Quote“ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে প্রত্যেকটি আলোচনায় প্রশ্নবোধক বিষয়গুলিকে বিশ্বাস এবং প্রত্যাশায় রূপান্তরিত করা হয়েছে”
Quote“আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারত এখন এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত”
Quote“ভোকাল ফর লোকাল-এর দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মনির্ভরতা এক জাতীয় দায়িত্বস্বরূপ”
Quote‘সমৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী
Quote২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত উদ্যোগের সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে সরকার আয়োজিত ১২টি ওয়েবিনারের এটি দশম।
Quoteপ্রত্যেককে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।
Quoteতিনি বলেন, এখন যা দরকার তা হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলির তাদেরকে ঋণ প্রদান করা।
Quoteপ্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিগত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতির ফলে কোটি কোটি মানুষ প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার অঙ্গীভূত হয়েছেন।
Quoteদৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা এবং ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ বাইরে চলে যাচ্ছে।
Quoteতিনি বলেন, “আজ আমি দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকেও সরকারি ক্ষেত্রের মতো বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছি যাতে করে দেশ তা থেকে সর্বাধিক উপকৃত হতে পারে।”
Quoteকর প্রদানের সংখ্যায় বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকারের ওপর মানুষের বিশ্বাস রয়েছে এবং কর-এর টাকা জনকল্যাণে ভালোভাবে খরচ হবে।”
Quoteআমি আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রস্তাব করব যে তাদের আরও বিস্তার ঘটানোর জন্য আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে তারা বেশি করে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলুন” – বলে প্রধানমন্ত্রী জানান

নমস্কার,

বাজেট রূপায়ণে সরকার যৌথ মালিকানা এবং সম-অংশীদারিত্বের বলিষ্ঠ রূপরেখা বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারের মাধ্যমে প্রস্তুত করছে। এই ওয়েবিনারে আপনার মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়েবিনারে আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

করোনা অতিমারীর সময়কালে ভারতের আর্থিক এবং মুদ্রা নীতির প্রভাব আজ সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। বিগত ৯ বছর ধরে ভারতীয় অর্থনীতির মূল আধারগুলি শক্তিশালী করতে সরকার প্রয়াস গ্রহণ করেছে। একটা সময় ছিল যখন ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হত। আমাদের অর্থনীতি, বাজেট, লক্ষ্য – যখনই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হত, তা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে শুরু ও শেষ হত। আজ ভারত আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে এক বিরাট পরিবর্তন আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এখন আলোচনার শুরুতেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন এখন বিশ্বাসে ন্যস্ত হচ্ছে এবং আলোচনার শেষে প্রশ্নের বদলে এখন প্রত্যাশা জায়গা করে নিচ্ছে। আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত। জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়ভার ভারত নিয়েছে। ২০২১-২২-এ সর্বাধিক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ভারতে এসেছে এবং এই বিনিয়োগের বৃহৎ অংশ নির্মাণ ক্ষেত্রে লগ্নি করা হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিরন্তর আবেদনপত্র জমা পড়ছে। বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিচ্ছি। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই সময়কালে ভারতের ক্ষেত্রে এক বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে এবং আমরা এই সুযোগকে কোনভাবেই হারিয়ে যেতে দেব না। আমাদের একত্রে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

বন্ধুগণ,

আজকের নতুন ভারত নতুন ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এমত পরিস্থিতিতে আপনাদের সকলের দায়বদ্ধতা ও ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের দায়বদ্ধতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে সারা বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থা আপনাদের রয়েছে। গত ৮-১০ বছর পূর্বে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যা ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল, আজ তা লাভদায়ক হয়ে উঠেছে। আজ আপনাদের এমন এক সরকার রয়েছে যে ক্রমাগত দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, আস্থা এবং প্রত্যয় রয়েছে। ফলে, আপনাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে, কাজ করতে হবে এবং কাজ করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে।

বন্ধুগণ,

আজকের সময়ের দাবি হল ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার যে শক্তি তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। আমরা যেভাবে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও অণু শিল্পক্ষেত্রকে (এমএসএমই) সমর্থন যুগিয়েছি ঠিক তেমনই ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও হাতে হাত মিলিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রগুলির সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ১ কোটি ২০ লক্ষ এমএসএমই অতিমারীর সময় সরকারের কাছ থেকে প্রভূত সাহায্য পেয়েছে। এ বছরের বাজেটে এমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য কোনরকম জামানত ছাড়াই অতিরিক্ত ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের সংস্থান রাখা হয়েছে। ফলে এখন প্রয়োজন হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি যাতে এই ক্ষেত্রগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া।

