রাধে-রাধে! জয় শ্রীকৃষ্ণ!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রজের সম্মাননীয় সন্তগণ, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমাদের দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, মথুরার সাংসদ, বোন হেমা মালিনীজি এবং আমার প্রিয় ব্রজবাসীগণ!
প্রথমে আমি আপনাদের কাছে এখানে আসতে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি। রাজস্থানের এক নির্বাচনী জনসভায় আমি ব্যস্ত ছিলাম। সেখান থেকে সরাসরি আমি এই ভক্তিময় পরিবেশে উপস্থিত হয়েছি। আমার সৌভাগ্য ব্রজে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছি, ব্রজবাসীর সঙ্গে দেখা করতে পারছি কারণ এ এমন ভূমি, এখানে একমাত্র ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধা ডাকলেই আসা যায়। এটা সাধারণ ভূমি নয়। ব্রজ আমাদের শ্যামা-শ্যামজির নিবাস। ব্রজ ‘লালজি’ এবং ‘লাডলিজি’র ভালোবাসার প্রকাশ। ব্রজ সেই স্থান যা বিশ্বব্যাপী পূজিত হয়। ব্রজের প্রতিটি কণায় রাধা-রানি আছেন, কৃষ্ণও আছেন। সেজন্য আমাদের শাস্ত্রে বলে, ‘সপ্তদ্বীপেসু ইয়ত তীর্থ ভ্রমণাৎ চ ইয়ত ফলম। প্রাপ্যতে চ অধিকং তস্মাৎ মথুরা ভ্রমণীয়তে।।’ অর্থাৎ, মথুরা এবং ব্রজ ভ্রমণের ফল সারা বিশ্ব ভ্রমণের ফলের থেকেও অধিক। আজ আমি আরও একবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সেজন্য ধন্যবাদ জানাই ব্রজরাজ মহোৎসব এবং সন্ত মীরা বাঈজির ৫২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানকে। আমি সম্পূর্ণভাবে আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ব্রজের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধা-রানিকে। আমি মীরা বাঈজির চরণে এবং ব্রজের সকল সন্তদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমি সাংসদ হেমা মালিনীজিকেও শুভেচ্ছা জানাই। তিনি শুধুমাত্র একজন সাংসদ নন, তিনি ব্রজেরই একজন হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন সাংসদ হিসেবে ব্রজরাজ মহোৎসব আয়োজনে নিজেকে নিবেদন করেছেন তাই নয়, তিনি উৎসবের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণ ভক্তিতে।
আমার পরিবার-পরিজন,
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমার আরও একটি কারণ আছে। গুজরাটের সঙ্গে ব্রজের, ভগবান কৃষ্ণ থেকে মীরা বাঈ পর্যন্ত একটি অভিনব যোগসূত্র আছে। মথুরার কানহা, গুজরাটে দ্বারকাধীশ হয়েছিলেন এবং সন্ত মীরা বাঈজি, যিনি রাজস্থান থেকে এসেছিলেন, মথুরা-বৃন্দাবনে প্রেমের প্রচার করেছিলেন, তিনিও তাঁর জীবনের শেষ ক’টি বছর কাটিয়েছেন দ্বারকায়। মীরার নিবেদন বৃন্দাবন ছাড়া অসম্পূর্ণ। বৃন্দাবনের নিবেদনে আপ্লুত হয়ে সন্ত মীরা বাঈ বলেছিলেন – “আলি রি মোহে লাগে বৃন্দাবন নি কো ... ঘর-ঘর তুলসী ঠাকুর পূজা দর্শন গোবিন্দজিকো ..” সেইজন্য উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ছড়ানো ব্রজভূমিতে দর্শনের অগ্রাধিকার পান গুজরাটের মানুষ। আমরা এটাকে দ্বারকাধীশের আশীর্বাদ বলে মনে করি। মা গঙ্গার ডাকে এবং ভগবান দ্বারকাধীশের আশীর্বাদে আমি আপনাদের মধ্যে ২০১৪ থেকে আছি, আপনাদের সেবা করছি।
