“ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে প্রত্যেকটি আলোচনায় প্রশ্নবোধক বিষয়গুলিকে বিশ্বাস এবং প্রত্যাশায় রূপান্তরিত করা হয়েছে”
“আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারত এখন এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত”
“ভোকাল ফর লোকাল-এর দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মনির্ভরতা এক জাতীয় দায়িত্বস্বরূপ”
‘সমৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী
২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত উদ্যোগের সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে সরকার আয়োজিত ১২টি ওয়েবিনারের এটি দশম।
প্রত্যেককে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন যা দরকার তা হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলির তাদেরকে ঋণ প্রদান করা।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিগত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতির ফলে কোটি কোটি মানুষ প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার অঙ্গীভূত হয়েছেন।
দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা এবং ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ বাইরে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “আজ আমি দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকেও সরকারি ক্ষেত্রের মতো বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছি যাতে করে দেশ তা থেকে সর্বাধিক উপকৃত হতে পারে।”
কর প্রদানের সংখ্যায় বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকারের ওপর মানুষের বিশ্বাস রয়েছে এবং কর-এর টাকা জনকল্যাণে ভালোভাবে খরচ হবে।”
আমি আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রস্তাব করব যে তাদের আরও বিস্তার ঘটানোর জন্য আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে তারা বেশি করে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলুন” – বলে প্রধানমন্ত্রী জানান

নমস্কার,

বাজেট রূপায়ণে সরকার যৌথ মালিকানা এবং সম-অংশীদারিত্বের বলিষ্ঠ রূপরেখা বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারের মাধ্যমে প্রস্তুত করছে। এই ওয়েবিনারে আপনার মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়েবিনারে আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

করোনা অতিমারীর সময়কালে ভারতের আর্থিক এবং মুদ্রা নীতির প্রভাব আজ সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। বিগত ৯ বছর ধরে ভারতীয় অর্থনীতির মূল আধারগুলি শক্তিশালী করতে সরকার প্রয়াস গ্রহণ করেছে। একটা সময় ছিল যখন ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হত। আমাদের অর্থনীতি, বাজেট, লক্ষ্য – যখনই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হত, তা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে শুরু ও শেষ হত। আজ ভারত আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে এক বিরাট পরিবর্তন আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এখন আলোচনার শুরুতেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন এখন বিশ্বাসে ন্যস্ত হচ্ছে এবং আলোচনার শেষে প্রশ্নের বদলে এখন প্রত্যাশা জায়গা করে নিচ্ছে। আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত। জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়ভার ভারত নিয়েছে। ২০২১-২২-এ সর্বাধিক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ভারতে এসেছে এবং এই বিনিয়োগের বৃহৎ অংশ নির্মাণ ক্ষেত্রে লগ্নি করা হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিরন্তর আবেদনপত্র জমা পড়ছে। বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিচ্ছি। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই সময়কালে ভারতের ক্ষেত্রে এক বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে এবং আমরা এই সুযোগকে কোনভাবেই হারিয়ে যেতে দেব না। আমাদের একত্রে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

বন্ধুগণ,

আজকের নতুন ভারত নতুন ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এমত পরিস্থিতিতে আপনাদের সকলের দায়বদ্ধতা ও ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের দায়বদ্ধতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে সারা বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থা আপনাদের রয়েছে। গত ৮-১০ বছর পূর্বে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যা ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল, আজ তা লাভদায়ক হয়ে উঠেছে। আজ আপনাদের এমন এক সরকার রয়েছে যে ক্রমাগত দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, আস্থা এবং প্রত্যয় রয়েছে। ফলে, আপনাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে, কাজ করতে হবে এবং কাজ করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে।

বন্ধুগণ,

আজকের সময়ের দাবি হল ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার যে শক্তি তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। আমরা যেভাবে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও অণু শিল্পক্ষেত্রকে (এমএসএমই) সমর্থন যুগিয়েছি ঠিক তেমনই ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও হাতে হাত মিলিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রগুলির সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ১ কোটি ২০ লক্ষ এমএসএমই অতিমারীর সময় সরকারের কাছ থেকে প্রভূত সাহায্য পেয়েছে। এ বছরের বাজেটে এমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য কোনরকম জামানত ছাড়াই অতিরিক্ত ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের সংস্থান রাখা হয়েছে। ফলে এখন প্রয়োজন হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি যাতে এই ক্ষেত্রগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া।