বন্ধুগণ,

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে জড়িত সরকারি নীতি কোটি কোটি মানুষকে প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছে। কোনরকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ২০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ‘মুদ্রা’ ঋণ দিয়ে তরুণের স্বপ্ন পূরণে সরকার অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছে। ‘পিএম স্বনিধি প্রকল্প’-এ ৪০ লক্ষেরও বেশি হকার এবং ছোট দোকানদার এই প্রথম ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। ফলে, সমস্ত অংশীদারদের কাছে ঋণের খরচ কমানো এবং ছোট উদ্যোগপতিরা যাতে দ্রুত ঋণ পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়ন করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। তাহলেই ভারতের বর্ধিত ব্যাঙ্কিং শক্তির সর্বাধিক সুবিধা দেশের দরিদ্র মানুষ পেলে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে দারিদ্র্য মোচন করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

আরও একটি বিষয় হল, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতা আমাদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে না। অতিমারীকালে আমরা দেখেছি যে এটা এমন এক বিষয় যা ভবিষ্যৎকে উজ্জীবিত করে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় দায়বদ্ধতার অঙ্গ।   এই দুটি বিষয়ে দেশজুড়ে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এই কারণবশত, কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ উৎপাদনই বৃদ্ধি পায়নি, রপ্তানির ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড স্থাপন হয়েছে। পণ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেই আমাদের রপ্তানি ২০২১-২২-এ সর্বকালীন বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানেই বিদেশে ভারতের সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেরই সেই দায়বদ্ধতা নেওয়া উচিত যাতে করে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোগপতিরা প্রসার লাভ করতে পারেন। বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংগঠন, বণিকসভা, শিল্পসঙ্ঘ এবং সমস্ত শিল্প-বাণিজ্য সংগঠন যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। আমি স্থির নিশ্চিত যে জেলাস্তরেও আপনাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আপনাদের দল রয়েছে। এই মানুষেরা জেলার পণ্যগুলিকে নির্বাচিত করতে পারেন যাতে সেগুলির বড় পরিমাণে রপ্তানি সম্ভব হয়।

আর বন্ধুগণ,

‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ব্যাপারে বলতে গেলে আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে ভারতীয় কুটীর শিল্পের পণ্য কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তেমনটা হলে দেওয়ালির প্রদীপ কেনাতেই আমাদের আটকে থাকতে হত। আমাদেরকে ঠিক করতে হবে যে কোন কোন জায়গাগুলিতে আমরা দেশের টাকা সাশ্রয় করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে হবে। এখন আপনারা দেখুন, প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা উচ্চশিক্ষার নামে আমাদের দেশ থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা কি সেই অর্থের সাশ্রয় করতে পারি না? ভোজ্যতেল কিনতে বাইরে আমাদের হাজারো কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কি আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারি না? আর্থিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ মানুষেরা এই সমস্ত প্রশ্নের এবং প্রতিকারের যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন। আমি আশা করব, এই ওয়েবিনারে আপনারা নিশ্চিতভাবে এই বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

বন্ধুগণ,

আপনারা বিশেষজ্ঞরা জানেন যে এবারের বাজেটে মূলধনী ব্যয় প্রভূত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ‘পিএম গতি শক্তি’র ফলে প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং রূপায়ণের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হয়েছে। বিভিন্ন ভৌগোলিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রের অগ্রগতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির কাছে আমি চাইব সরকারের মতো আপনারাও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুন যাতে দেশ সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে।

বন্ধুগণ,

বাজেটের পর কর সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অতীতে সর্বত্র এই নিয়ে আলোচনা হত। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন ভারতে কর-এর হার ছিল অনেক বেশি। আজকের ভারতের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জিএসটি-র কারণে আয়কর এবং কর্পোরেট কর হ্রাস পাওয়ায় ভারতে কর-এর হার প্রভূত হ্রাস পেয়েছে। জনসাধারণের ওপর এই বোঝাও বহুলাংশে কমে এসেছে। কিন্তু এর আবার একটা অন্যদিক রয়েছে। ২০১৩-১৪-তে আমাদের মোট কর-বাবদ আয় ছিল প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এর বাজেট হিসাব অনুযায়ী মোট কর-বাবদ আয় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই বৃদ্ধির হার প্রায় ২০০ শতাংশ। ভারত কর-এর হার কমাচ্ছে তা সত্ত্বেও কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আমরা কর-এর আওতায় আরও বেশি মানুষকে আনার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। ২০১৩-১৪-তে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ। ২০২০-২১-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫০ লক্ষে।

বন্ধুগণ,

কর প্রদান একটি দায়িত্ব যা দেশ গড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কর-এর ক্ষেত্র বিস্তার প্রমাণ করে যে সরকারের ওপর সাধারণ বিশ্বাসের দিককে। তাঁরা এটাও বিশ্বাস করেন যে তাঁদের প্রদেয় কর জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। আর্থিক উন্নতি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কর-এর ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা আমাদের দায়িত্ব। আপনাদের সমস্ত সংগঠন এবং সদস্য এক্ষেত্রে গঠনমূলক দায়িত্ব পালন করুন।