আমার পরিবার-পরিজন,
মীরা বাঈ-এর ৫২৫তম জন্মবার্ষিকী শুধুমাত্র একজন সন্তের জন্মবার্ষিকীর উদযাপন নয়, এটি ভারতের সমগ্র সংস্কৃতির উদযাপন। এটা ভারতের প্রেমের পরম্পরার উদযাপন। এই উদযাপন অদ্বৈতের উদযাপন যা মানুষ এবং ভগবানকে এক করে দেখে, জীবন এবং শিবকে এক করে দেখে, ভক্ত এবং দেবতাকে এক করে দেখে। আজ আমার সৌভাগ্য, সন্ত মীরা বাঈ-এর নামে একটি মুদ্রা এবং টিকিট স্মরণিকা হিসেবে প্রকাশ করতে পারছি। মীরা বাঈ জন্মেছিলেন শৌর্যভূমি রাজস্থানে, যেখানে দেশের মর্যাদা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় প্রভূত আত্মত্যাগ হয়েছে। ৮৪ ‘কোষ’ (প্রায় ২৫০ কিলোমিটার) জুড়ে এই ব্রজমণ্ডল রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান জুড়ে। মীরা বাঈ তাঁর ভক্তি এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে ভারতের চেতনাকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। মীরা বাঈ খুব সাধারণ ভাষায় ভক্তি নিবেদন করেছিলেন এবং তাঁর বিশ্বাসকে প্রকাশ করেছিলেন – মীরাকে প্রভূ গিরিধর নাগর, সহজ মিলে অবিনাশী রে।। তাঁর এই ভক্তির অনুষ্ঠান ভারতের ভক্তিকেই শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছে না, ভারতের শৌর্য এবং ত্যাগকেও মনে করিয়ে দিচ্ছে। মীরা বাঈ-এর পরিবার এবং রাজস্থান আমাদের বিশ্বাসের মূলকে রক্ষা করতে সবকিছু ত্যাগ করেছেন যাতে ভারতের আত্মা এবং চেতনা সংরক্ষিত হয়। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু মীরা বাঈ-এর প্রেমের পরম্পরাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে না, তাঁর শৌর্যের পরম্পরাকেও মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং এটাই ভারতের পরিচিতি। আমরা দেখেছি, এই একই কৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছেন, আবার আমরা এও দেখেছি, বাসুদেব সুদর্শন চক্র ঘোরাচ্ছেন।
আমার পরিবার-পরিজন,
আমাদের ভারত চিরকাল নারীশক্তি জাগরণের দেশ। ব্রজবাসীরা এটা অন্যদের চেয়ে ভালো বুঝবেন। এখানে ‘লাডলি সরকার’ কানহাইয়ার শহরে শেষ কথা বলে। এখানে রাধে-রাধে ব্যবহৃত হয় প্রতিটি মুহূর্তে। সম্বোধন থেকে, আলাপ-আলোচনা থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পর্যন্ত। কৃষ্ণের নাম তখনই সম্পূর্ণ, যখন রাধার নাম উচ্চারিত হয় তাঁর আগে। সেজন্য আমাদের দেশের মহিলারা চিরকাল দায়িত্ব বহন করেছেন এবং সমাজকে পথ দেখিয়েছেন। মীরা বাঈ বলেছিলেন – জেতাই দিসেল ধরণী গগন বিচ, তেতা সব উঠ যাসি।। ইস দেহী কা গরব না করনা মাটি মিল যাসি। অর্থাৎ, এই পৃথিবী এবং আকাশের মধ্যে যা কিছু দৃশ্যমান, সেই সবকিছুই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা এই কথার পিছনে যে গভীরতা, সেটা অনুধাবন করতে পারি।
বন্ধুগণ,