বন্ধুগণ,

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে জড়িত সরকারি নীতি কোটি কোটি মানুষকে প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছে। কোনরকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ২০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ‘মুদ্রা’ ঋণ দিয়ে তরুণের স্বপ্ন পূরণে সরকার অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছে। ‘পিএম স্বনিধি প্রকল্প’-এ ৪০ লক্ষেরও বেশি হকার এবং ছোট দোকানদার এই প্রথম ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। ফলে, সমস্ত অংশীদারদের কাছে ঋণের খরচ কমানো এবং ছোট উদ্যোগপতিরা যাতে দ্রুত ঋণ পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়ন করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। তাহলেই ভারতের বর্ধিত ব্যাঙ্কিং শক্তির সর্বাধিক সুবিধা দেশের দরিদ্র মানুষ পেলে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে দারিদ্র্য মোচন করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

আরও একটি বিষয় হল, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতা আমাদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে না। অতিমারীকালে আমরা দেখেছি যে এটা এমন এক বিষয় যা ভবিষ্যৎকে উজ্জীবিত করে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় দায়বদ্ধতার অঙ্গ।   এই দুটি বিষয়ে দেশজুড়ে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এই কারণবশত, কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ উৎপাদনই বৃদ্ধি পায়নি, রপ্তানির ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড স্থাপন হয়েছে। পণ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেই আমাদের রপ্তানি ২০২১-২২-এ সর্বকালীন বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানেই বিদেশে ভারতের সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেরই সেই দায়বদ্ধতা নেওয়া উচিত যাতে করে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোগপতিরা প্রসার লাভ করতে পারেন। বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংগঠন, বণিকসভা, শিল্পসঙ্ঘ এবং সমস্ত শিল্প-বাণিজ্য সংগঠন যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। আমি স্থির নিশ্চিত যে জেলাস্তরেও আপনাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আপনাদের দল রয়েছে। এই মানুষেরা জেলার পণ্যগুলিকে নির্বাচিত করতে পারেন যাতে সেগুলির বড় পরিমাণে রপ্তানি সম্ভব হয়।

আর বন্ধুগণ,

‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ব্যাপারে বলতে গেলে আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে ভারতীয় কুটীর শিল্পের পণ্য কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তেমনটা হলে দেওয়ালির প্রদীপ কেনাতেই আমাদের আটকে থাকতে হত। আমাদেরকে ঠিক করতে হবে যে কোন কোন জায়গাগুলিতে আমরা দেশের টাকা সাশ্রয় করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে হবে। এখন আপনারা দেখুন, প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা উচ্চশিক্ষার নামে আমাদের দেশ থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা কি সেই অর্থের সাশ্রয় করতে পারি না? ভোজ্যতেল কিনতে বাইরে আমাদের হাজারো কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কি আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারি না? আর্থিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ মানুষেরা এই সমস্ত প্রশ্নের এবং প্রতিকারের যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন। আমি আশা করব, এই ওয়েবিনারে আপনারা নিশ্চিতভাবে এই বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

বন্ধুগণ,

আপনারা বিশেষজ্ঞরা জানেন যে এবারের বাজেটে মূলধনী ব্যয় প্রভূত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ‘পিএম গতি শক্তি’র ফলে প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং রূপায়ণের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হয়েছে। বিভিন্ন ভৌগোলিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রের অগ্রগতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির কাছে আমি চাইব সরকারের মতো আপনারাও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুন যাতে দেশ সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে।

বন্ধুগণ,

বাজেটের পর কর সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অতীতে সর্বত্র এই নিয়ে আলোচনা হত। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন ভারতে কর-এর হার ছিল অনেক বেশি। আজকের ভারতের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জিএসটি-র কারণে আয়কর এবং কর্পোরেট কর হ্রাস পাওয়ায় ভারতে কর-এর হার প্রভূত হ্রাস পেয়েছে। জনসাধারণের ওপর এই বোঝাও বহুলাংশে কমে এসেছে। কিন্তু এর আবার একটা অন্যদিক রয়েছে। ২০১৩-১৪-তে আমাদের মোট কর-বাবদ আয় ছিল প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এর বাজেট হিসাব অনুযায়ী মোট কর-বাবদ আয় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই বৃদ্ধির হার প্রায় ২০০ শতাংশ। ভারত কর-এর হার কমাচ্ছে তা সত্ত্বেও কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আমরা কর-এর আওতায় আরও বেশি মানুষকে আনার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। ২০১৩-১৪-তে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ। ২০২০-২১-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫০ লক্ষে।

বন্ধুগণ,

কর প্রদান একটি দায়িত্ব যা দেশ গড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কর-এর ক্ষেত্র বিস্তার প্রমাণ করে যে সরকারের ওপর সাধারণ বিশ্বাসের দিককে। তাঁরা এটাও বিশ্বাস করেন যে তাঁদের প্রদেয় কর জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। আর্থিক উন্নতি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কর-এর ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা আমাদের দায়িত্ব। আপনাদের সমস্ত সংগঠন এবং সদস্য এক্ষেত্রে গঠনমূলক দায়িত্ব পালন করুন।

বন্ধুগণ,

ভারতের প্রতিভা, পরিকাঠামো ও উদ্ভাবন ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে শীর্ষে পৌঁছে দেবে। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পের এই সময়কালে ভারত যে মঞ্চ প্রস্তুত করছে তা সারা বিশ্বের কাছে একটি মডেল হয়ে উঠেছে। জিইএম অর্থাৎ, সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস-এর সুবিধা ভারতের দূরবর্তী এলাকায় ক্ষুদ্র দোকানদারকেও তাঁর পণ্য সরকারকে সরাসরি বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভারত ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাও অভূতপূর্ব। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি। এথেকেই দেখা যাচ্ছে যে ইউপিআই কিভাবে প্রসার লাভ করেছে। রুপে এবং ইউপিআই কেবলমাত্র মূল্য সাশ্রয়ী নয়, সর্বাধিক সুরক্ষিত প্রযুক্তিও বটে। বিশ্বে এটা আমাদের পরিচিতি হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে উদ্ভাবনের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সশক্তিকরণে ইউপিআই একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক প্রযুক্তির সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি সহযোগিতা গড়ে তুলুন যাতে তার প্রসার ঘটতে পারে।

বন্ধুগণ,

আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা ছোট পদক্ষেপও দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে বিল না নেওয়া। জনসাধারণ আপাতদৃষ্টিতে এতে দোষ না দেখতে পাওয়ায় বিলের জন্য জোড়াজুড়ি করেন না। যখন অনেক বেশি বেশি মানুষ জানতে পারবেন যে এই বিল নিলে দেশ উপকৃত হতে পারে, তখন দেশের স্বার্থেই সেই ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। আপনারাও তখন নিশ্চিতভাবে এই বিলের জন্যই চাপ দেবেন। আরও বেশি মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলাটা জরুরি।

বন্ধুগণ,

দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের সুফল যাতে পৌঁছতে পারে সেই চিন্তা নিয়ে আপনারা সকলে কাজ করুন। এজন্য সুপ্রশিক্ষিত পেশাদারদের এক বিরাট আধার আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমি চাই, ভবিষ্যৎদর্শী এই পরিকল্পনার প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আপনারা আলোচনা করুন এবং চিন্তাভাবনা করুন। আমি স্থির নিশ্চিত, আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিরা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রশংসার মধ্য দিয়ে বাজেটকে ঘিরে এক সদর্থক বাতাবরণ গড়ে তুলেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হল এই বাজেট থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ যাতে সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে তা দেখা এবং সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। আপনাদের বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার মধ্য দিয়ে নিশ্চিতভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে যা এর সফল রূপায়ণের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত প্রত্যাশা অর্জনে সাহায্য করবে। আপনাদের সকলকে আমার অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles passing away of Shri MT Vasudevan Nair
December 26, 2024

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the passing away of Shri MT Vasudevan Nair Ji, one of the most respected figures in Malayalam cinema and literature. Prime Minister Shri Modi remarked that Shri MT Vasudevan Nair Ji's works, with their profound exploration of human emotions, have shaped generations and will continue to inspire many more.

The Prime Minister posted on X:

“Saddened by the passing away of Shri MT Vasudevan Nair Ji, one of the most respected figures in Malayalam cinema and literature. His works, with their profound exploration of human emotions, have shaped generations and will continue to inspire many more. He also gave voice to the silent and marginalised. My thoughts are with his family and admirers. Om Shanti."