বন্ধুগণ,

ভারতের প্রতিভা, পরিকাঠামো ও উদ্ভাবন ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে শীর্ষে পৌঁছে দেবে। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পের এই সময়কালে ভারত যে মঞ্চ প্রস্তুত করছে তা সারা বিশ্বের কাছে একটি মডেল হয়ে উঠেছে। জিইএম অর্থাৎ, সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস-এর সুবিধা ভারতের দূরবর্তী এলাকায় ক্ষুদ্র দোকানদারকেও তাঁর পণ্য সরকারকে সরাসরি বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভারত ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাও অভূতপূর্ব। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি। এথেকেই দেখা যাচ্ছে যে ইউপিআই কিভাবে প্রসার লাভ করেছে। রুপে এবং ইউপিআই কেবলমাত্র মূল্য সাশ্রয়ী নয়, সর্বাধিক সুরক্ষিত প্রযুক্তিও বটে। বিশ্বে এটা আমাদের পরিচিতি হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে উদ্ভাবনের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সশক্তিকরণে ইউপিআই একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক প্রযুক্তির সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি সহযোগিতা গড়ে তুলুন যাতে তার প্রসার ঘটতে পারে।

বন্ধুগণ,

আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা ছোট পদক্ষেপও দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে বিল না নেওয়া। জনসাধারণ আপাতদৃষ্টিতে এতে দোষ না দেখতে পাওয়ায় বিলের জন্য জোড়াজুড়ি করেন না। যখন অনেক বেশি বেশি মানুষ জানতে পারবেন যে এই বিল নিলে দেশ উপকৃত হতে পারে, তখন দেশের স্বার্থেই সেই ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। আপনারাও তখন নিশ্চিতভাবে এই বিলের জন্যই চাপ দেবেন। আরও বেশি মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলাটা জরুরি।

বন্ধুগণ,

দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের সুফল যাতে পৌঁছতে পারে সেই চিন্তা নিয়ে আপনারা সকলে কাজ করুন। এজন্য সুপ্রশিক্ষিত পেশাদারদের এক বিরাট আধার আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমি চাই, ভবিষ্যৎদর্শী এই পরিকল্পনার প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আপনারা আলোচনা করুন এবং চিন্তাভাবনা করুন। আমি স্থির নিশ্চিত, আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিরা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রশংসার মধ্য দিয়ে বাজেটকে ঘিরে এক সদর্থক বাতাবরণ গড়ে তুলেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হল এই বাজেট থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ যাতে সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে তা দেখা এবং সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। আপনাদের বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার মধ্য দিয়ে নিশ্চিতভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে যা এর সফল রূপায়ণের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত প্রত্যাশা অর্জনে সাহায্য করবে। আপনাদের সকলকে আমার অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

  • krishangopal sharma Bjp December 19, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
  • krishangopal sharma Bjp December 19, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
  • krishangopal sharma Bjp December 19, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩🚩
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Vaishali Tangsale February 12, 2024

    🙏🏻🙏🏻
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • Sau Umatai Shivchandra Tayde January 11, 2024

    जय श्रीराम
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Laying the digital path to a developed India

Media Coverage

Laying the digital path to a developed India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India is driving global growth today: PM Modi at Republic Plenary Summit
March 06, 2025
QuoteIndia's achievements and successes have sparked a new wave of hope across the globe: PM
QuoteIndia is driving global growth today: PM
QuoteToday's India thinks big, sets ambitious targets and delivers remarkable results: PM
QuoteWe launched the SVAMITVA Scheme to grant property rights to rural households in India: PM
QuoteYouth is the X-Factor of today's India, where X stands for Experimentation, Excellence, and Expansion: PM
QuoteIn the past decade, we have transformed impact-less administration into impactful governance: PM
QuoteEarlier, construction of houses was government-driven, but we have transformed it into an owner-driven approach: PM

नमस्कार!