সন্ত মীরা বাঈজি দুর্যোগপূর্ণ সময়ে যখন অত্যন্ত প্রয়োজন, সেই সময়ে সমাজকে পথ দেখিয়েছিলেন। ভারতের সেই সঙ্কটপূর্ণ সময়ে মীরা বাঈ দেখিয়েছিলেন একজন মহিলার আত্মমর্যাদার শক্তি সমগ্র বিশ্বকে পথ প্রদর্শন করতে পারে। তিনি সন্ত রবিদাসকে তাঁর গুরু মানতেন এবং খোলাখুলি বলেছিলেন – “গুরু মিলিয়া সন্ত গুরু রবিদাসজি, দীনহি জ্ঞান কি গুটকি”। সেজন্য মীরা বাঈ মধ্যযুগের একজন মহান মহিলাই শুধু নন, তিনি অন্যতম মহান সমাজ সংস্কারক এবং পথ প্রদর্শক।
বন্ধুগণ,
মীরা বাঈ এবং তাঁর গান একটি আলোকবর্তিকা যা প্রত্যেক যুগে, প্রত্যেক সময়ে প্রাসঙ্গিক। যদি আমরা বর্তমানকালের সমস্যার দিকে তাকাই, মীরা বাঈ আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, গতানুগতিকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার এবং আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার। মীরা বাঈ বলেছেন – মীরা কে প্রভূ সদা সহাই, রাখে বিঘন হটায়ে। ভজন ভাও মে মস্ত ডোলতি, গিরিধর পে বলি যাই? তাঁর ভক্তি ছিল সরল অথচ দৃঢ়। তিনি কোনো বাধায় ভীত ছিলেন না। তিনি সকলকে তাঁদের প্রয়াস চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছেন।
আমার পরিবার-পরিজন,
এই অনুষ্ঠানে আমি ভারতভূমির আরও একটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করছি। ভারতের মাটির সেই অসীম ক্ষমতা। যখনই তার চেতনা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যখনই তার চেতনা দুর্বল হয়েছে, তখনই দেশের কোনো না কোনো অংশ থেকে এক শক্তি জাগরিত হয়েছে এবং সঙ্কল্প নিয়েছে ও ভারতকে দিশা দেখানোর প্রয়াস নিয়েছে। কেউ যোদ্ধা হয়েছেন, আবার কেউ সন্ত হয়েছেন তাঁদের পবিত্র কর্ম করার জন্য। সেই ভক্তিযুগ থেকে আমাদের সন্তরা এর অনুপম উদাহরণ। তাঁরা ত্যাগ ও তিতিক্ষার ভিত্তি গড়েছেন, একইসঙ্গে ভারতকে শক্তিশালী করেছেন। সামগ্রিক ভারতের দিকে তাকান। দক্ষিণে ছিলেন আলওয়ার এবং ন্যায়নারের মতো সন্ত, রামানুচার্যের মতো বিদ্বান, উত্তরে তুলসীদাস, কবীর, রবিদাস এবং সুরদাসের মতো সন্ত, পাঞ্জাবে ছিলেন গুরুনানক দেব, পূর্বে বাংলায় চৈতন্য মহাপ্রভূর মতো সন্ত যাঁরা এখনও সারা বিশ্বে তাঁদের আলো বিকিরিত করছেন। পশ্চিমে গুজরাটে নরসিং মেহতার মতো সন্ত ছিলেন, মহারাষ্ট্রে তুকারাম এবং নামদেবের মতো সন্ত ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের ছিল আলাদা ভাষা, আলাদা বাচনভঙ্গী, আলাদা আচার এবং আলাদা ঐতিহ্য। তবুও তাঁদের বার্তা ছিল একই, তাঁদের লক্ষ্য ছিল এক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্তি এবং জ্ঞানের বিভিন্ন ধারার উদ্ভব হলেও তারা একসূত্রে বেঁধেছে সমগ্র ভারতকে।
এবং বন্ধুগণ,
মথুরার মতো একটি পবিত্র স্থান ভক্তি আন্দোলনের বিভিন্ন ধারার সঙ্গম। মালুকদাস, চৈতন্য মহাপ্রভূ, মহাপ্রভূ বল্লভাচার্য, স্বামী হরিদাস, স্বামী হিত হরিবংশপ্রভূ এবং আরও অনেক সন্ত এখানে এসেছিলেন! তাঁরা ভারতীয় সমাজে নতুন চেতনা এনেছিলেন, নতুন জীবন দিয়েছিলেন। সেই ভক্তিজনিত আত্মত্যাগ এখনও চলছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবিরাম আশীর্বাদে।
আমার পরিবার-পরিজন,
