ্জ্বলা যোজনা কিভাবে আমাদের মা-বোন- কন্যাদের জীবন রক্ষা করছে, তা আমরা সবাই ভালোভাবেই জানি। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে কোনও মা, বোন বা কন্যাকে ধোঁয়ার মধ্যে বসে রান্না না করতে হয়। সেজন্য গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার আর একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেশে আরও ৭৫ লক্ষ বোনকে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশন দেওয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হল, কেউ যেন বাদ না যায়। একবার তো আমরা সবাইকেই রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদানের কাজ সম্পূর্ণ করেছিলাম। কিন্তু, কিছু পরিবার তারপর সম্প্রসারিত হয়েছে, বিভাজিত হয়েছে। এখন প্রত্যেক দ্বিতীয় পরিবারগুলিরওতো গ্যাস চাই। এরকম যত নাম আমাদের কাছে এসেছে, তাদের জন্য আমরা এই নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছি । 

বন্ধুগণ,
আমরা নিজেদের দেওয়া প্রত্যেকটি গ্যারান্টি বাস্তবায়িত করার জন্য সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে কাজ করছি। দেশে দালালতন্ত্র সমাপ্ত করে আমরা সুবিধাভোগীদের সম্পূর্ণ পরিষেবা প্রদানের গ্যারান্টি দিয়েছিলাম। এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী প্রত্যেক কৃষককে ইতিমধ্যেই সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৮ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছে । এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে।

বন্ধুগণ,

বিগত ৯ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই চেষ্টা চালিয়ে গেছে,যাতে কৃষকদের বিনিয়োগ কমানো যায়, তারা যেন সস্তায় সার কিনতে পারেন, সেজন্য আমাদের সরকার ৯ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি রাজকোষ থেকে খরচ করেছে। যে ইউরিয়ার বস্তা আমেরিয়ায় ভারীতয় অর্থমূল্যের ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়, সেই বস্তাই আমরা কিনে এনে কৃষকদের মাত্র ৩০০ টাকায় বিক্রি করি। সেজন্য গত ৯ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকা  রাজকোষ থেকে খরচ হয়েছে। আপনারা স্মরণ করুন, যে ইউরিয়ার নামে আগে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে, যে ইউরিয়ার জন্য দেশের কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হতো, এখন সেই ইউরিয়া কত সহজে প্রত্যেক জায়গায় পাওয়া যায়।

 

আমার প্রিয় পরিবারের আপনজনেরা,

সেচের গুরুত্ব কতটা, তা বুন্দেলখণ্ডের জনগণ থেকে বেশি কারা জানে। ভারতীয় জনতা পার্টির ডবল ইঞ্জিন সরকার বুন্দেলখণ্ডে অনেক সেচ প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে। কেন-বেতোয়া লিঙ্ক নালার মাধ্যমে বুন্দেলখণ্ড সহ এই এলাকার লক্ষ লক্ষ কৃষক অনেক লাভবান হবেন এবং সারাজীবন ধরে উপকৃত হবেন । তাঁদের আগামী প্রজন্মও উপকৃত হবেন। দেশের প্রত্যেক বোনকে তাঁর রান্নাঘরে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের সরকার নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছে। মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই সারা দেশে প্রায় ১০ কোটি পরিবারের রান্নাঘরে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও ৬৫ লক্ষ পরিবারের রান্নাঘরে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বুন্দেলখণ্ডের মা ও বোনেরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন। বুন্দেলখণ্ডে অটল ভূজল যোজনার মাধ্যমে নতুন নতুন জলের উৎস তৈরি করার কাজও ব্যাপকস্তরে চলছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার এই এলাকার উন্নয়নের জন্য, এই এলাকার গৌরব বৃদ্ধির জন্যও সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ, সম্পূর্ণরূপে আপনাদের প্রতি সমর্পিত প্রাণ । এবছর ৫ অক্টোবর রানী দূর্গাবতীজীর ৫০০ তম জন্মজয়ন্তী আসছে। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপণার সঙ্গে এই পবিত্র দিনটি পালন করতে চলেছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা থেকে সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছেন দেশের গরীব মানুষ, দলিত, পিছিয়ে পড়া ও বিভিন্ন জনজাতির মানুষ । বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার “সবকা সাথ সবকা বিকাশ “ এই মডেল আজ গোটা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এখন ভারত বিশ্বের “টপ- থ্রি “ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছে। ভারতকে “টপ- থ্রি“ অর্থনীতির দেশ করে গড়ে তুলতে মধ্যপ্রদেশের বড় ভূমিকা রয়েছে। আর আমি দৃঢ় নিশ্চিত যে, মধ্যপ্রদেশ সেই দায়িত্ব পালন করবে। এর ফলে এখানকার কৃষকদের, এখানকার শিল্পোদ্যোগগুলির এবং এখানকার যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে। আগামী ৫ বছর মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার সময়। আজ যে প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর আমি স্থাপন করলাম, এগুলি মধ্যপ্রদেশের দ্রুত উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করবে। আপনারা সবাই এত বিপুল সংখ্যায় এই উন্নয়নের উৎসবকে উদযাপন করতে এসেছেন, উন্নয়নের উৎসবে অংশীদার হয়েছেন, আর আমাদেরকে আশীর্বাদ দিয়েছেন, সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
আমার সঙ্গে বলুন-
ভারত মাতার জয়,
ভারত মাতার জয়,
ভারত মাতার জয়,
ধন্যবাদ

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।