आप लोग सब थक गए होंगे, अर्णब की ऊंची आवाज से कान तो जरूर थक गए होंगे, बैठिये अर्णब, अभी चुनाव का मौसम नहीं है। सबसे पहले तो मैं रिपब्लिक टीवी को उसके इस अभिनव प्रयोग के लिए बहुत बधाई देता हूं। आप लोग युवाओं को ग्रासरूट लेवल पर इन्वॉल्व करके, इतना बड़ा कंपटीशन कराकर यहां लाए हैं। जब देश का युवा नेशनल डिस्कोर्स में इन्वॉल्व होता है, तो विचारों में नवीनता आती है, वो पूरे वातावरण में एक नई ऊर्जा भर देता है और यही ऊर्जा इस समय हम यहां महसूस भी कर रहे हैं। एक तरह से युवाओं के इन्वॉल्वमेंट से हम हर बंधन को तोड़ पाते हैं, सीमाओं के परे जा पाते हैं, फिर भी कोई भी लक्ष्य ऐसा नहीं रहता, जिसे पाया ना जा सके। कोई मंजिल ऐसी नहीं रहती जिस तक पहुंचा ना जा सके। रिपब्लिक टीवी ने इस समिट के लिए एक नए कॉन्सेप्ट पर काम किया है। मैं इस समिट की सफलता के लिए आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, आपका अभिनंदन करता हूं। अच्छा मेरा भी इसमें थोड़ा स्वार्थ है, एक तो मैं पिछले दिनों से लगा हूं, कि मुझे एक लाख नौजवानों को राजनीति में लाना है और वो एक लाख ऐसे, जो उनकी फैमिली में फर्स्ट टाइमर हो, तो एक प्रकार से ऐसे इवेंट मेरा जो यह मेरा मकसद है उसका ग्राउंड बना रहे हैं। दूसरा मेरा व्यक्तिगत लाभ है, व्यक्तिगत लाभ यह है कि 2029 में जो वोट करने जाएंगे उनको पता ही नहीं है कि 2014 के पहले अखबारों की हेडलाइन क्या हुआ करती थी, उसे पता नहीं है, 10-10, 12-12 लाख करोड़ के घोटाले होते थे, उसे पता नहीं है और वो जब 2029 में वोट करने जाएगा, तो उसके सामने कंपैरिजन के लिए कुछ नहीं होगा और इसलिए मुझे उस कसौटी से पार होना है और मुझे पक्का विश्वास है, यह जो ग्राउंड बन रहा है ना, वो उस काम को पक्का कर देगा।

साथियों,

आज पूरी दुनिया कह रही है कि ये भारत की सदी है, ये आपने नहीं सुना है। भारत की उपलब्धियों ने, भारत की सफलताओं ने पूरे विश्व में एक नई उम्मीद जगाई है। जिस भारत के बारे में कहा जाता था, ये खुद भी डूबेगा और हमें भी ले डूबेगा, वो भारत आज दुनिया की ग्रोथ को ड्राइव कर रहा है। मैं भारत के फ्यूचर की दिशा क्या है, ये हमें आज के हमारे काम और सिद्धियों से पता चलता है। आज़ादी के 65 साल बाद भी भारत दुनिया की ग्यारहवें नंबर की इकॉनॉमी था। बीते दशक में हम दुनिया की पांचवें नंबर की इकॉनॉमी बने, और अब उतनी ही तेजी से दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनने जा रहे हैं।

|

साथियों,

मैं आपको 18 साल पहले की भी बात याद दिलाता हूं। ये 18 साल का खास कारण है, क्योंकि जो लोग 18 साल की उम्र के हुए हैं, जो पहली बार वोटर बन रहे हैं, उनको 18 साल के पहले का पता नहीं है, इसलिए मैंने वो आंकड़ा लिया है। 18 साल पहले यानि 2007 में भारत की annual GDP, एक लाख करोड़ डॉलर तक पहुंची थी। यानि आसान शब्दों में कहें तो ये वो समय था, जब एक साल में भारत में एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी होती थी। अब आज देखिए क्या हो रहा है? अब एक क्वार्टर में ही लगभग एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही है। इसका क्या मतलब हुआ? 18 साल पहले के भारत में साल भर में जितनी इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही थी, उतनी अब सिर्फ तीन महीने में होने लगी है। ये दिखाता है कि आज का भारत कितनी तेजी से आगे बढ़ रहा है। मैं आपको कुछ उदाहरण दूंगा, जो दिखाते हैं कि बीते एक दशक में कैसे बड़े बदलाव भी आए और नतीजे भी आए। बीते 10 सालों में, हम 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकालने में सफल हुए हैं। ये संख्या कई देशों की कुल जनसंख्या से भी ज्यादा है। आप वो दौर भी याद करिए, जब सरकार खुद स्वीकार करती थी, प्रधानमंत्री खुद कहते थे, कि एक रूपया भेजते थे, तो 15 पैसा गरीब तक पहुंचता था, वो 85 पैसा कौन पंजा खा जाता था और एक आज का दौर है। बीते दशक में गरीबों के खाते में, DBT के जरिए, Direct Benefit Transfer, DBT के जरिए 42 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा ट्रांसफर किए गए हैं, 42 लाख करोड़ रुपए। अगर आप वो हिसाब लगा दें, रुपये में से 15 पैसे वाला, तो 42 लाख करोड़ का क्या हिसाब निकलेगा? साथियों, आज दिल्ली से एक रुपया निकलता है, तो 100 पैसे आखिरी जगह तक पहुंचते हैं।