আমাদের সন্তরা ব্রজ সম্পর্কে বলেছিলেন – বৃন্দাবন সো বন নেহী, নন্দগাঁও সো গাঁও। বংশী বাট সো বাট মে হি, কৃষ্ণ নাম সো নাও।। অন্য কথায়, বৃন্দাবনের মতো পবিত্র বন আর কোথাও নেই, নন্দগাঁও-এর মতো পবিত্র গ্রাম নেই, বংশী বটের মতো বটগাছ আর কোথাও নেই, কৃষ্ণের মতো পবিত্র নাম আর কিছু নেই। ব্রজভূমি শুধু ভক্তি এবং প্রেমের ভূমিই নয়, এটি আমাদের সাহিত্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতি এবং সভ্যতার কেন্দ্র। এই ভূমি দেশকে তার সঙ্কট সময়েও তুলে ধরেছে। তবে, দেশ যখন স্বাধীন হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত এই পবিত্র তীর্থযাত্রা যতটা গুরুত্ব পাওয়ার ছিল তা পায়নি। যাঁরা অতীত থেকে ভারতকে ভাঙতে চেয়েছিলেন, যাঁরা ভারতের সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক পরিচিতির প্রতি উদাসীন, তাঁরা স্বাধীনতার পরেও তাঁদের দাসত্ব মনোবৃত্তি ছাড়তে পারেননি। তাঁরা ব্রজভূমিকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন।
ভাই ও বোনেরা,
আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রথম দাসত্ব মনোবৃত্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশ। আমরা লালকেল্লা থেকে ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর সঙ্কল্প নিয়েছি। ঐতিহ্যের গর্ব নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। আজ কাশীতে ভগবান বিশ্বনাথের পবিত্র বাসস্থান আমাদের সম্মুখে অত্যাশ্চর্য রূপ নিয়েছে। উজ্জয়িনীর মহাকাল মহালোকে আমরা ঐশ্বরীয় অনুভূতির পাশাপাশি সমারোহের সাক্ষী থাকতে পারছি। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষ কেদারনাথের আশীর্বাদ পাচ্ছেন এবং আজ অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধনের দিন এসে গেছে। এই উন্নয়নের দৌড়ে আর পিছিয়ে থাকবে না মথুরা এবং ব্রজ। একদিন ব্রজভূমিতেও সেই সমারোহ দেখা যাবে যার খুব বেশি দেরি নেই। আমি খুশি, ব্রজের উন্নয়নের জন্য ‘উত্তরপ্রদেশ ব্রজ তীর্থ বিকাশ পরিষদ’ গঠিত হয়েছে। ভক্তদের সুবিধা এবং দ্রষ্টব্য স্থানগুলির উন্নয়নের জন্য এই পরিষদ নানাবিধ কাজকর্ম করছে। ‘ব্রজরাজ মহোৎসব’-এর মতো অনুষ্ঠান এই অঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখছে।
বন্ধুগণ,
সমগ্র অঞ্চলটি কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র। মথুরা, বৃন্দাবন, ভরতপুর, করৌলি, আগ্রা, ফিরোজাবাদ, কাসগঞ্জ, পালওয়াল, বল্লবগড়-এর মতো এলাকাগুলি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে। ভারত সরকার বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে সমগ্র অঞ্চলটির উন্নয়নে প্রয়াস নিয়েছে।
বন্ধুগণ,
ব্রজভূমি এবং দেশে যে পরিবর্তন এবং উন্নয়ন ঘটছে, তা শুধু একটি ব্যবস্থার রূপান্তরই নয়, তা আমাদের দেশের চরিত্রের রূপান্তরের প্রতীক, পুনর্জাগরিত চেতনার ইঙ্গিত। মহাভারত একটি প্রমাণ, যেখানে ভারতের পুনরুত্থান ঘটেছিল। সেখানে কোনো সন্দেহ নেই, ছিল ভগবান কৃষ্ণের আশীর্বাদ। সেই আশীর্বাদের শক্তিতে আমরা ‘বিকশিত ভারত’ নির্মাণের সঙ্কল্প পূরণ করব। আরও একবার আমি সকলকে সন্ত মীরা বাঈ-এর ৫২৫তম জন্মবার্ষিকীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
রাধে-রাধে! জয় শ্রীকৃষ্ণ!