साथियों,

10 साल पहले सोलर एनर्जी के मामले में भारत दुनिया में कहीं गिनती नहीं होती थी। लेकिन आज भारत सोलर एनर्जी कैपेसिटी के मामले में दुनिया के टॉप-5 countries में से है। हमने सोलर एनर्जी कैपेसिटी को 30 गुना बढ़ाया है। Solar module manufacturing में भी 30 गुना वृद्धि हुई है। 10 साल पहले तो हम होली की पिचकारी भी, बच्चों के खिलौने भी विदेशों से मंगाते थे। आज हमारे Toys Exports तीन गुना हो चुके हैं। 10 साल पहले तक हम अपनी सेना के लिए राइफल तक विदेशों से इंपोर्ट करते थे और बीते 10 वर्षों में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट 20 गुना बढ़ गया है।

|

साथियों,

इन 10 वर्षों में, हम दुनिया के दूसरे सबसे बड़े स्टील प्रोड्यूसर हैं, दुनिया के दूसरे सबसे बड़े मोबाइल फोन मैन्युफैक्चरर हैं और दुनिया का तीसरा सबसे बड़ा स्टार्टअप इकोसिस्टम बने हैं। इन्हीं 10 सालों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर अपने Capital Expenditure को, पांच गुना बढ़ाया है। देश में एयरपोर्ट्स की संख्या दोगुनी हो गई है। इन दस सालों में ही, देश में ऑपरेशनल एम्स की संख्या तीन गुना हो गई है। और इन्हीं 10 सालों में मेडिकल कॉलेजों और मेडिकल सीट्स की संख्या भी करीब-करीब दोगुनी हो गई है।

साथियों,

आज के भारत का मिजाज़ कुछ और ही है। आज का भारत बड़ा सोचता है, बड़े टार्गेट तय करता है और आज का भारत बड़े नतीजे लाकर के दिखाता है। और ये इसलिए हो रहा है, क्योंकि देश की सोच बदल गई है, भारत बड़ी Aspirations के साथ आगे बढ़ रहा है। पहले हमारी सोच ये बन गई थी, चलता है, होता है, अरे चलने दो यार, जो करेगा करेगा, अपन अपना चला लो। पहले सोच कितनी छोटी हो गई थी, मैं इसका एक उदाहरण देता हूं। एक समय था, अगर कहीं सूखा हो जाए, सूखाग्रस्त इलाका हो, तो लोग उस समय कांग्रेस का शासन हुआ करता था, तो मेमोरेंडम देते थे गांव के लोग और क्या मांग करते थे, कि साहब अकाल होता रहता है, तो इस समय अकाल के समय अकाल के राहत के काम रिलीफ के वर्क शुरू हो जाए, गड्ढे खोदेंगे, मिट्टी उठाएंगे, दूसरे गड्डे में भर देंगे, यही मांग किया करते थे लोग, कोई कहता था क्या मांग करता था, कि साहब मेरे इलाके में एक हैंड पंप लगवा दो ना, पानी के लिए हैंड पंप की मांग करते थे, कभी कभी सांसद क्या मांग करते थे, गैस सिलेंडर इसको जरा जल्दी देना, सांसद ये काम करते थे, उनको 25 कूपन मिला करती थी और उस 25 कूपन को पार्लियामेंट का मेंबर अपने पूरे क्षेत्र में गैस सिलेंडर के लिए oblige करने के लिए उपयोग करता था। एक साल में एक एमपी 25 सिलेंडर और यह सारा 2014 तक था। एमपी क्या मांग करते थे, साहब ये जो ट्रेन जा रही है ना, मेरे इलाके में एक स्टॉपेज दे देना, स्टॉपेज की मांग हो रही थी। यह सारी बातें मैं 2014 के पहले की कर रहा हूं, बहुत पुरानी नहीं कर रहा हूं। कांग्रेस ने देश के लोगों की Aspirations को कुचल दिया था। इसलिए देश के लोगों ने उम्मीद लगानी भी छोड़ दी थी, मान लिया था यार इनसे कुछ होना नहीं है, क्या कर रहा है।। लोग कहते थे कि भई ठीक है तुम इतना ही कर सकते हो तो इतना ही कर दो। और आज आप देखिए, हालात और सोच कितनी तेजी से बदल रही है। अब लोग जानते हैं कि कौन काम कर सकता है, कौन नतीजे ला सकता है, और यह सामान्य नागरिक नहीं, आप सदन के भाषण सुनोगे, तो विपक्ष भी यही भाषण करता है, मोदी जी ये क्यों नहीं कर रहे हो, इसका मतलब उनको लगता है कि यही करेगा।

|

साथियों,

आज जो एस्पिरेशन है, उसका प्रतिबिंब उनकी बातों में झलकता है, कहने का तरीका बदल गया , अब लोगों की डिमांड क्या आती है? लोग पहले स्टॉपेज मांगते थे, अब आकर के कहते जी, मेरे यहां भी तो एक वंदे भारत शुरू कर दो। अभी मैं कुछ समय पहले कुवैत गया था, तो मैं वहां लेबर कैंप में नॉर्मली मैं बाहर जाता हूं तो अपने देशवासी जहां काम करते हैं तो उनके पास जाने का प्रयास करता हूं। तो मैं वहां लेबर कॉलोनी में गया था, तो हमारे जो श्रमिक भाई बहन हैं, जो वहां कुवैत में काम करते हैं, उनसे कोई 10 साल से कोई 15 साल से काम, मैं उनसे बात कर रहा था, अब देखिए एक श्रमिक बिहार के गांव का जो 9 साल से कुवैत में काम कर रहा है, बीच-बीच में आता है, मैं जब उससे बातें कर रहा था, तो उसने कहा साहब मुझे एक सवाल पूछना है, मैंने कहा पूछिए, उसने कहा साहब मेरे गांव के पास डिस्ट्रिक्ट हेड क्वार्टर पर इंटरनेशनल एयरपोर्ट बना दीजिए ना, जी मैं इतना प्रसन्न हो गया, कि मेरे देश के बिहार के गांव का श्रमिक जो 9 साल से कुवैत में मजदूरी करता है, वह भी सोचता है, अब मेरे डिस्ट्रिक्ट में इंटरनेशनल एयरपोर्ट बनेगा। ये है, आज भारत के एक सामान्य नागरिक की एस्पिरेशन, जो विकसित भारत के लक्ष्य की ओर पूरे देश को ड्राइव कर रही है।

साथियों,

किसी भी समाज की, राष्ट्र की ताकत तभी बढ़ती है, जब उसके नागरिकों के सामने से बंदिशें हटती हैं, बाधाएं हटती हैं, रुकावटों की दीवारें गिरती है। तभी उस देश के नागरिकों का सामर्थ्य बढ़ता है, आसमान की ऊंचाई भी उनके लिए छोटी पड़ जाती है। इसलिए, हम निरंतर उन रुकावटों को हटा रहे हैं, जो पहले की सरकारों ने नागरिकों के सामने लगा रखी थी। अब मैं उदाहरण देता हूं स्पेस सेक्टर। स्पेस सेक्टर में पहले सबकुछ ISRO के ही जिम्मे था। ISRO ने निश्चित तौर पर शानदार काम किया, लेकिन स्पेस साइंस और आंत्रप्रन्योरशिप को लेकर देश में जो बाकी सामर्थ्य था, उसका उपयोग नहीं हो पा रहा था, सब कुछ इसरो में सिमट गया था। हमने हिम्मत करके स्पेस सेक्टर को युवा इनोवेटर्स के लिए खोल दिया। और जब मैंने निर्णय किया था, किसी अखबार की हेडलाइन नहीं बना था, क्योंकि समझ भी नहीं है। रिपब्लिक टीवी के दर्शकों को जानकर खुशी होगी, कि आज ढाई सौ से ज्यादा स्पेस स्टार्टअप्स देश में बन गए हैं, ये मेरे देश के युवाओं का कमाल है। यही स्टार्टअप्स आज, विक्रम-एस और अग्निबाण जैसे रॉकेट्स बना रहे हैं। ऐसे ही mapping के सेक्टर में हुआ, इतने बंधन थे, आप एक एटलस नहीं बना सकते थे, टेक्नॉलाजी बदल चुकी है। पहले अगर भारत में कोई मैप बनाना होता था, तो उसके लिए सरकारी दरवाजों पर सालों तक आपको चक्कर काटने पड़ते थे। हमने इस बंदिश को भी हटाया। आज Geo-spatial mapping से जुडा डेटा, नए स्टार्टअप्स का रास्ता बना रहा है।

|

साथियों,

न्यूक्लियर एनर्जी, न्यूक्लियर एनर्जी से जुड़े सेक्टर को भी पहले सरकारी कंट्रोल में रखा गया था। बंदिशें थीं, बंधन थे, दीवारें खड़ी कर दी गई थीं। अब इस साल के बजट में सरकार ने इसको भी प्राइवेट सेक्टर के लिए ओपन करने की घोषणा की है। और इससे 2047 तक 100 गीगावॉट न्यूक्लियर एनर्जी कैपेसिटी जोड़ने का रास्ता मजबूत हुआ है।

साथियों,

आप हैरान रह जाएंगे, कि हमारे गांवों में 100 लाख करोड़ रुपए, Hundred lakh crore rupees, उससे भी ज्यादा untapped आर्थिक सामर्थ्य पड़ा हुआ है। मैं आपके सामने फिर ये आंकड़ा दोहरा रहा हूं- 100 लाख करोड़ रुपए, ये छोटा आंकड़ा नहीं है, ये आर्थिक सामर्थ्य, गांव में जो घर होते हैं, उनके रूप में उपस्थित है। मैं आपको और आसान तरीके से समझाता हूं। अब जैसे यहां दिल्ली जैसे शहर में आपके घर 50 लाख, एक करोड़, 2 करोड़ के होते हैं, आपकी प्रॉपर्टी की वैल्यू पर आपको बैंक लोन भी मिल जाता है। अगर आपका दिल्ली में घर है, तो आप बैंक से करोड़ों रुपये का लोन ले सकते हैं। अब सवाल यह है, कि घर दिल्ली में थोड़े है, गांव में भी तो घर है, वहां भी तो घरों का मालिक है, वहां ऐसा क्यों नहीं होता? गांवों में घरों पर लोन इसलिए नहीं मिलता, क्योंकि भारत में गांव के घरों के लीगल डॉक्यूमेंट्स नहीं होते थे, प्रॉपर मैपिंग ही नहीं हो पाई थी। इसलिए गांव की इस ताकत का उचित लाभ देश को, देशवासियों को नहीं मिल पाया। और ये सिर्फ भारत की समस्या है ऐसा नहीं है, दुनिया के बड़े-बड़े देशों में लोगों के पास प्रॉपर्टी के राइट्स नहीं हैं। बड़ी-बड़ी अंतरराष्ट्रीय संस्थाएं कहती हैं, कि जो देश अपने यहां लोगों को प्रॉपर्टी राइट्स देता है, वहां की GDP में उछाल आ जाता है।

|

साथियों,

भारत में गांव के घरों के प्रॉपर्टी राइट्स देने के लिए हमने एक स्वामित्व स्कीम शुरु की। इसके लिए हम गांव-गांव में ड्रोन से सर्वे करा रहे हैं, गांव के एक-एक घर की मैपिंग करा रहे हैं। आज देशभर में गांव के घरों के प्रॉपर्टी कार्ड लोगों को दिए जा रहे हैं। दो करोड़ से अधिक प्रॉपर्टी कार्ड सरकार ने बांटे हैं और ये काम लगातार चल रहा है। प्रॉपर्टी कार्ड ना होने के कारण पहले गांवों में बहुत सारे विवाद भी होते थे, लोगों को अदालतों के चक्कर लगाने पड़ते थे, ये सब भी अब खत्म हुआ है। इन प्रॉपर्टी कार्ड्स पर अब गांव के लोगों को बैंकों से लोन मिल रहे हैं, इससे गांव के लोग अपना व्यवसाय शुरू कर रहे हैं, स्वरोजगार कर रहे हैं। अभी मैं एक दिन ये स्वामित्व योजना के तहत वीडियो कॉन्फ्रेंस पर उसके लाभार्थियों से बात कर रहा था, मुझे राजस्थान की एक बहन मिली, उसने कहा कि मैंने मेरा प्रॉपर्टी कार्ड मिलने के बाद मैंने 9 लाख रुपये का लोन लिया गांव में और बोली मैंने बिजनेस शुरू किया और मैं आधा लोन वापस कर चुकी हूं और अब मुझे पूरा लोन वापस करने में समय नहीं लगेगा और मुझे अधिक लोन की संभावना बन गई है कितना कॉन्फिडेंस लेवल है।

साथियों,

ये जितने भी उदाहरण मैंने दिए हैं, इनका सबसे बड़ा बेनिफिशरी मेरे देश का नौजवान है। वो यूथ, जो विकसित भारत का सबसे बड़ा स्टेकहोल्डर है। जो यूथ, आज के भारत का X-Factor है। इस X का अर्थ है, Experimentation Excellence और Expansion, Experimentation यानि हमारे युवाओं ने पुराने तौर तरीकों से आगे बढ़कर नए रास्ते बनाए हैं। Excellence यानी नौजवानों ने Global Benchmark सेट किए हैं। और Expansion यानी इनोवेशन को हमारे य़ुवाओं ने 140 करोड़ देशवासियों के लिए स्केल-अप किया है। हमारा यूथ, देश की बड़ी समस्याओं का समाधान दे सकता है, लेकिन इस सामर्थ्य का सदुपयोग भी पहले नहीं किया गया। हैकाथॉन के ज़रिए युवा, देश की समस्याओं का समाधान भी दे सकते हैं, इसको लेकर पहले सरकारों ने सोचा तक नहीं। आज हम हर वर्ष स्मार्ट इंडिया हैकाथॉन आयोजित करते हैं। अभी तक 10 लाख युवा इसका हिस्सा बन चुके हैं, सरकार की अनेकों मिनिस्ट्रीज और डिपार्टमेंट ने गवर्नेंस से जुड़े कई प्रॉब्लम और उनके सामने रखें, समस्याएं बताई कि भई बताइये आप खोजिये क्या सॉल्यूशन हो सकता है। हैकाथॉन में हमारे युवाओं ने लगभग ढाई हज़ार सोल्यूशन डेवलप करके देश को दिए हैं। मुझे खुशी है कि आपने भी हैकाथॉन के इस कल्चर को आगे बढ़ाया है। और जिन नौजवानों ने विजय प्राप्त की है, मैं उन नौजवानों को बधाई देता हूं और मुझे खुशी है कि मुझे उन नौजवानों से मिलने का मौका मिला।

|

साथियों,

बीते 10 वर्षों में देश ने एक new age governance को फील किया है। बीते दशक में हमने, impact less administration को Impactful Governance में बदला है। आप जब फील्ड में जाते हैं, तो अक्सर लोग कहते हैं, कि हमें फलां सरकारी स्कीम का बेनिफिट पहली बार मिला। ऐसा नहीं है कि वो सरकारी स्कीम्स पहले नहीं थीं। स्कीम्स पहले भी थीं, लेकिन इस लेवल की last mile delivery पहली बार सुनिश्चित हो रही है। आप अक्सर पीएम आवास स्कीम के बेनिफिशरीज़ के इंटरव्यूज़ चलाते हैं। पहले कागज़ पर गरीबों के मकान सेंक्शन होते थे। आज हम जमीन पर गरीबों के घर बनाते हैं। पहले मकान बनाने की पूरी प्रक्रिया, govt driven होती थी। कैसा मकान बनेगा, कौन सा सामान लगेगा, ये सरकार ही तय करती थी। हमने इसको owner driven बनाया। सरकार, लाभार्थी के अकाउंट में पैसा डालती है, बाकी कैसा घर बनेगा, ये लाभार्थी खुद डिसाइड करता है। और घर के डिजाइन के लिए भी हमने देशभर में कंपीटिशन किया, घरों के मॉडल सामने रखे, डिजाइन के लिए भी लोगों को जोड़ा, जनभागीदारी से चीज़ें तय कीं। इससे घरों की क्वालिटी भी अच्छी हुई है और घर तेज़ गति से कंप्लीट भी होने लगे हैं। पहले ईंट-पत्थर जोड़कर आधे-अधूरे मकान बनाकर दिए जाते थे, हमने गरीब को उसके सपनों का घर बनाकर दिया है। इन घरों में नल से जल आता है, उज्ज्वला योजना का गैस कनेक्शन होता है, सौभाग्य योजना का बिजली कनेक्शन होता है, हमने सिर्फ चार दीवारें खड़ी नहीं कीं है, हमने उन घरों में ज़िंदगी खड़ी की है।

साथियों,

किसी भी देश के विकास के लिए बहुत जरूरी पक्ष है उस देश की सुरक्षा, नेशनल सिक्योरिटी। बीते दशक में हमने सिक्योरिटी पर भी बहुत अधिक काम किया है। आप याद करिए, पहले टीवी पर अक्सर, सीरियल बम ब्लास्ट की ब्रेकिंग न्यूज चला करती थी, स्लीपर सेल्स के नेटवर्क पर स्पेशल प्रोग्राम हुआ करते थे। आज ये सब, टीवी स्क्रीन और भारत की ज़मीन दोनों जगह से गायब हो चुका है। वरना पहले आप ट्रेन में जाते थे, हवाई अड्डे पर जाते थे, लावारिस कोई बैग पड़ा है तो छूना मत ऐसी सूचनाएं आती थी, आज वो जो 18-20 साल के नौजवान हैं, उन्होंने वो सूचना सुनी नहीं होगी। आज देश में नक्सलवाद भी अंतिम सांसें गिन रहा है। पहले जहां सौ से अधिक जिले, नक्सलवाद की चपेट में थे, आज ये दो दर्जन से भी कम जिलों में ही सीमित रह गया है। ये तभी संभव हुआ, जब हमने nation first की भावना से काम किया। हमने इन क्षेत्रों में Governance को Grassroot Level तक पहुंचाया। देखते ही देखते इन जिलों मे हज़ारों किलोमीटर लंबी सड़कें बनीं, स्कूल-अस्पताल बने, 4G मोबाइल नेटवर्क पहुंचा और परिणाम आज देश देख रहा है।

साथियों,

सरकार के निर्णायक फैसलों से आज नक्सलवाद जंगल से तो साफ हो रहा है, लेकिन अब वो Urban सेंटर्स में पैर पसार रहा है। Urban नक्सलियों ने अपना जाल इतनी तेज़ी से फैलाया है कि जो राजनीतिक दल, अर्बन नक्सल के विरोधी थे, जिनकी विचारधारा कभी गांधी जी से प्रेरित थी, जो भारत की ज़ड़ों से जुड़ी थी, ऐसे राजनीतिक दलों में आज Urban नक्सल पैठ जमा चुके हैं। आज वहां Urban नक्सलियों की आवाज, उनकी ही भाषा सुनाई देती है। इसी से हम समझ सकते हैं कि इनकी जड़ें कितनी गहरी हैं। हमें याद रखना है कि Urban नक्सली, भारत के विकास और हमारी विरासत, इन दोनों के घोर विरोधी हैं। वैसे अर्नब ने भी Urban नक्सलियों को एक्सपोज करने का जिम्मा उठाया हुआ है। विकसित भारत के लिए विकास भी ज़रूरी है और विरासत को मज़बूत करना भी आवश्यक है। और इसलिए हमें Urban नक्सलियों से सावधान रहना है।

साथियों,

आज का भारत, हर चुनौती से टकराते हुए नई ऊंचाइयों को छू रहा है। मुझे भरोसा है कि रिपब्लिक टीवी नेटवर्क के आप सभी लोग हमेशा नेशन फर्स्ट के भाव से पत्रकारिता को नया आयाम देते रहेंगे। आप विकसित भारत की एस्पिरेशन को अपनी पत्रकारिता से catalyse करते रहें, इसी विश्वास के साथ, आप सभी का बहुत-बहुत आभार, बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद!